বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
St.teresa (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
St.teresa (আলোচনা | অবদান)
+চিত্র+তথ্য
১২ নং লাইন:
|date_commenced = ৮ মার্চ ১৯৮৭
}}
'''বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭''' গণপ্রজাতন্ত্রী [[বাংলাদেশের সংবিধান|বাংলাদেশের সংবিধানের]] ৩নং অনুচ্ছেদের বিধানকে পূর্ণরূপে কার্যকর করবার উদ্দেশ্যে ১৯৮৭ সালে প্রণীত আইন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.banglanews24.com/opinion/news/bd/725353.details|শিরোনাম=বাংলাদেশে দ্বিতীয় দাপ্তরিক ভাষার দাবি কতটা যৌক্তিক?|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=banglanews24.com|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190703164607/https://www.banglanews24.com/opinion/news/bd/725353.details|আর্কাইভের-তারিখ=2019-07-03|সংগ্রহের-তারিখ=2019-07-20}}</ref><ref name=":10">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bdlaws.minlaw.gov.bd/bangla_pdf_part.php?id=705|শিরোনাম=বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)|আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=2019-04-22}}</ref><ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bd-pratidin.com/editorial/2018/02/23/308886|শিরোনাম=বাংলা ভাষা প্রচলন আইন|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=বাংলাদেশ প্রতিদিন|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20180702143459/http://www.bd-pratidin.com/editorial/2018/02/23/308886|আর্কাইভের-তারিখ=২০১৮-০৬-০২|অকার্যকর-ইউআরএল=না|সংগ্রহের-তারিখ=2019-04-22}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.dailysangram.com/?post=364866-আইন-আদালতে-বাংলা-ভাষা-প্রচলনের-সকল-প্রতিবন্ধকতা-দূরীকরণ-প্রসঙ্গ|শিরোনাম=আইন-আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের সকল প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ প্রসঙ্গ|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=দৈনিক সংগ্রাম|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190422101946/http://www.dailysangram.com/post/364866-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%95%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97|আর্কাইভের-তারিখ=2019-04-22|সংগ্রহের-তারিখ=2019-04-22}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/home/article/152434/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87|শিরোনাম=আইন আছে, প্রয়োগ নেই|ওয়েবসাইট=প্রথম আলো|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2019-04-22}}</ref><ref name=":1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.jugantor.com/todays-paper/window/21709//print|শিরোনাম=সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষা বাস্তবায়নে কেন এ বিলম্ব?|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=যুগান্তর|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=2019-04-22}}</ref> আইনটি ১৯৮৭ সালের ২ং আইন। এই আইন প্রণয়নের পর থেকে [[জাতীয় সংসদ|জাতীয় সংসদের]] সকল আইন [[বাংলা ভাষা|বাংলা ভাষায়]] প্রণীত হচ্ছে। এই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশের সর্বত্র তথা সরকারী অফিস, আদালত, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নথি ও চিঠিপত্র, আইন-আদালতের সওয়াল জবাব ও অন্যান্য আইনানুগ কার্যাবলী অবশ্যই বাংলায় লিখতে হবে এবং যদি কোন ব্যক্তি বাংলাভাষা ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় আবেদন বা আপীল করেন তা হলে সে আবেদন বেআইনী ও অকার্যকর বলে গণ্য হবে।<ref name=":10" />
 
বাংলাদেশের আপামর সকল জনগণকে তাদের নিজেদের ভাষায় সকল রাষ্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা দিয়ে জনগণের ক্ষমতায়নের পথে [[উপনিবেশক মানসিকতা|ঔপনিবেশিক ভাষিক বাধা]] দূরীভূতকরণে আইনটির গুরুত্ব অপরিসীম। তবে দেশে সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে ১৯৮৭ সালের ৮ মার্চ ‘বাংলা ভাষা প্রচলন আইন’ করা হলেও সুপ্রীম কোর্টে আইনটি বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে সমালোচনা রয়েছে।<ref name=":0" /><ref name=":1" /><ref name=":2">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.bhorerkagoj.com/print-edition/2015/02/21/20042.php|শিরোনাম=সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষা ব্যবহার : হাইকোর্টের নির্দেশনা সত্ত্বেও বাস্তবায়ন হয়নি|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=ভোরের কাগজ|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=2019-04-22}}</ref><ref name=":3">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/8009|শিরোনাম=আদালতে বাংলা ভাষা: যুক্তি-তক্কো-গপ্পো|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=2013-02-04|ওয়েবসাইট=বিডিনিউজ২৪ডটকম|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=2019-04-22}}</ref><ref name=":4">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.dailyinqilab.com/article/187952/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87|শিরোনাম=বাংলা ভাষা প্রচলন আইন বাস্তবায়ন করতে হবে|তারিখ=|ওয়েবসাইট=দৈনিক ইনকিলাব|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=2019-04-22}}</ref><ref name=":5">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive1.ittefaq.com.bd/print-edition/pathok-ovimot/2015/03/28/40037.html|শিরোনাম=উচ্চ আদালতে বাংলা ভাষা|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=দৈনিক ইত্তেফাক|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=2019-04-22}}</ref> প্রতি বছর [[বাংলা ভাষা আন্দোলন|ফেব্রুয়ারি মাসে]] আইনটি নিয়ে সভাসেমিনারে আলোচনা ও পত্রপত্রিকায় সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়।
 
