পাটনা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
১টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta15)
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
১টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta15)
১৬১ নং লাইন:
১০শ [[শিখ গুরু]] [[গুরু গোবিন্দ সিং|গোবিন্দ সিং]] (২২ ডিসেম্বর, ১৬৬৬ – ৭ অক্টোবর, ১৭০৮) পাটনায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল গোবিন্দ রাই। তাঁর পিতা ছিলেন ৯ম শিখ গুরু [[গুরু তেগ বাহাদুর|তেগ বাহাদুর]] ও মা ছিলেন [[মাতা গুজরি|গুজরি]]। তাঁর জন্মস্থান [[পাটনা সাহিব]] শিখদের পবিত্রতম তীর্থস্থানগুলির অন্যতম।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল=http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2001-12-30/patna/27246437_1_patna-saheb-guru-gobind-tenth-guru | কর্ম=The Times Of India | শিরোনাম=Gurdwara gears up for Guru's jayanti | তারিখ=30 December 2001}}</ref>
 
[[মুঘল যুগ|মুঘল]] শাসনকালে [[দিল্লি]] থেকেই শাসনকার্য চালানো হত।<ref name="hoparoundindia1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.hoparoundindia.com/bihar/history-of-patna.aspx |শিরোনাম=History of Patna City Bihar Origin-Background-Significance |প্রকাশক=Hoparoundindia.com |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=2013-12-04 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131105045429/http://www.hoparoundindia.com/bihar/history-of-patna.aspx |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৩-১১-০৫ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> মধ্যযুগে [[পাঠান]] সম্রাট [[শের শাহ সুরি|শের শাহ সুরির]] রাজত্বকালে পাটনার উন্নতি ঘটে। ১৬শ শতাব্দীর মধ্যভাগে তিনি পাটনার হৃতগৌরব পুনরুদ্ধার করেছিলেন। তিনি একটি দুর্গ নির্মাণ করেন এবং গঙ্গাতীরে একটি শহর প্রতিষ্ঠা করেন। পাটনায় শের শাহের দুর্গটি আর নেই। তবে শের শাহ সুরি মসজিদটি আছে। এই মসজিদটি আফগান স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত। ১৫৭৪ সালে মুঘল সম্রাট আকবর পাটনায় আসেন বিদ্রোহী আফগান নেতা দাউদ খানকে দমন করতে। আকবরের রাজসভার সভা-ইতিহাসকার তথা "[[আইন-ই-আকবরি]]" গ্রন্থের রচয়িতা [[আবুল-ফজল ইবন মুবারক|আবুল ফজল]] পাটনা শহরটিকে কাগজ, পাথর ও কাচ শিল্পের একটি বর্ধিষ্ণু কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি পাটনায় উৎপন্ন এক বিশেষ ধরনের চালের উচ্চ মানের কথাও উল্লেখ করেছেন। এই চালটি ইউরোপে [[পাটনা চাল]] নামে পরিচিত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://books.google.co.in/books?id=4hgtAQAAMAAJ&pg=PA985&lpg=PA985&dq=Patna+rice+in+Europe&source=bl&ots=I3d7sDaylK&sig=Df3Wc9XcnKtWY4mItd84fPRLb0g&hl=en&sa=X&ei=FHyfUqd5iZGsB-zPgKAO&ved=0CI0BEOgBMAk#v=onepage&q=Patna%20rice%20in%20Europe&f=false |শিরোনাম=A Dictionary, Practical, Theoretical, and Historical, of Commerce and ... - John Ramsay McCulloch&nbsp;— Google Books |প্রকাশক=Books.google.co.in |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=2013-12-04}}</ref>
 
১৬২০ সাল নাগাদ পাটনা ‘বাংলার বৃহত্তম বাণিজ্যশহর’ হিসেবে পরিচিত হয়।<ref name="Attractions, history of Patna"/><ref name="google1">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://books.google.co.in/books?id=wUeqQ2buQ80C&pg=PA15&lpg=PA15&dq=By+1620,+the+city+of+Patna+was&source=bl&ots=C4qQ-Y_91k&sig=z2bUvnX1agWoEvKYHtkE62wqTBg&hl=en&sa=X&ei=i3qfUrSRB8qFrQfB_IEo&ved=0CFYQ6AEwBQ#v=onepage&q=By%201620%2C%20the%20city%20of%20Patna%20was&f=false |শিরোনাম=Merchants, Politics, and Society in Early Modern India: Bihar, 1733-1820 - Kumkum Chatterjee&nbsp;— Google Books |প্রকাশক=Books.google.co.in |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=2013-12-05}}</ref> সমগ্র উত্তর ভারতে পাটনার পরিচয় হয় ‘বাংলার বৃহত্তম শহর ও সবচেয়ে বিখ্যাত বাণিজ্যকেন্দ্র।’<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=O'Malley |প্রথমাংশ১=L. S. S. |সম্পাদক১-শেষাংশ=James |সম্পাদক১-প্রথমাংশ=J. F. W. |শিরোনাম=History of Magadha |প্রকাশক=Veena Publication |অবস্থান=Delhi |বছর=2005 |পাতা=36 |আইএসবিএন=978-81-89224-01-1 |ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=18ULAwAACAAJ |সংগ্রহের-তারিখ=24 February 2011}}</ref> কলকাতা প্রতিষ্ঠার আগে পর্যন্ত পাটনা এই মর্যাদা ধরে রেখেছিল। মুঘল সম্রাট [[আওরঙ্গজেব]] তাঁর প্রিয় নাতি মুহাম্মদ আজিমের অনুরোধে এই শহরের নাম পরিবর্তন করে রাখেন [[আজিমাবাদ]]। ১৭০৪ সালে আজিম পাটনায় [[সুবেদার]] হিসেবে প্রেরিত হন। পাটনা বা আজিমাবাদে কিছু হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছিল। ফিলিপ ম্যাসন তাঁর "দ্য ম্যান হু রুলড ইন্ডিয়া" গ্রন্থে এই ধরনের কিছু ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। “আওরঙ্গজেব অ-মুসলমানেদের উপর জিজিয়া কর পুনঃস্থাপিত করেছিলেন। এই কর দেওয়া ছিল বাধ্যতামূলক। পাটনায় কুটির প্রধান পিকক এই কর দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে বন্দী করা হয় এবং খালি মাথায় ও খালি পায়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে বাধ্য করা হয়। নানা ভাবে অসম্মান করার পর তাঁর থেকে কর আদায় করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।” যদিও এই সময় নাম ছাড়া পাটনার পরিবর্তন সামান্যই হয়েছিল। মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পর পাটনার কর্তৃত্ব [[বাংলার নবাব|বাংলার নবাবদের]] হাতে চলে যায়। তাঁরা এই শহরের উপর করভার বৃদ্ধি করেছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাটনার বাণিজ্যিক গুরুত্ব কিছুমাত্র হ্রাস পায়নি। ১৮১১-১২ নাগাদ পাটনার নদী তীরে [[তেকারি রাজ|তেকারি রাজের]] প্রাসাদ থেকে পাটনা নিয়ন্ত্রিত হত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি