১১,৮০৮টি
সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
পার্বত্য অঞ্চলে প্রবল জলস্রোত ও বাহিত শিলাখণ্ডের সঙ্গে নদীখাতের ঘর্ষণের ফলে পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় অধিক হয় । এর ফলে নদীউপত্যকা সংকীর্ণ ও গভীর হয়ে ইংরেজি ‘I’ আকৃতির আকার ধারণ করে ।
=== ২. 'V
পার্বত্য অঞ্চলে প্রবল জলস্রোত ও শিলাখণ্ডের ঘর্ষণের সঙ্গে ভুমিক্ষয় ও ধসের ফলে নিম্নক্ষয়ের সঙ্গে সঙ্গে সামান্য পার্শ্বক্ষয়ও ঘটে । ফলে নদীউপত্যকা অনেকটা ইংরেজি ‘V’ আকৃতির আকার ধারণ করে ।
=== ৩. গিরিখাত
বৃষ্টিবহুল অতি উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে নদীর নিম্নক্ষয়ের মাত্রা অত্যন্ত বেশি হওয়ায় নদী উপত্যকা সংকীর্ণ ও অতি গভীর হয় । এই ধরনেরঅতি গভীর ও সংকীর্ণ নদী উপত্যকাকেই গিরিখাত বলে । কোন কোন গিরিখাতের তলদেশের সঙ্গে সঙ্গে পার্শ্ববর্তী পর্বতের
=== ৪. ক্যানিয়ন
মরুপ্রায় শুষ্ক অঞ্চলের অতিসংকীর্ন ও অতি গভীর গিরিখাতকে ক্যানিয়ন বলা হয় । উদাহরণ – আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো নদীরগ্র্যান্ড ক্যানিয়ন হল পৃথিবীর বৃহত্তম গিরিখাত । এর দৈর্ঘ্য ৪৮৩ কিমি , প্রস্থ ১২ কিমি এবং সর্বাধিক গভীরতা ১.৯ কিমি । দক্ষিণ পেরুরকল্কা নদীর গিরিখাত ( এল-ক্যানন দ্য কলকা ) হল পৃথিবীর গভীরতম গিরিখাত ।
=== ৫. জলপ্রপাত
নদীর প্রবাহগতির মধ্যে জলতলের প্রভেদকে জলপ্রপাত বলে । অর্থাৎ নদী তার প্রবাহপথে হঠাৎ খাড়া ঢাল বরাবর নিচে পড়লে
জলপ্রপাত নানা কারনে সৃষ্টি হতে পারে । যেমন –
==== ক. চ্যুতি
নদীর গতিপথে হঠাৎ কোন চ্যুতির সৃষ্টি হলে খাড়া ঢালের সৃষ্টি হয় । আফ্রিকার জাম্বেসী নদীর ওপর জাম্বেসী নদীর জাম্বেসী জলপ্রপাতএইভাবে সৃষ্টি হয়েছে ।
==== খ. লাভাপ্রবাহ
নদীর গতিপথে কঠিন লাভাস্তর অবস্থান করলে জলতলের প্রভেদ ঘটে । ফলে জলপ্রপাত সৃষ্টি হতে পারে ।
==== গ. ভূ-আন্দোলোন
ভূ-আন্দোলনের ফলে কোন স্থানে খাড়া ঢালের সৃষ্টি হতে পারে । এরুপ স্থানের মধ্য দিয়ে নদী প্রবাহিত হলে জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয় ।
==== ঘ. ঝুলন্ত উপত্যকা
পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহের ক্ষয়কাজের ফলে ঝুলন্ত উপত্যকার সৃষ্টি হয় । ক্যালিফোর্নিয়ার য়োসেমিতি জলপ্রপাত এইভাবে সৃষ্টি হয়েছে ।
==== ঙ. মালভূমির প্রান্তভাগ
মালভূমির প্রান্তভাগের খাড়া ঢালে জলপ্রপাত সৃষ্টি হয় । বিহারের সুবর্ণরেখা নদীর উপর হুড্রু জলপ্রপাত এইভাবে সৃষ্টি হয়েছে ।
==== চ. কঠিন ও কোমল শিলাস্তরের
কঠিন ও কোমল শিলাস্তর পাশাপাশি অবস্থান করলে কোমল শিলাস্তর দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে খাড়া ঢালের সৃষ্টি হয় । আমেরিকা
==== উদাহরণ
