বারাণসী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
কলামের তালিকা ও/বা div col টেমপ্লেট সংশোধন
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
যতিচিহ্ন সংশোধন
৭৬ নং লাইন:
 
== ব্যুৎপত্তি ==
"বারাণসী" নামটি<ref>Viśvanātha-așhțakam, śloka 1.</ref> সম্ভবত দুটি নদীর নাম থেকে এসেছে: [[বরুণা নদী|বরুণা]] (বারাণসীতে এখনও প্রবহমান) ও অসি (অসি ঘাটের কাছে প্রবাহিত একটি ছোটো নদী) নদী। গঙ্গার উত্তর কূলে অবস্থিত বারাণসী শহরের সীমানা নির্দেশ করছে গঙ্গার এই দুটি উপনদী।{{sfn|Cunningham|1924|p=131-140}} অন্যমতে, বারাণসী নামটি বরুণা নদীর নাম থেকেই এসেছে। কারণ, কেউ কেউ বলেন প্রাচীন কালে এই নদীকেই বারাণসী নদী বলা হত।<ref>M. Julian, ''Life and Pilgrimage of Hsuan Tsang'', 6, 133, 2, 354.</ref> তবে দ্বিতীয় মতটি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ আছে। যুগে যুগে বারাণসী নানা নামে অভিহিত হয়েছে। যথা: "কাশী" (বৌদ্ধযুগের তীর্থযাত্রীরা বারাণসীকে এই নামে অভিহিত করতেন, এখনও করেন), "কাশিকা" (উজ্জ্বল), "অবিমুক্ত" (শিব যে স্থান "কখনও ছাড়েন না"), "আনন্দবন" ও "রূদ্রবাস" (রূদ্রের নিবাস)।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.up-tourism.com/destination/varanasi/about.htm|শিরোনাম=Varanasi: About the city|সংগ্রহের-তারিখ=23 May 2013|প্রকাশক=Official website of Uttar Pradesh Tourism|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130708043803/http://www.up-tourism.com/destination/varanasi/about.htm|আর্কাইভের-তারিখ=৮ জুলাই ২০১৩০১৩|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>
 
