থুব-ব্স্তান-র্গ্যা-ম্ত্শো: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
3টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 0টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
২টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta15)
১৬ নং লাইন:
 
[[File:Dalai Lama leaving Lhassa,1904.jpg|thumb|১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে থুব-ব্স্তান-র্গ্যা-ম্ত্শোর লাসা থেকে পলায়ন]]
১৯০০ খ্রিষ্টাব্দে সিক্কিম ও তিব্বতের ব্যবসায়ীদের নিকট হতে ব্রিটিশরা জানতে পারেন যে [[লাসা]] শহরে বেশ কয়েকজন রুশ সামরিক উপদেষ্টা রয়েছেন এবং [[ত্রয়োদশ দলাই লামা]] ও জারের মধ্যে একটি গোপণ আঁতাত তৈরী হয়েছে। ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশরা রুশ পত্রিকাগুলি থেকে জানতে পারে যে [[লাসা]] শহরে শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে যাওয়া [[আগভান দোর্জিয়েভ]] নামক রুশ বৌদ্ধ ভিক্ষু [[ত্রয়োদশ দলাই লামা|ত্রয়োদশ দলাই লামার]] বার্তা নিয়ে [[জার]] [[দ্বিতীয় নিকোলাস|দ্বিতীয় নিকোলাসের]] সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। এই বার্তায় তিব্বত সরকারের পক্ষ থেকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে রুশদের সমর্থনের অনুরোধ জানানো হয়। এই সমস্ত ঘটনা তৎকালীন [[ভারতের গভর্নর-জেনারেল]] [[লর্ড কার্জন]] [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] সুরক্ষার ক্ষেত্রে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করেন। যদিও রুশদের পক্ষ থেকে জানান হয় যে, তাঁরা [[তিব্বত|তিব্বতের]] ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না, কিন্তু ব্রিটিশরা এই ব্যাপারে সন্দিগ্ধ থাকেন। প্রথমে ব্রিটিশরা [[চিং রাজবংশ|চিং সম্রাটদের]] নিকট [[তিব্বত|তিব্বতকে]] ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবী জানায়, কিন্তু [[ত্রয়োদশ দলাই লামা]] সরাসরি তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে অস্বীকার করলে তাঁরা বুঝতে পারেন যে, তিব্বতীদের ওপর চীনাদের কোন রকম কর্তৃত্বের অস্তিত্ব নেই। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে [[লর্ড কার্জন]] [[তিব্বত|তিব্বতে]] সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেন।<ref>John Powers (2004) ''History as Propaganda: Tibetan exiles versus the People's Republic of China''. Oxford University Press, {{আইএসবিএন|978-0-19-517426-7}}, p. 80</ref> ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে কর্ণেল [[ফ্রান্সিস ইয়ংহাজব্যান্ড|ফ্রান্সিস ইয়ংহাজব্যান্ডের]] নেতৃত্বে আট হাজার সেনার একটি বাহিনী [[সিক্কিম]] সীমান্ত থেকে [[তিব্বত]] আক্রমণ করে এবং লড়াইয়ে প্রায় এক হাজার তিব্বতী সেনা মৃত্যুবরণ করেন। এই বছর জুলাই মাসে ব্রিটিশ সেনা [[লাসা]] শহর থেকে একদিনের দুরত্বে অবস্থিত ল্চাগস-জাম ({{bo|w=lcags zam}}) নামক স্থানে পৌছলে [[ব্লো-ব্জাং-র্গ্যাল-ম্ত্শান (ছিয়াশিতম গানদেন ত্রিপা)|ব্লো-ব্জাং-র্গ্যাল-ম্ত্শান]] নামক ছিয়াশিতম [[দ্গা'-ল্দান-খ্রি-পা|দ্গা'-ল্দান-খ্রি-পাকে]] [[তিব্বতের রাজপ্রতিনিধি]] নিযুক্ত করে বিশ্বস্ত কয়েকজন সঙ্গীর সঙ্গে [[লাসা]] থেকে পলায়ন করেন। তারা [[র্বা-স্গ্রেং বৌদ্ধবিহার]] পৌছলে থুব-ব্স্তান-র্গ্যা-ম্ত্শো একজন ধনী [[মঙ্গোল]] ব্যবসায়ীর বেশে উত্তর তিব্বত হয়ে [[মঙ্গোলিয়া]] যাত্রা করে রাজধানী [[উলানবাটর|উর্গা]] নগরীতে পৌঁছন। [[দলাই লামা]] [[তিব্বত]] ছেড়ে পালিয়ে গেলে [[চিং রাজবংশ]] সমগ্র [[তিব্বত]], [[নেপাল]] ও [[ভূটান|ভূটানের]] ওপর নিজের অধিকারের দাবী জানায়।<ref name="Chapman, Spencer 1940 p. 137">Chapman, F. Spencer (1940). ''Lhasa: The Holy City'', p. 137. Readers Union, London. {{OCLC|10266665}}</ref> ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই সেপ্টেম্বর ব্রিটিশদের সঙ্গে তিব্বতীদের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়<ref>Richardson, Hugh E.: ''Tibet & its History'', Shambala, Boulder and London, 1984, p.268-270. The full English version of the convention is reproduced by Richardson.</ref> এবং ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ ও চীনাদের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিতে ব্রিটিশরা [[চিং রাজবংশ|চিং রাজসভা]] থেকে বাৎসরিক অর্থের বিনিময়ে [[তিব্বত]] অধিগ্রহণ না করার এবং তিব্বতের প্রশাসনে হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতি দেয়। অপর পক্ষে চীন [[তিব্বত|তিব্বতের]] প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে অন্য কোন বিদেশী শক্তির হস্তক্ষপের অনুমতি না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।<ref name="treaty1906">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Convention Between Great Britain and China Respecting Tibet (1906)|ইউআরএল=http://tibetjustice.org/materials/treaties/treaties11.html|কর্ম=|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://wwwweb.webcitationarchive.org/5iwEyckUo?url=web/20090912002742/http://www.tibetjustice.org/materials/treaties/treaties11.html|আর্কাইভের-তারিখ=১১১২ আগস্টসেপ্টেম্বর ২০০৯|অকার্যকর-ইউআরএল=নাহ্যাঁ|সংগ্রহের-তারিখ=8 August 2009}}</ref><ref>Bell, Charles (1924) ''Tibet: Past and Present''. Oxford: Clarendon Press; p. 288.</ref>
 
[[উলানবাটর|উর্গা]] শহরে পৌঁছে [[ত্রয়োদশ দলাই লামা]] [[আগভান দোর্জিয়েভ|আগভান দোর্জিয়েভকে]] [[দ্বিতীয় নিকোলাস|দ্বিতীয় নিকোলাসের]] নিকট প্রেরণ করেন ও [[উলানবাটর|উর্গা]] নগরীর রুশ প্রতিনিধি শিশমার‍্যোভের নিকট [[চীন]] ও ইংরেজদের হাত থেকে [[তিব্বত|তিব্বতকে]] রক্ষা করার দাবী জানান। এই নগরীতে বসবাস কালে [[মঙ্গোলিয়া|মঙ্গোলিয়ার]] ধর্মীয় প্রধান [[ঙ্গাগ-দ্বাং-ব্লো-ব্জাং-ছোস-ক্যি-ন্যি-মা-বস্তান-'দ্জিন-দ্বাং-ফ্যুগ]] ({{bo|w=ngag dbang blo bzang chos kyi nyi ma bstan 'dzin dbang phyug}}) নামক অষ্টম [[র্জে-ব্ত্সুন-দাম-পা-হো-থোগ-থু]] ({{bo|w=rje btsun dam pa ho thog thu}}) উপাধিধারী লামার সঙ্গে তাঁর বিবাদের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, যার ফলে থুব-ব্স্তান-র্গ্যা-ম্ত্শোর [[মঙ্গোলিয়া|মঙ্গোলিয়ায়]] বসবাস কষ্টকর হয়ে ওঠে। ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে [[রাশিয়া]] ও ব্রিটিশরা একটি চুক্তির মাধ্যমে তিব্বতের ব্যাপারের হস্তক্ষেপ না করার সিদ্ধান্তে আসলে [[দলাই লামা]] [[মঙ্গোলিয়া]] থেকে তিব্বতের দিকে যাত্রা করে [[স্কু-'বুম বৌদ্ধবিহার|স্কু-'বুম বৌদ্ধবিহারে]] বসবাস শুরু করেন। এই সময় [[লাসা]] থেকে একটি প্রতিনিধিদল এই বিহারে তাঁকে [[লাসা]] ফিরে যেতে অনুরোধ করলে তিনি ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দের গ্রীষ্মকালে [[লাসা]] না গিয়ে [[বেজিং]] যাত্রা করেন।<ref name= Shakya/>