ইসলাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
118.179.61.18-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Nafiur14-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২ নং লাইন:
{{তথ্যছক-ইসলাম}}
 
'''ইসলাম''' ({{lang-ar|الإسلام}}) একটি [[একেশ্বরবাদ|একেশ্বরবাদী]] এবং [[আব্রাহামিক ধর্ম]]; যা [[আল্লাহ|আল্লাহর]]<ref>[https://quraan.com http://quraan.com]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ডিসেম্বর ২০১৮ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref><references group="quraan.com" /> বানী ([[কোরআন]]) এবং [[নবী]] [[মুহাম্মাদ]] '''(সাঃ)'''-এর প্রদত্ত শিক্ষা পদ্ধতি, জীবনাদর্শ ([[সুন্নাহ]] এবং [[হাদিস]] নামে লিপিবদ্ধ) দ্বারা পরিচালিত।
 
ইসলাম শব্দটি এসেছে [[আরবি]] س-ل-م শব্দটি হতে; যার দু'টি অর্থঃ ১. শান্তি ২. আত্মসমর্পণ করা। সংক্ষেপে, ''ইসলাম'' হলো শান্তি (প্রতিষ্ঠা)'র উদ্দেশ্যে এক ও অদ্বিতীয় ঈশ্বর ([[আল্লাহ]])-এর কাছে আত্মসমর্পণ করা।
 
অনেকের ধারণা যে, [[মুহাম্মদ]] '''(সাঃ)''' হলেন এই ধর্মের প্রবর্তক। তবে [[মুসলমান|মুসলমানদের]] মতে, তিনি এই ধর্মের প্রবর্তক নন, বরং [[আল্লাহ্|আল্লাহর]] পক্ষ থেকে প্রেরিত সর্বশেষ ও চূড়ান্ত [[রাসূল]] (পয়গম্বর)। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতকে তিনি এই ধর্ম পুনঃপ্রচার করেন। পবিত্র [[কোরআন|কুরআন]] ইসলাম ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ। এই ধর্মে বিশ্বাসীদের [[মুসলমান]] বা মুসলিম বলা হয়। মুসলিমরা যেকোনো জাতি, বর্ণের মানুষকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে উৎসাহিত করে। মুসলমানরা [[বিশ্বাস]] করেন, কুরআন গ্রন্থটি [[আল্লাহ|আল্লাহর]] বাণী এবং এটি তার দ্বারা স্বর্গীয় দূত জিব্রাইল-এর মাধ্যমে [[মুহাম্মদ]] '''(সাঃ)'''-এর নিকট প্রেরিত। তাদের [[বিশ্বাস]] অনুসারে [[মুহাম্মদ]] '''(সাঃ)''' স্রষ্টার সর্বশেষ বার্তাবাহক। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ইসলাম হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ ও সার্বজনীন ধর্ম এবং কুরআন হচ্ছে সর্বোত্তম জীবন বিধান।
 
মুসলমানরা মৃত্যুর পরে পুনরুত্থানের উপর বিশ্বাস করে। এই দিনটিকে হাশরের দিন বলা হয়। এই দিন প্রত্যেক মানুষের কৃতকর্মের বিচার করা হবে এবং এর ভিত্তিতে বেহেশত বা দোযখে পাঠানো হবে। তারা আরও বিশ্বাস করে ভাগ্যের ভাল-মন্দ সবকিছু আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত।
 