''[[ঋগ্বেদ]]''-এ এই শহরকে "কাশী" নামে অভিহিত করা হয়েছে। উক্ত গ্রন্থে কাশীর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে একটি শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=The Geography of the Rigveda |ইউআরএল=http://voi.org/books/rig/ch4.htm |শেষাংশ=Talageri |প্রথমাংশ=Shrikant G. |সংগ্রহের-তারিখ=4 February 2007}}</ref> কাশী নামটির উল্লেখ ''[[স্কন্দ পুরাণ]]''-এও পাওয়া যায়। উক্ত পুরাণের একটি শ্লোকে [[শিব|শিবের]] উক্তি রয়েছে, "তিন ভুবন আমার কাছে একটি মাত্র শহর, আর কাশী হল সেই শহরে আমার রাজপ্রাসাদ।"<ref name=leaflet2>{{cite press release | title =Varanasi – Explore India Millennium Year |publisher=Ministry of Tourism, Government of India |date=March 2007 |url=|accessdate=5 March 2007}}</ref>
১৬১ নং লাইন:
বারাণসীর শাসনভার একাধিক সরকারি সংস্থার হাতে ন্যস্ত। এগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাটি হল [[বারাণসী পৌরসংস্থা]] ও বারাণসী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এই দুই কর্তৃপক্ষই শহরের সকল প্রকার উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকে।
=== চিকিৎসা পরিষেবা ===
সংস্কৃত চিকিৎসাবিজ্ঞান-সংক্রান্ত গ্রন্থ ''[[সুশ্রুত সংহিতা]]''-এর রচয়িতা তথা প্রাচীন ভারতের বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক [[সুশ্রুত]] বারাণসীতে বাস করতেন। বারাণসী আয়ুর্বেদ ও পঞ্চকর্ম চিকিৎসার একটি উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র ছিল।<ref>[http://dsal.uchicago.edu/reference/gazetteer/pager.html?objectid=DS405.1.I34_V02_605.gif Susruta] [[The Imperial Gazetteer of India]], 1909, v. 2, p.&nbsp;570.</ref> বারাণসীতে অনেক হাসপাতাল আছে: বারাণসী হসপিটার অ্যান্ড মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার, হেরিটেজ হসপিটাল, শিবপ্রসাদ গুপ্তা হসপিটাল, স্যার সুন্দরলাল হসপিটাল, রাজকীয় হসপিটাল, মাতা আনন্দময়ী হসপিটাল, রামকৃষ্ণ মিশন হসপিটাল, মারোয়ারি হসপিটাল ও ক্যান্সার ইনস্টিটিউট।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.up-tourism.com/destination/varanasi/restaurants.htm|শিরোনাম=Restaurants & Hospitals|প্রকাশক=Uttar Pradesh Tourism|সংগ্রহের-তারিখ=30 October 2012|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20121030074029/http://up-tourism.com/destination/varanasi/restaurants.htm|আর্কাইভের-তারিখ=৩০ অক্টোবর ২০১২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> ১৯৬৪ সালে ড. বাজিনাথ প্রসাদ স্থাপিত বারাণসী হসপিটাল এই শহরের সবচেয়ে বড়ো হাসপাতাল।<ref name="VH">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://varanasihospital.com/|শিরোনাম=Welcome to Varanasi Hospital|প্রকাশক=Varanasi Hospital and Medical Research Centre|সংগ্রহের-তারিখ=30 October 2012}}</ref> ২০১২ সালের হিসেব অনুযায়ী, এই হাসপাতালে মোট ৬৬টি বেড আছে। বারাণসী ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের অনেক মানুষ এই হাসপাতালের উপর নির্ভর করে থাকে।<ref name="VH"/> এই হাসপাতালের অর্থসংকট থাকলেও এখানে এক্সরে, আল্ট্রাসোনোগ্রাফি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি করানোর সুবিধা আছে এবং একটি প্যাথোলজি ল্যাবও আছে।<ref name="VH"/> [[বারাণসী জেলা|বারাণসী জেলার]] শহরাঞ্চলে শিশুমৃত্যুর হার প্রতি ১০০০ জনে ৭০ জন (২০১০-১১ সালের হিসেব)।<ref>[http://censusindia.gov.in/vital_statistics/AHSBulletins/files/01-Uttar%20Pradesh%20AHS%20Bulletin.pdf "Annual Health Survey 2010–2011"] (11 mb PDF). Office of the Registrar General & Census Commissioner, India (2011).</ref>