== পটভূমি ==
[[চিত্র:Silver coin of Danujamarddana.jpg|বাম|থাম্ব|১৩৩৯ শকাব্দে বাংলা ভাষায় মুদ্রিত রৌপ্য মুদ্রা]]
বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী সাহিত্যের ভাষা বাংলা। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র। বাংলাদেশের ৯৮.৯% মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। বাংলা ভাষা বিকাশের ইতিহাস ১৩০০ বছরের অধিক পুরনো। গত সহস্রাব্দির সূচনালগ্নে [[পাল সাম্রাজ্য|পাল]] এবং [[সেন রাজবংশ|সেন সাম্রাজ্যের]] প্রধান ভাষা ছিল বাংলা। সুলতানি আমলে অত্র অঞ্চলের অন্যতম রাজভাষা ছিল বাংলা। মুসলিম সুলতানদের পৃষ্ঠপোষকতায় গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম রচিত হয়েছিল বাংলা ভাষায়। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতাবিরোধী [[বাংলার নবজাগরণ|বাংলার নবজাগরণে]] ও [[বাংলার সংস্কৃতি|বাংলার সাংস্কৃতিক বিবিধতাকে]] এক সূত্রে গ্রন্থনেগ্রন্থনেও বাংলা ভাষা ও [[বাংলা সাহিত্য|সাহিত্য]] সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত [[বাংলা ভাষা আন্দোলন|বাংলা ভাষা আন্দোলনকে]] কেন্দ্র করে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ হলে পশ্চিম পাকিস্তানের বিবিধ রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ও [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|সশস্ত্র সংগ্রামের]] মধ্য দিয়ে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশ নামক স্বাধীন ও সার্বভৌম [[জাতিরাষ্ট্র]] হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২১শে ফেব্রুয়ারি, [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে]] প্রতিবাদী ছাত্র ও আন্দোলনকারীরা সংখ্যাগরিষ্ঠের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষাকরণের দাবীতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষাকরণের দাবিতে ক্রমবর্ধমান গণআন্দোলনের মুখে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় এবং ১৯৫৪ সালের ৭ই মে পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গৃহীত হয়। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের [[১৯৫৬'র পাকিস্তানের সংবিধান|প্রথম সংবিধান]] প্রণীত হলে ২১৪ নং অনুচ্ছেদে বাংলা ও উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উল্লিখিত হয়।
[[চিত্র:Shaheed Minar.JPG|থাম্ব|261x261px|রাষ্ট্রভাষাকরণের দাবীতে জীবন উৎসর্গকারীদের স্মৃতিকে ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছে [[ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ|ঢাকা মেডিকেল কলেজের]] পাশে নির্মিত [[কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার]]।]]
বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী সাহিত্যের ভাষা বাংলা। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র। বাংলাদেশের ৯৮.৯% মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। বাংলা ভাষা বিকাশের ইতিহাস ১৩০০ বছরের অধিক পুরনো। [[বাংলার নবজাগরণ|বাংলার নবজাগরণে]] ও [[বাংলার সংস্কৃতি|বাংলার সাংস্কৃতিক বিবিধতাকে]] এক সূত্রে গ্রন্থনে বাংলা ভাষা ও [[বাংলা সাহিত্য|সাহিত্য]] সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত [[বাংলা ভাষা আন্দোলন|বাংলা ভাষা আন্দোলনকে]] কেন্দ্র করে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ হলে পশ্চিম পাকিস্তানের বিবিধ রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ও [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|সশস্ত্র সংগ্রামের]] মধ্য দিয়ে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশ নামক স্বাধীন ও সার্বভৌম [[জাতিরাষ্ট্র]] হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২১শে ফেব্রুয়ারি, [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে]] প্রতিবাদী ছাত্র ও আন্দোলনকারীরা সংখ্যাগরিষ্ঠের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষাকরণের দাবীতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষাকরণের দাবিতে ক্রমবর্ধমান গণআন্দোলনের মুখে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় এবং ১৯৫৪ সালের ৭ই মে পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গৃহীত হয়। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের [[১৯৫৬'র পাকিস্তানের সংবিধান|প্রথম সংবিধান]] প্রণীত হলে ২১৪ নং অনুচ্ছেদে বাংলা ও উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উল্লিখিত হয়।
 
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা প্রবর্তিত হয়। ১৯৭৫ সালের ১২ মার্চ রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন শেষ মুজিবুর রহমান সরকারি অফিস-আদালতের দাপ্তরিক কাজে বাংলা ভাষা প্রচলনে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করেন।<ref name=":22">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.dainikamadershomoy.com/post/184185|শিরোনাম=ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[দৈনিক আমাদের সময়]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190508133001/http://www.dainikamadershomoy.com/post/184185|আর্কাইভের-তারিখ=2019-05-08|সংগ্রহের-তারিখ=2019-05-18}}</ref> রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক জারিকৃত এক আদেশে বলা হয়, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। বাংলা আমাদের জাতীয় ভাষা। তবুও অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, স্বাধীনতার তিন বছর পরও অধিকাংশ অফিস আদালতে মাতৃভাষার পরিবর্তে বিজাতীয় ইংরেজি ভাষায় নথিপত্র লেখা হচ্ছে। মাতৃভাষার প্রতি যার ভালোবাসা নেই, দেশের প্রতি যে তার ভালোবাসা আছে এ কথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।’<ref name=":22" /> সর্বস্তরে বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৭ সালে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন জারি করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bdlaws.minlaw.gov.bd/bangla_pdf_part.php?id=705|শিরোনাম=বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)|আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=2019-04-22}}</ref>