জনপ্রিয় সংস্কৃতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Kanej Roksana (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Kanej Roksana (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
'''জনপ্রিয় সংস্কৃতি''' বা '''জনসংস্কৃতি''' ([[ইংরেজি]] Popular culture বা pop culture) বলতে সেই সমস্ত সাংস্কৃতিক উপাদানের সমষ্টিকে বোঝায় যেগুলো বিভিন্ন জনপ্রিয় গণমাধ্যম, সমাজে বহুল প্রচলিত ভাষা ও লোকাঁচারে আধিপত্য বিস্তার করে। প্রতিদিনকার জীবনের নানা চাহিদা ও মিথষ্ক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট সাংস্কৃতিক মুহূর্তগুলো (cultural moments) সমষ্টিবদ্ধ হয়ে [[মূলধারা|মূলধারার]] (mainstream) লোকজনের দৈনন্দিন জীবনের প্রকৃতি নির্ধারণ করে। রান্নাবান্না, কাপড় চোপড়, গণমাধ্যম, বিনোদন, খেলাধুলা, সাহিত্য, ইত্যাদিতে জনসংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটে।অনেক সময়ই উচ্চবর্গ আর নিম্নবর্গের মধ্যে জনসংস্কৃতির সীমারেখাটি পরিষ্কার নয় ৷ <ref>[http://papers.ssrn.com/sol3/papers.cfm?abstract_id=2046498 ধর্ম ও জনসংস্কৃতি প্রসঙ্গে On Religion and Popular Culture]</ref>
 
সমাজের সদস্যদের দ্বারা স্বীকৃত বিভিন্ন বিশ্বাস বা অনুশীলন এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অর্থাৎ ঐতিহাসিক স্থাপনা ও বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান ও বিবিধ শিল্প যা পূর্ববর্তী প্রজন্ম থেকে মানুষ উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে থাকে এবং যা একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঐ সমাজে সর্বব্যাপি ও প্রাধান্য বিস্তারকারী হয়ে থাকে তাকে জনসংস্কৃতি বলা হয়। জনসংস্কৃতি বলতে প্রাধান্য বিস্তারকারী ঐতিহাসিক স্থাপনা ও বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান ও বিবিধ শিল্প যা পূর্ববর্তী প্রজন্ম থেকে মানুষ উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে থাকে তার সঙ্গে বিভিন্ন কর্মকান্ড ও অনুভূতির মিথষ্ক্রিয়াকেও বোঝানো হয়। একটি নির্দিষ্ট সমাজে যা অত্যন্ত বেশি প্রভাব বিস্তার করে থাকে। সেইজন্য, একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রতি কোন ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গী তৈরিতে জনসংস্কৃতি প্রভাব বিস্তার করে।<sup>[2]</sup> যাহোক, জনসংস্কৃতিকে ব্যাখ্যা করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে।<sup>[3]</sup> এই কারণে, জনসংস্কৃতি হচ্ছে এমন কিছু যা বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে পরস্পরবিরোধী ‍উপায়ে বিভিন্ন ব্যক্তির দ্বারা সঙ্গায়িতসংজ্ঞায়িত হয়েছে।<sup>[4]</sup> সাধারণভাবে সংস্কৃতির অন্যান্য রূপ যেমন: লোক সংস্কৃতি, শ্রমজীবী-শ্রেণীর সংস্কৃতি বা উঁচু সংস্কৃতির সঙ্গেে এবং বিভিন্ন তাত্ত্বিততাত্ত্বিক দৃষ্টিকোন যেমন: মনঃসমীক্ষণ, উত্তরআধুনিকতাবাদ, এবং অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে এর বৈপরীত্য রয়েছে। সবচেয়ে প্রচলিত জনসংস্কৃতির ধরণ হচ্ছে: বিনোদন, (যেমন: চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, টেলিভিশন এবং ভিডিও গেমস) খেলাধুলা, সংবাদ, রাজনীতি, ফ্যাশন, প্রযুক্তি, এবং স্ল্যাং।<sup>[5]</sup>
 
অনেকে কখনো কখনো জনসংস্কৃতিকে তুচ্ছ এবং মূলধারায় সম্মতিসূচক গ্রহনযোগ্যতা পাওয়ার জন্য শিক্ষা, সাহিত্য, চলচ্চিত্র, সংবাদ, ভিডিওগেম ও সংস্কৃতির বুদ্ধিবৃত্তিক আধেয়কে সুচিন্তিত ভাবে অতি সরলীকরণ বলে জ্ঞান করেন। এর ফলে মূল ধারার বাইরের সংস্কৃতিগুলো (লক্ষণীয়ভাবে ধর্মভিত্তিক দলগুলো এবং উপসংস্কৃতির দলগুলো) জনসংস্কৃতিকে অত্যন্ত সমালোচনা করে থাকে। তারা এই সংস্কৃতিকে অগভীর, ভোগবাদী, গণ উত্তেজনাকর, বা দূষিত বলে বিবেচনা করেন।
 
'''সূচীপত্র'''
৪৩ নং লাইন:
দ্বীতিয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে গণ মাধ্যমের প্রবর্তনের দ্বারা পরবর্তীতে যে গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ও সামাজিক পরিবর্তন সুচিত হয় তাতে জনপ্রিয় সংস্কৃতি জন সংস্কৃতি, গণমাধ্যম সংস্কৃতি, ইমেজ কালচার ও ভোগবাদী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে যায়।<sup>[18]</sup> অন্যান্য পশ্চিমা দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবর্তন অগ্রগামী ছিল।
 
পপুলার শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ “পপ” ১৯৫০ এর শেষ দিকে পপ মিউজিক শব্দটিতে ব্যবহৃত হতে শুরু করে।<sup>[19]</sup> যদিও “পপ” ও “পপুলার” শব্দ দুটি কিছু ক্ষেত্রে আদল বদল করে ব্যবহৃত হতো। আর তাদের অর্থ খনিকটা মিশ্রিত হয়ে যেত তারপরেও “পপ” শব্দটি অপেক্ষাকৃত সংকীর্ণ। যেসব জিনিসের নির্দিষ্টভাবে গণ আবেদনেরআবেদন তৈরির গুন আছে তাকে পপ বলে কিন্তু যেসব বিষয় যে কোন শৈলী নির্বিশেষে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে তাকে “পপুলার” বলে।<sup>[20][21]</sup>
 
লেখক জন স্টোরে এর মতে জনপ্রিয় সংস্কৃতির অনেক সংজ্ঞা রয়েছে।<sup>[22]</sup> সংস্কৃতির পরিমাণাত্মক সংজ্ঞায় যে সমস্যা রয়েছে তাতে উঁচু সংস্কৃতিও (উদাহরণ স্বরূপ জেন অস্টিনের বইয়ের টিভি নাটকে রূপ দেয়া) এক ধরণের “জনপ্রিয় সংস্কৃতি”। “জনপ্রিয় সংস্কৃতি”
 
লেখক জন স্টোরে এর মতে জনপ্রিয় সংস্কৃতির অনেক সংজ্ঞা রয়েছে।<sup>[22]</sup>