এরল হোমস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ AsikBinRahim-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Suvray-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত ট্যাগ: পুনর্বহাল |
সম্প্রসারিত রূপ! |
||
৪৪ নং লাইন:
| testdebutfor =
| testdebutagainst = ওয়েস্ট ইন্ডিজ
| testcap = ২৭৮
| testdebutdate = ৮ জানুয়ারি
| testdebutyear = ১৯৩৫
৫৬ নং লাইন:
}}
'''এরল রেজিনাল্ড থরোল্ড হোমস''' ({{lang-en|Errol Holmes}}; [[জন্ম]]: [[২১ আগস্ট]], [[১৯০৫]] - [[মৃত্যু]]: [[১৫ আগস্ট]], [[১৯৬০]]) তৎকালীন [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] কলকাতায় জন্মগ্রহণকারী
দর্শনীয় ডানহাতি ব্যাটিং ভঙ্গিমার অধিকারী হোমস বিশ্বাস করতেন যে ক্রিকেট উপভোগযোগ্য খেলা। ১৯৩০-এর দশকের শুরুর দিকে বডিলাইন বিতর্কের পর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। বডিলাইন সিরিজের ইংরেজ অধিনায়ক [[ডগলাস জারদিন|ডগলাস জারদিনের]] পরিবর্তে ১৯৩৪ সালে [[সারে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|সারে দলের]] অধিনায়কের দায়িত্ব লাভ করেন।
[[কাউন্টি ক্রিকেট|কাউন্টি ক্রিকেটের]] খেলাগুলোয় বোলারদেরকে শর্ট পিচ বোলিং করতে নিরুৎসাহিত করেন। ১৯৩৫-৩৬ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরে এমসিসি দলের টেস্ট সফরবিহীন শুভেচ্ছা সফরে অধিনায়কত্ব করেন তিনি।
== প্রারম্ভিক জীবন ==
৬৮ নং লাইন:
== শিক্ষাজীবন ==
১৯২৫ থেকে ১৯২৭ সময়কালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে তাঁর মারকুটে ব্যাটিং সকলের নজর কাড়ে। এ সময়ে [[সারে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|সারে]] ও প্লেয়ার্সের বিপক্ষে [[জেন্টলম্যান বনাম প্লেয়ার্স|জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে]] কয়েকটি খেলায় অংশ নেন। এছাড়াও তিনি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। জানা যায় যে, তাঁর দৌড়ানোর ভঙ্গিমা বোলিংয়ের চেয়ে তীব্রতর ছিল যা থেকে তিনি সফলতা পেতেন।
সতেজতার বছরে ফুটবল ও ক্রিকেটে ব্লু লাভ করেন। একবার তিনি বলেছিলেন যে, ব্লু লাভ করা প্রয়োজনীয়, তবে অক্সফোর্ড ছাত্রের কাছে জরুরি নয়।<ref>Holmes, p. 24.</ref> তিনি মন্তব্য করেন যে, তাঁর পড়াশোনায় কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছিল ও অক্সফোর্ড ক্রিকেট দলে অধিনায়কের দায়িত্বভার বহন করায় চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।<ref>Holmes, p. 27.</ref> খেলায় তিনি শতরান সংগ্রহ করলেও [[কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট ক্লাব|কেমব্রিজ দল]] জয়লাভ করেছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল = https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/12/12368.html| শিরোনাম = Oxford University v Cambridge University 1927| প্রকাশক = CricketArchive| সংগ্রহের-তারিখ = 11 August 2015}}</ref>
এর কয়েকসপ্তাহ পূর্বে ফ্রি ফরেস্টার্সের বিপক্ষে মনোজ্ঞ ২৩৬ রানের ইনিংস খেলেন। তন্মধ্যে একাধারে চার বলে উপর্যুপরি ছক্কা হাঁকান তিনি। ফলশ্রুতিতে প্রথম দিন শেষে ৫২০/৮ তুলে ইনিংস ঘোষণা করে অক্সফোর্ড দল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল = https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/12/12308.html| শিরোনাম = Oxford University v Free Foresters 1927| প্রকাশক = CricketArchive| সংগ্রহের-তারিখ = 15 August 2015}}</ref>
১৯২৬ সালে দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট চলাকালীন তিনি ডাকপিয়ন হিসেবে অক্সফোর্ডের আশেপাশের গ্রামগুলোয় চিঠিপত্র বিতরণ করতেন।<ref>Holmes, p. 25.</ref> ১৯২৭ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে সম্মানীয় [[লিওনেল টেনিসন, তৃতীয় ব্যারন টেনিসন|এল এইচ টেনিসনের]] নেতৃত্বাধীন দলের সদস্যরূপে জামাইকা গমন করেন। সেখানে দলটি [[Jamaica national cricket team|জামাইকার]] বিপক্ষে তিনটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণ করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল = https://cricketarchive.com/Archive/Events/2/LH_Tennysons_XI_in_Jamaica_1926-27.html| শিরোনাম = L. H. Tennysons XI in Jamaica 1926-27| প্রকাশক = CricketArchive| সংগ্রহের-তারিখ = 11 August 2015}}</ref>
== স্টক এক্সচেঞ্জে অংশগ্রহণ ==
অক্সফোর্ড থেকে চলে আসার পর স্টক এক্সচেঞ্জে কাজ করেন। লন্ডনের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। এছাড়াও ১৯৩০ সালে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে ছয়মাস ব্যয় করেন। ১৯২৮ ও ১৯২৯ সালে মাত্র কয়েকটি খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটে তাঁর। ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকে।
সারের সভাপতি [[এইচ. ডি. জি.
