মালে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Md.Fahamidul Islam Dipro (আলোচনা | অবদান)
Md.Fahamidul Islam Dipro (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪৩ নং লাইন:
কথিত আছে প্রথমদিকের তামিল বসতি স্থাপনকারীরা দীপপুঞ্জকে বলত "মালাইটিভু" , যার অর্থ গারল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ বা চেইন দ্বীপপুঞ্জ। আঞ্চলিক কাহিনী অনুযায়ী গিরাভারু জেলেরা টুনা মাছ ধরার পর তা কুটার জন্য তাদের দ্বীপের দক্ষিণে অবস্থিত বিশাল বালুকা সৈকতে (ফিনলহু) নিয়মিত গমন করত। প্রচুর পরিমাণে মাছের রক্ত ও বর্জ্য পানিতে ফেলার কারণে সৈকতের পানি দেখে মনে হত এক বিশাল রক্তের পুকুর (মা লে গান্দেহঃ যেখানে "মা" শব্দটি সঙ্গিস্কৃত "মহা" জার অর্থ বিশাল এবং "লে" অর্থ রক্তও)।
 
ঐতিহ্যগতভাবে মালদ্বীপে প্রথম বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে যারা গিরাভারু সম্প্রদায়ভুক্ত ছিল তাদের কোন রাজা ছিলনা। তারা একপ্রকার সহজ সরল সমাজে বাস করত যা স্থানীয় হেডম্যান দ্বারা শাসিত ছিল। যাইহোক ,একদিন উপমহাদেশের এক রাজপুত্র যার নাম ছিল কোইমালা, তিনি এক বিশাল জাহাজে করে উত্তর থেকে যাত্রা শুরু করে মালে দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছেছিলেন। গিরাভারুর অধিবাসীরা দূর থেকে তাঁর জাহাজ দেখতে পেয়ে তাঁকে স্বাগত জানায়। তারা প্রিন্স কোইমালাকে মাছের রক্তরক্তে দূষিত সেই বিশাল বালুর তীরে বসতে দিয়েছিল। সৈকতের ধারে গাছ লাগান হয়েছিলো। বলা হয়ে থাকে যে সর্বপ্রথম যে গাছটি জন্ম নেয় তা ছিল একটি পেঁপে গাছ। (যাইহোক এটি যেকোনো ভোজ্য ফলজ গাছ কে নির্দেশ করত যেমন প্রাচীন ধিভেহি শব্দ এবঙ্গিএবং বর্তমান মহল শব্দে "ফল(ফালহোয়া)" আর পেঁপের জন্য ব্যাবহৃত শব্দটি একই ছিল। সময়ের সাথে সাথে স্থানীয় দ্বীপবাসীরা এই উত্তরের প্রিন্সের শাসন গ্রহণ করেছিলো। তখন সেখানে একটি প্রাসাদ তৈরি করা হয়েছিল এবং দ্বীপের আনুষ্ঠানিক নাম মা-লে (মালা) রাখা হয়েছিল। একইসাথে নিকটতম দ্বীপের নাম রাখা হয়েছিল "হুল হু-লে"।
 
মালে দ্বীপের প্রধান চারটি ওয়ার্ড বা বিভাগের নামগুলো দিয়েছিল মূল গিরাভারু জেলেরা। "মাফান্নু" শব্দটি "মা" যার অর্থ বিশাল এবঙ্গিএবং "ফান্নু" (একটি স্থান যেখানে একটি গ্রামের পথ সমুদ্রের সাথে মিলিত হয়) শব্দ থেকে আগত। এনবেয়ারো থেকে হেনভিরু(যেখানে জেলেরা তাদের টোপ পায়),গালু-ওলহু(পাথরের খাঁজ) থেকে গালোলহু এবং মাথি-আনগোলহি(বাতাসের গলিপথ) থেকে মাচাংগোলী।
 
প্রথমদিকের বিদেশি উৎসগুলিতে মালে কে বলা হত আম্ব্রিয়া বা মাহল। মালদ্বীপবাসীদের কাছে যা "ফুরমালা" অর্থাৎ "সর্বশ্রেষ্ঠ মালে" নামে পরিচিত ছিল।
 
১৩৩৩ সালে ইবনে বতুতা মালে ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি শহরটির পাশাপাশি মালদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জেরও একটি বিস্তৃত বিবরণ প্রদান করেছিলেন। তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে রানী রীন্দি খাদিজা মালের বাসিন্দা ছিলেন যা থেকে পরবর্তীতে দ্বীপের মধ্যস্থলে তৎকালীন সুলতান শাসকদের রাজপ্রাসাদের অন্তর্ভুক্ত থাকার ব্যাপারে আভাস পাওয়া যায়। প্রাসাদের আঙিনায় কতকগুলো গর্তের ভেতরে কড়ির মজুত ছিল,যা বাণিজ্য করার অন্নজন্য প্রস্তুত রাখা হত।
 