=== সাধারণ পরিষেবা ===
উচ্চ জনঘনত্ব ও পর্যটকদের সংখ্যাবৃদ্ধির ফলে রাজ্য সরকার ও আন্তর্জাতিক এনজিওগুলি বারাণসীতে দূষণ ও পরিকাঠামোর উপর অত্যধিক চাপ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছে। মূলত নিকাশিব্যবস্থা, শৌচালয় ও নালাগুলির দুরবস্থা এই দুশ্চিন্তার কারণ।{{sfn|Mohanty|1993|p=316-7}} ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে [[গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান|গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানের]] অধীনে ৪৩০.৫ মিলিয়ন টাকা খরচ করে ঘাটগুলি বরাবর পাঁচটি নিকাশি পাম্পিং স্টেশন তৈরি হয়। সেই সঙ্গে বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।{{sfn|Mohanty|1993|p=316-7}} গঙ্গায় অনিয়ন্ত্রিত স্নান ও নৌপরিবহণ এখানকার নিকাশি ব্যবস্থায় বাধা সৃষ্টি করে।{{sfn|Mohanty|1993|p=316-7}} বারাণসীর জল সরবরাহ ও নিকাশি ব্যবস্থা পরিচালনা করে পৌরসংস্থার অধীনস্থ জল নিগম। উত্তরপ্রদেশ বিদ্যুৎ নিগম বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। বারাণসী প্রতিদিন ৩৫০ মিলিয়ন লিটার<ref name=schemevaranasi>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|প্রথমাংশ=Gopal |শেষাংশ=Bhargava |ইউআরএল=http://www.tribuneindia.com/2000/20001025/mailbag.htm |শিরোনাম=Scheme for Varanasi |কর্ম=The Tribune |অবস্থান=India}}</ref> তরল বর্জ্য ও ৪২৫ লিটার কঠিন বর্জ্য নিষ্কাষণ করে।<ref name=cpcbsolidwaste>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.cpcb.nic.in/pcpdiv_plan4.htm |শিরোনাম=Waste Generation and Composition |সংগ্রহের-তারিখ=18 August 2006 |কর্ম=Management of municipal solid wastes |প্রকাশক=Planning Division, Central Pollution Control Board |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20060717141102/http://www.cpcb.nic.in/pcpdiv_plan4.htm |আর্কাইভের-তারিখ=১৭ জুলাই ২০০৬ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> কঠিন বর্জ্য একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা হয়।<ref name=cpcbsolidwaste2>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.cpcb.nic.in/pcpdiv_plan4.htm |শিরোনাম=Status of landfill sites in 59 cities |সংগ্রহের-তারিখ=18 August 2006 |কর্ম=Management of municipal solid wastes |প্রকাশক=Planning Division, Central Pollution Control Board |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20060717141102/http://www.cpcb.nic.in/pcpdiv_plan4.htm |আর্কাইভের-তারিখ=১৭ জুলাই ২০০৬ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
১৯১ নং লাইন:
বারাণসী একটি উল্লেখযোগ্য রেশম বস্ত্রশিল্প কেন্দ্র।{{sfn|JNNURM|2006|p=29-31}} এই শিল্প কুটির শিল্প। শিল্পীরা অধিকাংশ মোমিন আনসারি সম্প্রদায়ভুক্ত মুসলমান।{{sfn|Wood|2011|p=[http://books.google.com/books?id=9Fq4eUi_3oMC&pg=PA113 113]}} সারা ভারতে বারাণসীর পরিচিতি এই অঞ্চলের সূক্ষ রেশমের [[বেনারসি শাড়ি|বেনারসি শাড়ির]] জন্য। এই শাড়ির ব্রোকেডে সোনা ও রুপোর সুতোর কাজ থাকে। হিন্দুদের বিয়ে ও অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানে এই শাড়ি ব্যবহৃত হয়। রেশম উৎপাদন করে শিশুশ্রমিকেরা। তবে তাদের মজুরি ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় কম।{{sfn|Human Rights Watch|1996|p=[http://books.google.com/books?id=NfX3sRoJ3rYC&pg=PA82 82]}} যান্ত্রিক তাঁত, কম্পিউটার-কেন্দ্রিক নকশা ও চীনা রেশম ব্যবসায়ীরা এখন এখানকার রেশম শিল্পের কাছে বিশেষ সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে।{{sfn|JNNURM|2006|p=29}}
 
