হুমায়ূন আহমেদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Habibullahbd-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে ZI Jony-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
সংশোধন, সম্প্রসারণ
৭ নং লাইন:
| জন্ম_নাম = শামসুর রহমান
| জন্ম_তারিখ = {{জন্ম তারিখ|1948|11|13|df=yes}}
| জন্ম_স্থান = কুতুবপুর গ্রাম, কেন্দুয়া, [[নেত্রকোনা জেলা|নেত্রকোনা]], [[পূর্ব পাকিস্তান]] (বর্তমান [[বাংলাদেশ]])
| মৃত্যু_তারিখ = {{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|2012|07|19|1948|11|13|df=yes}}
| মৃত্যু_স্থান = [[নিউ ইয়র্ক]], [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট্র]]<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি | শিরোনাম = হুমায়ূন আহমেদের জীবনাবসান | তারিখ = ১৯ জুলাই ২০১২ | ইউআরএল = http://bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=199915 | কর্ম = [[বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম]] | সংগ্রহের-তারিখ = ১৯ জুলাই ২০১২ | আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20120721122322/http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=199915&cid=2 | আর্কাইভের-তারিখ = ২১ জুলাই ২০১২ | অকার্যকর-ইউআরএল = হ্যাঁ }}</ref>
| সমাধিস্থল = [[নুহাশ পল্লী]], [[গাজীপুর জেলা|গাজীপুর]]
| মৃত্যু_স্থান = [[নিউ ইয়র্ক]], [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট্র]]
| সমাধিস্থল = [[নুহাশ পল্লী]], [[গাজীপুর জেলা]]
| পেশা = {{flat list|
*[[লেখক]]
৩১ নং লাইন:
*প্রবন্ধ
*[[নাটক]]
*[[বৈজ্ঞানিকবিজ্ঞান কল্পকাহিনী]]
*[[অধিবাস্তব কাহিনী]]
*গান
}}
| বিষয় = রসায়ন , সমসাময়িক জীবন
| উল্লেখযোগ্য_রচনাবলি = [[জোছনা ও জননীর গল্প]],দেখুন [[নন্দিতহুমায়ূন নরকে]],আহমেদের [[শঙ্খনীল কারাগার (চলচ্চিত্র)সৃষ্টিকর্ম|শঙ্খনীল কারাগার]], [[মধ্যাহ্ন]], [[দেয়ালসৃষ্টিকর্ম]]
| পুরস্কার = [[বাংলা একাডেমি পুরস্কার]] <br /> [[একুশে পদক]] <br /> [[জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)|জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]]
| দাম্পত্যসঙ্গী = {{বিবাহ|[[গুলতেকিন খান]]|১৯৭৩|২০০৩|reasonকারণ=বিবাহবিচ্ছেদতালাক}}<br /> {{বিবাহ|[[মেহের আফরোজ শাওন]]|২০০৫|২০১২|reasonসমাপ্তি=মৃত্যু}}
| সন্তান = নোভা,৬; [[শীলা আহমেদ]], বিপাশা, [[নুহাশ হুমায়ূন]], নিষাদ, নিনিত-সহ
| আত্মীয় = [[মুহম্মদ জাফর ইকবাল]] (ভাই) <br /> [[আহসান হাবীব (কার্টুনিস্ট)|আহসান হাবীব]] (ভাই)<br />সুফিয়া হায়দার (বোন)<br /> মমতাজ শহিদ (বোন)<br />রোকসানা আহমেদ (বোন)
| স্বাক্ষর = Signature Humayun-Ahmed-13Nov2010.jpg
}}
 
'''হুমায়ূন আহমেদ''' ([[১৩ নভেম্বর]], [[১৯৪৮]] &ndash; [[১৯ জুলাই]], [[২০১২]]) ছিলেন একজন বাংলাদেশী [[ঔপন্যাসিক]], [[ছোটগল্প|ছোটগল্পকার]], [[নাট্যকার]] এবং [[গীতিকার]], চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় [[বাঙালি]] কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকেতাকে [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অন্য দিকে তিনি আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তাঁরতার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। তাঁরতার বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.bdmorning.com/entertainment/49239 |শিরোনাম=হুমায়ূন আহমেদ, বেঁচে থাকুন |প্রকাশক=বিডি মর্নিং |তারিখ=১৩ নভেম্বর ২০১৫ |সংগ্রহের-তারিখ=১ মে ২০১৬}}</ref>
 
[[ঢাকা কলেজ]] থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর তিনি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]]ে [[রসায়ন]] এবং [[নর্থ ডাকোটা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়|নর্থ ডাকোটা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে]] পলিমার রসায়ন শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। তিনি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] [[রসায়ন]] বিভাগের [[অধ্যাপক]] হিসাবে দীর্ঘকাল কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে লেখালেখি এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বার্থে অধ্যাপনা ছেড়ে দেন।
 
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী তাঁকেতাকে আটক করে এবং নির্যাতনের পর হত্যার জন্য গুলি চালায়। তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে যান।<ref name="bonikbarta.com">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://bonikbarta.com/magazine-post/167/%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%82%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6--/ |শিরোনাম=‘হুমায়ূন আহমেদ’ : ফয়জুল লতিফ চৌধুরী |প্রকাশক=বণিকবার্তা }}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=এপ্রিল ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> হুমায়ূন আহমেদ রচিত প্রথম উপন্যাস ''[[নন্দিত নরকে]],'', ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয়। সত্তর দশকের এই সময় থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তাঁরতার গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনারহিত। তাঁরতার সৃষ্ট [[হিমু (চরিত্র)|হিমু]] এবং [[মিসির আলি]] ও [[শুভ্র]] চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণীকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে। বিজ্ঞান কল্পকাহিনীও তাঁরতার সৃষ্টিকর্মের অন্তর্গত, তাঁরতার রচিত প্রথম বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ''তোমাদের জন্য ভালোবাসা''। তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রসমূহ পেয়েছে অসামান্য দর্শকপ্রিয়তা। তবে তাঁরতার টেলিভিশন নাটকগুলিনাটকসমূহ ছিলজনপ্রিয়তা সর্বাধিকঅর্জন জনপ্রিয়।করেছিল। সংখ্যায় বেশি না হলেও তাঁরতার রচিত গানগুলোও জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁরতার রচিত অন্যতম উপন্যাসউপন্যাসসমূহ হলো ''[[মধ্যাহ্ন]]'', ''[[জোছনা ও জননীর গল্প]]'', ''মাতাল হাওয়া'', ''লীলাবতী'', ''[[কবি (হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস)|কবি]]'', ''[[বাদশাহ নামদার]]'' ইত্যাদি। বাংলা সাহিত্যের উপন্যাস শাখায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৮১ সালে [[বাংলা একাডেমি]] প্রদত্ত [[বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার]] লাভ করেন। এছাড়া বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তাঁরতার অবদানের জন্য ১৯৯৪ সালে [[বাংলাদেশ সরকার]] তাঁকেতাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা [[একুশে পদক|একুশে পদকে]] ভূষিত করে।
 
তাঁরতার নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো সর্ব সাধারণ্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। ১৯৯৪-এ তাঁরতার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক]] ''[[আগুনের পরশমণি (চলচ্চিত্র)|আগুনের পরশমণি]]'' মুক্তি লাভ করে। চলচ্চিত্রটি [[বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র|শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] সহ আটটি পুরস্কার লাভ করে। তাঁরতার নির্মিত অন্যান্য সমাদৃত চলচ্চিত্রগুলো হলো ''[[শ্রাবণ মেঘের দিন]]'' (১৯৯৯), ''[[দুই দুয়ারী]]'' (২০০০), ''[[শ্যামল ছায়া (চলচ্চিত্র)|শ্যামল ছায়া]]'' (২০০৪), ও ''[[ঘেটু পুত্র কমলা]]'' (২০১২)। ''শ্যামল ছায়া'' ও ''ঘেটু পুত্র কমলা'' চলচ্চিত্র দুটি বাংলাদেশ থেকে বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে [[একাডেমি পুরস্কার|অস্কারের]] জন্য দাখিল করা হয়েছিল। এছাড়া ''ঘেটু পুত্র কমলা'' চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য তিনি [[বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পরিচালক|শ্রেষ্ঠ পরিচালনা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] লাভ করেন।
 