[[ইহুদি ধর্ম|ইহুদি]] ও [[খৃস্ট ধর্ম|খৃস্ট ধর্মের]] ন্যায় ইসলাম ধর্মও [[ইব্রাহামীয় ধর্মসমূহ|ইব্রাহিমীয়]]।<ref>{{বই উদ্ধৃতি | লেখক=Vartan Gregorian | শিরোনাম=Islam: A Mosaic, Not a Monolith | প্রকাশক=Brookings Institution Press | অবস্থান=Washington D.C. | বছর=2003 | আইডি={{আইএসবিএন|0-8157-3283-X}}|pages=p. ix}}</ref> বর্তমান বিশ্বে মুসলমানের সংখ্যা আনুমানিক ১.৮ বিলিয়ন এবং তারা পৃথিবীর [[প্রধান ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠীসমূহ।। এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠী]]। <ref>{{বই উদ্ধৃতি |লেখক= Teece, Geoff |শিরোনাম=Religion in Focus: Islam |প্রকাশক=Smart Apple Media| বছর=2005| পাতাসমূহ=p. 10}}</ref> মুহাম্মদ '''(সাঃ)''' ও তার উত্তরসূরীদের প্রচার ও যুদ্ধ জয়ের ফলশ্রুতিতে ইসলাম দ্রুত বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Nelson|প্রথমাংশ=Lynn Harry|ইউআরএল=http://www.ku.edu/kansas/medieval/108/lectures/islam.html|শিরোনাম=Islam and the Prophet Muhammad|সংগ্রহের-তারিখ=2006-06-17|প্রকাশক=Kansas University}} - "One must remember that we are talking about the Muslim expansion, not Arab conquests. The expansion of Islam was as much, or perhaps much more, a matter of religious conversion than it was of military conquest."</ref> বর্তমানে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে, বিশেষ করে [[মধ্যপ্রাচ্য]], [[উত্তর আফ্রিকা]], [[দক্ষিণ এশিয়া]], [[পূর্ব আফ্রিকা]], [[পশ্চিম আফ্রিকা]], [[মধ্য এশিয়া]], [[দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া]], [[পূর্ব ইউরোপ|পূর্ব ইউরোপে]] মুসলমানরা বাস করেন। আরব দেশের মুসলমানরা মোট মুসলমান জনসংখ্যার শতকরা মাত্র ২০ ভাগ।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |লেখক= John L Esposito|শিরোনাম=What Everyone Needs to Know About Islam |প্রকাশক=Oxford University Press US| বছর=2002| পাতাসমূহ=p. 2| আইডি={{আইএসবিএন|0-19-515713-3}}}}</ref> [[যুক্তরাজ্য|যুক্তরাজ্যসহ]] বেশ কিছু [[বলকান অঞ্চল]] দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম ইসলাম।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| শিরোনাম=Religion In Britain| ইউআরএল= http://www.statistics.gov.uk/cci/nugget.asp?id=293| লেখক=Office for National Statistics| তারিখ=2003-02-13| সংগ্রহের-তারিখ=2006-08-27}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| শিরোনাম=Muslims in Europe: Country guide| ইউআরএল= http://news.bbc.co.uk/1/hi/world/europe/4385768.stm| লেখক=BBC| তারিখ=2005-12-23| সংগ্রহের-তারিখ=2006-09-28}}</ref>
 
== ধর্ম বিশ্বাস ==
১৬ নং লাইন:
মুসলমানদের ধর্ম বিশ্বাসের মূল ভিত্তি [[আল্লাহ্|আল্লাহর]] [[তাওহীদ|একত্ববাদ]]।
 
তারা আরও বিশ্বাস করেন, তাদের পবিত্র গ্রন্থ কুরআন নিখুঁত, অবিকৃত ও মানব এবং জ্বিন জাতির উদ্দেশ্যে অবতীর্ণ আল্লাহর সর্বশেষ বাণী, যা [[পুনরুত্থান দিবস]] বা কেয়ামত পর্যন্ত বহাল ও কার্যকর থাকবে। তবে কিছু সম্প্রদায়, যেমনঃ [[আহ্মদি]] বা কাদিয়ানী নামক একটি সম্প্রদায় মনে করে [[মুহাম্মদ]] '''(সাঃ)''' শেষ নবী নন; বরং যুগের চাহিদা মোতাবেক নবুওয়াতের ধারা অব্যহত থাকবে।<ref>http://www.quraneralo.com/qadiyani-exposed/ কাদিয়ানী মতবাদ এবং খতমে নবুওয়াত</ref> এবং [[শিয়া ইসলাম|শিয়াদের]] একটি বিরাট অংশবিশেষ [[ইসমাইলীয়|ইসমাঈলীয়দের]] মধ্যে প্রচলিত বিশ্বাস যে, [[ইমাম ইসমাঈল]] আখেরী নবী ছিলেন। <ref>http://www.djanata.com/index.php?ref=MjBfMDFfMjFfMTRfMV80XzFfNTQyNzA=</ref>
 
ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, [[আদম]] হতে শুরু করে [[আল্লাহ্]] প্রেরিত সকল পুরুষ ইসলামের বাণীই প্রচার করে গেছেন। কুরআনের সূরা ফাতিরে বলা হয়েছে,
৭১ নং লাইন:
কুরআন মুসলিমদের মূল ধর্মগ্রন্থ। তাদের বিশ্বাস পবিত্র এই কুরআন স্রষ্টার অবিকৃত, হুবহু বক্তব্য। বিশ্বাস করা হয়, আল্লাহ নিজেই কুরআনের সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন। এর আগে স্রষ্টা প্রত্যেক জাতিকে বিভিন্ন গ্রন্থ পাঠিয়েছেন, কিন্তু সেগুলোকে বিকৃত করা হয়। কুরআনকে আরও বলা হয় "আল-কুরআন" । বাংলায় "কুরআন"-এর জায়গায় বানানভেদে "কোরআন" বা "কোরান"ও লিখতে দেখা যায়।
 
ইসলাম ধর্মমতে, জীব্রাইল ফেরেশতার মাধ্যমে নবী [[মুহাম্মদ]] '''(সাঃ)''' -এর নিকট ৬১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬ই জুলাই, ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যু অবধি বিভিন্ন সময়ে আল্লাহ তাঁর বাণী অবতীর্ণ করেন। এই বাণী তাঁর (মুহাম্মদের) '''(সাঃ)''' অন্তঃস্থ ছিলো, সংরক্ষণের জন্য তাঁর অনুসারীদের দ্বারা পাথর, পাতা ও চামড়ার ওপর লিখেও রাখা হয়।
 
অধিকাংশ মুসলিম পবিত্র কুরআনের যেকোনো পাণ্ডুলিপিকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন, স্পর্শ করার পূর্বে [[ওজু]] করে নেন। কুরআন জীর্ণ ও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়লে আবর্জনা হিসেবে ফেলে দেয়া হয় না, বরং কবর দেয়ার মত করে মাটির নিচে রেখে দেয়া হয় বা পরিষ্কার স্রোতের পানিতে ডুবিয়ে দেয়া হয়।
৭৮ নং লাইন:
 
=== নবী ও রসূলগণ ===
বলা হয়, হযরত আদম থেকে শুরু করে হযরত মুহাম্মদ '''(সাঃ)''' পর্যন্ত আল্লাহ পৃথিবীতে প্রায় ১,২৪,০০০ (আনুমানিক) নবী ও রাসূল পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।{{cn}} আর তাদের মধ্যে হযরত আদম সর্ব প্রথম মানুষ ও আল্লাহর সর্ব প্রথম নবী এবং সর্ব শেষ ও সর্ব শ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ।
 
মুসলিমগণ বিশ্বাস করে যীশু(ঈসা) আল্লাহর পুত্র নন বরং তিনি আল্লাহর রাসূল। তাঁর উপর ইঞ্জিল কিতাব নাজিল হয়েছে। তিনি কেয়ামতের আগে আবার পৃথিবীতে আবার আসবেন এবং [[মুহাম্মাদ]]ের '''(সাঃ)''' অনুসারী হিসেবে মৃত্যু বরণ করবেন ।
 
=== ইসলামের নবী মুহাম্মদ '''(সাঃ)''' ===
{{মূল নিবন্ধ|মুহাম্মদ (সাঃ)}}
{{Wide image|Madina Haram at evening.jpg|1400px|<center>বর্তমান সৌদি আরবের, [[হেজাজ]] অঞ্চলের, [[মদিনা]]য় অবস্থিত [[মসজিদে নববী]] (নবীজীর মসজিদ) এঁর প্যানারমিক দৃশ্য। ইসলামে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ।</center>}}
[[মুহাম্মদ (সাঃ)|মুহাম্মদ]] '''(সাঃ)''' ছিলেন তৎকালীন আরবের [[কুরাইশ বংশ|কুরাইশ বংশের]] একজন। নবুওয়াত প্রাপ্তির পূর্বে তাঁর গুণের কারণে তিনি আরবে "আল-আমীন" বা "বিশ্বস্ত" উপাধিতে ভূষিত হন। স্রষ্টার নিকট হতে নবুওয়াত প্রাপ্তির পর তিনি মানুষকে [[ইসলাম ধর্ম]] এর দিকে দাওয়াত দেন। তাঁকে ইসলামের শ্রেষ্ঠ বাণী-বাহক (নবী) হিসেবে শ্রদ্ধা ও সম্মান করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, পূর্বের একেশ্বরবাদী ধর্ম বিভিন্ন সময় পরিবর্তিত ও বিকৃত হয়ে গিয়েছিল।
 