ধাতুশিল্পের ক্ষেত্রে ডিজেল ইঞ্জিন শিল্পই প্রধান।{{sfn|JNNURM|2006|p=31}} ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড একটি বড়ো বিদ্যুৎ যন্ত্রাংশ উৎপাদন কারখানা। এরা একটি ভারি যন্ত্রাংশ মেরামতির কারখানাও চালায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.bhelherp.com/about.jsp|শিরোনাম=About Bharat|প্রকাশক=Bharat Heavy Electricals Limited|সংগ্রহের-তারিখ=3 November 2012|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120611084358/http://www.bhelherp.com/about.jsp|আর্কাইভের-তারিখ=১১ জুন ২০১২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> এছাড়া বারাণসীতে উৎপাদিত হয় হাতে বোনা মির্জাপুরি কার্পেট, মাদুর, ধুরি, পিতলের বাসন, তামার বাসন, কাঠ ও মাটির খেলনা, সোনার গয়না ও বাদ্যযন্ত্র।{{sfn|JNNURM|2006|p=29-31}} পান, ল্যাংড়া আম ও খোয়া অন্যতম কৃষিজ সামগ্রী।{{sfn|JNNURM|2006|p=31}}{{sfn|Mitra|2002|p=117, 169}}
 
[[চিত্র:GTY based WDG-4 locos with Freight Tanker at Malkajgiri 01.JPG|thumb|300px|ডিজেল ইঞ্জিন।]]
১৯৯ নং লাইন:
দেশের পর্যটকেরা আসেন মূলত বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ থেকে। বিদেশি পর্যটকেরা মূলত আসেন শ্রীলঙ্কা ও জাপান থেকে।{{sfn|JNNURM|2006|p=56}} প্রধানত অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যেই পর্যটকরা বেশি আসেন।{{sfn|JNNURM|2006|p=56}} শহরে পর্যটকদের থাকার জন্য ১২,০০০ বিছানার ব্যবস্থা আছে। এর অর্ধেক পাওয়া যায় সুলভ মূল্যের হোটেলে এবং এক-তৃতীয়াংশ পাওয়া যায় ধর্মশালাগুলিতে।{{sfn|JNNURM|2006|p=58}} মোটের উপর, বারাণসীতে পর্যটন শিল্পের পরিকাঠামোও খুব উন্নত নয়।{{sfn|JNNURM|2006|p=58}}
 
বারাণসীর উল্লেখযোগ্য শপিং মল ও মাল্টিপ্লেক্সগুলি হল আইপি মল (সিগরা), আইপি বিজয়া মল (ভেলুপুর), পিডিআর (লুক্সা), জেএইচভি মল (বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট)। এই শহরে বেশ কিছু ব্যাংকের শাখা আছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য: [[স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া]], [[ইন্ডিয়ান ওভাসসিজ ব্যাংক]], [[ব্যাংক অফ বরোদা]], [[কানাড়া ব্যাংক]], [[অন্ধ্র ব্যাংক]], [[এলাহাবাদ ব্যাংক]] ও [[সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া]]।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.up-tourism.com/destination/varanasi/bank_post_telegraph.htm|শিরোনাম=Bank, Post & Telegraph|প্রকাশক=Uttar Pradesh Tourism|সংগ্রহের-তারিখ=30 October 2012|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20121030073555/http://up-tourism.com/destination/varanasi/bank_post_telegraph.htm|আর্কাইভের-তারিখ=৩০ অক্টোবর ২০১২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>
 
== প্রধান দ্রষ্টব্য স্থল ==
২০৫ নং লাইন:
বারাণসীর ‘প্রাচীন নগরী’ এলাকাটি গঙ্গাতীরবর্তী অংশে অবস্থিত। এই অঞ্চলে অনেক সরু গলি দেখা যায়। পথের দুপাশে দোকান ও অনেক হিন্দু মন্দিরও চোখে পড়ে। এই অঞ্চলটি বেশ জনবহুল। পুরনো শহরের সংস্কৃতি বেশ সমৃদ্ধ। অনেক পর্যটক পুরনো অঞ্চলটি দেখতেই বারাণসীতে আসেন। বারাণসীর উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির বাসস্থান গঙ্গার ঘাটগুলির থেকে বেশ দূরে। সেই অঞ্চলটি কম জনবহুল ও বেশ খোলামেলা।
 
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বারাণসীর ১৯টি স্থাপনাকে জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন স্থাপনা বলে চিহ্নিত করেছে। এগুলির মধ্যে রয়েছে সারনাথ, লাল খানের সমাধি, ধারাহরা মসজিদ, মানসিংহের মানমন্দির, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ইত্যাদি।<ref name="Archeological Survey of India">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Alphabetical List of Monuments – Uttar Pradesh|ইউআরএল=http://asi.nic.in/asi_monu_alphalist_uttarpradesh_patna.asp|প্রকাশক=Archeological Survey of India|সংগ্রহের-তারিখ=22 October 2012|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120508064601/http://asi.nic.in/asi_monu_alphalist_uttarpradesh_patna.asp|আর্কাইভের-তারিখ=৮ মে ২০১২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> বারাণসীর আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘরগুলি হল [[যন্তরমন্তর]], [[সারনাথ সংগ্রহালয়]], [[ভারত কলা ভবন]] ও [[রামনগর দূর্গ]]।
 
