রাজা সীতারাম রায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎শৈশব ও যৌবন: সংশোধন
৩৩ নং লাইন:
==কর্ম জীবন==
===জমিদার===
জায়গিরদারী লাভ করার পরে তিনি একটি নিজস্ব সৈন্য বাহিনী গঠনে সচেষ্ট হন। সীতারামের সৈন্যদলে বহু মুসলমান সৈনিক ছিলেন। শোনা যায়, তিনি মুসলমান সেনাপতিদিগকে ভাই বলিয়া ডাকিতেন এবং হিন্দু মুসলমানের মিলনের জন্য সতত চেষ্টিত ছিলেন।বাগের হাটের খাঁন জাহান আলী মতো সীতারামেরও একদল বেলদার সৈন্য ছিল।ঢাকায় তার সাথে একজন ভাড়াটে সৈনিক রামরূপ ঘোষের পরিচয় হয়েছিল। করিম খানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তিনি তার সহযোগী ছিলেন। রামরুপ কুস্তিতে পারদর্শী ছিলেন। তিনি মেনা হাতি নামে পরিচিত ছিলেন। কারণে কোন এক সময় তিনি খালি হাতে একটি ছোট হাতি হত্যা করেছিলেন। রামরূপ সীতারামের সামরিক বাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন।সীতারামহন। সীতারাম ভূষণার কর্তৃত্ব লাভ করার পর তিনি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকদেরকে নিয়ে বাহিনী গঠন করেন। মেনাহাতী, রূপচাঁদ ঢালী, বকতিয়ার খান, মৃতরা সিংহ, গোবর দলন প্রমুখ বিখ্যাত সেনাপতিরা সীতারামের বিখ্যাতসৈন্যবাহিনীতে সেনাপতি।যোগদান করেছিলেন। মাগুরা ও ফরিদপুর জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় আজও যার বীরত্ব গাথা লোকমুখে ফেরে- তিনি হলেন সীতারামের প্রধান সেনাপতি মেনাহাতী। মেনাহতীর প্রকৃত নাম রূপনারায়ণ বা রামরূপ ঘোষ। কেউ কেউ বলেন মৃন্ময় ঘোষ। মেনাহাতী নড়াইল জেলার অন্তর্গত রায় গ্রাম নিবাসী ঘোষ বংশের পূর্বপুরুষদের একজন। দৈর্ঘ্যে ৭ হাত, প্রকান্ড মস্তক বিশিষ্ট বিশাল দেহী ছোট খাট হস্তী সদৃশ্য বিধায় মেনাহাতী বলে তার এই খ্যাতি। তবে স্থানীয় জনশ্রুতি অনুযায়ী তিনি পিঁড়ি দিয়ে পিটিয়ে সীতারামের একটি হাতী হত্যা করেন বলে তাঁর নাম হয়েছিল মেনাহাতী। গ্রাম এলাকায় আজও কেউ কেউ তাকে মেলাই হাতী বলে জানে। রূপচাঁদ ঢালী সীতারামের অপর একজন সেনাপতি ছিলেন। রূপচাঁদের বংশধরগণ মহম্মদপুর উপজেলার খলিশাখালী গ্রামে দীর্ঘকাল ধরে বসবাস করেন বলে জানা যায়। রাজা সীতারামের অপর একজন সেনাপতি শিবরাম চক্রবর্তীর নামানুসারে মাগুরা শহরের অদূরে ‘শিবরামপুর’ গ্রাম অবস্থিত। তার বাহিনীর অপর এক সেনাপতি ছিল ফকির মাচ্চকাটা। বক্তিয়ার খান ছিল একজন পাঠান দস্যু । আমল বেগ নামে একজন মুঘল সৈন্য তার বাহিনীতে যোগদান করে।রাজা সীতারাম তাঁর এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় খ্যাতি অর্জন করেন। প্রাচীনকালে মাগুরা অঞ্চল সুন্দরবনের অংশ ছিল। বনাঞ্চলের আধিক্যের কারণে এ এলাকায় দস্যু তস্করদের উপদ্রব হতো। যদুনাথ ভট্টাচার্য তার ‘সীতারাম রায়’ গ্রন্থেরাখা, শ্যামা, রামা, মুম্ভো, বিশে, হরে, নিমে, কালা, দিনে, ভুলো, জগা ও জেদো এই ১২জন কুখ্যাত ডাকাতের উল্লেখ করেছেন। তিনি ভূষণা, হরিহর নগর, মহম্মদপুর, নলদী ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মগ ও ফিরিঙ্গী দস্যুদের কঠোর হস্তে দমন করেন।মুঘল সম্রাট শাহজাহানের মৃত্যুর পর সমগ্র [[সুবাহ বাংলা]] জুড়ে এক অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সমগ্র নলদী পরগনা জুড়ে দস্যুদের দৌরাত্ম্য শুরু হয়। এজন্য প্রাচীন কবিতার বলা হয়,
“ধন্য রাজা সীতারাম বাংলা বাহাদুর
যার বলেতে চুরি ডাকাতি হয়ে গেল দূর।