উষ্ণ বায়ু বেলুন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Rizvee34 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Rizvee34 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৪৩ নং লাইন:
 
=== উত্তোলন সৃষ্টি করা ===
[[চিত্র:Infarot 9.jpg|থাম্ব|তাপীয় ছবিতে একটি বেলুনের ভেতর বিভিন্ন অংশে তাপমাত্রা বিন্যাস এবং ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে]]
থলের ভেতরের বাতাসকে গরম করা হলে বাইরের বাতাসের থেকে এর ঘনত্ব কমে যায়। বেলুনটি বাতাসে ভেসে থাকে এর উপর প্রয়োগকৃত প্লবতা বলের জন্য। আর্কিমিডিসের নীতি অনুযায়ী এই বল এবং পানিতে ভেসে থাকা একটি বস্তুর উপর প্রযুক্ত বল একই রকমের বল। উষ্ণ বায়ু বেলুনের উত্তোলনের পরিমাণ প্রধানত নির্ভর করে থলের বাতাস এবং বাইরের বাতাসের তাপমাত্রার পার্থক্যের উপর। নাইলন দিয়ে তৈরী অধিকাংশ থলেতে সর্বোচ্চ ১২০° সে. পর্যন্ত তাপমাত্রা তোলা যায়। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://rgl.faa.gov/Regulatory_and_Guidance_Library/rgMakeModel.nsf/0/d7a71e4def72db7e862573e900555227/$FILE/A33CE.pdf|শিরোনাম="Department of Transportation, Federal Aviation Administration, Type certificate data sheet no. A33CE"|তারিখ=২০০৮|ওয়েবসাইট=Department of Transportation, Federal Aviation Administration|আর্কাইভের-ইউআরএল=http://rgl.faa.gov/Regulatory_and_Guidance_Library/rgMakeModel.nsf/0/d7a71e4def72db7e862573e900555227/$FILE/A33CE.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=জুলাই ১৭, ২০১৯|সংগ্রহের-তারিখ=জুলাই ১৭, ২০১৯}}</ref>
 
নাইলনের গলনাঙ্ক(২৩০° সে. ) এই তাপমাত্রা থেকে অনেক বেশী, কিন্তু উচ্চ তাপমাত্রা নাইলনের সুতার দৃড়তা সময়ের সাথে কমিয়ে দেয়। ১২০° সে. কার্যকরী তাপমাত্রায় একটি থলের কাপড়ে বেলুন সাধারণত ৪০০ থেকে ৫০০ ঘন্টা উড়তে পারে। এর পর কাপড় প্রতিস্থাপন করতে হয়। অনেক বেলুন চালক তাদের থলে এর থেকে কম তাপমাত্রায় চালনা করেন যাতে বেলুনের সুতার স্থায়িত্ব বাড়ে।
 
বিভিন্ন তাপমাত্রায় ১০০,০০০ ঘনফুট শুষ্ক বাতাসের দাড়া উত্তোলনের পরিমাণ নিচের উপায়ে হিসাব করা হয়ঃ
{| class="wikitable"
|+
!বাতাসের তাপমাত্রা
ফারেনহাইট(সেলসিয়াস)
!বাতাসের ঘনত্ব
কিলোগ্রাম/ঘনমিটার
!বাতাসের ভর
পাউন্ড(কিলোগ্রাম)
!উত্তোলনের পরিমাণ
পাউন্ড(কিলোগ্রাম)
|-
|৬৮° , (২০°)
|১.২০৪১
|৭৫১৭(৩৪০৯.৭)
|০(০)
|-
|২১০°,(৯৯°)
|০.৯৪৮৬
|৫৯২২(২৬৮৬.২)
|১৫৯৫(৭২৩.৫)
|-
|২৫০°(১২০°)
|০.৮৯৭৮
|৫৬০৬(২৫৪২.৪)
|১৯১২(৮৬৭.৩)
|}
২০° সে তাপমাত্রায় বাতাসের ঘনত্ব প্রায় ১.২ কিলোগ্রাম/ঘনমিটার। ৯৯° সেলসিয়াসে থাকা ১০০,০০০ ঘনফুট আয়তনের বেলুনের সর্বমোট উত্তোলন হবে ১৫৯৫ পাউন্ড। এটা পুরো ব্যবস্থার জন্য প্লবতা বল সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট। উড্ডয়ন হারের উপর নির্ভর করে প্রাথমিক উড্ডয়নের জন্য যদিও একটু উচ্চতর তাপমাত্রার প্রয়োজন হবে।
 
