মালে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Md.Fahamidul Islam Dipro (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
WikiBayer (আলোচনা | অবদান)
Md.Fahamidul Islam Dipro-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Ahmed Towkir-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: প্রতিস্থাপিত পুনর্বহাল SWViewer [1.3]
১ নং লাইন:
<br />{{কাজ চলছে/২০১৯}}
 
 
 
মালে হল মালদ্বীপ প্রজাতন্ত্রের সর্বাধিক জনবহুল রাজধানী শহর। এ শহরের জনসংখ্যা ১৩৩৪১২[http://statisticsmaldives.gov.mv/nbs/wp-content/uploads/2015/12/PP9.xls] এবং আয়তন ৯.২৭ বর্গ কিলমিটার (৩.৫৮ বর্গ মাইল)। এটি পৃথিবীর অন্যতম সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। ভৌগলিকভাবে শহরটি উত্তর মালা অ্যাটল(কাফু অ্যাটল) এর দক্ষিণে অবস্থিত। প্রশাসনিকভাবে শহরটিতে একটি কেন্দ্রীয় দ্বীপ, একটি বিমানবন্দর এবং মালে সিটি কাউন্সিল পরিচালিত আরোও দুটি দ্বীপ রয়েছে।
 
ঐতিহাসিকভাবে এটি ছিল রাজা শাসিত দ্বীপ। যেখানে প্রাচীন রাজবংশ[https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_sultans_of_the_Maldives] শাসন করত আর সেখানেই প্রাসাদটি অবস্থিত। শহরটিকে তখন মহল[https://en.wikipedia.org/wiki/Mal%C3%A9#cite_note-5] বলা হত। পূর্বে এটি দূর্গ ও দরজা দ্বারা সুরক্ষিত একটি শহর ছিল.১৯৪৮ সালে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হবার পর রাষ্ট্রপতি [[ইব্রাহিম নাসির]] এর শাসনকালে শহরটিকে পুনঃনির্মাণ করা হয় এবং রাজপ্রাশাদ(গনদুয়ারা),সুরম্য দুর্গসমূহ(কোশি) এবং ঘাঁটিসমূহ(বুড়ুজ) ধ্বংস করা হয়।তবে [[মালে ফ্রাইডে মসজিদ]] রয়ে গিয়েছিল।সাম্প্রতিক সময়ে জমি ভরাট করণ অভিযান এর মাধ্যমে দ্বীপটিকে যথেষ্ট পরিমাণ বর্ধিত করা হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে মালে রাজনৈতিক প্রতিবাদ ও মাইলফলক ঘটনাবলির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
{| class="wikitable"
|+মালে
|[[চিত্র:Male-total.jpg|থাম্ব|আকাশ থেকে ধারণকৃত মালদ্বীপের রাজধানী মালে শহরের ছবি|alt=|কেন্দ্র|261x261পিক্সেল]]
|-
![[চিত্র:Male' Maldives map.svg|থাম্ব|মালে এর ম্যাপ|alt=|কেন্দ্র|245x245পিক্সেল]]
|-
!দেশঃ মালদ্বীপ
|-
|'''সরকার'''
*'''কাউন্সিল''' মালে সিটি কাউন্সিল
*'''মেয়র''' শিফা মোহাম্মাদ
|-
|'''আয়তন'''
*'''শহর''' ১.৯৫ কিমি<sup>২</sup> (0.৭৫ বর্গ মাইল)
*'''মহানগর''' ৯.২৭ কিমি<sup>২</sup> (৩.৫৮ বর্গ মাইল)
|-
|'''উচ্চতা ২.৪ মিটার (৭.৯ ফুট)'''
|-
|'''জনসংখ্যা(২০১৪)[http://statisticsmaldives.gov.mv/nbs/wp-content/uploads/2015/12/PP9.xls]'''
* '''শহরে''' ১৩৩,৪১২
* '''ঘনত্ব''' ২৩০০২/কিমি(৫৯,৫৭০/ বর্গমাইল)
|-
|
|}
<br />
== সংক্ষিপ্ত বিবরণ ==
 
ভৌগলিকভাবে মালে ক্যাফু অ্যাটেলে অবস্থিত হলেও প্রশাসনিকভাবে এটি এর অংশ হিসেবে বিবেচিত হয় না। নগরীর কেন্দ্রীয় অংশটি মালে এর কিছু দ্বীপ দ্বারা গঠিত। আরও তিনটি দ্বীপ শহরের একাংশ গঠন করে। কেন্দ্রীয় দ্বীপে একটি বাণিজ্যিক বন্দর রয়েছে যেটি দেশের সামগ্রিক বাণিজ্যিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রস্থল হিসেবে কাজ করে। কেন্দ্রীয় দ্বীপটিতে ব্যাপকভাবে নগরায়ন করা হয়েছে। অন্তনির্মিত অঞ্চলটি মূলত পুরো ভূখণ্ডই দখল করেছে। দেশের জনসংখ্যার একতৃতীয়াংশেরও কম সংখ্যক জনগণ রাজধানী শহরে বসবাস করে এবং ১৯৮৭ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা ২০,০০০ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১০০,০০০ জনে। প্রশাসনিক ও আমলাতান্ত্রিক কেন্দ্র হওয়ায় মালদ্বীপ এর বেশিরভাগ অধিবাসী ও অন্যান্য অঞ্চল এ বসবাসকারী দেশ ও বিদেশ এর অনেক কর্মীরা মাঝেমধ্যে দ্বীপটির স্বল্পমেয়াদী বাসস্থানগুলোতে থাকেন।
 