=== যন্তরমন্তর ===
২১৬ নং লাইন:
=== ঘাট ===
[[চিত্র:Dashashwamedha ghat on the Ganga, Varanasi.jpg|thumb|দশাশ্বমেধ ঘাট]]
বারাণসীর গঙ্গার ঘাটগুলি হিন্দুদের ধর্মীয় জীবন ও ধর্মচর্চার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। প্রতিটি ঘাটকেই পবিত্র মনে করা হয়।<ref name=Ganga>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://varanasi.nic.in/ghat/ghatr.html|শিরোনাম=Ganga & ghats|সংগ্রহের-তারিখ=3 November 2012|প্রকাশক=National Informatics Center|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20121113184017/http://varanasi.nic.in/ghat/ghatr.html|আর্কাইভের-তারিখ=১৩ নভেম্বর ২০১২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> বারাণসীতে প্রায় ৮৪টি ঘাট আছে।<ref name="Ghats">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://varanasi.nic.in/ghat/ghat1-20.html|শিরোনাম=Ghats of Benares, 1–20|সংগ্রহের-তারিখ=3 November 2012|প্রকাশক=National Informatics Center|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20121113184526/http://varanasi.nic.in/ghat/ghat1-20.html|আর্কাইভের-তারিখ=১৩ নভেম্বর ২০১২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref><ref name=ghats>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://varanasi.nic.in/ghat/ghat41-60.html|শিরোনাম=Ghats of Varanasi, 41 to 60|সংগ্রহের-তারিখ=3 November 2012|প্রকাশক=National Informatics Center|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20121113184154/http://varanasi.nic.in/ghat/ghat41-60.html|আর্কাইভের-তারিখ=১৩ নভেম্বর ২০১২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref><ref name=ghat>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://varanasi.nic.in/ghat/ghat61-84.html|শিরোনাম=Ghats of Benares, 61 to 84|সংগ্রহের-তারিখ=3 November 2012|প্রকাশক=National Informatics Center|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20121113183803/http://varanasi.nic.in/ghat/ghat61-84.html|আর্কাইভের-তারিখ=১৩ নভেম্বর ২০১২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> এই ঘাটগুলির মধ্যে [[দশাশ্বমেধ ঘাট]], [[মনিকর্ণিকা ঘাট]], পঞ্চাঙ্গ ঘাট ও হরিশ্চন্দ্র ঘাট (শ্মশান) বিখ্যাত। অনেক ঘাটের সঙ্গেই নানা কিংবদন্তি কাহিনি জড়িয়ে আছে। কয়েকটি ঘাট আবার ব্যক্তিগত মালিকানাধীন।{{Sfn|Bansal|2008|pp=34–35}} বারাণসীর অনেক ঘাটই মারাঠা শাসনে নির্মিত হয়েছিল। মারাঠা, সিন্ধে (সিন্ধিয়া), হোলকার, ভোঁসলে ও পেশোয়ারা ছিলেন আধুনিক বারাণসীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক। বারাণসীর অধিকাংশ ঘাটই স্নানের জন্য ব্যবহৃত হয়। কয়েকটি ঘাট হল শ্মশানঘাট। সকালে ঘাটগুলির গা ঘেঁষে নৌকাবিহার পর্যটকদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়। গঙ্গার তীর ঘেঁষের ঘাটগুলির প্রসারের ফলে নদীতীরের ব্যাপক উন্নতি সম্ভব হয়েছে। এই সব ঘাটের গা ঘেঁষে অনেক মন্দির ও প্রাসাদ গড়ে উঠেছে।{{sfn| Pletcher|2010|pp=159–160}}
 
[[দশাশ্বমেধ ঘাট]] বারাণসীর প্রধান ঘাট। এটিই সম্ভবত বারাণসীর প্রাচীনতম ঘাট। এই ঘাটটি [[কাশী বিশ্বনাথ মন্দির|কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের]] কাছে অবস্থিত। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, [[ব্রহ্মা]] শিবকে স্বাগত জানাবার জন্য এই ঘাট তৈরি করেছিলেন এবং এখানে দশটি [[অশ্বমেধ যজ্ঞ|অশ্বমেধ যজ্ঞের]] আয়োজন করেছিলেন। এই ঘাটের কাছেই শূলটঙ্কেশ্বর, ব্রহ্মেশ্বর, বরাহেশ্বর, অভয়বিনায়ক, গঙ্গা ও বন্দিদেবীর মন্দির রয়েছে। এখানে প্রচুর তীর্থযাত্রী ভিড় জমান। দশাশ্বমেধ ঘাটে কোনো কোনো তীর্থযাত্রী সন্ধায় শিব, গঙ্গা, সূর্য, অগ্নি ও সমস্ত ব্রহ্মাণ্ডের উদ্দেশ্যে অগ্নিপূজার আয়োজন করেন। প্রতি মঙ্গলবার ও বিশেষ ধর্মীয় উৎসবে এই ঘাটে বিশেষ আরতির ব্যবস্থা করা হয়।<ref name=ghats/>
২২৪ নং লাইন:
 
