পূর্ব রণাঙ্গন (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ShahranMahmood (আলোচনা | অবদান)
→‎১৯৪৩-৪৪ সালের শরৎ ও শীতকাল: সংশোধন, সম্প্রসারণ
ShahranMahmood (আলোচনা | অবদান)
→‎১৯৪৩-৪৪ সালের শরৎ ও শীতকাল: সংশোধন, সম্প্রসারণ
৪৩৫ নং লাইন:
 
১৬ই ফেব্রুয়ারিতে এই পরিকল্পনার প্রথম ভাগ সফলভাবে সম্পন্ন করা যায়, ক্রমে সংকুচিত চেরকাসি ঘাঁটি থেকে প্যানজার বাহিনীকে নিলয়-টিকিচ নদীপথে বের করে নিয়ে আসা হয়। সোভিয়েতদের গোলাবর্ষণ ও সোভিয়েত ট্যাংক বাহিনীর ধাওয়ার মুখে অবরোধকৃত জার্মান সৈন্যরা যুদ্ধ করতে করতে নদী পার হয়ে আসে, যদিও তাদের অর্ধেক সৈন্যই হতাহত হয় এবং তাদের অস্ত্র-সরঞ্জামের অধিকাংশই ঘাঁটিতে ফেলে আসতে হয়। পলায়নরত জার্মান বাহিনীর মধ্যে অন্যতম ছিল ৫ম এস.এস. প্যানজার ডিভিশন- "ভাইকিং"। তখন বসন্ত এসে পড়ায়, তারা ধারণা করেছিল লাল ফৌজ এরপর তাদেরকে আর আক্রমণ করতে যাবে না। কিন্তু ৩ মার্চ সোভিয়েত ইউক্রেনীয় সেনাবিভাগ পুনরায় আক্রমণ চালায়। মার্শাল ম্যালিনভস্কির নেতৃত্বাধীন সোভিয়েত বাহিনী সংকীর্ণ পেরেকপ ভূখণ্ড দখল করে ক্রিমিয়াকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং প্রুট নদীতে না থেমে তারা কাদাপূর্ণ সীমান্তভূমি পেরিয়ে রোমানিয়ায় অনুপ্রবেশ করে।
 
[[File:Eastern Front 1943-08 to 1944-12.png|thumb|১ আগস্ট, ১৯৪৩ থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৪৪ পর্যন্ত সোভিয়েত বাহিনীর অগ্রযাত্রা: {{legend|#fff8d5|ডিসেম্বর, ১৯৪৩ পর্যন্ত}} {{legend|#ffd2b9|৩০ এপ্রিল, ১৯৪৪ পর্যন্ত}} {{legend|#ebd7ff|১৯ আগস্ট, ১৯৪৪ পর্যন্ত}} {{legend|#ccffcd|৩১ ডিসেম্বর, ১৯৪৪ পর্যন্ত}}]]
১৯৪৩-৪৪ মৌসুমের অভিযানের সমাপ্তি হয় শেষ একটি যাত্রার মাধ্যমে, যা ছিল ৫০০ মাইলব্যপী সোভিয়েত বাহিনীর যাত্রার শেষ পর্যায়। মার্চে কামেনেট্‌স-পোডোলস্কি নগরীর কাছে জার্মান জেনারেল হান্স-ভালেটিন হুবের নেতৃত্বাধীন ১ম প্যানজার বাহিনীর ২০ডিভিশন সৈন্য অবরোধের সম্মুখীন হয়, যা "হুব অবরোধ" নামে পরিচিত। দুই সপ্তাহ ব্যপী তুমুল যুদ্ধের পর, ১ম প্যানজার বাহিনী এই অবরোধ ভেঙে মুক্ত হতে সক্ষম হয়, তবে এ যুদ্ধে তাদের প্রায় সকল ভারি যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম খোয়া যায়। এই পর্যায়ে হিটলার জেনারেল ম্যানস্টাইনসহ তাঁর কয়েকজন স্বনামধন্য জেনারেলকে পদচ্যুত করেন। এপ্রিলে লাল ফৌজ ওডেসা নগরী দখল করে নেয়, এর পর ৪র্থ ইউক্রেনীয় সেনাবিভাগ ক্রিমিয়া অধিকার করার অভিযান চালায়, যা তারা সফলভাবে সম্পন্ন করে মে মাসের ১০ তারিখে বন্দরনগরী সেভাস্টপুল দখলের মাধ্যমে।
 
