বাংলাদেশের নারী শিল্পীগণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ, অনুবাদ
সম্প্রসারণ, অনুবাদ
৯৬ নং লাইন:
===আতিয়া ইসলাম আন (জন্ম ১৯৬২)===
[[আতিয়া ইসলাম আন]] সমাজের একক-মনস্কভাবে নারীর গৌন অবস্থানের বিষয় নিয়ে চিত্রাঙ্কন করেন। তাঁর ধারা এবং ভাষা হল এককথায় অপূর্ব। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে তিনি পরাবাস্তব উপাদান নিয়ে কাজ করছেন, কিন্তু সেগুলো অবচেতনের মধ্যে দিয়ে নয়। তিনি সমাজের পিছিয়েপড়া এবং সহায়সম্বলহীন নারীদের প্রতিতিধিত্বকারী বিশেষ প্রতীককে প্রতিষ্ঠা করার কাজ করেছেন (চিত্র 1.28)। তাঁর চিত্রগঠনে উপাদানের ব্যবহার বাস্তবের কাছাকাছি, কিন্তু ঠিক সেরকম নয়, যা একটা বিচিত্র ভৌগোলিক লাইন ও আকার এক অগভীর এবং অবাস্তব জায়গা তৈরি করে। আবুল মনসুরের ভাষ্য অনুযায়ী, ... আনের মতো শিল্পীকে বুঝতে হলে তাঁর নারীত্বকে অনুধাবন করতে হবে, এছাড়া তাঁর মূল্যায়ন অধুরা ... সম্পূর্ণ চিত্রকল্পের কেন্দ্রে আছে নারী।
 
===নিলুফার চমন (১৯৬২)===
[[নিলুফার চমন]] হলেন আরো একজন নারী শিল্পী যিনি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত মূলধারার চিত্রশিল্পকে সম্পূর্ণ অবজ্ঞা করেছিলেন এবং নিজস্ব পথে চলেছেন। নিলুফারের রংগুলো হল সূক্ষ্ম, তাঁর ধারা হল আকৃতিগত, জলে ভাসমান এবং পরিবর্তনশীলতার প্রক্রিয়ায় রত। তাঁর ক্যানভাসে মানবজাতি, প্রাণীজগৎ এবং গাছপালা সমান গুরুত্ব সহকারে অঙ্কিত হয়েছে। এটা এরকম নয় যে, তারা সব আলাদা, আসলে সকলেই পরস্পর পরিব্যাপ্ত।
এক জল-প্লাবিত বিশ্বে যৌনতা এবং পুনরুৎপাদনের অবিরাম জীবনচক্র তাঁর শিল্পকর্মকে একটা বিশিষ্টতা দান করেছে (চিত্র 1.26)। আবুল মনসুর লিখেছেন, 'যদিও তিনি পুরুষের সংগঠিত বর্বরতা এবং দুরাচারের দ্বারা
গভীরভাবে আহত ও বিদ্রোহী হয়েছিলেন, তাঁর তীব্র বিষয়গত অনুভূতির জন্যে সরাসরি বিবরণের পরিবর্তে তিনি রূপকধর্মী অভিব্যক্তিবাদের মাধ্যম গ্রহণ করেছিলেন।' তাঁর সাম্প্রতিক শিল্পকর্মের মধ্যে ঐতিহ্যগত প্রতীক, যেমন হাত, পদ্ম ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়েছে। তাঁর স্থাপনাগুলোও উল্লেখযোগ্য।