রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎ছোটগল্প: সংশোধন
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
১টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta15)
১৩৫ নং লাইন:
[[চিত্র:Bundesarchiv Bild 102-01073, Rabindranath Tagore.jpg|thumb|right|alt=An old bearded man garbed in a dark mantle is reading from a slim book perched in his hands. He is sitting at a dark-toned desk cleared of everything but a neat stack of papers at left; in the background is a light-coloured curtain.|১৯৩০ সালে বার্লিনে রবীন্দ্রনাথ]]
 
জীবনের শেষ দশকে (১৯৩২-১৯৪১) রবীন্দ্রনাথের মোট পঞ্চাশটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।<ref>''রবীন্দ্রজীবনকথা'', পৃ. ২০৬-০৮</ref> তাঁর এই সময়কার কাব্যগ্রন্থগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ''[[:s:পুনশ্চ|পুনশ্চ]]'' (১৯৩২), ''শেষ সপ্তক'' (১৯৩৫), ''[[:s:শ্যামলী|শ্যামলী]]'' ও ''[[:s:পত্রপুট|পত্রপুট]]'' (১৯৩৬) – এই গদ্যকবিতা সংকলন তিনটি।<ref name = sarbajaner25/> জীবনের এই পর্বে সাহিত্যের নানা শাখায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফসল হলো তাঁর একাধিক গদ্যগীতিকা ও ''নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা'' (১৯৩৬; ''[[:s:চিত্রাঙ্গদা|চিত্রাঙ্গদা]]'' (১৮৯২) কাব্যনাট্যের নৃত্যাভিনয়-উপযোগী রূপ) <ref name=gutenbergchitra>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.gutenberg.org/dirs/etext01/chitr10.txt|শিরোনাম=Chitra, a Play in One Act|প্রথমাংশ=Rabindranath|শেষাংশ=Tagore|তারিখ=1 February 2001|প্রকাশক=|মাধ্যম=Project Gutenberg|সংগ্রহের-তারিখ=১৮ এপ্রিল ২০০৮|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080926184707/http://www.gutenberg.org/dirs/etext01/chitr10.txt|আর্কাইভের-তারিখ=২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৮|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>, ''শ্যামা'' (১৯৩৯) ও ''[[:s:নৃত্যনাট্য চণ্ডালিকা|চণ্ডালিকা]]'' (১৯৩৯) নৃত্যনাট্যত্রয়ী।<ref>''সর্বজনের রবীন্দ্রনাথ'', পৃ. ২৭</ref> এছাড়া রবীন্দ্রনাথ তাঁর শেষ তিনটি উপন্যাসও (''[[:s:দুই বোন|দুই বোন]]'' (১৯৩৩), ''[[:s:মালঞ্চ (উপন্যাস)|মালঞ্চ]]'' (১৯৩৪) ও ''[[:s:চার অধ্যায়|চার অধ্যায়]]'' (১৯৩৪)) এই পর্বে রচনা করেছিলেন।<ref name = sarbajaner31/> তাঁর অধিকাংশ ছবি জীবনের এই পর্বেই আঁকা।<ref name = sarbajaner41-42/> এর সঙ্গে সঙ্গে জীবনের শেষ বছরগুলিতে বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর বিজ্ঞান-বিষয়ক প্রবন্ধ সংকলন ''[[:s:বিশ্বপরিচয়|বিশ্বপরিচয়]]''।<ref name = bangalasahityeritihas415>''বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস'', চতুর্থ খণ্ড, পৃ. ৪১৫</ref> এই গ্রন্থে তিনি জ্যোতির্বিজ্ঞানের আধুনিকতম সিদ্ধান্তগুলি সরল বাংলা গদ্যে লিপিবদ্ধ করেছিলেন।<ref name = bangalasahityeritihas415/> [[পদার্থবিজ্ঞান|পদার্থবিদ্যা]] ও [[জ্যোতির্বিজ্ঞান]] সম্পর্কে তাঁর অর্জিত জ্ঞানের প্রভাব পরিলক্ষিত হয় তাঁর কাব্যেও।<ref>''রবীন্দ্রকল্পনায় বিজ্ঞানের অধিকার'', ড. ক্ষুদিরাম দাস, আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা, ১৯৮৪, পৃ. ৪-৫</ref> ''[[:s:সে|সে]]'' (১৯৩৭), ''[[:s:তিন সঙ্গী|তিন সঙ্গী]]'' (১৯৪০) ও ''[[:s:গল্পসল্প|গল্পসল্প]]'' (১৯৪১) গল্পসংকলন তিনটিতে তাঁর বিজ্ঞানী চরিত্র-কেন্দ্রিক একাধিক গল্প সংকলিত হয়েছে।<ref name="ASB">{{citation |title=Tagore, Rabindranath |work=[[Banglapedia]] |publisher=[[Asiatic Society of Bangladesh]] |url=http://banglapedia.search.com.bd/HT/T_0020.htm |accessdate=13 August 2009 }}</ref>
 
জীবনের এই পর্বে ধর্মীয় গোঁড়ামি ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তীব্রতম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯৩৪ সালে ব্রিটিশ [[বিহার]] প্রদেশে ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের মৃত্যুকে গান্ধীজি "ঈশ্বরের রোষ" বলে অভিহিত করলে, রবীন্দ্রনাথ গান্ধীজির এহেন বক্তব্যকে অবৈজ্ঞানিক বলে চিহ্নিত করেন এবং প্রকাশ্যে তাঁর সমালোচনা করেন।<ref name="Dutta_1995_312-313">{{harvnb|Dutta|Robinson|1995|pp=312–313}}</ref> কলকাতার সাধারণ মানুষের আর্থিক দুরবস্থা ও ব্রিটিশ বাংলা প্রদেশের দ্রুত আর্থসামাজিক অবক্ষয় তাঁকে বিশেষভাবে বিচলিত করে তুলেছিল। গদ্যছন্দে রচিত একটি শত-পংক্তির কবিতায় তিনি এই ঘটনা চিত্রায়িতও করেছিলেন।<ref name="Dutta_1995_335-338">{{harvnb|Dutta|Robinson|1995|pp=335–338}}</ref><ref name="Dutta_1995_342">{{harvnb|Dutta|Robinson|1995|p=342}}</ref>