পূর্ব রণাঙ্গন (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ShahranMahmood (আলোচনা | অবদান)
ShahranMahmood (আলোচনা | অবদান)
→‎যুদ্ধ পরিচালনার পর্যায়সমূহ: সংশোধন, সম্প্রসারণ
৪১৮ নং লাইন:
 
কুর্স্ক আক্রমণ ছিল ১৯৪০ ও ১৯৪২ সালে জার্মান বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত আক্রমণসমূহের শেষটি। এর পরবর্তীতে জার্মানরা যেসমস্ত আক্রমণ চালায় তা তাদের পূর্বের তুমুল শক্তিশালী আক্রমণসমূহের ছায়ামাত্র।
 
===১৯৪৩-৪৪ সালের শরৎ ও শীতকাল===
[[File:BM 13 TBiU 7.jpg|thumb|upright|"কাটিয়ুশা", সোভিয়েতদের একটি উল্লেখযোগ্য রকেট লঞ্চার।]]
ওরেল ঘাঁটি আক্রমণের মাধ্যমে আরম্ভ হয় সোভিয়েতদের গ্রীষ্মকালীন অভিযান, যা কয়েকটি পর্যায়ে বিভক্ত ছিল। অপেক্ষাকৃত উন্নত যুদ্ধ-সরঞ্জামে সজ্জিত "গ্রসডইচল্যান্ড ডিভিশন"কে বেলগোরোড থেকে কারাচেভ নগরীর দিকে গতিপথ পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় এবং এর কৌশলগত ক্ষতি তারা সামাল দিতে পারে নি। এর ফলে জার্মান সেনাবাহিনী ওরেল ঘাঁটি ছেড়ে পিছু হটতে থাকে, ১৯৪৩ সালের ৫ আগস্ট লাল ফৌজ ওরেল ঘাঁটির কর্তৃত্ব নিয়ে নেয়। জার্মান বাহিনী ব্রিয়ানস্ক নগরীর সম্মুখে হেগেন রেখার পর্যন্ত তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়। দক্ষিণে লাল ফৌজ "জার্মান দক্ষিণ বাহিনীর" বেলগোরোড অবস্থান আক্রমণ করে তাদের প্রতিরোধ ভেঙে দিতে সক্ষম হয় এবং খার্কোভ নগরী অভিমুখে পুনরায় যাত্রা শুরু করে। যদিও জুলাই মাসজুড়ে তুমুল ট্যাংক লড়াইয়ে জার্মান টাইগার-১ ট্যাংক বাহিনী সোভিয়েত ট্যাংক আক্রমণসমূহকে থামিয়ে দিতে সক্ষম হয়, কিন্তু পেসেল ঘাঁটি থেকে আগত সোভিয়েত বাহিনীও আক্রমণ শুরু করলে জার্মানরা তাদের উভয়পাশ থেকে আক্রমণের শিকার হয়। অবশেষে ২২ আগস্ট জার্মান বাহিনী খার্কোভ নগরী শেষবারের মত ত্যাগ করে পিছু হটে যায়।
 
মিউস নদীর তীরে অবস্থিত জার্মান বাহিনী, যাতে ছিল ১ম প্যানজার বাহিনী ও পুনর্গঠিত ৬ষ্ঠ সেনাবাহিনী, নিজেদের অবস্থানে সোভিয়েত আক্রমণ ঠেকানোর মত শক্তি তাদের ছিল না। লাল ফৌজ তাদের উপর হামলা চালালে তারা পিছু হটে ডনবাস শিল্প অঞ্চল হয়ে নীপার নদী পর্যন্ত চলে যায়, এতে তারা অধিকৃত কৃষিভূমির অর্ধেকের কর্তৃত্বই হারায়, যে কারণে তারা সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করেছিল। এ পর্যায়ে হিটলার নীপার নদী পর্যন্ত সেনা প্রত্যাহার করে নিতে রাজি হন, যেখানে "ওস্টওয়াল" নির্মানের পরিকল্পনা ছিল, যা ছিল জার্মান-ফরাসি সীমান্তে নির্মিত "সিগফ্রেড লাইন" বা "ওয়েস্ট-ওয়াল"-এর অনুরূপ সারিবদ্ধ দূর্গ ও অপরাপর প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
 
==তথ্যসূত্র==