বার্মায় ব্রিটিশ শাসন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৯২ নং লাইন:
ব্রিটিশরা ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে [[ব্রিটিশ ভারত]] ভেঙে বর্মা প্রদেশটিকে পৃৃথক রাষ্ট্র ঘোষনা করে<ref>[http://www.time.com/time/magazine/article/0,9171,788006,00.html Sword For Pen], ''TIME Magazine'', 12 April 1937</ref> এবং তাদের এই উপনিবেশকে পূর্ণ নির্বাচন সমাবেশের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন সংবিধান রচনা করে৷ এর সাথে তারা প্রশাসনিকসহ বিভিন্ন পদে স্থানীয় বর্মীদের নিয়োগ করা শুরু করে৷ কিন্তু কিছু বর্মীর মতে এই বিভাজন নীতির ফলে ভারতীয় কোনো উন্নয়ন বা পুণর্গঠনে বর্মা চিরকালের জন্য বঞ্চিত হবে কারণ ভারতের লোকবল ছিলো বর্মার চেয়ে অনেক বেশি৷ [[বা মাও]] বর্মার প্রথম প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হন কিন্তু ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে উ সও তাকে এই পদ থেকে অব্যহতি দিতে বাধ্য করে৷ ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দ থেকে তিনি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হলেও জাপানের সাথে মিত্রতার কথা আঁচ করতে পেরে ব্রাটিশ সরকার ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ১৯ শে জানুয়ারী তাকে গ্রেপ্তার করলে তিনি প্রধানমন্ত্রীত্ব হারান৷
 
কেন্দ্রীয় বর্মার তৈলক্ষেত্রগুলি থেকে একাধিকবার ধর্মঘট-আন্দোলন ও প্রতিবাদ কর্মসূচী চলতে থাকে, এরকমই ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে ঘটে যাওয়া একটি আন্দোলন বর্মা জুড়ে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে৷ [[ইয়াঙ্গুন|রেঙ্গুনে]] জনসাধারণের সমর্থনে ছাত্র সংগঠনের পিকেটিন এবং বয়কট কর্মসূচী চলতে থাকে৷ ব্রিটিশ শাসনদণ্ড এই আন্দোলনের জন্য ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদী সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করলে তাদের সেনাবাহিনী রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ে ধরপাকড় শুরু করে ও "আউংআং কিয়ৌ" নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়৷ মান্দালয়ে পুলিশবাহিনীবিদ্রোহীদের জনসমাবেশে এলোপাথারি গুলি ছুঁড়লে ১৭ জন বৌদ্ধসন্যাসীর ঘটনস্থলেই মৃত্যু হয়৷ এর পর থেকে এই রক্তক্ষয়ী আন্দোলন মিয়ানমারের বর্মীপঞ্জিতে "১৩০০র বিপ্লব" বা স্থানীয় ভাষায় হ্তাউং থৌন ইয়াব্যেই আয়ৈদবোন" নামে পরাচিত৷<ref name="ms"/> এবং ২০ শে ডিসেম্বর দিনটিতে এই আন্দোলনের প্রথম শহিদকে স্মরণ করে [[বো আউংআং কিয়ৌ দিবস]]<ref>{{cite web|url=http://www.burmalibrary.org/reg.burma/archives/199912/msg00642.html|title=The Statement on the Commemoration of Bo Aung Kyaw|publisher=All Burma Students League|date=19 December 1999|accessdate=23 October 2006}}</ref>
 
==দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন==
{{Main|বর্মায় জাপানের অধিগ্রহণ}}
[[File:The_British_Army_in_Burma_1944_SE2911.jpg|thumb|right|১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে বর্মায় ব্রিটিশবাহিনীর অবস্থান]]
[[জাপান সাম্রাজ্য|জাপান]] ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে বর্মা আক্রমণ করে এবং ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে রাজধানী [[ইয়াঙ্গুন|রেঙ্গুনে]] সরাসরি এই ঘোষনা করা হয়৷ জাপান কখনোই সম্পূর্ণ ব্রিটিশ বর্মার ওপর নিজের আধিপত্য কায়েম করতে পারেনি, যদিও জাপানের কার্যকলাপ সন্দেহজনক ও বেশ অনুপ্রবেশপ্রবণ ছিলো৷ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্যান্য উপনিবেশগুলির ক্ষেত্রে জাপানের এই নীতির লক্ষ্য করা যায় না৷ ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশরা বর্মায় [[ব্রিটিশ ভারতীয় সেনা]] নামালে তারা জাপানি অনুপ্রবেশ সরিয়ে বর্মায় আবার নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়৷
 
==জাপানের আত্মসমর্পণ ও আং সানের গুপ্তহত্যা==
 
==তথ্যসূত্র==