ডেঙ্গু জ্বর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
St.teresa (আলোচনা | অবদান)
+
St.teresa (আলোচনা | অবদান)
শোধন
১৬ নং লাইন:
'''ডেঙ্গু জ্বর''' একটি [[এডিস মশা]] বাহিত [[ডেঙ্গু ভাইরাস]] জনিত [[গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ|গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ]]। এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো দেখা দেয়। উপসর্গগুলির মাঝে রয়েছে [[জ্বর]], [[মাথাব্যথা]], বমি, [[পেশিতে যন্ত্রণা|পেশি]], [[আর্থ্রালজিয়া|গাঁটে ব্যথা]], ও [[ত্বকে র‍্যাশ]]। দুই থেকে সাত দিনের মাঝে সাধারণত ডেঙ্গু রোগী আরোগ্য লাভ করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে যা ডেঙ্গু হেমোর‍্যাজিক জ্বর নামে পরিচিত। এর ফলে [[রক্তপাত]], [[থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া|রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা]] এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ''ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম''-এ পর্যবসিত হয়, যেখানে [[শক (সার্কুলেটরী)|রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম]] থাকে।
 
ডেঙ্গু, [[প্রজাতি]] ''[[এডিস মশা|এডিস]]'' দ্বারা পরিবাহিত হয়। প্রধানত ''[[এডিস ইজিপ্টি|A. aegypti]]'' নামক মশকী (স্ত্রী মশা) এ রোগের জন্য দায়ী। ভাইরাসটির চারটি প্রকার আছে। একটি প্রকারের সংক্রমণ সাধারণতঃ জীবনভর সেই প্রকারে [[immunity (medical)|প্রতিরোধ ক্ষমতা]] দেয়, কিন্তু অন্য প্রকারগুলিতে শুধুমাত্র স্বল্পমেয়াদী প্রতিরোধ ক্ষমতা দেয়। অন্য প্রকারের পরবর্তী সংক্রমণ প্রবল জটিলতার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। যেহেতু কোন [[ভ্যাকসিন]] নেই তাই মশার সংখ্যা বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ ও মশার সংখ্যাবৃদ্ধি হ্রাস এবং মশার কামড়ের সম্ভাবনা কমানোর মাধ্যমে প্রতিরোধ প্রয়োজন।
 
অ্যাকিউট ডেঙ্গুর চিকিৎসা শায়ক প্রকৃতির, স্বল্প বা মাঝারি রোগের ক্ষেত্রে [[রিহাইড্রেশন]] ওরাল বা ইন্ট্রাভেনাস পদ্ধতিতে [[ইন্ট্রাভেনাস থেরাপি|ইন্ট্রাভেনাস ফ্লুইড]] এবং আরো প্রবল ক্ষেত্রে [[ব্লাড ট্রান্সফিউশন]]। ডেঙ্গু জ্বরের [[ঘটনা (এপিডেমিওলজি)|ঘটনা]] ১৯৬০ সালের পর থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, প্রতি বছর প্রায় ৫০-১০০ মিলিয়ন লোক এতে আক্রান্ত হয়। ১৭৭৯ সালে এর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়, এবং এর ভাইরাসঘটিত কারণ এবং সংক্রমণ বিষয়ে বিশদে জানা যায় বিংশ শতকের প্রথম ভাগে। [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ]]কালীন সময় থেকে ডেঙ্গু দুনিয়াজোড়া সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় এবং ১১০ টিরও বেশি দেশে [[endemic (epidemiology)|মহামারী]]র আকার নেয়। মশাকে বিচ্ছিন্ন করা ছাড়াও ভ্যাকসিনের ওপর কাজ চলতে থাকে আর তার সাথে ওষুধ প্রয়োগ করা হয় সরাসরি ভাইরাসের ওপর।