==জীবনী==
=== প্রারম্ভিক জীবন ===
==== জন্ম ও শৈশব ====
হুমায়ূন আহমেদ [[১৯৪৮]] খ্রিস্টাব্দের [[১৩ নভেম্বর]] তৎকালীন [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানের]] [[ময়মনসিংহ]] জেলার অন্তর্গত নেত্রকোণা মহুকুমার [[মোহনগঞ্জ|মোহনগঞ্জে]] তাঁরতার মাতামহের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁরতার পিতা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা ফয়েজ।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/humayun-ahmeds-mother-passes-away-43577|শিরোনাম=Humayun Ahmed's mother passes away|তারিখ=২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪|সংগ্রহের-তারিখ=১২ মার্চ ২০১৮|সংবাদপত্র=[[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|দ্য ডেইলি স্টার]]|ভাষা=ইংরেজি}}</ref> তাঁরতার পিতা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন এবং তিনি [[১৯৭১]] খ্রিস্টাব্দে [[বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ]] চলাকালে তৎকালীন [[পিরোজপুর জেলা|পিরোজপুর]] মহকুমার উপ-বিভাগীয় পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় শহীদ হন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/news-detail-211132|শিরোনাম=Hindus attacked, raped|তারিখ=২২ নভেম্বর ২০১১|সংগ্রহের-তারিখ=১২ মার্চ ২০১৮|সংবাদপত্র=[[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|দ্য ডেইলি স্টার]]|ভাষা=ইংরেজি}}</ref> তাঁরতার বাবা সাহিত্যানুরাগী মানুষ ছিলেন। তিনি পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করতেন। [[বগুড়া]] থাকার সময় তিনি একটি গ্রন্থও প্রকাশ করেছিলেন।করেছিলেন, গ্রন্থের নাম ''দ্বীপ নেভা যার ঘরে''। তাঁরতার মা'র লেখালেখির অভ্যাস না থাকলেও শেষ জীবনে একটি আত্মজীবনী গ্রন্থ রচনা করেছেন যার নাম ''জীবন যে রকম''।<ref>''জীবন যে রকম'', আয়েশা ফয়েজ, সময় প্রকাশনী, ২০০৮।</ref> পরিবারে সাহিত্যমনস্ক আবহাওয়া ছিল। তাঁরতার অনুজ [[মুহম্মদ জাফর ইকবাল]] দেশের একজন শিক্ষাবিদ এবং কথাসাহিত্যিক; সর্বকনিষ্ঠ ভ্রাতা [[আহসান হাবীব (লেখক)|আহসান হাবীব]] রম্য সাহিত্যিক এবং কার্টুনিস্ট।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.ntvbd.com/bangladesh/15064/নুহাশপল্লীতে-হুমায়ূন-আহমেদকে-শ্রদ্ধা/print |শিরোনাম=নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদকে শ্রদ্ধা |প্রকাশক=এনটিভি অনলাইন |লেখক=নাসির আহমেদ |তারিখ=১৯ জুলাই ২০১৫ |সংগ্রহের-তারিখ=১ মে ২০১৬}}</ref> তাঁরতার তিন বোন হলেন সুফিয়া হায়দার, মমতাজ শহিদ, ও রোকসানা আহমেদ।<ref name="palo-283390">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2012-08-24/news/283390 |শিরোনাম=হুমায়ূনের কবরে স্বজনেরা |সংবাদপত্র=[[দৈনিক প্রথম আলো]] |তারিখ=২৪ আগস্ট ২০১২}}</ref>
 
তাঁরতার রচিত আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা থেকে জানা যায় যে ছোটকালে হুমায়ূন আহমেদের নাম রাখা হয়েছিল শামসুর রহমান; ডাকনাম কাজল। তাঁরতার পিতা (ফয়জুর রহমান) নিজের নামের সাথে মিল রেখে ছেলের নাম রাখেন শামসুর রহমান। পরবর্তীতে আবার তিনি নিজেই ছেলের নাম পরিবর্তন করে ‌''হুমায়ূন আহমেদ'' রাখেন। হুমায়ূন আহমেদের ভাষায়, তাঁরতার পিতা ছেলে-মেয়েদের নাম পরিবর্তন করতে পছন্দ করতেন। তাঁরতার ছোট ভাই [[মুহম্মদ জাফর ইকবাল|মুহম্মদ জাফর ইকবালের]] নাম আগে ছিল ''বাবুল'' এবং ছোটবোন সুফিয়ার নাম ছিল ''শেফালি''। ১৯৬২-৬৪ সালে [[চট্টগ্রাম|চট্টগ্রামে]] থাকাকালে হুমায়ুন আহমেদের নাম ছিল বাচ্চু।
 
==== শিক্ষাজীবন ====
[[চিত্র:Bogra Zilla School - Portal.jpg|থাম্ব|ডান|200px|[[বগুড়া জিলা স্কুল]], আহমেদ এই বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করেন।]]
তাঁরতার বাবা চাকুরী সূত্রে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেছেন বিধায় হুমায়ূন আহমেদ দেশের বিভিন্ন স্কুলে লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি ১৯৬৩ সালে [[বগুড়া জিলা স্কুল]]ে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৬৫ সালে তিনি এই বিদ্যালয় থেকে [[মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট|ম্যাট্রিক]] পরীক্ষা দেন এবং [[রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডেবোর্ড]]ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=পারভেজ |প্রথমাংশ1=আনোয়ার |শিরোনাম=ফল প্রকাশের পর দেখি, হুমায়ূন সত্যিই পণ্ডিত! |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/we-are/article/1604041/%E0%A6%AB%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%82%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BF%E0%A6%87-%E0%A6%AA%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%A4 |সংগ্রহের-তারিখ=১৩ জুলাই ২০১৯ |কর্ম=[[দৈনিক প্রথম আলো]] |তারিখ=১৩ জুলাই ২০১৯}}</ref> তিনি পরে [[ঢাকা কলেজ|ঢাকা কলেজে]] ভর্তি হন এবং সেখান থেকেইথেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে [[রসায়ন]] শাস্ত্রে অধ্যয়ন করেন এবং প্রথম শ্রেণীতে বিএসসি (সম্মান) ও এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।<ref name=bio>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/news-detail-242914|শিরোনাম=Humayun Ahmed at a glance|তারিখ=২১ জুলাই ২০১২|সংগ্রহের-তারিখ=১২ মার্চ ২০১৮|সংবাদপত্র=[[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|দ্য ডেইলি স্টার]]|ভাষা=ইংরেজি}}</ref> তিনি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ|হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের]] আবাসিক ছাত্র ছিলেন এবং [[৫৬৪]] নং কক্ষে তার ছাত্রজীবন অতিবাহিত করেন (''নন্দিত নরকে'' উপন্যাসটি মুহসীন হলেই লেখা)।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=মুহসীন হলের হুমায়ূন কুঠির এখন যেমন|ইউআরএল=http://www.m.mzamin.com/article.php?mzamin=126299|সংগ্রহের-তারিখ=২০ জুলাই ২০১৮|কর্ম=[[দৈনিক মানবজমিন]]|তারিখ=১৯ জুলাই ২০১৮}}</ref>
 
=== ১৯৭০-এর দশক ===
==== নন্দিত নরকে ও শঙ্খনীল কারাগার ====
[[চিত্র:নন্দিত নরকে.JPG|right|thumb|200px|হুমায়ূন আহমেদের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস [[নন্দিত নরকে|নন্দিত নরকের]] প্রচ্ছদ]]
[[চিত্র:Humayun Ahmed 2011.jpg|right|thumb|200px|স্বগৃহে বৈঠকী আড্ডায় হুমায়ূন আহমেদ]]
[[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] ছাত্র জীবনে একটি নাতিদীর্ঘ [[উপন্যাস]] রচনার মধ্য দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্য জীবনের শুরু। এই উপন্যাসটির নাম ''[[নন্দিত নরকে (উপন্যাস)|নন্দিত নরকে]]''।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |প্রথমাংশ=মাহমুদুল হাসান|শেষাংশ=হিমেল|শিরোনাম=Book review: Nondito Noroke, Masterpiece of a master storyteller |ইউআরএল=http://www.daily-sun.com/details_yes_04-09-2012_Nondito-Noroke_251_1_19_1_1.html |সংবাদপত্র=ডেইলি সান |ভাষা=ইংরেজি |অবস্থান=ঢাকা |তারিখ=৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ |সংগ্রহের-তারিখ=১২ মার্চ ২০১৮ |অকার্যকর-ইউআরএল=yes |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20141112091719/http://www.daily-sun.com/details_yes_04-09-2012_Nondito-Noroke_251_1_19_1_1.html |আর্কাইভের-তারিখ=১২ নভেম্বর ২০১৪}}</ref> [[১৯৭১]]-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে উপন্যাসটি প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। ১৯৭২-এ কবি-সাহিত্যিক [[আহমদ ছফা|আহমদ ছফার]] উদ্যোগে উপন্যাসটি খান ব্রাদার্স কর্তৃক গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশিত হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/news-detail-243795|শিরোনাম=Sofa's inspiration...|তারিখ=২৮ জুলাই ২০১২|সংগ্রহের-তারিখ=১২ মার্চ ২০১৮|সংবাদপত্র=[[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|দ্য ডেইলি স্টার]]|ভাষা=ইংরেজি}}</ref> প্রখ্যাত বাংলা ভাষাশাস্ত্র পণ্ডিত [[আহমদ শরীফ]] স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে এ গ্রন্থটির ভূমিকা লিখে দিলে বাংলাদেশের সাহিত্যামোদী মহলে কৌতূহল সৃষ্টি হয়। বইটির প্রচ্ছদ করেন [[মুহম্মদ জাফর ইকবাল]] ও ভাস্কর [[শামীম শিকদার]]।{{sfn|আহমেদ|২০০৯|p=৩৪}} উপন্যাসটি লেখক শিবির হতে বর্ষসেরা উপন্যাসের পুরস্কার লাভ করে।{{sfn|আহমেদ|২০০৯|p=৩১}} ''[[শঙ্খনীল কারাগার]]'' তাঁরতার লেখা প্রথম উপন্যাস, কিন্তু প্রকাশিত ২য় গ্রন্থ।{{sfn|আহমেদ|২০০৯|p=২৩}}<ref name="bonikbarta.com"/> তাঁরতার রচিত তৃতীয় উপন্যাস বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক ''তোমাদের জন্য ভালোবাসা''। ''বিজ্ঞান সাময়িকী'' সাপ্তাহিক পত্রিকায় উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।{{sfn|আহমেদ|২০০৯|p=৩৯}}
 
