বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
37.111.230.224 (আলাপ)-এর করা 1টি সম্পাদনা বাতিল।
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৮৩ নং লাইন:
[[চিত্র:Mujib7March.jpg|right|thumb|৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ]]
 
পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি চূড়ান্ত নাটকীয়তার মুখোমুখি হয়, যখন ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় দল [[(বাংলাদেশ আওয়ামীআওয়ামীলীগ বা লীগ|পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ]]আওয়ামীলীগ) নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। দলটি পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯ টি আসনআসনের মধ্য হতে ১৬৭ টি আসনে জয়লাভ করে এবং ৩১৩ আসনবিশিষ্টআসন বিশিষ্ট জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়,পায়। যা আওয়ামী লীগকেআওয়ামীলীগকে সরকার গঠনের অধিকার প্রদান করে। কিন্তু নির্বাচনে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতাপ্রাপ্ত দল [[(পাকিস্তান পিপলস্‌ পার্টি|পাকিস্তান পিপলস পার্টির]]) নেতা [[জুলফিকার আলী ভুট্টো]] [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিবের]]রহমানকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিরোধিতাবিরোধীতা করেন। তিনি প্রস্তাব করেন যে পাকিস্তানের দুই প্রদেশের জন্যে থাকবে দু'দুই জন প্রধানমন্ত্রী। এই "এক ইউনিট কাঠামো" নিয়ে ক্ষুব্ধ পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে এরূপ অভিনব প্রস্তাব নতুন করে ক্ষোভের ও ক্ষুদ্ধতার সঞ্চার করে।হয়। ভুট্টো শেখ মুজিবের ৬-দফা দাবি মেনে নিতেও অস্বীকৃতি প্রকাশ করেন। মার্চের ৩ তারিখ পূর্ব ও পশ্চিম অংশের এই দুই নেতা পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতিকে সঙ্গে নিয়ে দেশের ভাগ্য নির্ধারণে ঢাকায় বৈঠকে মিলিত হন। তবেকিন্তু বৈঠক ফলপ্রসূ হয় না। আপামর বাঙালির প্রানের দাবি আদায়ের জন্য শেখ মুজিব সারা দেশে ধর্মঘটের ডাক দেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান [[সোহরাওয়ার্দী উদ্যান]]) এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। এই ভাষণে তিনি ২৫শে মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের আগেইঅধিবেশন বাস্তবায়নের জন্য চার দফা দাবি পেশ করেন:করেন।
 
দাবি গুলা নিন্মরূপঃ-
 
 
* অবিলম্বে সামরিক আইন প্রত্যাহার করতে হবে।
* সামরিক বাহিনীকে সেনানিবাসে ফিরে যেতে হবে।
৮৯ ⟶ ৯৩ নং লাইন:
* ২৫ মার্চে জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের আগে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
শেখ মুজিব তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে ঘোষণা করলেন, "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম"। তাঁর এই ভাষণ গোটা জাতিকে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় উন্মাতাল করে তোলে।
 
[[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিবের]]রহমানের নেতৃত্বাধীন [[আওয়ামী'বাংলাদেশ লীগ]]আওয়ামীলীগ' ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠনের অধিকার অর্জন করে,! কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক সরকার ,ক্ষমতা কোনো পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের হাতে ছেড়ে দিতে রাজি ছিল না। যদিও ৩ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের তারিখ নির্ধারিত হয়, কিন্তু ভেতরে ভেতরে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টতৎকালীন প্রধানমন্ত্রী [[ইয়াহিয়া খান]] পশ্চিম পাকিস্তানের নেতা [[জুলফিকার আলী ভুট্টো]] এবং সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন অফিসারদের নিয়ে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বুনতে শুরু করেন। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ কোন কারণ ছাড়াই ৩ তারিখের নির্ধারিত অধিবেশন বাতিল করা হয়। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়। সারা দেশে বিক্ষোভের বিস্ফোরণ হয়। ঢাকা পরিণত হয় মিছিলের নগরীতে। বঙ্গবন্ধু সারা দেশে ৫ দিনের হরতাল এবং অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। তাঁর আহবানে সারা পূর্ব পাকিস্তান কার্যত অচল হয়ে যায়। সামরিক সরকার কারফিউ জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে, কিন্তু এতে আন্দোলন প্রশমিত হয়নি। ৫ দিন হরতাল শেষে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু তাঁর [[সাতই মার্চের ভাষণ|ঐতিহাসিক ভাষণ]] প্রদান করেন।
 
=== মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক ===