জান্নাতুল বাকি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ ও তথ্যসূত্র সংযোজন
প্রচলিত নিয়ম অনুচ্ছেদ সংযোজন
২২ নং লাইন:
| political =
}}
'''জান্নাতুল বাকি''' ({{lang-ar|مقبرة البقيع}}, ''The Baqi Cemetery'') আরবীতে বলা হয়- বাকিউল গারকাদ, মাকবারাতুল বাকি। [[সৌদি আরব|সৌদি আরবের]] [[মদিনা|মদিনায়]] অবস্থিত একটি কবরস্থান। এটি [[মসজিদে নববী|মসজিদে নববীর]] দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থিত। পূর্বে এখানে কবরের উপর স্থাপনা ছিল। পরবর্তীতে[[উসমানীয় সাম্রাজ্য|ওসমানী খেলাফত]] ও তার পূর্বে এসব কবরকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের কুসংস্কার প্রথা চালু হওয়ায় সৌদি আরব সরকার তাকবরগুলোতে ছোট চিহ্ন রেখে স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেয়। [[ইমাম মালিক|ইমাম মালিক (রহ.)]]-এর কথামতে জান্নাতুল বাকিতে অন্তত দশ হাজার সাহাবার কবর রয়েছে।<ref name="Banglanews">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=জান্নাতুল বাকিতে ১০ হাজার সাহাবির কবর |ইউআরএল=https://m.banglanews24.com/islam/news/bd/605142.details |সংগ্রহের-তারিখ=২৬ জুন ২০১৯ |এজেন্সি=[[বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম]] |তারিখ=২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭}}</ref>
 
এই কবরস্থানটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে [[মুহাম্মদ]] (সা) এর অনেক আত্মীয় ও [[সাহাবি|সাহাবিকে]] দাফন করা হয়েছে। [[মুহাম্মদ]] (সা) এই কবরস্থানে বেশ কয়েকবার এসেছেন। জান্নাতুল বাকির পেছনে একসময় একটি ইহুদি কবরস্থান ছিল। পরবর্তীতে [[উমাইয়া খিলাফত|উমাইয়া]] আমলে তা জান্নাতুল বাকির অংশে পরিণত করা হয়।<ref>Textual Sources for the Study of Islam By Knappert, Jan, Andrew Rippin</ref>
২৮ নং লাইন:
==ইতিহাস==
[[File:Shrines of the Prophet's Wives and Abdullah ibn Ja'far and Aqeel ibn Abi Talib in Al-Baqi' before demolition.jpg|thumb|স্থাপনা ধ্বংসের পূর্বে জান্নাতুল বাকির দৃশ্য।]]
মুহাম্মদ (সা) হিজরত করে মদিনা আসার সময় জান্নাতুল বাকির স্থান সবুজ বৃক্ষ আচ্ছাদিত ছিল। [[মুহাম্মদ|মুহাম্মদ (স.)]] এর স্ত্রী [[আয়িশা|আয়েশা (রা.)]] বলেছেন, ‘হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) শেষ রাতে জান্নাতুল বাকির দিকে বেরিয়ে যেতেন এবং বলতেন, ‘হে (কবরের) মুমিন সম্প্রদায়! তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক, তোমাদের নিকট এসেছে যা তোমাদেরকে ওয়াদা দেওয়া হয়েছিল, কাল কিয়ামত পর্যন্ত তোমরা অবশিষ্ট থাকবে এবং ইনশাআল্লাহ নিশ্চয়ই আমরাও তোমাদের সঙ্গে মিলিত হবো। হে আল্লাহ! তুমি বাকিউল গারদবাসীদের ক্ষমা করে দাও।’ - [[সহীহ মুসলিম]] <ref name="Banglanews"/>
 
[[মসজিদে নববী]] নির্মাণের সময় তিনি মসজিদের স্থানটি দুজন এতিম শিশুর কাছ থেকে কিনে নেন। তার এক সাহাবি আসাদ বিন জারারার মৃত্যুর পর মুহাম্মদ (সা) কবরস্থানের জায়গা নির্ধারণ করেন। আসাদ বিন জারার ছিলেন এখানে দাফন হওয়া প্রথম [[আনসার (ইসলাম)|আনসার]] ব্যক্তি। উসমান বিন মাজুন এখানে দাফন হওয়া প্রথম [[মুহাজিরুন|মুহাজির]] ব্যক্তি।
 
তৃতীয় [[খলিফা]] [[উসমান ইবনে আফফান|উসমান ইবনে আফফানের]] মৃত্যুর পর তাকে এখানে দাফন করা হয়। তখন তার কবরটি পার্শ্ববর্তী ইহুদি কবরস্থানের মধ্যে পড়ে। খলিফা [[প্রথম মুয়াবিয়া]] তার সম্মানে এই স্থানকে জান্নাতুল বাকির অংশ করে নেন। [[উমাইয়া খিলাফত|উমাইয়া খিলাফতের]] সময় তার কবরের উপর প্রথম গম্বুজ নির্মিত হয়। অন্যান্য সময়েও এখানকার বিভিন্ন কবরের উপর গম্বুজ ও স্থাপনা নির্মিত হয়েছে। পরে তা ভেঙ্গে দেয়া হয়।
 
==প্রচলিত নিয়ম==
প্রতিবছর হজ্জের সময় মদিনায় অবস্থানরত কোনো হজ্জ পালনকারীর মৃত্যু হলে জান্নাতুল বাকীতে দাফন করা হয়। এছাড়াও মদীনার বাসিন্দারাও মারা গেলে এখানে দাফনের সুযোগ পায়। তবে [[মুহাম্মদ|মুহাম্মদ (স.)]]-এর সাহাবাদের ইতিহা সংরক্ষণের অংশ হিসেবে এ কবরস্থানের শুরুর অংশে যাদের সমাহিত করা হয়েছে তাদের স্থানে এখন আর নতুন করে কাউকে কবরস্থ করা হয় না। সৌদি সরকারের তত্ত্ববধানে জান্নাতুল বাকী [[জিয়ারত|জিয়ারতের]] জন্য ফজর ও আসরের নামাজের পর খুলে দেয়া হয়। এসময় মুসলিম পুরুষরা জিয়ারতের জন্য ভেতরে যেতে পারে। ইসলামি শরিয়তে নারীদের কবর জেয়ারত করা বৈধ নয় মর্মে তাদের যেতে দেয়া হয় না।<ref name="Banglanews"/>
ইসলামি স্কলারদের মতে, জান্নাতুল বাকিতে সমাহিতদের প্রতি সালাম দেওয়ার সুন্নত পদ্ধতি হলো- অনির্দিষ্টভাবে সবাইকে একসঙ্গে সালাম দেওয়া ও তাদের জন্য দোয়া করা।
 
==ধ্বংস==