==== অধ্যাপনা ও পিএইচডি ====
১৯৭৩ সালে [[ময়মনসিংহ জেলা|ময়মনসিংহে]] অবস্থিত [[বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়|বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে]] [[অধ্যাপক|প্রভাষক]] হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তাঁরতার বেতন ছিল ৬৫০ টাকা।{{sfn|আহমেদ|২০০৯|p=৫০}} এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় তিনি তাঁরতার প্রথম ছোটগল্প রচনা করেন। ''সৌরভ'' নামক গল্পটি [[সাপ্তাহিক বিচিত্রা|''বিচিত্রা'']] পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।{{sfn|আহমেদ|২০০৯|p=৫৫}} ১৯৭৪ সালে তিনি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] রসায়ন বিভাগে যোগদান করেন।<ref name=bio/> এই বছর ''বিচিত্রা'' পত্রিকায় ঈদ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় তাঁরতার রচিত [[উপন্যাস]] ''অচিনপুর''।{{sfn|আহমেদ|২০০৯|p=৬৩}} পরে তিনি [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের]] [[নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি]] থেকে [[পলিমার রসায়ন]] বিষয়ে গবেষণা করে [[পিএইচডি]] লাভ করেন।<ref name=bio/>
 
==== বিবাহ ====
হুমায়ূন আহমেদ ১৯৭৬ সালে [[গুলতেকিন খান]]কে বিয়ে করেন। গুলতেকিন প্রিন্সিপাল [[ইবরাহীম খাঁ]]র নাতনী।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=সোহেল|প্রথমাংশ১=তানভীর|শিরোনাম=লেখালেখিতে অনুপ্রেরণা শুধুই দাদা: গুলতেকিন|ইউআরএল=http://www.prothomalo.com/art-and-literature/article/760813/লেখালেখিতে-অনুপ্রেরণা-শুধুই-দাদা-গুলতেকিন|সংগ্রহের-তারিখ=১৬ নভেম্বর ২০১৭|কর্ম=[[দৈনিক প্রথম আলো]]|তারিখ=৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20180421195557/http://www.prothomalo.com/art-and-literature/article/760813/%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%87-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A8|আর্কাইভের-তারিখ=২১ এপ্রিল ২০১৮|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> এই দম্পতির তিন মেয়ে এবং এক ছেলে। বড় মেয়ে নোভা আহমেদ, মেজো মেয়ে [[শীলা আহমেদ]] এবং ছোট মেয়ে বিপাশা আহমেদ। তাঁরতার বড় ছেলের নাম [[নুহাশ হুমায়ুন|নুহাশ আহমেদ]]। বাবার মত নুহাশও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=সিদ্দিক |প্রথমাংশ1=হাবিবুল্লাহ |শিরোনাম=নুহাশের সঙ্গে এক সন্ধ্যায় |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1337636/নুহাশের-সঙ্গে-এক-সন্ধ্যায় |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ নভেম্বর ২০১৮ |কর্ম=[[দৈনিক প্রথম আলো]] |তারিখ=৫ অক্টোবর ২০১৭}}</ref> অন্য আরেকটি ছেলে সন্তান অকালে মারা যায়। তিনি তার নাম রেখেছিলেন রাশেদ হুমায়ূন।
 
=== ১৯৮০-এর দশক ===
==== প্রথম প্রহর ও এইসব দিনরাত্রি ====
টেলিভিশন নাট্যকার হিসেবে হুমায়ূন আহমেদকে আবিষ্কার করেন [[নওয়াজিশ আলি খান]]। আহমেদের ''নন্দিত নরকে'' ও ''শঙ্খনীল কারাগার'' পড়ার পর তিনি একদিন ধানমন্ডির দখিন হাওয়াতে ''রত্নদ্বীপ'' নাটকের চিত্রায়নকালে খান তাঁরতার সাথে পরিচিত হন। তিনি আহমেদকে টেলিভিশনের জন্য নাটক লিখতে আহ্বান জানান। টেলিভিশনের জন্য হুমায়ূন আহমেদের প্রথম কাজ হল টেলিভিশন নাটক ''প্রথম প্রহর''। এটি ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। নাটকটি পরিচালনা করেন নওয়াজিশ আলি খান। মানুষের সততাকে কেন্দ্র করে নির্মিত নাটকটি প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।<ref name="palo-276774">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ=খান |প্রথমাংশ=নওয়াজিশ আলি |লেখক-সংযোগ=নওয়াজিশ আলি খান |শিরোনাম=বিদায় হুমায়ূন! যেভাবে শুরু |ইউআরএল=http://www.prothomalo.com/detail/date/2012-07-26/news/276774 |সংবাদপত্র=[[দৈনিক প্রথম আলো]] |তারিখ=২৬ জুলাই ২০১২ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120727090623/http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-07-26/news/276774 |অকার্যকর-ইউআরএল=yes |আর্কাইভের-তারিখ=27 July 2012 |df=dmy-all }}</ref> পরবর্তীতে খান আহমেদ রচিত ''অসময়'', ''অযাত্রা'', ''বিবাহ'', ''এসো নিপবনে'', ''নিমফুল'' নাটক প্রযোজনা করেন।<ref name="palo-276774"/> আহমেদ রচিত প্রথম ধারাবাহিক নাটক ''[[এইসব দিনরাত্রি]]'' (১৯৮৫)।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=Ahmed|প্রথমাংশ১=Rumi|শিরোনাম=Humayun Ahmed: A thousand more years|ইউআরএল=https://opinion.bdnews24.com/2012/07/20/humayun-ahmed-a-thousand-more-years/|সংগ্রহের-তারিখ=১৬ নভেম্বর ২০১৭|কর্ম=[[বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম]] |ভাষা=ইংরেজি |তারিখ=২০ জুলাই ২০১২}}</ref> নাটকে লিউকোমিয়া আক্রান্ত শিশু চরিত্র 'টুনি'কে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আহমেদের কাছে এবং [[বাংলাদেশ টেলিভিশন|বাংলাদেশ টেলিভিশনে]] দর্শকের প্রচুর চিঠি আসে, কিন্তু আহমেদ তার চিত্রনাট্যে অটল থাকেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Former child actress found dead|ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/former-child-actress-found-dead-46237|সংগ্রহের-তারিখ=১৬ নভেম্বর ২০১৭|কর্ম=[[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|দ্য ডেইলি স্টার]]|ভাষা=ইংরেজি |তারিখ=১৮ অক্টোবর ২০১৪}}</ref>
 
==== বহুব্রীহি ও কোথাও কেউ নেই ====
নওয়াজিশ আলি খানের প্রযোজনায় হুমায়ূন আহমেদ রচিত প্রথম টেলিভিশন ধারাবাহিক ''[[বহুব্রীহি]]''। এটি ১৯৮৮-৮৯ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। ধারবাহিকটির প্রতিটি পর্ব ছিল বিষয়ভিত্তিক ও স্বয়ংসম্পূর্ণ, যা ছিল বাংলাদেশের টিভি নাটকের অভিনব ব্যাপার। এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে কিছু সামাজিক বিষয়, যেমন - মিথ্যা না বলা ও পুষ্টি সংরক্ষণের জন্য সপ্তাহে এক দিন মাছ না খাওয়া, এবং মুক্তিযুদ্ধকে নতুনভাবে জাগিয়ে তুলে।<ref name="palo-276774"/> ধারাবাহিকের একটি সংলাপ "তুই রাজাকার" বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে।<ref name="নাটকে বিপ্লব">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.jjdin.com/index.php?view=details&archiev=yes&arch_date=31-7-2012&feature=yes&type=single&pub_no=198&cat_id=3&menu_id=70&news_type_id=1&index=1 |শিরোনাম=টিভি নাটকে বিপ্লব |প্রকাশক=[[দৈনিক যায় যায় দিন]] |তারিখ=৩১ জুলাই ২০১২ |সংগ্রহের-তারিখ=২৬ মার্চ ২০১৬}}</ref> এই সময়ে নির্মিত হয় টেলিভিশন নাটক ''অয়োময়''। এই নাটকেই তাঁরতার কন্যা [[শীলা আহমেদ|শীলা আহমেদের]] অভিনয়ে অভিষেক হয়। আহমেদ এই নাটকের মহড়া, চিত্রায়ণ ও সম্পাদনার সাথে যুক্ত ছিলেন, যা তাঁকেতাকে পরবর্তীতে পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে।<ref name="palo-276774"/> তাঁরতার রচিত আরেকটি অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিক হল ''[[কোথাও কেউ নেই (নাটক)|কোথাও কেউ নেই]]'' (১৯৯০)। এই ধারাবাহিকের [[বাকের ভাই]] চরিত্রটি তুমুল দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন [[আসাদুজ্জামান নূর]]। বাকের ভাইয়ের ফাঁসি রুখতে দর্শক 'বাকের ভাইয়ের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে' স্লোগান দিয়ে মিছিল করে। এমনকি, আহমেদের এলিফ্যান্ট রোডের বাড়িতে দর্শকেরা আক্রমণ করে। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে তিনি [[রমনা থানা]]য় জিডিও করেছিলেন।<ref name="নাটকে বিপ্লব"/> পরবর্তী সময়ে তিনি বহু এক পর্বের নাটক নির্মাণ করেছেন। যাদের মধ্যে ''খেলা'', ''অচিন বৃক্ষ'', ''খাদক'', ''একি কান্ড'', ''একদিন হঠাৎ'', ''অন্যভুবন'' উল্লেখযোগ্য।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bangla.bdnews24.com/glitz/article823574.bdnews |শিরোনাম=এখনও অপ্রতিদ্বন্দ্বী হুমায়ুন আহমেদ |প্রকাশক=[[বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম]] |প্রথমাংশ=শান্তা |শেষাংশ=মারিয়া |তারিখ=১৯ জুলাই ২০১৪ |সংগ্রহের-তারিখ=১ মে ২০১৬}}</ref>
 
