বাংলাদেশের নারী শিল্পীগণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ, অনুবাদ
সম্প্রসারণ, অনুবাদ
৮৭ নং লাইন:
===দিলারা বেগম জলি (জন্ম ১৯৬০)===
[[দিলারা বেগম জলি]] সামাজিক বাস্তবতাকে সরাসরি তাঁর শিল্পকর্মের মধ্যে প্রতিনিধিত্ব করে চলেছেন। তিনি সামাজিক অসঙ্গতি, নিপীড়ন, অসাম্য এবং অবিচারকে তাঁর চিত্রিত ভাষায় এনেছেন। তাঁর পছন্দের বিষয়গুলোর মধ্যে আছে নারীদের প্রতি বৈষম্য এবং তাঁর নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ক্রমাগত ও সুনির্দিষ্টভাবে তাঁর শিল্পকর্মে জাহির হয়। তাঁর কাজের ধারা অত্যন্ত সরল এবং অবাধ। তাঁর আবেগ ও অন্তর্দৃষ্টি বৌদ্ধিক বিশ্লেষণের চেয়েও তাঁর কাজের মধ্যে বেশি প্রতিভাত হোত। জলি ইরান যুদ্ধের আতঙ্কসমূহ খুবই স্বতঃস্ফূর্ততার সঙ্গে মিশ্র মাধ্যমে অঙ্কিত করেছেন। বিষয়বস্তু এবং উদ্দেশ্য হল জলির শিল্পকর্মের মূল চালিকাশক্তি। যদিও, যে স্বাতন্ত্র্যসূচক শিল্পের ভাষা তিনি ব্যবহার করেন, তাতে স্বাভাবিকভাবেই ধারা এবং বিষয় মিলিয়ে তাঁর শিল্পের পবিত্রতাই প্রকট হয়। ভাষাগতভাবে জলির শিল্পকর্ম খুবই ব্যক্তিগত। নারীর বহিরঙ্গ ধারার পাশাপাশি তাঁর অনুভূত নারীর অন্তরঙ্গও তাঁর শিল্পকর্মে নির্ভীকতার সঙ্গে উপস্থাপিত হয়েছে (চিত্র 1.24)।
 
===ফারহা জেবা (জন্ম ১৯৬১)===
[[ফারহা জেবা]] ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে মেক্সিকান শিল্পী ফ্রিদা কাহলোর শিল্পকর্ম নিয়ে 'ফ্রিদা কাহলোর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি' নামে প্রদর্শনীতে এক নারী শিল্পীজীবনের ইতিহাস বিবৃত করেছিলেন। ফ্রিদার বিয়োগান্তক জীবনের যন্ত্রণা সময় এবং স্থানের বাধা অতিক্রম করে জীবন জুড়ে প্রসারিত, জেবার অভিব্যক্ততে এটাই ছিল। এই প্রদর্শনীর উল্লেখযোগ্য দিক ছিল একজন শিল্পীর অন্য এক নারীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি, সহমর্মিতা এবং সমবেদনা। জেবার শিল্পকর্ম নারীর বিরুদ্ধে নিপীড়ন ও অবিচার অঙ্কিত করেছিল, যে নারী সফলভাবে এইসব বাধা অতিক্রম করেছিলেন। তাঁর কর্মধারা আলঙ্কারিক এবং তাঁর শিল্পমাধ্যের ব্যবহার গতিশীল কোমলতায় ভরা। যে নারীরা তাঁদের সমসাময়িক কাজের পরিচয় রেখেছেন জেবা তাঁদের শক্তি ও সামর্থ্যকে তাঁর শিল্পকর্মের মধ্যে প্রকাশ করেছেন (চিত্র 1.27)।