রুশ–জাপান যুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৯৩ নং লাইন:
{{মূল নিবন্ধ|সুশিমার যুদ্ধ}}
 
[[Image:JBMikasa.jpg|thumb|জাপানি যুদ্ধজাহাজ ''মিকাসা'' (সুশিমার যুদ্ধের সময় অ্যাডমিরাল [[তোজো হেইহাচিরোরহেইহাচিরো]]র পতাকাবাহী জাহাজ)]]
 
বেশ কয়েক সপ্তাহ ফরাসি-অধিকৃত [[মাদাগাস্কার|মাদাগাস্কারের]] একটি ক্ষুদ্র বন্দর [[নোসিবে-]]তে থেমে থাকার পর (ফরাসিরা নিতান্ত অনিচ্ছাসত্ত্বেও রাশিয়ার সঙ্গে মিত্রতা বজায় রাখার জন্য এটির অনুমতি দিয়েছিল) ১৯০৫ সালের ৭ থেকে ১০ এপ্রিল রুশ বাল্টিক নৌবহর [[সিঙ্গাপুর প্রণালীরপ্রণালী]]র মধ্য দিয়ে ফরাসি ইন্দোচীনের ক্যাম রান উপসাগরে পৌঁছে<ref>The Singapore Free Press and Mercantile Advertiser (1884–1942), 8 April 1905, Page 2, http://newspapers.nl.sg/Digitised/Article/singfreepressb19050408-1.2.6.aspx</ref><ref>The Straits Times, 8 April 1905, Page 4, http://newspapers.nl.sg/Digitised/Article/straitstimes19050408-1.2.32.aspx</ref>। অবশেষে ১৯০৫ সালের মে মাসে নৌবহরটি [[জাপান সাগর|জাপান সাগরে]] পৌঁছায়। সেসময়ে এরকম একটি যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় রসদের পরিমাণ ছিল বিস্ময়কর। স্কোয়াড্রনটির এই যাত্রাকালে প্রায় ৫,০০,০০০ টন কয়লার প্রয়োজন হয়েছিল, অথচ আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে রাশিয়া নিরপেক্ষ বন্দরগুলো থেকে কয়লা সংগ্রহ করতে পারে নি। ফলে রুশ কর্তৃপক্ষ নৌবহরটিকে সমুদ্রপথে কয়লা সরবরাহ করার জন্য অনেকগুলো কয়লাবাহী জাহাজের একটি বহর যোগাড় করতে বাধ্য হয়েছিল। এরকম দীর্ঘ যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় রসদপত্র সংরক্ষণের ফলে জাহাজগুলোর ওজন অনেক বেড়ে যায় এবং সেটা আরেকটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়<ref>''Japan at War – An Encyclopedia'', Louis G. Perez, editor; Santa Barbara, California, 2013, p. 345.</ref>।
 
রুশ দ্বিতীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্কোয়াড্রন (বাল্টিক নৌবহরের নতুন নাম) পোর্ট আর্থারকে মুক্ত করার জন্য ১৮,০০০ নটিক্যাল মাইল (৩৩,০০০ কি.মি.) অতিক্রম করেছিল। কিন্তু নৌবহরটি যখন মাদাগাস্কারে ছিল, তখনই সেখানে জাপানিদের কাছে পোর্ট আর্থারের আত্মসমর্পণের হতাশাজনক সংবাদ পৌঁছায়। এরপর অ্যাডমিরাল রোঝেস্তভেনস্কির একমাত্র আশা ছিল ভ্লাদিভোস্টকভ্লাদিভোস্তক বন্দরে পৌঁছানো। ভ্লাদিভোস্টকেভ্লাদিভোস্তকে যাওয়ার তিনটি পথ ছিল। এদের মধ্যে সংক্ষিপ্ততম এবং সরাসরি পথটি ছিল কোরিয়া এবং জাপানের মধ্যবর্তী [[সুশিমা প্রণালী]]র মধ্য দিয়ে। কিন্তু তিনটি পথের মধ্যে এটিই ছিল সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক, কারণ এই পথটির অবস্থান ছিল জাপানের প্রধান দ্বীপসমূহ এবং কোরিয়ায় জাপানি নৌঘাঁটিগুলো মধ্যে।
 
