দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
হুমায়ুন হায়াত-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Rifat1 Kabir2-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
Rifat1 Kabir2 (আলোচনা | অবদান)
অনুবাদ
৫ নং লাইন:
 
কিন্তু দুই পক্ষ কোরিয়ায় যৌথ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে একমত হতে পারেনি। এর ফলে ১৯৪৮ সালে দুইটি পৃথক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়- কমিউনিস্টপন্থী গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া (ডিপিআরকে) এবং পশ্চিমাঘেঁষা প্রথম কোরিয়া প্রজাতন্ত্র । উভয় সরকারই নিজেদের পুরো কোরিয়ার বৈধ সরকার বলে দাবি করে। ১৯৫০ সালের ২৫ জুন কোরীয় যুদ্ধ বাঁধে। অনেক ধ্বংসযজ্ঞের পর ১৯৫৩ সালের ২৭ জুলাই যুদ্ধ শেষ হয়। যেহেতু ডিপিআরকে বা কোরিয়ান প্রজাতন্ত্রের কেউই বিভক্ত কোরিয়ার অপর অংশ জয় করতে পারেনি, ১৯৪৮ সালের স্থিতাবস্থা পুনঃপ্রবর্তিত হয়। কোরিয়া উপদ্বীপ [[কোরীয় অসামরিকীকৃত অঞ্চল]] এবং উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ায় বিভক্ত হয় ; দুই কোরিয়ায় পৃথক দুইটি স্থিতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
 
দক্ষিণ কোরিয়ার পরবর্তী ইতিহাসকে গণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের বিভিন্ন সময়কাল দ্বারা চিহ্নিত করা যায়। বেসামরিক সরকারকে প্রচলিত নিয়মে লি সূংমানের প্রথম প্রজাতন্ত্র থেকে শুরু করে সমকালীন ষষ্ঠ প্রজাতন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। প্রথম প্রজাতন্ত্র সরকার গঠনের সময় গণতান্ত্রিক থাকলেও ধীরে ধীরে স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে এবং ১৯৬০ সালে এর পতন ঘটে। দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র বেশ গণতান্ত্রিক ছিল, কিন্তু এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে সরকারের পতন ঘটে এবং এর পরিবর্তে স্বৈরাচারী সামরিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম প্রজাতন্ত্র নামমাত্র গণতান্ত্রিক ছিল,এসব সরকার সামরিক শাসনের ধারাবাহিকতাই বজায় রাখে। <ref>{{Cite web|url=http://www.systemicpeace.org/polity/rok2.htm|title=Polity IV Regime Trends: South Korea, 1948-2013|website=www.systemicpeace.org|access-date=2016-10-06}}</ref> তবে ষষ্ঠ প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশটিতে ধীরে ধীরে স্থিতিশীল ও উদার গণতন্ত্র বিকাশ লাভ করেছে।
 
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দক্ষিণ কোরিয়া শিক্ষা , অর্থনীতি এবং সংস্কৃতিতে যথেষ্ট বিকাশ লাভ করেছে । ষাটের দশক থেকে, দেশটি এশিয়ার অন্যতম দরিদ্র থেকে বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ হিসেবে গড়ে উঠেছে। বিশেষত উচ্চশিক্ষার হার নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান এবং হংকংয়ের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়াকে তাই চার উদীয়মান এশীয় পরাশক্তি বা [[চার এশীয় বাঘ]] এর অন্যতম হিসেবে অভিহিত করা হয়। <ref>{{Cite book|title=The Four Asian Tigers: Economic Development and the Global Political Economy|author= Eun Mee Kim |year=1998|location=San Diego|publisher=Academic Press|isbn=978-0-12-407440-8 }}</ref><ref>[http://www.timesofmalta.com/articles/view/20100201/business/will-the-four-asian-tigers-lead-the-way-again-in-2010 Will the four Asian tigers lead the way again in 2010], Times of Malta, 2010-02-01</ref>