এছাড়াও ১৯৩৫ সালে সফরকারী [[দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দল|দক্ষিণ আফ্রিকা দলের]] বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। তবে ব্যবসায়িক দায়বদ্ধতার কারণে [[গাবি অ্যালেন|গাবি অ্যালেনের]] নেতৃত্বাধীন ১৯৩৬-৩৭ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে নিজ নাম প্রত্যাহার করে নেন। ১৯৩৮ সালে একই কারণে সারে দলের অধিনায়কের দায়িত্বভার ছেড়ে দেন।▼
▲এছাড়াও ১৯৩৫ সালে সফরকারী [[দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দল|দক্ষিণ আফ্রিকা দলের]] বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। তবে ব্যবসায়িক দায়বদ্ধতার কারণে [[গাবি অ্যালেন|গাবি অ্যালেনের]] নেতৃত্বাধীন ১৯৩৬-৩৭ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে নিজ নাম প্রত্যাহার করে নেন।
== দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ ==
[[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ]] চলাকালীন তিনি রয়্যাল আর্টিলারি কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে মেজর পদবী ধারন করেন। ফ্লাক বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাঁর সবিশেষ সুনাম ছিল। উইলহেম শাভেনে অবস্থিত জার্মান নৌঘাঁটিতে প্রথম আমেরিকান বোমা আক্রমণ পরিচালনায় ব্রিটিশ ফ্লাক লিয়াজোঁ কর্মকর্তা হিসেবে বিমান পরিচালনা করেন। বিমানে অবস্থানকারী গানার আহত হলে তিনি তাঁর স্থানে বসেন। তবে তিনি গোলাবর্ষণের সুযোগ পাননি।<ref>"Britain at War: Two Big Day Raids on Nazi Sea Bases", ''Daily Telegraph'', page 24, 28 January 2013 (reprint of article first published on 28 January 1943).</ref>
১৯৪৮ সালে যুদ্ধক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের অংশ হিসেবে ইউএস ডিএফসি পদক লাভ করেন। ইউরোপ জুড়ে ১ম বোম্ব উইং ডিভিশনের সাথে ফ্লাক লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁকে এ [[পদক]] দেয়া হয়েছিল।<ref>[https://www.facebook.com/SaveTheBramptonGrange/timeline Save The Brampton Grange] Retrieved 28 January 2013.</ref>
== যুদ্ধ পরবর্তী সময়কাল ==
১০২ ⟶ ৯৪ নং লাইন:
== অবসর ==
খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর এমসিসি ও সারে দলের কমিটিতে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৭ সালে নিজস্ব আত্মজীবনী 'ফ্লানেল্ড ফুলিশনেস এ ক্রিকেটিং ক্রোনিকল' শিরোনামীয় গ্রন্থ প্রকাশ করেন তিনি।<ref>''Wisden'' 1958, pp. 1015–16.</ref> সতীর্থ ও সারে কমিটিতে থাকাকালীন স্যার [[জ্যাক হবস]] হোমসকে উদ্দেশ্য করে লিখেন যে, তিনি প্রকৃত ক্রীড়াবিদ ও অন্তরঙ্গ সতীর্থ এবং মাঠে আক্রমণধর্মী চমৎকার ব্যাটসম্যানের উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। তিনি অতুলনীয় ও আপোষহীন ছিলেন।▼
▲সতীর্থ ও সারে কমিটিতে থাকাকালীন স্যার [[জ্যাক হবস]] হোমসকে উদ্দেশ্য করে লিখেন যে, তিনি প্রকৃত ক্রীড়াবিদ ও অন্তরঙ্গ সতীর্থ এবং মাঠে আক্রমণধর্মী চমৎকার ব্যাটসম্যানের উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। তিনি অতুলনীয় ও আপোষহীন ছিলেন।
হৃদযন্ত্রক্রীয়ায় আক্রান্ত হবার পর তাঁকে হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর ১৬ আগস্ট, ১৯৬০ তারিখে লন্ডনের মেরিলেবোন এলাকায় এরল হোমসের দেহাবসান ঘটে।<ref>''Wisden'' 1961, p. 947.</ref>
== তথ্যসূত্র ==
|