বার্মায় ব্রিটিশ শাসন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৮৫ নং লাইন:
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ডিযেম্বর মাসে [[সায়া সান]]-এর নেতৃৃত্বে থেরাবতী অঞ্চলে স্থানীয় কৃষিকর সংক্রান্ত বিদ্রোহ শুরী হয় যা আঞ্চলিক বিদ্রোহ থেকে ক্রমশ সরকারবিরোধী দেশব্যপী বিদ্রোহের রূপ নেয়৷ আন্দোলন দুবছর ধরে চলে৷ আন্দোলনকারীরা ব্রিটিশ বাহিনীকে নাগ অর্থাৎ [[সাপ|সাপের]] সাথে তুলনা করে নিজেদের সংগঠনের চিহ্ন হিসাবে নাগনাশী [[গরুড়]]কে (স্থানীয় উচ্চারণ গলোন) চয়ন করে৷ বাদ্রোহ দমনের জন্য হাজার হাজার ব্রিটিশ সৈন্য নিয়োগ করা হয়, বহু স্থানীয় নেতা গ্রেপ্তার ও কৃৃষক লুন্ঠনের পর রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতিদানের মাধ্যমে আন্দোলন সফল হয়৷ সায়া সানের এই নেতৃত্ব তাকে ভবিষ্যতে বর্মী জাতীয়তাবাদী মুখ করে তুলেছিলো৷ অন্যান্য যারা এই বিদ্রোহে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন তারা হলেন মাউবিন থেকে "বা মউ" এবং ওকফো থেকে "উ সও"৷<ref name="ms"/>
 
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে ''[[ডোবামা এশিয়ায়োয়ান]]'' (আমরা বর্মী সংগঠন) প্রতিষ্টা করা হয়, যাদের সদস্যরা নিজেদের "থাকিন" বলে উল্লেখ করতো ("থাকিন" শব্দটি একটি বর্মী শব্দ যার ইংরাজী অর্থ "মাষ্টার" বা ভারতীয় শব্দ "সাহেব"-এর সাথে অধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ)৷ তারা নিজেদেরকে দেশের রক্ষাকর্তা মনে করতো এবং উপনিবেশবিরোধী কার্যকলাপে নিযুক্ত থাকতো৷<ref name="ms"/> দ্বিতীয়বারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলনটি হয় ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে৷ একই সময়ে [[ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়|রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ে]] একটি দেওয়াল পত্রিকার লেখার ওপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চপদস্থ আধিকারিক আক্রমনের সম্মুখীন হয়৷ এইসময়ে ছাত্রনেতা হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে "আউং সান" এবং "কো নু" নাম দুটি উঠে আসে যাদের নেতৃত্বে ছাত্র আন্দোলন ফলপ্রসু এবং অগ্নগর্ভ হয়ে উঠেছিলো৷ এই আন্দোলন [[মান্দালয়]] অবধি ছড়িয়ে পড়ে এবং "অল বর্মা স্টুডেন্ট ইউনিয়ন" (আবসু) বা নিখিল বর্মা ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠা পায়৷ "আউং সান" এবং "কো নু" উভয়েই ছাত্র আন্দোলনের মুখ থেকে দেশব্যাপী থাকিন আন্দোলনে যোগ দেয়৷<ref name="ms"/>
 
==তথ্যসূত্র==