=== মন্দির ===
বারাণসীতে প্রায় ২৩,০০০ মন্দির আছে।{{Sfn|Bansal|2008|pp=48–49}} এগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত মন্দির হল [[কাশী বিশ্বনাথ মন্দির]], [[সঙ্কটমোচন হনুমান মন্দির]] ও দুর্গামন্দির। শেষোক্ত মন্দিরটি নিকটবর্তী গাছের বাঁদরগুলির জন্য বিখ্যাত।<ref name=Varun>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.britannica.com/eb/article-9074835/Varanasi|শিরোনাম=Varanasi|প্রকাশক=[[Encyclopædia Britannica Online]]|সংগ্রহের-তারিখ=2009-08-11}}</ref><ref name=temple>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://varanasi.nic.in/temple/various_temples.html|শিরোনাম=Important temples of Varanasi|সংগ্রহের-তারিখ=2 November 2012|প্রকাশক=National Informatics Center|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20121105032502/http://varanasi.nic.in/temple/various_temples.html|আর্কাইভের-তারিখ=৫ নভেম্বর ২০১২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি |প্রথমাংশ=Alexander |শেষাংশ=Cunningham | coauthors = Surendranath Majumdar Sastri |লেখক-সংযোগ=Alexander Cunningham |শিরোনাম=Ancient Geography of India |পাতাসমূহ=131–140 |প্রকাশক=Munshiram Manoharlal |প্রকৃত-বছর=1924 |বছর=2002 |আইএসবিএন=81-215-1064-3 54827171}}</ref>
 
[[চিত্র:Kashi Vishwanath temple.jpg|thumb|বারাণসীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্দির [[কাশী বিশ্বনাথ মন্দির]]।]]
কাশী বিশ্বনাথ মন্দির গঙ্গার তীরে অবস্থিত। এটি কাশীর প্রধান দেবতা [[শিব|শিবের]] মন্দির। মন্দিরটি দ্বাদশ [[জ্যোতির্লিঙ্গ]] মন্দিরের অন্যতম।<ref name=temple/> হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, অন্য এগারোটি জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শনে যে ফল, সেই সম্মিলিত ফলের চেয়েও বেশি পুণ্যার্জন করা যায় শুধুমাত্র কাশী বিশ্বনাথ মন্দির দর্শন করলে। এই মন্দিরটি একাধিকবার ধ্বংসপ্রাপ্ত ও পুনর্নির্মিত হয়েছে। মন্দিরের পাশে অবস্থিত [[জ্ঞানবাপি মসজিদ]] মন্দিরের আদি স্থল।<ref name="ramjanma">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল = http://www.scribd.com/doc/7223044/Ram-Janmabhoomi|শিরোনাম = Ram Janmabhoomi vs. Babri Masjid, A Case Study in Hindu-Muslim Conflict|লেখক = Koenraad Elst|বছর = 1990}}</ref> বর্তমান মন্দিরটিকে বলা হয় স্বর্ণমন্দির।<ref name=route>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল= http://timesofindia.indiatimes.com/articleshow/42205744.cms |শিরোনাম= The religious route |সংগ্রহের-তারিখ=4 December 2008 |শেষাংশ= |প্রথমাংশ= |coauthors= |তারিখ= 3 April 2003 |কর্ম= [[The Times of India]] |প্রকাশক=}}</ref> ১৭৮০ সালে [[ইন্দোর|ইন্দোরের]] রানি [[অহল্যাবাই হোলকর]] এই মন্দিরটি নির্মাণ করান। ১৮৩৯ সালে [[পাঞ্জাব অঞ্চল|পাঞ্জাবের]] রাজা [[রঞ্জিৎ সিং]] যে সোনা মন্দিরে দান করেছিলেন, তাতে এই মন্দিরের দুটি চূড়া মুড়ে দেওয়া হয়। তৃতীয় চূড়াটিও সোনা দিয়ে মুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। ১৯৮৩ সালের ২৮ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশ সরকার এই মন্দিরটি অধিগ্রহণ করে নেন। মন্দির পরিচালনার ভার একটি ট্রাস্টের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। কাশীর রাজা এই ট্রাস্টের সভাপতি, বিভাগীয় কমিশনার এর চেয়ারপার্সন। প্রতিদিন রাত আড়াইটে থেকে পরদিন রাত এগারোটা পর্যন্ত মন্দিরে নানা রকম ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://varanasi.nic.in/temple/KASHI.html |শিরোনাম=Shri Kashi Vishwanath Mandir Varanasi |প্রকাশক=National Informatics Centre, Government of India |সংগ্রহের-তারিখ=February 4, 2007 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070210110217/http://varanasi.nic.in/temple/kashi.html |আর্কাইভের-তারিখ=১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
 