জার্মান "কেন্দ্রীয় যুগ্ম বাহিনী" (Army Group Centre) ১৯৪৩ সালের আগস্ট মাসে হেগেন রেখা থেকে ধীরে ধীরে পিছু হটতে থাকে, তারা অপেক্ষাকৃত কম অঞ্চলেরই দখল হারায়। কিন্তু ব্রিয়ানস্ক নগরী এবং ততোধিক গুরুত্বপূর্ণ স্মোলেনস্ক নগরী হাতছাড়া হওয়াতে ২৫ সেপ্টেম্বর "ওয়েরমাক্‌ট" তাদের অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা স্থাপনাসমূহ হারায়। তাদের ৪র্থ ও ৯ম সেনাবাহিনী ও ৩য় প্যানজার বাহিনী তখনও নীপার নদীর উত্তর ভাগের দখল বজায় রেখেছিল। এবং সোভিয়েত বাহিনীকে তারা ভিটেভস্ক নগরী পর্যন্ত পৌঁছাতে দেয় নি। জার্মান "উত্তর যুগ্ম বাহিনী" এতদিন উল্লেখযোগ্য কোন যুদ্ধের সম্মুখীন হয়নি, তবে ১৯৪৪ সালের জানুয়ারি মাসে হঠাৎ করেই তারা সোভিয়েতদের ভোলকোভ সেনাবিভাগ ও বাল্টিক সেনাবিভাগের অতর্কিত আক্রমণের সম্মুখীন হয়।<ref name="glantz"/>
 
সোভিয়েতদের ঝটিকা অভিযানে জার্মানরা সুদূর লেনিনগ্রাড থেকে বিতাড়িত হয় এবং নভ্‌গরড অঞ্চল সোভিয়েত বাহিনীর দখলে চলে আসে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ৭৫ মাইল এলাকা অগ্রসর হবার পর লেনিনগ্রাড সেনাবিভাগ এস্তোনিয়া সীমান্তে পৌঁছে যায়। স্টালিনের মনে করেন, পূর্ব প্রুশিয়ার জার্মান ভূমিতে যুদ্ধ অভিযান চালাবার জন্যে এবং ফিনল্যান্ড দখল করার জন্যে বাল্টিক সাগরপথেই সর্বাপেক্ষা দ্রুত যাতায়াত করা যাবে।<ref name="glantz">{{cite book|last=Glantz|first=David M.|authorlink=David Glantz|title=The Battle for Leningrad: 1941–1944|url=https://books.google.com/books?id=4uRmAAAAMAAJ&pg=PP1|year=2002|publisher=University Press of Kansas|isbn=978-0-7006-1208-6}}</ref> তবে, ১৯৪৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাল্টিক সাগরের উপকূলবর্তী এস্তোনিয়ার রাজধানী টালিন নগরীর যুদ্ধে লেনিনগ্রাড সেনাবিভাগের আক্রমণ থামিয়ে দেয়া হয়। জার্মান সৈন্যবিভাগ "নারওয়া"তে অন্তর্ভুক্ত ছিল এস্তোনিয়ান সেনারা, যারা তাদের রাষ্ট্র এস্তোনিয়ার স্বাধীনতা বজায় রাখার যুদ্ধে অংশ নেয়।<ref>{{cite book|title=The Bulletin of International News|url=https://books.google.com/books?id=V4siAAAAMAAJ&pg=PA825|year=1944|publisher=Royal Institute of International Affairs. Information Department.|page=825|chapter=Estonia}}</ref><ref name="vm">{{cite web|title=The Otto Tief government and the fall of Tallinn|publisher=Estonian Ministry of Foreign Affairs|date=22 September 2006|url=http://www.tbilisi.vm.ee/estonia/history/aid-503}}</ref>
 
==তথ্যসূত্র==