লালাখাল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
ছবি অপসারণ
৭৭ নং লাইন:
পাহাড়ে ঘন সবুজ বন, [[নদী]], চা-বাগান ও নানা জাতের বৃক্ষের সমাহার লালাখাল জুড়ে। [[পানি]] আর প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়া এখানকার মানুষের জীবনযাত্রাও আপনাকে দেবে নতুন করে বাঁচার প্রেরণা। <ref name="Lalakha6" />সবকিছু মিলিয়ে এলাকাটি পর্যটকদের কাছে বেশ প্রিয়, কাঙ্ক্ষিত ও প্রতীক্ষিত একটি স্থান। নৌপথে যেতে যেতে যেদিকে চোখ যায়, মুগ্ধতায় নেমে আসে মগ্নতা! নিশ্চিতভাবে কিছুক্ষণের জন্য আপনি কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যেতে চলছেন, এ খেয়াল হবেই না! ভারতের [[চেরাপুঞ্জি|চেরাপুঞ্জির]] ঠিক নিচেই লালাখালের অবস্থান। <ref name="Lalakha4">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=ইবনে বতুতার লালাখাল |ইউআরএল=http://bonikbarta.net/bangla/magazine-post/284/%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2--/ |সংগ্রহের-তারিখ=৯ জুন ২০১৯ |এজেন্সি=[[বণিক বার্তা]] |তারিখ= ২৬ অক্টোবর ২০১৬}}</ref>
== ইতিহাস ==
[[File:লালাখাল.jpg|thumb|লালাখাল]]
এ নদী দিয়েই [[পর্যটন|পর্যটক]] [[ইবন বতুতা|ইবনে বতুতা]] এসেছিলেন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]]। <ref name="Lalakha4"/>জায়গাটার নামের সঙ্গে ‘[[খাল]]’ শব্দ যুক্ত হলেও এটা মূলত একটা [[নদী|নদীরই]] অংশ। নদীর নাম [[সারি গোয়াইন নদী|সারি]]। পানি স্থির নয়, সব সময় চলমান। <ref name="Lalakha5" />কেননা, [[চেরাপুঞ্জি]] [[পাহাড়]] থেকে বেয়ে আসা পানি গড়িয়ে চলেছে [[লালাখাল]] দিয়ে। নদীতে স্রোত থাকায় যাওয়ার পথে সময় বেশি লাগে, তেমনি ফিরতি পথে পাওয়া যায় বাড়তি সুবিধা। এ নদীর [[পানি]] [[নীলের বর্ণচ্ছটা|নীল]], কিন্তু নাম কেন লালাখাল হলো? এমন প্রশ্ন অনেকের। <ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.priyo.com/articles/%E0%A6%98%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%B2-%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2|শিরোনাম=ঘুরে আসুন নীল জলের অপূর্ব নদী সিলেটের লালাখাল|ওয়েবসাইট=প্রিয়.কম|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2019-06-09}}</ref>লালাখালকে কেন লালাখাল বলা হয়, তা জানা যায়নি। <ref name="Lalakha5">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=নীল জলের ‘লালাখাল’ সিলেটের নীল নদ! |ইউআরএল=https://adarbepari.com/lalakhal-sylhet |সংগ্রহের-তারিখ=৯ জুন ২০১৯ |এজেন্সি= আদার ব্যাপারী }}</ref>স্থানীয়দের কাছ থেকেও এর কোনো ব্যাখ্যা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নদীর পানি নীল কেন, বলা মুশকিল। <ref name="Lalakha4" />প্রকৃতিতেই এ নদীর পানি নীল। তাই নদীর পানি নিয়ে যে কারো মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক। হতে পারত নীলাখাল। মিসরের নীল নদ দেখা সবার ভাগ্যে নাও জুটতে পারে। তবে দেশের এ খাল দেখে নীল জলারাশি দেখার আক্ষেপ মিটতে পারে। কেউ বা আবার নীল নদ দেখতে উদগ্রীবও হতে পারেন। [[ভ্রমণ]] শেষে আপনার মনে হতে পারে, এটা [[সিলেট|সিলেটের]] [[নীলনদ|নীল নদ]] বা [[বাংলাদেশ|বাংলার]] [[নীলনদ|নীল নদ]]। <ref name="Lalakha4" />
== দর্শনীয় বিষয় ==
[[File:লালাখাল (1).jpg|thumb|লালাখাল, সিলেট।]]
নৌপথে যেতে যেতে যেদিকে চোখ যায়, মুগ্ধতায় নেমে আসে মগ্নতা! নিশ্চিতভাবে কিছুক্ষণের জন্য আপনি কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যেতে চলছেন, এ খেয়াল হবেই না! ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখালের অবস্থান। চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে উৎপন্ন এই নদী বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। '''লালাখালের পানি নীল'''। মুলতঃ জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে আসা প্রবাহমান পানির সাথে মিশে থাকা খনিজ এবং কাদার পরিবর্তে নদীর বালুময় তলদেশের কারনেই এই নদীর পানির রঙ এরকম দেখায়। লালাখাল নদীতে অসংখ্য বাঁকের দেখা মেলে। <ref name="Lalakha6"/> প্রতিটি বাঁকই দেখার মতো সুন্দর। <ref name=":0" />পাহাড়গুলোকে দেখলে মনে হয়, কেউ যেন নিজ হাতে থরেথরে একের পর একটি করে সাজিয়ে রেখেছে। এখানে পাহাড়ের গায়ে মেঘ জমা হয়। একটু কাছ থেকে দেখা যায়, মেঘেরা দল বেঁধে পাহাড়ের গায়ে ঠেস