==== মিসির আলি চরিত্র ====
{{মূল নিবন্ধ|মিসির আলি}}
[[মিসির আলি]] চরিত্রটি আহমেদের মাথায় আসে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটার ফার্গো শহরে স্ত্রী গুলতেকিনের সাথে গাড়িতে ভ্রমণকালে। এই ঘটনার অনেকদিন পর তিনি মিসির আলি বিষয়ক প্রথম উপন্যাস ''[[দেবী (চলচ্চিত্র)|দেবী]]'' লিখেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=হায়দার|প্রথমাংশ১=শেখ হাসান|শেষাংশ২=বিনতে আফতাব|প্রথমাংশ২=ইশরাত|শিরোনাম=হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট চরিত্ররা|ইউআরএল=http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/projonmo/2015/11/09/82406.html|কর্ম=[[দৈনিক ইত্তেফাক]]|তারিখ=৯ নভেম্বর ২০১৫}}</ref> ১৯৮৫ সালে উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে তিনি এই চরিত্রকে কেন্দ্র করে রচনা করেন ''নিশীথিনী'' (১৯৮৭), ''নিষাদ'' (১৯৮৮), ''অন্য ভুবন'' (১৯৮৯) ও ''বৃহন্নলা'' (১৯৮৯)।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=সালিম|প্রথমাংশ১=মো. আদনান আরিফ|শিরোনাম=মিস্টিক মিসির আলি এবং হতচ্ছাড়া হিমু|ইউআরএল=http://bonikbarta.net/bangla/news/2015-07-24/43702/মিস্টিক-মিসির-আলি-এবং-হতচ্ছাড়া-হিমু--/|সংগ্রহের-তারিখ=১৬ নভেম্বর ২০১৭|কর্ম=বণিকবার্তা|তারিখ=২৪ জুলাই ২০১৫}}</ref> এছাড়াও হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলিকে নিয়ে লেখা প্রথম [[উপন্যাস]] [[দেবী (উপন্যাস)|দেবী]] থেকে ২০১৮ সালে নির্মিত হয় ''[[দেবী (২০১৮-এর চলচ্চিত্র)|দেবী]]'' নামের একটি সিনেমা।চলচ্চিত্র। যেটির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো মিসির আলির বড় পর্দায় অভিষেক হয়। ছবিটি পরিচালনা করেন অনম বিশ্বাস। এতে মিসির আলির ভূমিকায় অভিনয় করেন [[চঞ্চল চৌধুরী]]।<ref>{{সংবাদ সহউদ্ধৃতি আরো|শিরোনাম=চঞ্চল অভিনয়হলেন করেনমিসির [[জয়াআলি আহসান]],|ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/print-edition/oboshore/2018/09/15/680204 [[অনিমেষ|সংগ্রহের-তারিখ=১৩ আইচ]],জুলাই সবনম ফারিয়া,২০১৯ |কর্ম=[[ইরেশদৈনিক যাকেরকালের কণ্ঠ]] |তারিখ=১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮}}</ref>
 
==== নুহাশ পল্লী ====
{{মূল নিবন্ধ|নুহাশ পল্লী}}
[[File:Humayun ahmed gossip.jpg|thumbnail|নুহাশ পল্লীতে প্রকাশকের সঙ্গে আলাপরত হুমায়ূন, ২০১০।]]
হুমায়ূন আহমেদ ১৯৮৭ সালে ঢাকার অদূরে [[গাজীপুর জেলা|গাজীপুর জেলার]] সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পিজুলিয়া গ্রামে ২২ বিঘা জমির ওপর স্থাপিত বাগান বাড়ি [[নুহাশ পল্লী]] গড়ে তুলেন। বাড়িটির নামকরণ করা হয় স্ত্রী গুলতেকিন ও তাঁরতার প্রথম পুত্র নুহাশ হুমায়ূনের নামে। বর্তমানে এর আয়তন আরও বৃদ্ধি করে ৪০ বিঘা করা হয়েছে। অভিনেতা [[এজাজুল ইসলাম]] তাঁকেতাকে এই জমি কেনা ও ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করেন।<ref name=Shazu>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |প্রথমাংশ=শাহ আলম|শেষাংশ=সাজু|তারিখ=২৫ জুলাই ২০১২|শিরোনাম=Home was his heart: Humayun Ahmed and his Nuhash Polli |ইউআরএল=http://archive.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=243398 |সংবাদপত্র=দ্য ডেইলি স্টার |ভাষা=ইংরেজি}}</ref> বাড়িটির সর্ব উত্তরে একটি পুকুর রয়েছে। পুকুরটির নাম 'লীলাবতী'। এর নামকরণ করা হয় শাওন ও তাঁরতার অকালপ্রয়াত কন্যার নামে, যে পৃথিবীর আলো দেখার পূর্বে মৃত্যুবরণ করে। পুকুরে একটি কাঠের পুল রয়েছে। পুকুরের মাঝখানে একটি কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে তাবু পোঁতা আছে।<ref name=Shazu/>
 
=== ১৯৯০-এর দশক ===
==== হিমু চরিত্র ====
 
হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্ট [[হিমু (চরিত্র)|হিমু]] চরিত্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে ''[[ময়ূরাক্ষী]]'' উপন্যাস দিয়ে। ১৯৯০ সালে মে মাসে অনন্যা প্রকাশনী থেকে বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে চরিত্রটি পাঠকদের, বিশেষ করে তরুণ সাহিত্যপ্রেমীদের মাঝে জনপ্রিয়তা লাভ করে। এই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে একে একে প্রকাশিত হতে থাকে ''[[দরজার ওপাশে]]'' (১৯৯২), ''[[হিমু (উপন্যাস)|হিমু]]'' (১৯৯৩), ''[[পারাপার]]'' (১৯৯৪), ''এবং হিমু'' (১৯৯৫), ''[[হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম]]'' (১৯৯৬), ''[[হিমুর দ্বিতীয় প্রহর]]'' (১৯৯৭), ''[[হিমুর রূপালী রাত্রি]]'' (১৯৯৮), এবং ''[[একজন হিমু কয়েকটি ঝিঁ ঝিঁ পোকা]]'' (১৯৯৯) ইত্যাদি। এছাড়া এই উপন্যাসগুলো নিয়ে ''হিমু সমগ্র'' (১৯৯৪), ''হিমু সমগ্র (দ্বিতীয় খণ্ড)'' (১৯৯৮), এবং ''হিমু অমনিবাস'' (২০০০) প্রকাশিত হয়। হুমায়ূন আহমেদ এর লেখায় রাজনৈতিক প্রণোদনা অনুপস্থিত- এরকম একটি কথা বলাও হলেও হিমুর লেখাগুলোর ক্ষেত্রে তা সত্যি নয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=রহমান|প্রথমাংশ১=মুম|শিরোনাম=হুমায়ূনের হিমু, মিসির আলি, শুভ্র (দ্বিতীয় পর্ব)|ইউআরএল=http://www.risingbd.com/art-literature-news/133730|সংগ্রহের-তারিখ=১৬ নভেম্বর ২০১৭|কর্ম=রাইজিংবিডি ডট কম|তারিখ=১৫ নভেম্বর ২০১৫}}</ref>
 
====শুভ্র চরিত্র ====
[[শুভ্র]] চরিত্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে ''[[দারুচিনি দ্বীপ (উপন্যাস)|দারুচিনি দ্বীপ]]'' উপন্যাস দিয়ে। যদিও শুভ্র চরিত্রটি প্রথম আসে তার লেখা একটি ছোটগল্পে, যার নাম 'শাদা গাড়ি।' দারুচিনি দ্বীপ বইটি অনুপম প্রকাশনী থেকে ১৯৯১ সালে প্রকাশিত হয়। শুভ্রকে নিয়ে রচিত তাঁরতার দ্বিতীয় উপন্যাস হল ''মেঘের ছায়া''। এটি ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয়। ''দারুচিনি দ্বীপ'' উপন্যাসের গল্পের শেষ থেকে শুরু হয় পরবর্তী উপন্যাস ''রূপালী দ্বীপ'' (১৯৯৪)।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=রহমান|প্রথমাংশ১=মুম|শিরোনাম=হুমায়ূনের হিমু, মিসির আলি, শুভ্র (সমাপ্তি পর্ব)|ইউআরএল=http://www.risingbd.com/হুমায়ূনের-হিমু-মিসির-আলি-শুভ্র-সমাপ্তি-পর্ব/134054 |সংগ্রহের-তারিখ=১৬ নভেম্বর ২০১৭|কর্ম=রাইজিংবিডি ডট কম|তারিখ=১৭ নভেম্বর ২০১৫}}</ref>
 
