কেশবচন্দ্র সেন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
+
+
১ নং লাইন:
[[Image:Keshub Chunder Sen.jpg|right|thumb|200px|'''কেশবচন্দ্র সেন''' ]]
'''কেশবচন্দ্র সেন''' ([[১৯ নভেম্বর]] [[১৮৩৮]] – [[৮ জানুয়ারি]] [[১৮৮৪]]) প্রখ্যাতছিলেন ধর্মপ্রচারকবিশিষ্ট ব্রাহ্মনেতা, বক্তাসমাজ-সংস্কারক।বাঙালি হিন্দু সমাজের অন্যতম ধর্মসংস্কারক। ব্রহ্মানন্দ উপাধিতে ভূষিত কেশবচন্দ্র শুধুমাত্র [[বাংলার নবজাগরণ|বাংলার নবজাগরণের]] অন্যতম পুরোধাপুরুষপুরোধা কেশবচন্দ্রেরব্যক্তিত্বই খ্যাতিছিলেন ছিলনা, সুবক্তাবরং হিসাবেও।ভারতের নববিধানজাতীয় ব্রাহ্মসমাজেরচেতনা প্রতিষ্ঠাতা কেশবচন্দ্রঐক্যের খ্রিস্টানঅন্যতম মিশনারিদের ক্রমাগত হিন্দুবিদ্বেষী প্রচারের বিরুদ্ধে যুক্তিসহ ভারতীয় ধর্মউন্মেষকসভ্যতার শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপন্ন করেন এবং দেশবাসীকে এক জাতীয় চেতনায়মুখপাত্র উদ্বুদ্ধহিসাবেও করেতিনি তোলেন।নন্দিত।
 
ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র হিন্দুসমাজের বর্ণপ্রথা বিলোপ, বিধবা বিবাহের প্রবর্তন ও স্ত্রীশিক্ষার উন্নতিসাধন প্রভৃতি প্রগতিশীল চিন্তাভাবনার সমর্থক ছিলেন। তিনি হিন্দুসমাজের থেকে ব্রাহ্মসমাজের স্বাতন্ত্রবিধানেও বিশেষ যত্নবান ছিলেন। [[দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর|মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের]] সঙ্গে তাঁর বৈপ্লবিক চিন্তাভাবনারগুলির বিরোধ বাধলে তিনি ও তাঁর অনুগামীরা ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তাঁর কন্যা সুনীতি দেবীর বিবাহকালে ব্রাহ্মপ্রথা লঙ্ঘিত হলে, কয়েকজন অনুগামী ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ ত্যাগ করে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর কেশবচন্দ্র বিভিন্ন ধর্মমতের সমন্বয়ে নববিধান ব্রাহ্মসমাজের সূচনা করেন ও অবশিষ্ট জীবন ধর্মাচরণেই অতিবাহিত করেন।
তিনি সার্বজনীন ধর্ম ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য সচেষ্ট ছিলেন। উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় হতে বেশ কয়েক দশকের জন্য তিনি [[ব্রাহ্ম সমাজ]] এর নেতৃত্ব দেন। জীবনের শেষভাগে তিনি ''নববিধান'' নামক আত্মিক দর্শন মতবাদ প্রতিষ্ঠা করেন। এর মাধ্যমে তিনি [[খ্রিস্ট ধর্ম]] ও পশ্চিমা দর্শনকে [[হিন্দু ধর্ম|হিন্দু ধর্মের]] সাথে একাত্ম করতে চেয়েছিলেন।
 
কেশবচন্দ্রের রাজনৈতিক মতাদর্শের মধ্যে ইংরেজ বিদ্বেষের ভাব লক্ষিত না হলেও, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও সামাজিক ন্যায়ের পক্ষে তাঁর দৃপ্ত ভাষণগুলি স্বাধীনতা আন্দোলনের অব্যবহিত পূর্বযুগে ভারতের জাতীয় চেতনার উন্মেষ ঘটাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তর্কযুদ্ধে ইউরোপীয় মিশনারিদের পরাস্ত করে ভারতের ধর্ম, সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিষয়ে তাঁদের ছড়ানো কুৎসার সমুচিৎ জবাব দেন। [[রামকৃষ্ণ পরমহংস|শ্রীরামকৃষ্ণের]] বিশেষ স্নেহধন্য কেশবচন্দ্র [[ভারতবর্ষ]] ও [[ইংল্যান্ড|ইংল্যান্ডের]] নানা স্থানে ধর্মপ্রচার করেন এবং তাঁর বাগ্মীতায় সেকালের প্রগতিপন্থী শিক্ষিত ভারতবাসীর মনে অভূতপূর্ব আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
 
==জীবনী==