ইবনে বতুতা কাঠের তৈরি কয়েকটা মসজিদের কথাও উল্লেখ করেছিলেন। সুলতান মুহাম্মাদ ইমাদুদ্দিন ১৭শ শতাব্দীতে মালে দুর্গ তৈরি করেছিলেন। তিনি এ দ্বীপের উত্তর ,পূর্ব এবঙ্গিএবং পশ্চিম দিকে প্রাচীর তৈরি করেছিলেন। মাছ ধরার জাহাজ ও ছোট ধনিধোনি নৌকাগুলো একটি আভ্যন্তরীণ বন্দর ব্যবহার করত। বড় জাহাজগুলি ভিলিঙ্গিলিভিলিংলি এবঙ্গিএবং হুলহুল দ্বীপের বাহিরের বন্দরে নোঙর করা হত। দ্বীপটি এক বর্গমাইলেরও কম জায়গা দখল করেছিল এবঙ্গিএবং এর চারপাশে একটি অগভীর হ্রদ ছিল।
 
১৮৮৮ সালে মালেতে ২১৪৮ জন বাসিন্দা ছিল,কিন্তু জঙ্গনসঙ্গিখ্যারজনসংখ্যার বৃদ্ধি মানুষকে বসবাসের জন্য নতুন স্থান অনুসন্ধানের দিকে ধাবিত করে। ১৯২৫-১৯২৭ সালে তৃতীয় মুহাম্মাদ শামসুদ্দিনের শাসনামলে পুরাতন দুর্গ ও জরাজীর্ণ দালানসমূহ ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবঙ্গিএবং আরও ক্ষুদ্র পরিসরে পুনর্নিমাণ করা হয়েছিল। রাস্তাগুলো প্রশস্ত ও সোজা করা হয়েছিলো। প্রাক্তন বড় কবরস্থাঙ্গনগুলো মেরামত ও পরিষ্কার করা হয়েছিল আরও আবাসনের জায়গা অর্জনের জন্য।
 
১৯৬৮ সালে রাজতন্ত্র বিলুপ্তির পর রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম নাসিরের শাসনামলে শহরটি পুননির্মাণ করা হলে রাজকীয় প্রাসাদ(গণদুয়ারু) , সুরম্য দুর্গগুলো (কোশি) এবঙ্গিএবং ঘাঁটিসমূহ (বুড়ুজ) ধ্বঙ্গিসধ্বংস করা হয়। শুধু জাতীয় জাদুঘর ভবন, সুলতানের শেষ বাসভবন এবঙ্গিএবং মালে জুমার মসজিদ রয়ে গিয়েছিল। মালের জঙ্গনসঙ্গিখ্যাজনসংখ্যা শীঘ্রই ১৯৬৭ সালে ২৯,৫২২ জনে এবঙ্গিএবং ১৯৭৭ সালে ২৯,৫২২ জনে উন্নীত হয়। ক্রমবর্ধমান জঙ্গনসঙ্গিখ্যারজনসংখ্যার কথা চিন্তা করে ১৯৮৬ সালের দিকে মালের চারপাশে অগভীর হ্রদটি দখলে নেয়া হয়।
 
মালের সর্বাধিক সম্মানজনক স্থানটি হল মেধুজিয়ারেই,যা মালের ফ্রাইডে মসজিদের রাস্তা জুড়ে অবস্থিত এবঙ্গিএবং যেখানেসেখানে শায়খ আব্দুল বারাকাত ইউসুফের সমাধি অবস্থিত। ১৯৫৩ সালে তিনিই সর্বপ্রথম মালদ্বীপের অধিবাসীদের ইসলাম ধর্মের সাথে পরিচয় করিয়েছিলেন বলে ধারনাবিবেচনা করা হয়।
 
{| class="wikitable"
|+
|[[চিত্র:Malè, Medhu Ziyaaraiy, 1958.jpg|বাম|থাম্ব|মেধু জিয়ারেই,মালে ১৯৫৮ সালে]]
|[[চিত্র:Malè, Bodu Buruzu, 1960.jpg|থাম্ব|বডু বুড়ুজু,মালে,১৯৬০ সাল]]
|[[চিত্র:Friday mosque minaret Male1981.jpg|থাম্ব|মালে ফ্রাইডে মসজিদ]]
|[[চিত্র:Male Northern beachfront07.jpg|থাম্ব|মালের সমুদ্রতীরের সম্মুখভাগ ,১৯৮৪ সালে]]
'https://bn.wikipedia.org/wiki/মালে' থেকে আনীত