==== শঙ্খনীল কারাগার ও আগুনের পরশমণি ====
১৯৯২ সালে হুমায়ূন আহমেদ রচিত ''[[শঙ্খনীল কারাগার]]'' উপন্যাস অবলম্বনে মোস্তাফিজুর রহমান ''[[শঙ্খনীল কারাগার (চলচ্চিত্র)|একই নামের]]'' চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ছবিটি নির্মাণের জন্য পরিচালক বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুদান পান এবং আহমেদ চিত্রনাট্য লেখার সম্মানী হিসেবে ১০,০০০ টাকা পান। মুক্তির পর চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে ছবিটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে, কিন্তু শাকুর মজিদ কাহিনী, কাহিনীর সময়কাল, সেট ও পোশাকে গড়মিল খুঁজে পান।<ref name="মজিদ-কালিওকলম">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=মজিদ |প্রথমাংশ1=শাকুর |শিরোনাম=আগুনের পরশমণি : এক চলচ্চিত্রকারের আবির্ভাব |ইউআরএল=https://www.kaliokalam.com/আগুনের-পরশমণি-এক-চলচ্চিত/ |ওয়েবসাইট=কালি ও কলম |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ নভেম্বর ২০১৮}}</ref> তবে ''শঙ্খনীল কারাগার'' [[বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র|শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র]]সহ চারটি বিভাগে [[জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)|জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] লাভ করে এবং আহমেদ [[বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার|শ্রেষ্ঠ কাহিনীকারের]] পুরস্কার লাভ করেন।<ref name="মজিদ-কালিওকলম"/> ১৯৯৪ সালে ''[[আগুনের পরশমণি (চলচ্চিত্র)|আগুনের পরশমণি]]'' চলচ্চিত্র দিয়ে তাঁরতার পরিচালনায় অভিষেক হয়। এই চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য তিনি ২৫,০০০ টাকা সরকারি অনুদান পান।<ref name="মজিদ-কালিওকলম"/> তিনি মূলত তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধু চলচ্চিত্রকার আনিস সাবেতের অকাল মৃত্যুর খবর শোনার পর চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহী হন। চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকতার চাকরি থেকে অব্যহতি দেন।<ref name="মজিদ-কালিওকলম"/> [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ]]ভিত্তিক চমৎকার গল্প ও দুর্দান্ত নির্মাণশৈলী দিয়ে তিনি দর্শকের মন জয় করেন। চলচ্চিত্র পরিচালক কবীর আনোয়ার বলেন, "এতোবড় মাপের ছবি বাংলাদেশে আগে কখনো হয় নি, জানি না সামনে কেউ আসবেন কিনা এরকম ছবি বানানোর মেধা নিয়ে।"{{sfn|আহমেদ|১৯৯৬|p=৯}} চলচ্চিত্রটি [[বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র|শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র]]সহ আটটি বিভাগে [[জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)|জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] লাভ করে এবং আহমেদ শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার ও [[বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা|সংলাপ রচয়িতা]] বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন।<ref name="deshebideshe">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=চলচ্চিত্রে হুমায়ূন, হুমায়ূনের চলচ্চিত্র|ইউআরএল=http://www.deshebideshe.com/news/details/7821/2000|ওয়েবসাইট=দেশে বিদেশে|তারিখ=২১ জুলাই ২০১২|সংগ্রহের-তারিখ=১৬ নভেম্বর ২০১৭}}</ref> ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হয় তার উপন্যাস ''[[কবি (হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস)|কবি]]''। এতে তিনজন কবির গল্প বিবৃত হয়েছে।<ref name="রহমান-রাইজিংবিডি-২০১৬">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ1=রহমান|প্রথমাংশ1=মুম|শিরোনাম=কবি হুমায়ূন আহমেদ|ইউআরএল=http://www.risingbd.com/economics-news/199780|সংগ্রহের-তারিখ=১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮|কর্ম=রাইজিংবিডি ডট কম|তারিখ=১৩ নভেম্বর ২০১৬}}</ref> ১৯৯৫ সাল থেকে ''ছোটদের কাগজ'' পত্রিকায় ''[[কালো জাদুকর]]'' উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতে থাকেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=রিটন |প্রথমাংশ1=লুৎফর রহমান |শিরোনাম=আমার হুমায়ূন {{!}} মতামত |ইউআরএল=https://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/3673 |সংগ্রহের-তারিখ=৬ ডিসেম্বর ২০১৮ |কর্ম=[[বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম]] |তারিখ=২০ সেপ্টেম্বর ২০১১}}</ref> পার্ল পাবলিকেশন্স ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একুশে বইমেলায় বইটি গ্রন্থাকারে প্রকাশ করে।
[[চিত্র:Aguner Poroshmoni.jpg|left|thumb|200px|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক এই চলচ্চিত্র [[আগুনের পরশমণি (চলচ্চিত্র)|আগুনের পরশমণি]] ]]
১৯৯২ সালে হুমায়ূন আহমেদ রচিত ''[[শঙ্খনীল কারাগার]]'' উপন্যাস অবলম্বনে মোস্তাফিজুর রহমান ''[[শঙ্খনীল কারাগার (চলচ্চিত্র)|একই নামের]]'' চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ছবিটি নির্মাণের জন্য পরিচালক বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুদান পান এবং আহমেদ চিত্রনাট্য লেখার সম্মানী হিসেবে ১০,০০০ টাকা পান। মুক্তির পর চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে ছবিটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে, কিন্তু শাকুর মজিদ কাহিনী, কাহিনীর সময়কাল, সেট ও পোশাকে গড়মিল খুঁজে পান।<ref name="মজিদ-কালিওকলম">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=মজিদ |প্রথমাংশ1=শাকুর |শিরোনাম=আগুনের পরশমণি : এক চলচ্চিত্রকারের আবির্ভাব |ইউআরএল=https://www.kaliokalam.com/আগুনের-পরশমণি-এক-চলচ্চিত/ |ওয়েবসাইট=কালি ও কলম |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ নভেম্বর ২০১৮}}</ref> তবে ''শঙ্খনীল কারাগার'' [[বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র|শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র]]সহ চারটি বিভাগে [[জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)|জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] লাভ করে এবং আহমেদ [[বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার|শ্রেষ্ঠ কাহিনীকারের]] পুরস্কার লাভ করেন।<ref name="মজিদ-কালিওকলম"/> ১৯৯৪ সালে ''[[আগুনের পরশমণি (চলচ্চিত্র)|আগুনের পরশমণি]]'' চলচ্চিত্র দিয়ে তাঁর পরিচালনায় অভিষেক হয়। এই চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য তিনি ২৫,০০০ টাকা সরকারি অনুদান পান।<ref name="মজিদ-কালিওকলম"/> তিনি মূলত তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধু চলচ্চিত্রকার আনিস সাবেতের অকাল মৃত্যুর খবর শোনার পর চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহী হন। চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকতার চাকরি থেকে অব্যহতি দেন।<ref name="মজিদ-কালিওকলম"/> [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ]]ভিত্তিক চমৎকার গল্প ও দুর্দান্ত নির্মাণশৈলী দিয়ে তিনি দর্শকের মন জয় করেন। চলচ্চিত্র পরিচালক কবীর আনোয়ার বলেন, "এতোবড় মাপের ছবি বাংলাদেশে আগে কখনো হয় নি, জানি না সামনে কেউ আসবেন কিনা এরকম ছবি বানানোর মেধা নিয়ে।"{{sfn|আহমেদ|১৯৯৬|p=৯}} চলচ্চিত্রটি [[বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র|শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র]]সহ আটটি বিভাগে [[জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)|জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] লাভ করে এবং আহমেদ শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার ও [[বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা|সংলাপ রচয়িতা]] বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন।<ref name="deshebideshe">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=চলচ্চিত্রে হুমায়ূন, হুমায়ূনের চলচ্চিত্র|ইউআরএল=http://www.deshebideshe.com/news/details/7821/2000|ওয়েবসাইট=দেশে বিদেশে|তারিখ=২১ জুলাই ২০১২|সংগ্রহের-তারিখ=১৬ নভেম্বর ২০১৭}}</ref> ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হয় তার উপন্যাস ''[[কবি (হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস)|কবি]]''। এতে তিনজন কবির গল্প বিবৃত হয়েছে।<ref name="রহমান-রাইজিংবিডি-২০১৬">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ1=রহমান|প্রথমাংশ1=মুম|শিরোনাম=কবি হুমায়ূন আহমেদ|ইউআরএল=http://www.risingbd.com/economics-news/199780|সংগ্রহের-তারিখ=১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮|কর্ম=রাইজিংবিডি ডট কম|তারিখ=১৩ নভেম্বর ২০১৬}}</ref> ১৯৯৫ সাল থেকে ''ছোটদের কাগজ'' পত্রিকায় ''[[কালো জাদুকর]]'' উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতে থাকেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=রিটন |প্রথমাংশ1=লুৎফর রহমান |শিরোনাম=আমার হুমায়ূন {{!}} মতামত |ইউআরএল=https://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/3673 |সংগ্রহের-তারিখ=৬ ডিসেম্বর ২০১৮ |কর্ম=[[বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম]] |তারিখ=২০ সেপ্টেম্বর ২০১১}}</ref> পার্ল পাবলিকেশন্স ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একুশে বইমেলায় বইটি গ্রন্থাকারে প্রকাশ করে।
 