বায়ুমন্ডলের স্বাভাবিক তাপমাত্রার জন্য(২০° সে.) ১ কিলোগ্রাম বস্তু উত্তোলন করার জন্য ৯৯° সে পর্যন্ত গরম করা বেলুনের সাধারণত ৩.৯১ ঘনমিটার বাতাস লাগে। এই নির্দিষ্ট উত্তোলন কেবল ভেতরের তাপমাত্রার উপরেই নির্ভর করেনা, বরং বাইরের তাপমাত্রা, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা এবং চারপাশের বাতাসের আর্দ্রতার উপরেও নির্ভর করে। একটি তুলনামূলক গরম দিনে একটি বেলুন ঠান্ডা দিনের তুলনায় কম উচ্চতায় ওড়ে। কারণ প্রয়োজনীয় তাপমাত্রার পার্থক্য অর্জন করতে চাইলে কাপড়ের সহনীয় তাপমাত্রা অতিক্রম হয়ে যাবে। তাছাড়া বায়ুমন্ডলের নিম্নাংশে প্রতি ১০০০ মিটারে বেলুনের উত্তোলনের ক্ষমতা ৩% করে কমে। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.overflite.com/thermo.html|শিরোনাম="How to Calculate the Weight of Air and Model Hot Air Balloon Lift"|তারিখ=২০০৮|আর্কাইভের-ইউআরএল=http://www.overflite.com/thermo.html|আর্কাইভের-তারিখ=জুলাই ১৭, ২০১৯|সংগ্রহের-তারিখ=জুলাই ১৭, ২০১৯}}</ref>
 
==== মন্টগলফিয়ার ====
সাধারণ উষ্ণ বায়ু বেলুনগুলো সাধারণত মন্টগলফিয়ার বেলুন হিসেবে পরিচিত এবং এরা একমাত্র গরম বাতাসের দেয়া প্লবতা বলের উপর নির্ভর করে। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080624220609/http://marstech.jpl.nasa.gov/publications/Jones_MontgolfiereBalloons_Inte.pdf|শিরোনাম="NASA: Montgolfiere balloon missions for Mars and Titan"|তারিখ=২০০৮|ওয়েবসাইট=the original|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080624220609/http://marstech.jpl.nasa.gov/publications/Jones_MontgolfiereBalloons_Inte.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=জুলাই ১৭, ২০১৯|সংগ্রহের-তারিখ=জুলাই ১৭, ২০১৯}}</ref> এই বেলুনের নকশা তৈরী করেছিলেন মন্টগলফিয়ার ভাতৃদ্বয় এবং প্রথম জনসম্মুখে প্রদর্শন করেছিলেন ১৭৮৩ সালের ৪ জুন। এটি ১০ মিনিটের একটি মানববিহীন যাত্রা ছিল, যা বছর শেষে মানব বহন করে আবার উড়াল দেয়। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Scientific American Inventions and Discoveries|শেষাংশ=Rodney P. Carlisle , John Wiley and Sons|প্রথমাংশ=|বছর=২০০৪|প্রকাশক=Scientific American|অবস্থান=আমেরিকা|পাতাসমূহ=p 177|আইএসবিএন=0-471-24410-4}}</ref>
 
==== হাইব্রিড বা সংকর ====