লাগিয়ে থেমে থাকে। আবার কখনো দুই পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে সবার অলক্ষ্যে হারিয়ে যায়। <ref name="Lalakha3" />লালাখালে গেলে আদিবাসীদের সঙ্গে আপনার সখ্যের সুযোগও থাকছেই। আরও আছে লালাখাল [[চা]] বাগান, চা ফ্যাক্টরি, লালাখাল গ্রাম, পাহাড়ের ঢাল, নাজিমগড় রিসোর্ট,<ref name="Lalakha7">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম= নাজিমগড় রিসোর্ট |ইউআরএল= https://www.oursylhet.com/2016/06/blog-post_6.html|সংগ্রহের-তারিখ=৯ জুন ২০১৯ |এজেন্সি=আমাদের সিলেট }}</ref> সারী ব্রীজ়, জৈন্তিয়া রাজ্যের রাজকুমারী ইরাবতীর নামে একটি পুরনো [[পান্থশালা]] স্থাপনা, ও [[নৌকা]] নিয়ে জিরোপয়েন্ট ঘুরে আসা যায়। <ref name="Lalakha6" /> এছাড়াও, লালাখালের পানিতে সাঁতার কাটার পাশাপাশি বালুতে শুয়ে আপনি সূর্যস্নান করতে পারেন। অন্যদিকে, পাহাড়ের উপর উঠে আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও উপভোগ করতে পারেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDJfMTlfMTNfNF8xNF8xXzE5OTc2|শিরোনাম=সারি নদীর বাঁকে :: দৈনিক ইত্তেফাক|ওয়েবসাইট=archive.ittefaq.com.bd|ভাষা=Bengali|সংগ্রহের-তারিখ=2019-06-09}}</ref>
 
== ভ্রমণের উপযুক্ত সময় ==
[[File:লালাখাল (3).jpg|thumb|লালাখাল, সিলেট।]]
লালাখাল ভ্রমণের জন্য '''শীতের প্রথম ভাগটাই''' উপযুক্ত সময়। চাইলে বৃষ্টির দিনে ভ্রমণ করা যেতে পারে। তবে '''শীতের সময়টা বেশ নিরাপদ'''। <ref name="Lalakha6">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=লালাখাল |ইউআরএল=http://www.sylhet.gov.bd/site/tourist_spot/38b922cf-0758-11e7-a6c5-286ed488c766/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2 |সংগ্রহের-তারিখ=৯ জুন ২০১৯ |এজেন্সি=[[বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন]] }}</ref>
==আশেপাশের আকর্ষণ==
৯৪ ⟶ ৯১ নং লাইন:
== যাতায়াত ব্যবস্থা ==
[[সিলেট]] শহর হতে [[লালাখাল]] যাবার জন্য আপনাকে পাড়ি দিতে হবে ৩৫ কি.মি রাস্তা। <ref name="Lalakha3"/>লালাখালে যেতে হলে [[সিলেট|সিলেটের]] [[উসমানী শিশু পার্ক|উসমানী '''শিশু''' পার্কের]] সামনে থেকে লেগুনা অথবা [[জাফলং|জাফলংয়ের]] বাসে চেপে [[সিলেট]]-[[তামাবিল]] সড়ক থেকে সড়কপথে সারিঘাট এসে এক থেকে দেড় ঘণ্টার নৌ ভ্রমণ। [[সিলেট]] থেকে এলে সারিঘাট থেকে [[নৌকা|নৌকায়]]। সারিঘাট থেকে প্রতি ঘণ্টায় [[নৌকা]] ছেড়ে যায়। ফেরার পথে এখান থেকে বাসে কিংবা লেগুনায় আসতে পারবেন। <ref name="Lalakha6"/>
[[File:লালাখাল (4).jpg|thumb|লালাখাল, সিলেট।]]
== পবিবেশ বিপর্যয় ==
সরকারি বিধিনিষেদের তোয়াক্কা না উদ্ভিদবৈচিত্র্যকে করে তুলেছে হুমকির সম্মুখিন। এছাড়া অনুমোদনহীনভাবে পাথর উত্তোলন [[নদী]] এবং [[নদী]] অববাহিকার ভূমিকে করছে হুমকির সম্মুখিন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://m.dailyinqilab.com/article/66621/%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9F-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE|শিরোনাম=বন, আবহাওয়া ও পরিবেশ : প্রেক্ষাপট সিলেট জেলা|ওয়েবসাইট=DailyInqilabOnline|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2019-06-09}}</ref>এলাকার প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে বিপুল পরিমাণ [[উদ্ভিদ|গাছ]] কেটে ফেলার কারণে প্রায়ই সেখানে নানা রোগব্যাধির প্রকোপ লক্ষ্য করা যায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.banglanews24.com/climate-nature/news/bd/296107.details|শিরোনাম=প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার উদ্যোগ কাগজে-কলমে :: BanglaNews24.com mobile|শেষাংশ=BanglaNews24.com|ওয়েবসাইট=banglanews24.com|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2019-06-09}}</ref> তাছাড়া উজান থেকে নেমে আসা পাথর আর বালুতে সয়লাব হয়ে যাওয়ায় নদীর নাব্যতা কমে গেছে। ফলে হঠাৎই উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় নিকটবর্তি অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা। <ref>''নিষিদ্ধ বোমা মেশিনে পাথর তোলায় বাঁধের এই দশা?'', নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট; "বিশাল বাংলা", পৃষ্ঠা ৫, দৈনিক প্রথম আলো; প্রকাশকাল: ৩ জুলাই ২০১২; সংগ্রহের তারিখ: তারিখ=৯ জুন ২০১৯।</ref>