==== শ্রাবণ মেঘের দিন ও গীত রচনা ====
১৯৯৯ সালে তিনি নির্মাণ করেন লোক-নাট্যধর্মী ''[[শ্রাবণ মেঘের দিন]]''। এটি তাঁরতার নিজের রচিত একই নামের উপন্যাসের চলচ্চিত্রায়ণ। চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে এবং ২০০২ সালে [[ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট|ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের]] অধিভুক্ত ''[[সাইট অ্যান্ড সাউন্ড]]'' ম্যাগাজিনের করা জরিপে সমালোচকদের বিচারে এটি [[সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্রসমূহ|সেরা দশ বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের]] তালিকায় নবম স্থান অধিকার করে।<ref name="Jinsie">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Jinsie|শিরোনাম=BFI SOUTH ASIAN FILM (2002)|ইউআরএল=https://mubi.com/lists/bfi-south-asian-film-2002#read-more|ওয়েবসাইট=[[ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট]] |ভাষা=ইংরেজি|সংগ্রহের-তারিখ=১৬ নভেম্বর ২০১৭}}</ref> এছাড়া ছবিটি সাতটি বিভাগে [[জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)|জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] লাভ করে। হুমায়ূন আহমেদ মূলত গান রচয়িতা বা গীতিকার নন। কেবল নাটক ও চলচ্চিত্রের প্রয়োজনে তিনি গান রচনা করে থাকেন। এই চলচ্চিত্রের জন্য তাঁরতার রচিত "একটা ছিল সোনার কন্যা" এবং "আমার ভাঙা ঘরে" গান দুটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে।<ref name="আলম-২০১৮">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=আলম |প্রথমাংশ1=স. ম. শামসুল |শিরোনাম=হুমায়ূন আহমেদ : সঙ্গীতসাহিত্যে |ইউআরএল=http://www.bhorerkagoj.com/print-edition/2018/07/20/202699.php |সংগ্রহের-তারিখ=৬ ডিসেম্বর ২০১৮ |কর্ম=[[দৈনিক ভোরের কাগজ]] |তারিখ=২০ জুলাই ২০১৮}}</ref> প্রথম গানটিতে কণ্ঠ দিয়ে গায়ক [[সুবীর নন্দী]] [[বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী|শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী]] বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।<ref name="deshebideshe"/>
 
=== ২০০০-এর দশক ===
২০০০ সালে [[অমর একুশে গ্রন্থমেলা]]য় প্রকাশিত হয় তার রচিত উপন্যাস ''বৃষ্টিবিলাস''। মধ্যবিত্ত পরিবারের টান পোড়ন নিয়ে লেখা বইটি তার সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের একটি। ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই বইটির দ্বাদশ মুদ্রনমুদ্রণ বের করতে হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=তালাশ |প্রথমাংশ1=তাইফুর রহমান |শিরোনাম=হুমায়ুন আহমেদের বৃষ্টি বিলাস |ইউআরএল=https://www.priyo.com/articles/হুমায়ুন-আহমেদের-বৃষ্টি-বিলাস |সংগ্রহের-তারিখ=১৩ নভেম্বর ২০১৮ |কর্ম=প্রিয়.কম |তারিখ=১ মে ২০১৩}}</ref>
২০০১ সালে ''[[দুই দুয়ারী]]'' চলচ্চিত্র সকল শ্রেণির দর্শকদের কাছে দারুন গ্রহণযোগ্যতা পায়। ছবিতে জাদু বাস্তবতার প্রকাশ পায় [[রিয়াজ]] অভিনীত রহস্য মানব চরিত্রের আশ্চর্য উপায়ে মানুষের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের চিত্রায়নের মধ্য দিয়ে।<ref name="খোকন-২০১৮">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=খোকন |প্রথমাংশ1=রেজাউল করিম |শিরোনাম=চলচ্চিত্রে হুমায়ূন আহমেদ |ইউআরএল=http://www.bhorerkagoj.com/print-edition/2018/07/20/202698.php |সংগ্রহের-তারিখ=৬ ডিসেম্বর ২০১৮ |কর্ম=[[দৈনিক ভোরের কাগজ]] |তারিখ=২০ জুলাই ২০১৮}}</ref> এই চরিত্রে অভিনয় করে রিয়াজ শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৩-এ নির্মাণ করে জমিদারদের কঠোর মনোভাব, বিলাসিতা আর শিল্পকর্মের প্রতি গভীর অনুরাগ নিয়ে চিত্রিত চলচ্চিত্র ''[[চন্দ্রকথা]]''। এই ছবিতে তিনি একই সাথে মানবতা ও নিষ্ঠুরতার প্রতিফলন ঘটান।<ref name="খোকন-২০১৮"/> ১৯৭১-এ [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের]] প্রেক্ষাপটে ২০০৪ সালে নির্মাণ করেন ''[[শ্যামল ছায়া]]'' চলচ্চিত্রটি। এটি ২০০৬ সালে [[শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কার]]ের জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।<ref name="d509151401103" >{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/2005/09/15/d509151401103.htm |শিরোনাম=Honours Shyamol Chhaya going to the Oscars |তারিখ=১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৫|কর্ম=দ্য ডেইলি স্টার|ভাষা=ইংরেজি |শেষাংশ=কমল|প্রথমাংশ=এরশাদ|সংগ্রহের-তারিখ=১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২|অবস্থান=ঢাকা}}</ref> এছাড়াও চলচ্চিত্রটি কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়।<ref name="d602151403107" >{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/2006/02/15/d602151403107.htm |শিরোনাম=Honours Shyamol Chhaya going to the Oscars |তারিখ=১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৬|কর্ম=দ্য ডেইলি স্টার|ভাষা=ইংরেজি |সংগ্রহের-তারিখ=১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২|অবস্থান=ঢাকা}}</ref> ২০০৪ সালে প্রকাশিত হয় তাঁরতার রচিত যুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ''[[জোছনা ও জননীর গল্প]]''।<ref name="দেব-বাংলানিউজ-২০১৭">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ1=দেব|প্রথমাংশ1=শেখর|শিরোনাম=হুমায়ূন আহমেদ : জোছনা ও জননীর গল্প|ইউআরএল=http://www.banglanews24.com/art-literature/news/bd/588592.details|সংগ্রহের-তারিখ=১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮|কর্ম=[[বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম]]|তারিখ=১৯ জুলাই ২০১৭}}</ref>
 
==== বিবাহবিচ্ছেদ ও দ্বিতীয় বিবাহ ====
১১৭ ⟶ ১১৬ নং লাইন:
[[File:Humyun ahmed signing a book.jpg|থাম্ব|200px|আহমেদ বইয়ে অটোগ্রাফ দিচ্ছেন (২০১০)।]]
==== ঘেটুপুত্র কমলা ও দেয়াল====
''[[ঘেটুপুত্র কমলা]]'' (২০১২) তাঁরতার পরিচালিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি [[৮৫তম একাডেমি পুরস্কার|৮৫তম একাডেমি পুরস্কারে]] [[সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র হিসেবে একাডেমি পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশী নিবেদন|সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র]] বিভাগের জন্য বাংলাদেশ থেকে নিবেদন করা হয়েছিল।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=অস্কারে যাচ্ছে ‘ঘেটুপুত্র কমলা’|ইউআরএল=http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2012-09-18/news/290506|সংগ্রহের-তারিখ=১৬ নভেম্বর ২০১৭|কর্ম=[[দৈনিক প্রথম আলো]]|তারিখ=১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২}}</ref> ২০১২ সালের মে মাসে [[দৈনিক প্রথম আলো]]র সাহিত্য সাময়িকীকে ''[[দেয়াল (উপন্যাস)|দেয়াল]]'' উপন্যাসের দুটি অধ্যায় প্রকাশিত হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=দেয়াল |ইউআরএল=http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2012-07-27/news/277120 |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ নভেম্বর ২০১৮ |কর্ম=[[দৈনিক প্রথম আলো]] |তারিখ=২৭ জুলাই ২০১২}}</ref> সেখানে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি [[শেখ মুজিবুর রহমান]]কে সপরিবারে হত্যার ঘটনার বিবরণে তথ্যগত ভুল থাকায় আদালত তা সংশোধনের নির্দেশ দেয় এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=হুমায়ূন আহমেদের ‘দেয়াল' উপন্যাস প্রকাশে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা |ইউআরএল=http://www.dailysangram.com/post/85465-হুমায়ূন-আহমেদের-দেয়াল-উপন্যাস-প্রকাশে-হাইকোর্টের-নিষেধাজ্ঞা |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ নভেম্বর ২০১৮ |কর্ম=[[দৈনিক সংগ্রাম]] |তারিখ=১৬ মে ২০১২}}</ref> এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের ভাষ্যমতে,
{{উক্তি|''বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে খন্দকার মোশতাক আহমেদ জড়িত ছিলেন বলে মামলার সাক্ষ্য প্রমাণে উঠে এসেছে। কিন্তু মোশতাক আহমেদ কিছুই জানতেন না, এমনটাই তুলে ধরা হয়েছে ঐ উপন্যাসে।''<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=কল্লোল |প্রথমাংশ1=কাদির |শিরোনাম='দেয়াল' উপন্যাস নিয়ে আদালতের নির্দেশ |ইউআরএল=https://www.bbc.com/bengali/news/2012/05/120515_bd_humayun_book |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ নভেম্বর ২০১৮ |কর্ম=[[বিবিসি বাংলা]] |তারিখ=১৫ মে ২০১২}}</ref>}}
তবে এ প্রসঙ্গে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] অধ্যাপক ও সাহিত্যিক [[সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম]] বলেন, "দেয়াল কোনো রাজনৈতিক উপন্যাস নয়, এ এক ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাস৷ এতে ইতিহাসের খলনায়কদেরকে খলনায়ক হিসেবেই দেখানো হয়েছে"।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=সোমা |প্রথমাংশ1=আফরোজা |শিরোনাম=হুমায়ূন আহমেদের ‘দেয়াল’ ‘রাজনৈতিক উপন্যাস নয়’ |ইউআরএল=https://www.dw.com/bn/হুমায়ূন-আহমেদের-দেয়াল-রাজনৈতিক-উপন্যাস-নয়/a-15956753 |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ নভেম্বর ২০১৮ |কর্ম=ডয়চে ভেলে |তারিখ=২০ জুলাই ২০১২}}</ref> পরবর্তীকালে হুমায়ূন আহমেদ কর্তৃক সংশোধিত বইটি অন্যপ্রকাশ ২০১৩ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশ করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=অবশেষে বইমেলায় হুমায়ূনের শেষ উপন্যাস 'দেয়াল' |ইউআরএল=https://www.banglanews24.com/art-literature/news/bd/175767.details |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ নভেম্বর ২০১৮ |কর্ম=[[বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম]] |তারিখ=২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=জামিল |প্রথমাংশ1=নওশাদ |শিরোনাম=অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৩ - আগ্রহের কেন্দ্রে 'দেয়াল' |ইউআরএল=http://www.kalerkantho.com/print-edition/Court/2013/02/21/326573 |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ নভেম্বর ২০১৮ |কর্ম=[[দৈনিক কালের কণ্ঠ]] |তারিখ=২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ |ভাষা=bn}}</ref>
১২৫ ⟶ ১২৪ নং লাইন:
জীবনের শেষভাগে [[ঢাকা]] শহরের অভিজাত আবাসিক এলাকা [[ধানমন্ডি|ধানমন্ডির]] ৩/এ রোডে নির্মিত ''দখিন হাওয়া'' ভবনের একটি ফ্লাটে তিনি বসবাস করতেন। খুব ভোর বেলা ওঠা অভ্যাস ছিল তাঁর, ভোর থেকে সকাল ১০-১১ অবধি লিখতেন তিনি। মাটিতে বসে লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। কখনো অবসর পেলে ছবি আঁকতেন।
 