পৃথিবীতে প্রায় ১০০ টির মত বড় জলপ্রপাত আছে । পৃথিবীর সুন্দর জলপ্রপাতগুলির মধ্যে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লরেন্স নদীর
=== ৬. খরস্রোত ===
▲'''নরম শিলা ক্রমশ ক্ষয়প্রাপ্ত হতে হতে একসময় অপসারিত হয় এবং কঠিন শিলাস্তরও ক্রমশ ক্ষয় পেতে থাকে । এরুপঅবস্থায় জলপ্রপাত পেছনের দিকে সরে যায় । একে জলপ্রপাতের পশ্চাদপসরণ বলে ।'''
পার্বত্য অঞ্চলে কঠিন ও কোমল শিলাস্তর যদি পাশাপাশি উলম্বভাবে অবস্থান করে , তাহলে নরম শিলা দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ধাপযুক্ত
===
পার্বত্য অঞ্চলে নদীপথের ঢাল হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে তীব্র জলস্রোতের প্রভাবে শৈলশিরা ব্যাপকভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং নদী সোজা পথে বয়ে চলে। তিস্তা , তোর্সা , মহানন্দা প্রভৃতি নদী এইভাবে শৈলশিরা কেটে প্রবাহিত
▲পার্বত্য অঞ্চলে কঠিন ও কোমল শিলাস্তর যদি পাশাপাশি উলম্বভাবে অবস্থান করে , তাহলে নরম শিলা দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ধাপযুক্ত প্রবলগতিসম্পন্ন জলস্রোতের সৃষ্টি করে । একে খরস্রোত বলে । খার্তুম থেকে আসোয়ান পর্যন্ত নীল নদের গতিপথে ৬ টি বিখ্যাত খরস্রোত লক্ষ্যকরা যায় ।
=== ৮. আবদ্ধ অভিক্ষিপ্তাংশ===
পার্বত্য অঞ্চলে নদীর গতিপথে শৈলশিরার অভিক্ষিপ্তাংশ অবস্থান করলে নদী সামান্য বাক নিয়ে প্রবাহিত
▲পার্বত্য অঞ্চলে নদীপথের ঢাল হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে তীব্র জলস্রোতের প্রভাবে শৈলশিরা ব্যাপকভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং নদী সোজা পথে বয়ে চলে। তিস্তা , তোর্সা , মহানন্দা প্রভৃতি নদী এইভাবে শৈলশিরা কেটে প্রবাহিত হয়েছে ।
উচ্চগতিতে নদীর প্রবল স্রোতের টানে বাহিত শিলাখণ্ডগুলি নদীখাতের সঙ্গে ধাক্কা খেতে খেতে অগ্রসর
▲পার্বত্য অঞ্চলে নদীর গতিপথে শৈলশিরার অভিক্ষিপ্তাংশ অবস্থান করলে নদী সামান্য বাক নিয়ে প্রবাহিত হয় । এরুপ অবস্থায় দূর থেকেদেখলে শৈলশিরাগুলিকে আবদ্ধ দেখা যায় এবং নদীর গতিপথ আড়াল হয়ে যায় । এরুপ অবস্থাকে আবদ্ধ অভিক্ষিপ্তাংশ বলে ।
▲=== ৯. মন্থকূপ – ===
▲উচ্চগতিতে নদীর প্রবল স্রোতের টানে বাহিত শিলাখণ্ডগুলি নদীখাতের সঙ্গে ধাক্কা খেতে খেতে অগ্রসর হয় । জলপ্রপাত বা খরস্রোতেরপাদদেশে জলের ব্যাপক ঘুর্ণীর ফলে এই সমস্ত শিলাখণ্ড নদীখাতে গোলাকার গর্তের সৃষ্টি করে । এই সমস্ত গর্তগুলিকে মন্থকূপ বলে ।
=== ১০. প্রপাতকূপ – ===
নদীর পার্বত্যগতি ও সৃষ্ট ভূমিরূপ
পার্বত্যঅঞ্চলে নদীর প্রাথমিক গতি । এখানে নদীর স্রোত খুব প্রবল ও গভীরতা খুব বেশি । নদী এখানে খুব বেশি চওড়া হয় না । পর্বতের গা দিয়ে আঁকা বাঁকা পথে নদী এখানে বইতে থাকে এবং নানা রকমের ভূমিরূপ গঠন করে থাকে ।
|
সম্পাদনা