<br />
== ইতিহাস ==
পুরো দ্বীপপুঞ্জটি মালদ্বীপের রাজধানীর নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে। "মালদ্বীপ" শব্দের অর্থ হল "মালে এর দ্বীপপুঞ্জ"।
 
দ্রাবিড় জনগোষ্ঠী ছিল মালদ্বীপে সর্ববপ্রথম বসতি স্থাপনকারী জনগোষ্ঠী যারা বর্তমান ভারতীয় উপমহাদেশ ও সিংহলীয় উপকুলের পার্শ্ববর্তী তীরে এসে পৌঁছেছিল। মালদ্বীপের ভাষাগত,কথিত এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তুলনামূলক অধ্যয়ন করে জানা যায় যে লোককাহিনী ছাড়াও প্রাচীনকাল থেকেই মালে কেন্দ্রীভূত মালদ্বীপ সমাজে দ্রাবিড় জনগোষ্ঠী এর প্রভাব ছিল। গিরাভারু অঞ্চলের গিরাভারু জনগোষ্ঠীরা নিজেদের প্রথম তামিল বসতি স্থাপনকারীদের বংশধর হিসেবে দাবি করে।
 
কথিত আছে প্রথমদিকের তামিল বসতি স্থাপনকারীরা দীপপুঞ্জকে বলত "মালাইটিভু" , যার অর্থ গারল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ বা চেইন দ্বীপপুঞ্জ। আঞ্চলিক কাহিনী অনুযায়ী গিরাভারু জেলেরা টুনা মাছ ধরার পর তা কুটার জন্য তাদের দ্বীপের দক্ষিণে অবস্থিত বিশাল বালুকা সৈকতে (ফিনলহু) নিয়মিত গমন করত। প্রচুর পরিমাণে মাছের রক্ত ও বর্জ্য পানিতে ফেলার কারণে সৈকতের পানি দেখে মনে হত এক বিশাল রক্তের পুকুর (মা লে গান্দেহঃ যেখানে "মা" শব্দটি সঙ্গিস্কৃত "মহা" জার অর্থ বিশাল এবং "লে" অর্থ রক্তও)।
 
ঐতিহ্যগতভাবে মালদ্বীপে প্রথম বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে যারা গিরাভারু সম্প্রদায়ভুক্ত ছিল তাদের কোন রাজা ছিলনা। তারা একপ্রকার সহজ সরল সমাজে বাস করত যা স্থানীয় হেডম্যান দ্বারা শাসিত ছিল। যাইহোক ,একদিন উপমহাদেশের এক রাজপুত্র যার নাম ছিল কোইমালা, তিনি এক বিশাল জাহাজে করে উত্তর থেকে যাত্রা শুরু করে মালে দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছেছিলেন। গিরাভারুর অধিবাসীরা দূর থেকে তাঁর জাহাজ দেখতে পেয়ে তাঁকে স্বাগত জানায়। তারা প্রিন্স কোইমালাকে মাছের রক্ত দূষিত সেই বিশাল বালুর তীরে বসতে দিয়েছিল। সৈকতের ধারে গাছ লাগান হয়েছিলো। বলা হয়ে থাকে যে সর্বপ্রথম যে গাছটি জন্ম নেয় তা ছিল একটি পেঁপে গাছ। (যাইহোক এটি যেকোনো ভোজ্য ফলজ গাছ কে নির্দেশ করত যেমন প্রাচীন ধিভেহি শব্দ এবঙ্গি বর্তমান মহল শব্দে "ফল(ফালহোয়া)" আর পেঁপের জন্য ব্যাবহৃত শব্দটি একই ছিল। সময়ের সাথে সাথে স্থানীয় দ্বীপবাসীরা এই উত্তরের প্রিন্সের শাসন গ্রহণ করেছিলো। তখন সেখানে একটি প্রাসাদ তৈরি করা হয়েছিল এবং দ্বীপের আনুষ্ঠানিক নাম মা-লে (মালা) রাখা হয়েছিল। একইসাথে নিকটতম দ্বীপের নাম রাখা হয়েছিল "হুল হু-লে"।
 
== ভূগোল ==
'https://bn.wikipedia.org/wiki/মালে' থেকে আনীত