২০১১-এর সেপ্টেম্বের মাসে [[সিঙ্গাপুর|সিঙ্গাপুরে]] ডাক্তারী চিকিৎসার সময় তাঁরতার দেহে [[মলাশয়ের ক্যান্সার]] ধরা পড়ে। তিনি নিউইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান-কেটরিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। তবে টিউমার বাইরে ছড়িয়ে না-পড়ায় সহজে তাঁরতার চিকিৎসা প্রাথমিকভাবে সম্ভব হলেও অল্প সময়ের মাঝেই তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ১২ দফায় তাঁকেতাকে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পর তাঁরতার কিছুটা শারীরিক উন্নতি হলেও, শেষ মুহূর্তে শরীরে অজ্ঞাত ভাইরাস আক্রমণ করায় তাঁরতার অবস্থা দ্রুত অবনতির দিকে যায়। [[মলাশয়ের ক্যান্সার|মলাশয়ের ক্যান্সারে]] আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ নয় মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন। কৃত্রিমভাবে লাইভ সাপোর্টে রাখার পর ১৯শে জুলাই ২০১২ তারিখে তিনি [[নিউ ইয়র্ক|নিউ ইয়র্কের]] বেলেভ্যু হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল= |শিরোনাম=নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ আর নেই |প্রকাশক=একাত্তর.টিভি |লেখক=মাহবুব সাঈফ |তারিখ=২০ জুলাই ২০১২ |সংগ্রহের-তারিখ=১ মে ২০১৬}}</ref> তাঁকে [[নুহাশ পল্লী]]তে দাফন করা হয়।
 
==রচনাশৈলী==
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দুই শতাধিক গল্পগ্রন্থ ও উপন্যাস রচনা করেছেন। তাঁরতার রচনার প্রধান কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম হলো 'গল্প-সমৃদ্ধি'। এছাড়া তিনি অনায়াসে ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে অতিবাস্তব ঘটনাবলীর অবতারণা করেন যাকে একরূপ [[যাদু বাস্তবতা]] হিসেবে গণ্য করা যায়।<ref name=bio/> তাঁরতার গল্প ও উপন্যাস সংলাপপ্রধান। তাঁরতার বর্ণনা পরিমিত এবং সামান্য পরিসরে কয়েকটি মাত্র বাক্যের মাধ্যমে চরিত্র চিত্রণের অদৃষ্টপূর্ব প্রতিভা তাঁরতার রয়েছে। যদিও সমাজসচেতনতার অভাব নেই তবু লক্ষ্যণীয় যে তাঁরতার রচনায় রাজনৈতিক প্রণোদনা অনুপস্থিত। সকল রচনাতেই একটি প্রগাঢ় শুভবোধ ক্রিয়াশীল থাকে; ফলে 'নেতিবাচক' চরিত্রও তাঁরতার লেখনীতে লাভ করে দরদী রূপায়ণ। এ বিষয়ে তিনি মার্কিন লেখক স্টেইনবেক[[জন স্টাইনবেক]] দ্বারা প্রভাবিত। অনেক রচনার মধ্যে তাঁরতার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং উপলব্ধির প্রচ্ছাপ লক্ষ্য করা যায়। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রচিত উপন্যাস ''[[মধ্যাহ্ন]]'' তাঁরতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে পরিগণিত। এছাড়া ''[[জোছনা ও জননীর গল্প]]'' আরেকটি বড় মাপের রচনা, যা কি-না ১৯৭১-এ [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ]] অবলম্বন করে রচিত। তবে সাধারণত তিনি সমসাময়িক ঘটনাবলী নিয়ে লিখতেন।<ref name="bonikbarta.com"/>
 
==দর্শক ও সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া==
[[নোবেল পুরস্কার|নোবেল]] বিজয়ী [[বাংলাদেশী]] অর্থনীতিবিদ [[মুহাম্মদ ইউনূস]] হুমায়ূন আহমেদের সামগ্রিক প্রভাব মূল্যায়ন করে বলেন, "হুমায়ূনের কাজসমূহ সাহিত্যে [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] ও [[কাজী নজরুল ইসলাম]]ের পরে সবচেয়ে গভীর ভাবসম্পন্ন ও সবচেয়ে ফলপ্রসূ।"<ref name="toi-15515838">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://timesofindia.indiatimes.com/nri/citizen-journalists/citizen-journalists-reports/rashidul-bari/Tears-for-Humayun-Ahmed-The-Shakespeare-of-Bangladesh/articleshow/15515838.cms|শিরোনাম=Tears for Humayun Ahmed: The Shakespeare of Bangladesh|প্রথমাংশ=রাশিদুল|শেষাংশ=বারী|তারিখ=১৬ আগস্ট ২০১২|সংগ্রহের-তারিখ=১৭ নভেম্বর ২০১৭ |প্রকাশক=[[দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া]]|ভাষা=ইংরেজি}}</ref> একই রকমভাবে, বাংলাদেশী কবি [[আল মাহমুদ]] তাঁরতার সম্পর্কে বলেন, "[[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|ঠাকুর]] ও [[কাজী নজরুল ইসলাম|নজরুলের]] মধ্য দিয়ে [[বাংলা সাহিত্য|বাংলা সাহিত্যের]] একটি স্বর্ণযুগ শেষ হয়েছে এবং আরেকটি শুরু হয়েছে হুমায়ূন আহমেদের মধ্য দিয়ে।"<ref name="toi-15515838"/> [[বাংলাদেশী]] লেখক [[ইমদাদুল হক মিলন]] তাঁকেতাকে "বাংলা সাহিত্যের সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকারী" বলে উল্লেখ করেন, যিনি তাঁরতার সৃষ্ট চরিত্রের সকল কাজ ও চিন্তা-ভাবনা নিয়ন্ত্রণ করেন।"<ref name="toi-15515838"/> [[বাঙালি]] লেখক [[সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়]] তাঁকেতাকে "বাংলা সাহিত্যে একটি শতাব্দীর সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক" উল্লেখ করেন,<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ=মুস্তফা|প্রথমাংশ=সাবির|তারিখ=২০ জুলাই ২০১২ |শিরোনাম=Bangladesh's most enduring storyteller |ইউআরএল=http://www.bbc.co.uk/news/world-asia-18930073 |কর্ম=[[বিবিসি নিউজ]] |ভাষা=ইংরেজি |সংগ্রহের-তারিখ=১৭ নভেম্বর ২০১৭}}</ref> এবং তার মতে "আহমেদ [[শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|শরৎচন্দ্র চট্টোপাধায়ের]] চেয়েও জনপ্রিয় ছিলেন।"<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম='End of a new era in Bengali literature' |ইউআরএল=http://www.theindependentbd.com/paper-edition/frontpage/129-frontpage/122280-end-of-a-new-era-in-bengali-literature.html |সংবাদপত্র=[[দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট (বাংলাদেশ)|দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট]]|ভাষা=ইংরেজি |সংগ্রহের-তারিখ=১৭ নভেম্বর ২০১৭ |অবস্থান=ঢাকা |তারিখ=২২ জুলাই ২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=yes |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120825092915/http://www.theindependentbd.com/paper-edition/frontpage/129-frontpage/122280-end-of-a-new-era-in-bengali-literature.html |আর্কাইভের-তারিখ=২৫ আগস্ট ২০১২}}</ref> বাঙালি লেখক [[শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়]] তাঁকেতাকে "উপমহাদেশের অন্যতম সেরা লেখক" বলে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশী লেখক ও [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক [[সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম]] বলেন, "তিনি বাংলা সাহিত্যে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন।" পাকিস্তানের প্রাচীনতম ও সর্বাধিক পঠিত ইংরেজি সংবাদপত্র ''ডন'' তাঁকেতাকে "বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক কিংবদন্তি" বলে উল্লেখ করেন।করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Bangladesh mourns death of cultural legend Humayun Ahmed |ইউআরএল=http://dawn.com/2012/07/20/bangladesh-mourns-death-of-cultural-legend-humayun-ahmed/ |সংবাদপত্র=ডন |ভাষা=ইংরেজি |এজেন্সি=আজঁস ফ্রঁস-প্রেস |অবস্থান=ঢাকা|তারিখ=২০ জুলাই ২০১২|সংগ্রহের-তারিখ=১৭ নভেম্বর ২০১৭}}</ref>
 
