জিমি মাহের: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি!
Suvray (আলোচনা | অবদান)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট - নতুন অনুচ্ছেদ!
৯৯ নং লাইন:
 
== প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ==
গর্ডনভেলের সেন্ট মাইকেল ও সেন্ট ফ্রান্সিল জাভিয়ের প্রাইমারি স্কুলে অধ্যয়ন করেন। এরপর কেয়ার্নসের সেন্ট অগাস্টিন কলেজ ও নাজি কলেজে পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। কাকা কেএফকেভিন মাহের, কাকাতো ভাই জেপিজন মাহের ও টিপিটমাস মাহের [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে]] অংশগ্রহণ করেছিলেন।
 
১৯৯৩-৯৪ মৌসুমের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে জিমি মাহেরের। দুই মৌসুম নিয়মিতভাবে [[শূন্য রান]] নিয়ে কুইন্সল্যান্ডের প্যাভিলিয়নে ফিরে আসতেন জিমি মাহের। এ সময়েই তিনি গ্ল্যামারগনের সাথে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। ২০০১-০২ মৌসুমে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে [[শেফিল্ড শিল্ড|পুরা কাপে]] সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। এ পর্যায়ে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ১৭৪ ও [[সাউথ অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল|সাউথ অস্ট্রেলিয়ার]] বিপক্ষে ২০৯ রান তুলেন।
 
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখে ফোর্ড র‍্যাঞ্জার্স কাপের চূড়ান্ত খেলায় [[ম্যান অব দ্য ম্যাচ|ম্যান অব দ্য ম্যাচের]] পুরস্কার লাভ করেন। [[ভিক্টোরিয়া ক্রিকেট দল|ভিক্টোরিয়া বুশর‍্যাঞ্জার্সের]] বিপক্ষে খেলায় তিনি ১৩৩ বলে ১০৮ রানের মূল্যবান [[ইনিংস]] খেলেন। ঐ খেলায় কুইন্সল্যান্ড বুলস ২১ রানে জয় পেয়েছিল।<ref name="Cricinfo - Baggygreen">{{cite web | url=http://content-aus.cricinfo.com/australia/engine/match/251659.html | title=Victoria Vs Queensland | accessdate=26 February 2007 | date=February 2007 | publisher=[[Cricinfo]]}}</ref> ঘরোয়া একদিনের চূড়ান্ত খেলায় কুইন্সল্যান্ডের পক্ষে এ নিয়ে তিনি তৃতীয়বারের মতো [[শতক (ক্রিকেট)|সেঞ্চুরি]] করেন।
 
ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহামের পক্ষে দুই মৌসুম খেলেন। এরপর সমর্থকদের অর্থানুকূল্যে ২০০৭ সালে গ্ল্যামারগনের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।<ref>[http://content-uk.cricinfo.com/australia/content/story/281292.html Supporters pay for Maher's return to Glamorgan], [[Cricinfo]], Retrieved on 17 October 2007</ref>
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ছাব্বিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন জিমি মাহের। ১৪ জানুয়ারি, ১৯৯৮ তারিখে সিডনিতে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। এরপর একই দলের বিপক্ষে ৯ নভেম্বর, ২০০৩ তারিখে গুয়াহাটিতে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন। তবে, [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট ক্রিকেটে]] অংশগ্রহণের সৌভাগ্য ঘটেনি তার। কভার অঞ্চল দিয়ে বল পাঠানোর ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত আকর্ষণীয় বামহাতি ব্যাটসম্যানের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।<ref name="Cricinfo">{{cite web | url=http://content-aus.cricinfo.com/ci/content/player/6462.html| title=Jimmy Maher | accessdate=16 January 2007 | date=June 2006 | publisher=[[Cricinfo]]}}</ref>
 
== আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ==
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ছাব্বিশটি [[একদিনের আন্তর্জাতিক|একদিনের আন্তর্জাতিকে]] অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন জিমি মাহের। ১৪ জানুয়ারি, ১৯৯৮ তারিখে সিডনিতে সফরকারী [[নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল|নিউজিল্যান্ডের]] বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। এরপর একই দলের বিপক্ষে ৯ নভেম্বর, ২০০৩ তারিখে গুয়াহাটিতে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন। তবে, [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট ক্রিকেটে]] অংশগ্রহণের সৌভাগ্য ঘটেনি তার। কভার অঞ্চল দিয়ে বল পাঠানোর ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত আকর্ষণীয় বামহাতি ব্যাটসম্যানের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।<ref name="Cricinfo">{{cite web | url=http://content-aus.cricinfo.com/ci/content/player/6462.html| title=Jimmy Maher | accessdate=16 January 2007 | date=June 2006 | publisher=[[Cricinfo]]}}</ref>
 
১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দুইটি একদিনের খেলায় অংশগ্রহণের জন্যে জিমি মাহেরকে মনোনীত করা হয়। তখন [[মার্ক ওয়াহ]] অসুস্থ ও [[স্টিভ ওয়াহ]] আঘাতের কবলে পড়েছিলেন। তবে, খেলায় তাঁর অংশগ্রহণ তেমন আকর্ষণীয় ছিল না।
 
২০০২ সালে পুণরায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে ফিরে আসেন। ত্রি-দেশীয় ওডিআই সিরিজের চূড়ান্ত খেলায় অস্ট্রেলিয়া দল পৌঁছতে না পারায় ওয়াহ ভ্রাতৃদ্বয়কে দল থেকে বাদ দেয়ার কারণেই তার এ অংশগ্রহণ। তিনিও নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা চালান। ২০০৩ সালে সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের দ্বিতীয় খেলায় [[দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দল|দক্ষিণ আফ্রিকার]] বিপক্ষে ৯৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। এরপর পচেফস্ট্রুমে [[অপরাজিত (ক্রিকেট)|অপরাজিত]] ৪৩ রানের ইনিংসের কল্যাণে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ঐ খেলাটি টাইয়ে পরিণত হয়েছিল।
 
অস্ট্রেলিয়ার ওডিআই দলে ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলার পাশাপাশি কয়েক মৌসুম [[উইকেট-রক্ষক|উইকেট-রক্ষকের]] শূন্যতা পূরণে অগ্রসর হন। তন্মধ্যে, [[২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ|২০০৩]] সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপও এর অন্তর্ভূক্ত ছিল। কিন্তু, কখনো দলে নিয়মিতভাবে খেলার সুযোগ পাননি।
 
২০০৩ সালের বিশ্বকাপের শিরোপা বিজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। তবে, ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি মাত্র দুইটি খেলায় অংশ নিতে পেরেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারত গমন করেন। তবে, [[ব্রাড হাড্ডিন|ব্রাড হাড্ডিনের]] গ্লাভস হাতে দলে অন্তর্ভূক্তির ফলে ২৬টি ওডিআই খেলার অধিকারী জিমি মাহেরের খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে।
 
২০০৭-০৮ মৌসুম শেষে সকল স্তরের ক্রিকেট খেলা থেকে নিজের অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন তিনি। এর পরপরই জি টেলিফিল্মসের প্রতিদ্বন্দ্বী [[Indian Cricket League|ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগে]] [[Hyderabad Heroes|হায়দ্রাবাদ হিরোজের]] পক্ষে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন।
 
== তথ্যসূত্র ==