দ্বিতীয় ভাস্কর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
১ নং লাইন:
{{Distinguish|প্রথম ভাস্কর}}
 
'''ভাস্কর'''{{sfn|Pingree|1970|p=299}} (এছাড়াও '''ভাস্করাচার্য''' ("Bhāskara the teacher") নামে এবং [[প্রথম ভাস্কর]]) (১১১৪–১১৮৫)-এর সাথে বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য '''দ্বিতীয় ভাস্কর''' হিসেবে পরিচিত) ছিলেন একজন [[ভারত|ভারতীয়]] [[Indian mathematics|গনিতবিদ]] এবং [[জ্যোতির্বিজ্ঞানী]]। তিনি ভারতের বিজাপুরে (বর্তমানে [[কর্ণাটক]]) জন্ম গ্রহণ করেন।<ref>Mathematical Achievements of Pre-modern Indian Mathematicians by T.K Puttaswamy p.331</ref>
 
== জীবনী ==
১১ নং লাইন:
siddhānta-śiromaṇī racitaḥ //
</poem>}}
এই থেকে ধারণা প্রকাশ পায় যে তিনি [[Śaka era|শক যুগের]] ১০৩৬ সালে (১১১৪ [[Common Era|খ্রিষ্টাব্দ]]) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ৩৬ বছর বয়সে সিদ্ধান্ত শিরোমণি রচনা করেন।<ref name=sbrao1/> তিনি ৬৯ বছর বয়সে (১১৮৩ সালে) ''Karana-kutūhala'' নামক অন্য আরেকটি রচনা তৈরি করেন।<ref name=sbrao1/> তাঁরতার কাজসমূহে [[ব্রহ্মগুপ্ত]], [[শ্রীধর]], [[মহাবীর (গণিতবিদ)|মহাবীর]], পদ্মনাভ এবং অন্যান্য পূর্বসুরীদের প্রভাব দেখা যায়।<ref name=sbrao1/>
 
অনেকে তাকে ভাস্কর-I(৬০০-৬৮০ খ্রিস্টাব্দ)এর সাথে মিলিয়ে ফেলেন।এরাফেলেন। এরা দুজন ভিন্ন মানুষ। তাদের জন্মও হয় দুটি ভিন্ন সময়ে। ভাস্কর-১ ছিলেন [[আর্যভট্ট|আর্যভট্টের]] প্রিয় ছাত্র।
 
ভাস্কর [[কর্ণাটক|কর্ণাটকের]] বিজ্জবিড় শহরে বসবাস করতেন। এ শহরের নাম পরিবর্তন করে বিজাপুর রাখা হয় ।হয়। শহরটি পশ্চিমঘাটে সহ্য পর্বতের কাছাকাছি। তাঁরতার বাবা দৈবজ্ঞচূড়ামণি মহেশ্বর উপাধ্যায়। এসব তথ্য জানা যায় একটা তামার ফলক থেকে। ফলকটি নাসিক থেকে সত্তর মাইল দূরে চালিস গাঁ নামে এক জায়গায় ভাউদাজি আবিস্কার করেন।ভস্করেরকরেন। ভস্করের পিতাও ছিলেন একজন প্রাজ্ঞ ব্যক্তি। <ref>S. Balachandra Rao (July 13, 2014), "ನವ ಜನ್ಮಶತಾಬ್ದಿಯ ಗಣಿತರ್ಷಿ ಭಾಸ್ಕರಾಚಾರ್ಯ ‍", Vijayavani: 17</ref>
 
