ঔষধবিজ্ঞান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
{{Unreferenced|date=এপ্রিল ২০১৪}}
'''ঔষধবিজ্ঞান''' জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি বিশেষ শাখা যার মূল আলোচ্য বিষয় হল দেহের উপর [[ঔষধ|ঔষধের]] ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া। বিস্তারিতভাবে বললে বলা যায় ঔধধবিজ্ঞান হল বহিরাগত রাসায়নিক পদার্থের সাথে দেহের ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া যেকীভাবে স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক প্রাণরাসায়নিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে, তার বিজ্ঞান।গবেষণা। [[ঔষধ]] বিষয়ক সকল জ্ঞান এর আলোচ্য বিষয়, বিশেষত যেসব রাসায়নিক পদার্থের রোগ নিরাময়যোগ্য গুনাগুণ রয়েছে এবং যার ব্যবহার চিকিৎসাগতভাবে নিরাপদ। ঔষধবিজ্ঞানের ইংরেজি পরিভাষা '''ফার্মাকোলজি''' শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ফার্মাকন ("Pharmacon", যার আভিধানিক অর্থ "মাদক, বিষ") এবং "লোগোস" ("Logos", যার অর্থ "বিজ্ঞান") থেকে।
 
ঔষধবিজ্ঞানের দুইটি প্রধান শাখা হল ঔষধগতিবিজ্ঞান ("Pharmacokinetics") এবং ঔষধক্রিয়াবিজ্ঞান (Pharmacodynamics)। যখন [[ঔষধ]] আমাদের দেহে প্রবেশ করে তখন দেহ সরাসরি তার উপর কাজ করতে শুরু করে। দেহের মধ্যে ঔষধের শোষণ, বণ্টন, বিপাক এবং নিষ্কাশন হল ঔষধগতিবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়। [[ঔষধ]] দেহের উপর যে ক্রিয়া করে, সেই প্রক্রিয়াটি কোনও গ্রাহকের ভূমিকা ছাড়া অনেকাংশেই অচল, যেহেতু এই গ্রাহকই তার নির্বাচনশীলতার গুণে ঔষধকে দেহের উপর ক্রিয়া করতে সহায়তা করে। অন্যদিকে দেহের উপর [[ঔষধ]] বা রাসায়নিক পদার্থের ক্রিয়াই মূলত ঔষধক্রিয়াবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়। ঔষধ গ্রহণের পুরামাত্রা বা "কোর্স" ও তার চিকিৎসাবিদ্যাগত ক্রিয়ার সময়সীমা নির্ধারিত হয় ঔষধগতিবিজ্ঞান এবং ঔষধক্রিয়াবিজ্ঞানের আলোকেই। ঔষধবিজ্ঞান এবং ঔষধপ্রস্তুতিবিজ্ঞানের (ইংরেজি পরিভাষায় ফার্মেসি) মধ্যে পার্থক্য আছে। ঔষধবিজ্ঞান আলোচনা করে কীভাবে ঔষধ জীবদেহ বা জৈব মাধ্যমকে প্রভাবিত করে এবং কীভাবে ঔষধ জীবদেহ বা জৈব মাধ্যম দ্বারা প্রভাবিত হয়। অপরপক্ষে ঔষধপ্রস্তুতিবিজ্ঞান হল একটি জৈব চিকিত্সাবিজ্ঞান যার আলোচনার বিষয়বস্তু হল ঔষধবিজ্ঞান থেকে আহরিত জ্ঞান প্রয়োগ করে ঔষধের প্রস্তুতি, ব্যবহার ও পরিবেশন, ইত্যাদি।