উলানবাটর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
চত্ত্বর -->চত্বর |
|||
১০৬ নং লাইন:
'''উলান বাটর''' বা '''উলান বাতার''' ([[মঙ্গোলীয় ভাষা|মঙ্গোলীয়]]: Улаанбаатар, ᠤᠯᠠᠭᠠᠨᠪᠠᠭᠠᠲᠤᠷ [[আ-ধ্ব-ব]] [ʊɮɑnpɑːtʰɑ̆r] ''উল্বান্পাথার্'', অর্থাৎ "লাল বীর") (প্রাক্তন '''উর্গা''' বা '''নিসলেল খুরেরে''') পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র [[মঙ্গোলিয়া]]র রাজধানী ও প্রধান শহর। শহরটি সমুদ্র সমতল থেকে ১৩৫০ মিটার উচ্চতায় একটি ঝঞ্ঝাপীড়িত মালভূমির উপরে তুল নদীর তীরে অবস্থিত। মঙ্গোলীয় রাজপুত্রেরা এটিকে একটি মৌসুমী অভিবাসনমূলক আবাসস্থল হিসেবে পত্তন করেছিলেন। পরে ১৬৩৯ সালে দা খুরে মঠ নির্মাণের মাধ্যমে শহরটি বর্তমান অবস্থানে স্থায়ী হয়। এই ভবনটি তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মের (মঙ্গোলরা যে ধর্মের অনুসারী) বোদগো-গেগেন তথা উচ্চ যাজকের বাসভবনে পরিণত হয় এবং আরও প্রায় ২০০ বছর এ কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু তখনও এটি যাযাবর এক মঠের শহর হিসেবেই বিদ্যমান ছিল। রুশরা দা খুরে মঠটিকে উর্গা নামে ডাকত; তারা চীন ও রাশিয়ার মধ্যে একটি বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে এখানে একটি শহর গড়ে তোলে। ১৯১১ সালে বহির্দেশীয় মঙ্গোলিয়া নিজেকে স্বাধীন ঘোষণা করলে শহরটিকে নিসলেল খুরেরে (অর্থাৎ "মঙ্গোলিয়ার রাজধানী")। ১৯২১ সালে সোভিয়েত লাল বাহিনী এবং মঙ্গোলিয়ার বিপ্লবী নেতা দামদিনি স্যুবাতার শহরটির নিয়ন্ত্রণ হাতে নেন। উলান বাতারের ধর্মীয় ভবনগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯২৪ সালে মঙ্গোলিয়াকে একটি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করা হলে শহরটিকে উলান বাতার নাম দেওয়া হয়, যার অর্থ "লাল নেতা"।
সোভিয়েত সাহায্য নিয়ে একটি নতুন শহর পরিকল্পনা করা হয়, যার কেন্দ্রে ছিল স্যুবাতার
উলান বাতার মঙ্গোলিয়ার প্রধান শিল্পকেন্দ্র। এখানে অবস্থিত শিল্প এলাকাটিতে বিভিন্ন ধরনের ভোগদ্রব্য প্রস্তুত করা হয়। এখানে সিমেন্ট, লোহা ও ইট প্রস্তুত, জুতা ও বস্ত্র প্রস্তুত, যানবাহন মেরামত, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও অন্যান্য কারখানা আছে। শহরটি একটি রেলপথ<ref name="Official">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://ulaanbaatar.mn|শিরোনাম=Ulaanbaatar Official Web Portal|প্রকাশক=Ulaanbaatar.mn|সংগ্রহের-তারিখ=24 November 2013}}</ref> এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমে চীন ও রাশিয়ার সাথে সংযুক্ত। শহরের উত্তর-পূর্বে হেনতিন পর্বতমালার সুদৃশ্য অরণ্যাবৃত শৃঙ্গগুলি এসে মিলেছে।
|