== অবদান ==
=== সিদ্ধান্তশিরমনি ===
ভাস্করের সর্বশ্রেষ্ঠ রচনা 'সিদ্ধান্ত-শিরমণি'(১১৫০)।<ref>Plofker 2009, p. 71.</ref> ছত্রিশ বছর বয়সে তিনি এই বই লিখেন। 'করণ কুহুতল' ও 'সর্বতোভদ্র' বই দুটিও তাঁর রচনা। 'সিদ্ধান্ত-শিরমণি' বইটিতে রয়েছে চারটি খণ্ড - লীলাবতী, বীজগণিত, গ্রহ গণিতাধ্যায় ও গোলধ্যায়।
ভাস্করের সর্বশ্রেষ্ঠ রচনা 'সিদ্ধান্ত-শিরমণি'(১১৫০)।<ref>Plofker 2009, p. 71.</ref> ছত্রিশ বছর বয়সে তিনি এই বই লিখেন। 'করণ কুহুতল' ও 'সর্বতোভদ্র' বই দুটিও তাঁর রচনা। 'সিদ্ধান্ত-শিরমণি' বইটিতে রয়েছে চারটি খণ্ড - লীলাবতী, বীজগণিত, গ্রহ গণিতাধ্যায় ও গোলধ্যায়।
==== লীলাবতী ====
সিদ্ধান্ত শিরমনি বইয়ের একটি খণ্ডের নাম লীলাবতী। লীলাবতী খণ্ডটি নিয়ে একাধিক কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। লীলাবতী ও বীজগণিত হচ্ছে গণিতের বই। লীলাবতী সম্ভবত ভাস্করের কন্যা ছিলেন।ধারনা করা হয় খুব অল্প বয়সে বিধবা হয়ে তিনি বাবার ঘরে চলে আসেন।ভাস্কর তাকে ধীরে ধীরে পাটিগণিত শেখান। তখনই তিনি বইটি লিখেন। মেয়ের নামে নাম দেন। আর এক মতে, ভাস্করের কোন মেয়ে ছিল না। তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল লীলাবতী। তাঁর স্মরণে তিনি বইটির নাম দেন। তবে বইয়ের নানা জায়গায় এমন কিছু সম্বোধন আছে যে অনেকে ভাবছেন লীলাবতী এক কাল্পনিক নাম। কোথাও বলেছেন- 'অয়ি বালে লীলাবতী', কোথাও সখে, কান্তে, বৎসে বলে সম্বোধন করেছেন। লীলাবতী লেখার ধরণটা কথপকথন। কথা বলতে বলতে অঙ্ক শেখাচ্ছেন। লীলাবতী শব্দটির অর্থ গুণসম্পন্না।
 
=== বীজগণিত ===
'লীলাবতী'-তে [[ব্রহ্মগুপ্ত]], শ্রীধর ও পদ্মনাভের নাম উল্লেখ আছে। [[শ্রীধর]] দ্বিঘাত সমীকরণের সমাধানের যে উপায় বার করেছিলেন ।করেছিলেন। পদ্মনাভের [[বীজগনিত|বীজগনিতের]] কথা আমরা প্রথম ভাস্করের রচনা থেকে জানতে পারি।
 
*ভাস্কর যখন বীজগনিতের আলোচনা করেছিলেন কোন রাশিকে শূন্য দিয়ে ভাগ দিলে কী হয় বলেছেন।
৩৯ ⟶ ৩৭ নং লাইন:
 
=== জ্যোতির্বিজ্ঞান ===
* ভাস্কর গ্রহের গতি পরিমাপ করেছিলেন ডিফারেন্সিয়াল ক্যালকুলাসের মূলনীতিকে ব্যবহার করে।
* গ্রহের তাৎক্ষণিক গতিও মেপেছিলেন।
* সময়কে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পরিমাণে ভাগ করেছিলেন।
* তিনি Rolle's theorem এর একটি আদি রুপ ব্যবহার করেন-
যদি f(a)=f(b)=0 তাহলে, f’(x)=0 যখন a is less than x SPamp x is less than b
 
একে ডিফারেন্সিয়াল ক্যালকুলাস বলা হয়!
* এক সেকেন্ড সময়কে তিনি ৩৪০০০ ভাগে ভাগ করেছিলেন নাম দিয়েছিলেন 'ত্রুটি'।
 
=== ত্রিকোণমিতি ===