ইসলাম ধর্মমতে, তিনি চল্লিশ বছর বয়স হতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ২৩ বছরের বিভিন্ন সময়ে জিব্রাইলের মাধ্যমে ঐশী বাণী লাভ করেন। এই বাণীসমূহের একত্ররূপ হলো পবিত্র কুরআন, যা তিনি মুখস্থ করেন ও তাঁর অনুসারীদের (সাহাবী) দিয়ে লিপিবদ্ধ করান। কারণ, তিনি নিজে লিখতে ও পড়তে জানতেন না।
৯৬ নং লাইন:
মুসলিমরা বিশ্বাস করেন, ঐশ্বিক বাণী প্রচারের ক্ষেত্রে ইসলামের নবী কখনো ভুল করেননি। আরো বিশ্বাস করা হল, তাঁর জীবনকালে তিনি সম্পূর্ণ আলৌকিকভাবে মেরাজ লাভ করেন।
 
মুসলিমদেরকে শেষ বাণীবাহক মুহাম্মদের '''(সাঃ)''' নাম উচ্চারণ করার সাথে সাথে "সাল্লাল্লা-হু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম" বলতে হয়। এর অর্থ: 'আল্লাহ তাঁর উপর রহমত এবং শান্তি বর্ষণ করুন।' একে বলা হয় দরুদ শরীফ। এছাড়াও আরও অনেক দরুদ হাদীসে বর্ণীত আছে। তাঁর মধ্যে এটাই সর্বপেক্ষা ছোট। কোনো এক বৈঠকে তাঁর নাম নিলে দরুদ একবার বলা অবশ্যকর্তব্য (ওয়াজিব)।
 
==== হাদিস ====
{{মূল নিবন্ধ|হাদিস}}
'হাদীস' (اﻠﺤﺪﻴث) আরবি [[শব্দ]]। এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে- কথা, বাণী, কথা-বার্তা, আলোচনা, কথিকা, সংবাদ, খবর, কাহিনী ইত্যাদি। <ref>আধুনিক আরবি বাংলা অভিধান, ড.ফজলুর রহমান, রিয়াদ প্রকাশনী ২০০৫</ref> ইসলামী পরিভাষায় [[মুহাম্মদ|মুহাম্মদের]] (সাঃ) কথা, কাজ, অনুমোদন এবং তাঁর দৈহিক ও চারিত্রিক যাবতীয় বৈশিষ্ট্যকে হাদীস বলে। মুহাম্মদের '''(সাঃ)''' জীবদ্দশায় তাঁর সাহাবীরা তাঁর হাদীসসমূহ মুখস্থ করে সংরক্ষণ করতেন। প্রথমদিকে হাদীস লেখার অনুমতি ছিলো না। তখনকার অনুন্নত মুদ্রণব্যবস্থার কারণে কেউ লিখিত হাদিসকে ভুলক্রমে কুরআনের আয়াত মনে করতে পারে এই আশংকা ছিল। পরবর্তীতে ইসলামের নবী তাঁর কোনো কোনো সাহাবী বা সহচরকে হাদীস লেখার অনুমতি প্রদান করেন।<ref>Khatib Bagdadi, ''Taq-eedul 'Ilm.'' Beirut: Ihya-us-sunnah An-nabawiah.</ref> তার মৃত্যুর পর তার সাহাবীরা নিয়মিত তাঁর হাদিসগুলো চর্চা করতেন ও তাদের ছাত্রদের কাছে বর্ণনা করতেন। সাহাবীদের ছাত্র তথা তাবেঈরা ওমর ইবন আব্দুল আযীযের আমলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হাদীস লিখিত আকারে সংরক্ষণ করেন।<ref>প্রাগুক্ত।</ref>
 
মুহাম্মদের '''(সাঃ)''' কথা-কাজসমূহের বিবরণ এভাবে লোকপরম্পরায় সংগ্রহ ও সংকলন করে সংরক্ষণ করা হলে তাঁর বক্তব্যসমূহ পরবর্তী প্রজন্মের কাছে উন্মুক্ত হয়। মুসলিম পণ্ডিতদের সংকলিত সেসব হাদিস-সংকলন গ্রন্থগুলোর মধ্যে ছয়টি গ্রন্থ প্রসিদ্ধ হয়েছে। এগুলোকে 'ছয়টি হাদিস গ্রন্থ' (কুতুবুস সিত্তাহ) আখ্যা দেয়া হয়। হাদিসের বিশুদ্ধতা যাচাইয়ের বিভিন্ন মাপকাঠি রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো হাদীসের ''সনদ'' বা হাদিসের বর্ণনাকারীদের নির্ভরযোগ্য যাচাই।
 
=== কিয়ামত ===