== উত্তরাধিকার ==
১৪২ ⟶ ১৪১ নং লাইন:
== সৃষ্টিকর্ম ==
{{মূল নিবন্ধ|হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টিকর্ম}}
[[চিত্র:দেয়াল (উপন্যাস).jpeg|left|থাম্ব|200px|হুমায়ূন আহমেদের সর্বশেষ উপন্যাস [[দেয়াল (উপন্যাস)|দেয়ালের]] প্রচ্ছদ]]
===নির্বাচিত সাহিত্যকর্ম===
{{div col}}
* [[নন্দিত নরকে]]
* [[শঙ্খনীল কারাগার]]
* [[বহুব্রীহি]]
* [[কবি (হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস)|কবি]]
* [[জোছনা ও জননীর গল্প]]
* [[মধ্যাহ্ন]]
* [[বাদশাহ নামদার]]
* [[দেয়াল (উপন্যাস)|দেয়াল]]
* [[প্রিয়তমেষু]]
* [[বহুব্রীহি]]
* [[অপেক্ষা (উপন্যাস)|অপেক্ষা]]
* [[বাদশাহ নামদার]]
* [[ইস্টিশন]]
* [[দেয়াল (উপন্যাস)|দেয়াল]]
* [[আমাদের শাদা বাড়ি]]
* [[যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ]]
{{div col end}}
 
===চলচ্চিত্রের তালিকা===
[[চিত্র:আমার আছে জল.jpg|right|থাম্ব|200px|আমার আছে জল সিনেমার ডিভিডি'র মোড়রকে ব্যবহৃত ছবি]]
[[চিত্র:ঘেটু পুত্র কমলা.jpg|right|থাম্ব|200px|হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ঘেটু পুত্র কমলার বাণিজ্যিক পোস্টার]]
বাংলা চলচ্চিত্রে হুমায়ুন আহমেদ একাধারে চিত্রনাট্যকার এবং পরিচালক। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো
{| class="wikitable sortable plainrowheaders"
২০১ ⟶ ১৯৪ নং লাইন:
===নির্বাচিত টেলিভিশন নাটক===
{{মূল নিবন্ধ|হুমায়ূন আহমেদের নাটক}}
[[চিত্র:উড়ে যায় বকপক্ষী.jpg|right|থাম্ব|200px|হুমায়ূন আহমেদের ধারাবাহিক নাটক উড়ে যায় বকপক্ষীর আনঅফিসিয়াল পোস্টার]]
{{div col}}
* প্রথম প্রহর
২২০ ⟶ ২১২ নং লাইন:
 
== পুরস্কার ও সম্মাননা ==
হুমায়ুন আহমেদ তাঁরতার অসংখ্য বহুমাত্রিক সৃষ্টির জন্য নানা পুরস্কারে ভূষিত হন। বাংলা কথাসাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৩ সালে লেখক শিবির পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা উপন্যাসে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৮১ সালে [[বাংলা একাডেমি পুরস্কার]] লাভ করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ শিশু একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি মাইকেল মধুসুদন পদক লাভ করেন। ১৯৯০ সালে তিনি হুমায়ূন কাদির স্মৃতি পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদক লাভ করেন।
 
১৯৯২ সালের ''[[শঙ্খনীল কারাগার (চলচ্চিত্র)|শঙ্খনীল কারাগার]]'' চলচ্চিত্রের জন্য তিনি [[বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার|শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার]] বিভাগে তাঁরতার প্রথম [[জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)|জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] লাভ করেন।<ref name="১৯৭৫-২০১২">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তদের নামের তালিকা (১৯৭৫-২০১২) |ইউআরএল=http://www.fdc.gov.bd/site/page/f3bb17fe-d9ad-4b61-bd8a-5824262691ad/১৯৭৫-২০১২ |কর্ম=বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন |সংগ্রহের-তারিখ=১৮ অক্টোবর ২০১৫}}</ref> বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য [[বাংলাদেশ সরকার]] তাঁকেতাকে ১৯৯৪ সালে দেশের দ্বিতীয় বেসামরিক সম্মাননা [[একুশে পদক|একুশে পদকে]] ভূষিত করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=একুশে পদকপ্রাপ্ত সুধীবৃন্দ|ইউআরএল=http://www.moca.gov.bd/site/page/c706da0c-29ee-4f0f-95d9-fa6705e19001/একুশে-পদকপ্রাপ্ত-সূধীবৃন্দ|ওয়েবসাইট=সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়|সংগ্রহের-তারিখ=১৬ নভেম্বর ২০১৭}}</ref> একই বছরের ''[[আগুনের পরশমণি (চলচ্চিত্র)|আগুনের পরশমণি]]'' চলচ্চিত্রের জন্য [[বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র|শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র]], শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার ও [[বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা|শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা]] বিভাগে তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।<ref name="১৯৭৫-২০১২"/> ''[[শ্রাবণ মেঘের দিন]]'' (১৯৯৯) চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার ও শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে [[বাচসাস পুরস্কার]] অর্জন করেন।<ref name="deshebideshe"/> এছাড়া চলচ্চিত্রটি [[সাইট অ্যান্ড সাউন্ড]] ম্যাগাজিনের জরিপে সমালোচকদের বিচারে সেরা দশ বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের তালিকায় নবম স্থান লাভ করে।<ref name="Jinsie"/>
 
তাঁরতার উপন্যাস অবলম্বনে [[তৌকির আহমেদ]] নির্মিত ''[[দারুচিনি দ্বীপ (চলচ্চিত্র)|দারুচিনি দ্বীপ]]'' (২০০৭) চলচ্চিত্রের জন্য তিনি [[বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার|শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার]] বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।<ref name="TDS-52684" >{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=52684 |শিরোনাম=National Film Awards for the last fours years announced|অনূদিত-শিরোনাম=চার বছরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা|তারিখ=১ সেপ্টেম্বর ২০০৮|কর্ম=দ্য ডেইলি স্টার|অবস্থান=ঢাকা|সংগ্রহের-তারিখ=১৬ নভেম্বর ২০১৭}}</ref> ''[[আমার আছে জল]]'' (২০০৮) চলচ্চিত্রের জন্য তিনি [[মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার|১১তম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে]] সমালোচক পুরস্কার শাখায় [[শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালকের জন্য মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কার|শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক]] বিভাগে মনোনয়ন লাভ করেন। তাঁরতার উপন্যাস অবলম্বনে [[মোরশেদুল ইসলাম]] নির্মিত ''[[প্রিয়তমেষু (চলচ্চিত্র)|প্রিয়তমেষু]]'' (২০০৯) চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার বিভাগে [[বাচসাস পুরস্কার]] অর্জন করেন।<ref name="deshebideshe"/> ''[[ঘেটুপুত্র কমলা]]'' (২০১২) চলচ্চিত্রের জন্য তিনি [[বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পরিচালক|শ্রেষ্ঠ পরিচালক]] এবং শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://archive.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDJfMDdfMTRfMV8yXzFfMTA3MDk0 |শিরোনাম='জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১২' ঘোষণা |সংবাদপত্র=[[দৈনিক ইত্তেফাক]] |তারিখ=৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ |সংগ্রহের-তারিখ=১৬ নভেম্বর ২০১৭}}</ref> এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি [[মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার|১৫তম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে]] সমালোচক পুরস্কার শাখায় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালকের পুরস্কার লাভ করেন। তাঁরতার উপন্যাস অবলম্বনে মোরশেদুল ইসলাম নির্মিত ''[[অনিল বাগচীর একদিন (চলচ্চিত্র)|অনিল বাগচীর একদিন]]'' (২০১৫) চলচ্চিত্রের জন্য তিনি [[৪০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)|৪০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে]] মরণোত্তর শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার লাভ করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=২০১৫ সালের ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ ঘোষণা |ইউআরএল=http://www.dailyjanakantha.com/details/article/269284/২০১৫-সালের-‘জাতীয়-চলচ্চিত্র-পুরস্কার’-ঘোষণা |সংবাদপত্র=[[দৈনিক জনকণ্ঠ]] |অবস্থান=ঢাকা, বাংলাদেশ|তারিখ=১৯ মে ২০১৭ |সংগ্রহের-তারিখ=১৬ নভেম্বর ২০১৭}}</ref>
 
== আরো দেখুন ==
* [[হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টিকর্ম]]
 
{{portalbar|হুমায়ূন আহমেদ|বাংলা সাহিত্য|বাংলা চলচ্চিত্র}}
 
== তথ্যসূত্র ==
২৪০ ⟶ ২৩০ নং লাইন:
== বহিঃসংযোগ ==
{{কমন্স বিষয়শ্রেণী|Humayun Ahmed}}
{{portalbarপ্রবেশদ্বার|হুমায়ূন আহমেদ|বাংলা সাহিত্য|বাংলা চলচ্চিত্র}}
* [http://www.humayunahmed.org হুমায়ুন আহমেদ ডট অৰ্গ]- হুমায়ুন আহমেদ এর ওয়েবসাইট, আমার বই ডট কম সৌজন্যে
* {{বাংলাপিডিয়া}}