চীনের ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
1টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 0টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
১৩৯ নং লাইন:
১৯ শতকে এসে চীন সম্রাজ্য ক্রমেই দূর্বল হয়ে পরে। এবং পশ্চিমা শক্তির দ্বারা নানা হুমকির সম্মুখিন হয়। ১৮৪০ সালে [[প্রথম আফিম যুদ্ধ|প্রথম আফিম যুদ্ধে]] চীন বৃটিশ সম্রাজ্যের কাছে পরাজিত হয়। ১৮৪২ সালে [[নানকিং চুক্তির]] মাধ্যমে [[হংকং]] তাদের হাতছাড়া হয়ে যায়।
 
এসময়ে চীন [[তাইপিং বিদ্রোহ]] (১৮৫১-১৮৬৪) দখাদেখা দেয়। আপাতদৃষ্টে একটি খ্রীস্টান ধর্মালম্বীদের বিদ্রোহ যারা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এক-তৃতীয়াংশ চৈনিক ভূমি শাসন করত। ১৮৬৪ সালে [[তৃতীয় নানকিং যুদ্ধ|তৃতীয় নানকিং যুদ্ধে]] তারা পরাজিত ও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সৈন্যবাহিনীর সংখ্যা বিবেচনায় এটি ছিল ১৯ শতকের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ। এ যুদ্ধে ২০ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | প্রথমাংশ=Matthew | শেষাংশ=White |ইউআরএল = http://necrometrics.com/wars19c.htm | শিরোনাম = Statistics of Wars, Oppressions and Atrocities of the Nineteenth Century |সংগ্রহের-তারিখ=11 April 2007}}</ref> এসময়ে বেশ কিছু ধারাবাহিক বেসামরিক অষোন্তষ দেখা যায়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, [[পুন্টি-হাক্কার যুদ্ধ]], [[নিয়ান বিদ্রোহ]], [[দুঙ্গা বিদ্রোহ]] (১৮৬২-১৮৭৭) এবং [[প্যান্থে বিদ্রোহ]]<ref>{{বই উদ্ধৃতি | প্রথমাংশ=Damsan |শেষাংশ=Harper | প্রথমাংশ২=Steve |শেষাংশ২=Fallon |প্রথমাংশ৩=Katja |শেষাংশ৩=Gaskell |প্রথমাংশ৪=Julie |শেষাংশ৪=Grundvig |প্রথমাংশ৫= Carolyn |শেষাংশ৫=Heller | প্রথমাংশ৬=Thomas |শেষাংশ৬=Huhti |প্রথমাংশ৭=Bradley |শেষাংশ৭=Maynew |প্রথমাংশ৮=Christopher | শেষাংশ৮=Pitts | শিরোনাম=Lonely Planet China | সংস্করণ=9 | বছর=2005 | আইএসবিএন=1-74059-687-0}}</ref>
 
এসব বিদ্রোহ সফলভাবে দমন করা হলেও, তার জন্য প্রচুর মূল্য দিতে হয়েছিল। হতাহতের সংখ্যা ছিল প্রচুর। এসব কারণে কেন্দ্রীয় রাজকীয় কর্তৃপক্ষ দূর্বল হয়ে পড়ে।
১৫৫ নং লাইন:
 
[[File:Chinese civilians to be buried alive.jpg|thumb|210px| বেসামরিক চীনা নাগরিকদের জীবন্ত কবর দেয়া হচ্ছে ১৯৪৭ সালের [[নানকিং হত্যাকান্ড]]]]
১৪ বছর যাবত চীন-জাপান যুদ্ধের পর (১৯৩১-৪৫) রিপাবলিকান ও কমিউনিস্টদের মধ্যে এই তিক্ততা চলতেই থাকে। জাপানের সেনাবাহিনী চীনের বিভিন্ন অংশ আক্রমণ করে। [[দ্বিতীয় সিনো-জাপান যুদ্ধ|দ্বিতীয় সিনো-জাপান যুদ্ধের]] সময় এই দুই চীনা রাজনৈতিক দল ১৯৩৭ সালে একটি মৈত্রী চুক্তি করে। এই যুদ্ধ পরবর্তীতে [[দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ|দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের]] একটি অংশে পরিনত হয়। জাপানী সেনাবাহিনী নিরীহ বেসামরিক চীনাদের উপর নজিরবিহীন বিভৎস নৃশংসতা প্রদর্শন করে। তাজীবানুজীবানু অস্ত্রও ব্যবহার করা হয়।হয় (দেখুন [[Unit 731]]) এবং [[থ্রি অল পলিসি]] (''Sankō Sakusen''), থ্রি অল পলিসি বলতে বুঝান হত, “সবাইকে হত্যা কর, সবকিছু পুড়িয়ে দাও এবং সবকিছু লুট কর।”<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=Fairbank |প্রথমাংশ১=J. K. |শেষাংশ২=Goldman |প্রথমাংশ২=M. |বছর=2006 |শিরোনাম=China: A New History |সংস্করণ=2nd |প্রকাশক=Harvard University Press |পাতা=320 |আইএসবিএন=9780674018280 |ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=nBDC2cqb6I0C&pg=PA320}}</ref>
 
১৯৪৫ সালে বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের পর চীনের দুই দলের মধ্যে যুদ্ধ পুনরায় শুরু হয়। যদিও বহুবার বিভিন্নভাবে সমোঝতার চেষ্টা করা হয়েছিল। ১৯৪৯ সালের মধ্যে চীনের অধিকাংশ অঞ্চল কমিউনিস্ট পার্টির দখলে চলে যায়। গৃহযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রিপাবলিকান পার্টি এবং কমিউনিষ্ট উভয় দলের কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় নিহত হয়।<ref>Rummel, Rudolph (1994), Death by Government.</ref> বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবা‌হিনী‌তে ভর্তি এবং নানকিং হত্যাকান্ডে উভয় দ‌লের অ‌নেক কর্মী মারা যায়। <ref>Valentino, Benjamin A. Final solutions: mass killing and genocide in the twentieth century Cornell University Press. December 8, 2005. p88</ref> ১৯৪৯ সালে রিপাবলিকান পার্টি চীনের মূল ভূখন্ডে পরাজিত হয়। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী মূল ভূখন্ড ছেড়ে তাইওয়ানে পালিয়ে যায়। তাদের ক্ষমতা তাইওয়ান ও তার আশেপাশের দ্বীপের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পরে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ সমাপ্ত হবার পর জাপানের সেনাবাহিনী রিপাবলিকান পার্টি সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করে।<ref>[http://www.taiwandocuments.org/ghq.htm Surrender Order of the Imperial General Headquarters of Japan], 2 September 1945, "(a) The senior Japanese commanders and all ground, sea, air, and auxiliary forces within China (excluding Manchuria), [[Formosa]], and [[French Indochina]] north of 16 degrees north latitude shall surrender to Generalissimo Chiang Kai-shek."</ref>