গঙ্গেশোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Heliophilous (আলোচনা | অবদান) →প্রথম জীবন: নতুন পাতা ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
(কোনও পার্থক্য নেই)
|
১৩:৪৬, ১৫ জুন ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। ৪ বছর আগে Heliophilous (আলাপ | অবদান) এই নিবন্ধটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
গঙ্গেশোপাধ্যায় (জন্ম: দ্বাদশ শতকের শেষভাগ বা মতান্তরে ১৩শ-১৪শ শতক) নব্যন্যায়ের প্রবর্তক ছিলেন। তার বংশ পরিচয় নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। কারও মতে, তিনি ছিলেন মৈথিলি ব্রাহ্মণ এবং বর্তমান বিহারের দ্বারভাঙ্গা থেকে বারো মাইল দক্ষিণপূর্বে কমলা নদীর তীরে কারিয়ন গ্রামে তাঁর জন্ম। দ্বিতীয় মতে, তিনি ছিলেন সামাজিক মর্যাদায় নিকৃষ্ট শ্রেণির ব্রাহ্মণ এবং কাশ্যপগোত্রীয় ছাদন বংশে তাঁর জন্ম হয়। তার পুত্র বর্ধমানের উল্লেখ অনুসারে তাঁর প্রকৃত নাম গঙ্গেশ্বর।
প্রথম জীবন
প্রথম জীবনে শিক্ষিত না হলেও পরবর্তি সময়ে শ্মশানে কালীর উপাসনা করে মহাপন্ডিত হন। আস্তিক-নাস্তিক উভয় শাস্ত্রে তাঁর গভীর পান্ডিত্য ছিল। একমাত্র গ্রন্থ তত্ত্বচিন্তামণি তাঁকে অমরত্ব দান করেছে।
কর্মজীবন ও অবদান
তাঁর তত্বচিন্তামনি বইটি বিশ্বের দার্শনিক সমাজেও সমাদৃত ও আলোচিত। সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিশ্লেষণমূলক অভিনব বিচারপ্রণালী এবং পরিভাষা উদ্ভাবন করে তিনি নতুন যুগের সূচনা করেন। এর প্রভাব অপরিসীম; পরবর্তীকালে অন্যান্য শাস্ত্রের আলোচনায়ও এ পদ্ধতি অনুসৃত হয়।
তত্বচিন্তামনি
গঙ্গেশ মূলত গৌতম ন্যায়সূত্রের প্রমাণকান্ডেরই আলোচনা করেছেন। ন্যায়সূত্র অনুযায়ী প্রমাণ চার প্রকার,
- প্রত্যক্ষ
- অনুমান
- উপমান
- শব্দ
এই চারটি প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে তিনি চার খন্ডে তত্ত্বচিন্তামণি (প্রত্যক্ষচিন্তামণি, অনুমানচিন্তামণি, উপমানচিন্তামণি ও শব্দচিন্তামণি) রচনা করেন। সতেরো শতক থেকে উনিশ শতক পর্যন্ত এ তত্ত্বচিন্তামণির ব্যাখ্যা রচনা করে নব্যন্যায়ের পরম্পরাকে যাঁরা ক্রমশ সমৃদ্ধতর করেছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন পুত্র বর্ধমান, পক্ষধর মিশ্র, রঘুনাথ শিরোমণি, মথুরানাথ তর্কবাগীশ, বাসুদেব সার্বভৌম, জগদীশ তর্কালঙ্কার, গদাধর ভট্টাচার্য প্রমুখ। এঁদের মাধ্যমেই নবদ্বীপে ন্যায়দর্শনের প্রভূত চর্চা হয় এবং সর্বভারতে বাংলা এক বিশেষ পরিচিতি লাভ করে।