চিত্রা নদীর পারে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Mahbubsujon (আলোচনা | অবদান)
→‎কাহিনী সংক্ষেপ: বিষয়বস্তু যোগ
২৭ নং লাইন:
 
[[১৯৪৭]] সালের দেশবিভাগ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দুদের জীবনে যে প্রভাব ফেলেছিল, তা এই ছবিতে দেখানো হয়েছে। কাহিনীর শুরু ১৯৪৭ থেকে এবং শেষ হয় ৬০'-এর দশকে। অভিনয় করেছেন [[মমতাজউদ্দীন আহমেদ]], [[আফসানা মিমি]], [[তৌকির আহমেদ]], [[রওশন জামিল]], [[সুমিতা দেবী]] প্রমুখ।
 
 
বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক [[তানভীর মোকাম্মেল]] তার সুনিপুণ হাতে নির্মাণ করেছেন এ ছবিটি। শিল্পী নির্বাচন ও সেই যুগের চিত্র সার্থকভাবে তুলে আনতে পরিচালক যথেষ্ট মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। প্রতিমা বিসর্জন, মুড়ির টিন বাস, মার্শাল’ল বিরোধী আন্দোলনের প্লাকার্ড, উত্তম-সুচিত্রার ছবির রিকশাযোগে প্রচারণা, চিত্রা নদীর বুকে পালতোলা নৌকা এ সবকিছুই আমাদেরকে দেশ বিভাগের সেই সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়।
 
== কাহিনী সংক্ষেপ ==
সময়টা ১৯৪৭, তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তানের ছোট্ট জেলা নড়াইল। শশীভূষণ সেনগুপ্ত নামের এক হিন্দু উকিল ([[মমতাজউদ্দীন আহমেদ]]) থাকতেন তার বিধবা বোন [[রওশন জামিল|অনুপ্রভা (রওশন জামিল)]], এবং দু’টি ছোট ছেলে-মেয়ে মিনতি ও বিদ্যুৎকে নিয়ে। বাড়ির পাশেই বয়ে চলা নদী চিত্রা। ততদিনে শুরু হয়ে গেছে [[বঙ্গভঙ্গ (১৯৪৭)|হিন্দু-মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে দেশভাগ]]। পূর্ব পাকিস্তান থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন দেশ ত্যাগ করে চলে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। এ অবস্থায় শশীভূষণের উপরেও দেশত্যাগের চাপ আসতে শুরু করে, কিন্তু তিনি বাপ-দাদার ভিটা ছেড়ে পরদেশে পাড়ি না জমানোর সিদ্ধান্তে অনড়। কিন্তু তার ছোট ছেলে বিদ্যুৎ মুসলমান বন্ধুদের দ্বারা উৎপীড়িত হয়ে কোলকাতা চলে যাবার বায়না শুরু করে। অগত্যা বিদ্যুৎকে পড়াশোনার জন্য কোলকাতা পাঠিয়ে দেন শশীভূষণ। এরপর কিছু সময় কেটে যায়।
 
১৯৬৪ সাল, শশীভূষণের মেয়ে মিনতি ([[আফসানা মিমি]]) ততদিনে বড় হয়ে গেছে। ছোট বেলার খেলার সাথী বাদলের ([[তৌকির আহমেদ|তৌকীর আহমেদ]]) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মিনতির। বাদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে জড়িয়ে পড়ে মার্শাল’ল বিরোধী আন্দোলনে। একদিন মিছিলে পুলিশের অতর্কিত গুলিতে মারা যায় বাদল। এরমধ্যে চারিদিকে শুরু হয়ে যায় হিন্দু-মুসলমান সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।
 
সেই দাঙ্গার শিকার হন শশীভূষণের বিধবা ভাতিজি বাসন্তী। ধর্ষিত হয়ে চিত্রা নদীর পারে আত্মাহুতি দেয় সে। ঘটনাটি শশীভূষণকে মানসিকভাবে দুর্বল করে দেয়। অসুস্থ শশীভূষণ সেই চিত্রা নদীর পাড়েই তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নিয়তির নির্মম পরিহাসে অবশেষে দেশ ছেড়ে কোলকাতায় পাড়ি জমায় মিনতি ও অনুপ্রভা।
 
==শ্রেষ্ঠাংশে==
* [[মমতাজউদ্দীন আহমেদ]]
৪১ ⟶ ৫১ নং লাইন:
== আরও দেখুন ==
==তথ্যসূত্র==
 
* [https://bmdb.co/%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF/ BMDB]
{{সূত্র তালিকা}}