অ্যাডমিরাল তোজো রুশ অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত ছিলেন, এবং বুঝতে পেরেছিলেন যে, পোর্ট আর্থারের পতনের পর রুশ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরদ্বয় দূর প্রাচ্যে রাশিয়ার অবশিষ্ট একমাত্র বন্দর ভ্লাদিভোস্টকেভ্লাদিভোস্তকে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে। তিনি সেই মোতাবেক যুদ্ধের পরিকল্পনা করেন এবং রুশ জাহাজগুলোকে ঠেকানোর জন্য তাঁর জাহাজগুলোকে মেরামত করেন।
 
জাপানি [[সম্মিলিত নৌবহর|সম্মিলিত নৌবহরে]] প্রথমে মোট ছয়টি৬টি যুদ্ধজাহাজ ছিল, কিন্তু পোর্ট আর্থারের যুদ্ধে মাইন বিস্ফোরণে দুইটি জাহাজ ডুবে যাওয়ার পর চারটি৪টি যুদ্ধজাহাজ অবশিষ্ট ছিল। তবে নৌবহরটিতে তখনও অনেকগুলো ক্রুজার, ডেস্ট্রয়ার এবং টর্পেডো বোট অবশিষ্ট ছিল। অন্যদিকে, রুশ দ্বিতীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্কোয়াড্রনে ছিল আটটি৮টি যুদ্ধজাহাজ (এদের মধ্যে চারটি৪টি নতুন ''বোরোদিনো'' শ্রেণির যুদ্ধজাহাজও ছিল), এবং অনেকগুলো ক্রুজার, ডেস্ট্রয়ার ও অন্যান্য সহায়তাকারী জাহাজ। রুশ নৌবহরে সর্বমোট ৩৮টি জাহাজ ছিল।
 
মে মাসের শেষের দিকে দ্বিতীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্কোয়াড্রন ভ্লাদিভোস্টকে পৌঁছানোর শেষ পর্যায়ে ছিল। তারা জাপান ও কোরিয়ার মধ্যে অবস্থিত সংক্ষিপ্ত ঝুঁকিপূর্ণ পথটিই বেছে নিয়েছিল এবং ধরা পড়ার ভয়ে রাতে যাত্রা করেছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, রুশ নৌবহরের দুইটি হাসপাতাল-জাহাজ যুদ্ধের প্রচলিত নিয়ম অনুসারে তাদের বাতি জ্বালিয়ে রেখেছিল<ref>Watts p. 22</ref>, যার ফলে জাপানি সশস্ত্র বাণিজ্যিক ক্রুজার ''শিনানো মারু'' তাদেরকে দেখে ফেলে। বেতার মারফত তারা এ খবর তোজোর সদর দপ্তরে প্রেরণ করে এবং জাপানি সম্মিলিত নৌবহর সেখান থেকে তৎক্ষণাৎ রওনা হয়ে যায়<ref>Mahan p. 455</ref>। ১৯০৫ সালের ২৭–২৮ মে জাপানিরা সুশিমা প্রণালীতে রুশদেরকে আক্রমণ করে। রুশ নৌবহরটি প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়, এবং তারা আটটি যুদ্ধজাহাজ, অনেকগুলো ছোট জাহাজ এবং ৫,০০০-এর বেশি লোক হারায়। অপরপক্ষে জাপানিরা মাত্র তিনটি টর্পেডো বোট এবং ১১৬ জন লোক হারায়। কেবল তিনটি রুশ জাহাজ ভ্লাদিভোস্টকেভ্লাদিভোস্তকে পৌঁছতে সক্ষম হয়।
 
=== শাখালিন আক্রমণ ===