[[সঙ্কটমোচন হনুমান মন্দির]] বারাণসীর আরেকটি বিখ্যাত মন্দির। এটি [[হনুমান (দেবতা)|হনুমান]] মন্দির। এটি অসি নদীর তীরে অবস্থিত। দুর্গা মন্দির ও কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাপ্রাঙ্গনের নতুন বিশ্বনাথ মন্দিরে যাওয়ার পথে এটি পড়ে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://varanasi.nic.in/temple/temple.htm|শিরোনাম=Temples of Varnasi|প্রকাশক=Varanasi Official website|সংগ্রহের-তারিখ=২৬ নভেম্বর ২০১৩০১৩|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20101229102428/http://varanasi.nic.in/temple/temple.htm|আর্কাইভের-তারিখ=২৯ ডিসেম্বর ২০১০০১০|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> আধুনিক মন্দিরটি বিংশ শতাব্দীতে নির্মিত। এটি নির্মাণ করিয়েছিলেন বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী, কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষাবিদ পণ্ডিত [[মদনমোহন মালব্য]]।<ref name=ex>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.indianexpress.com/oldStory/89192/|শিরোনাম=Blasts in Sankatmochan temple and railway station kill dozen, several injured|তারিখ=Mar 08, 2006|কর্ম=Indian Express}}</ref> কথিত আছে, এইখানেই মধ্যযুগে হিন্দু সন্ত কবি [[তুলসীদাস]] হনুমানের দেখা পেয়েছিলেন।{{sfn| Callewaert|2000|p=90}} প্রতি মঙ্গল ও শনিবারে প্রচুর মানুষ এখানে হনুমান পূজা দিতে আসেন। ২০০৬ সালের ৭ মার্চ মন্দিরে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। আরতির সময় তিনটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। সেই সময় মন্দিরে অনেক ভক্ত উপস্থিত ছিলেন এবং একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। এই বিস্ফোরণে বহু মানুষ আহত হন। যদিও পরদিন থেকে দৈনন্দিন পূজাপাঠ আবার শুরু হয়ে যায়। এই মন্দিরে প্রতিদিন [[হনুমান চালিশা]] (তুলসীদাসের রচনা) ও [[সুন্দরকাণ্ড]] (রামায়ণের অংশ) পাঠ হয়। বইদুটি মন্দির থেকে বিনামূল্যেও পাওয়া যায়।<ref name=ex/> জঙ্গি হামলার পর মন্দিরের মধ্যে একটি স্থায়ী পুলিশ পোস্ট বসানো হয়েছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.indianexpress.com/news/varanasi-temple-gets-permanent-police-post/396/|শিরোনাম=Varanasi temple gets permanent police post|তারিখ=Mar 14 2006,|কর্ম=Indian Express}}</ref>
 
[[চিত্র:Varanasi India.jpg|thumb|অষ্টাদশ শতাব্দীতে নির্মিত দুর্গাকুণ্ড ও দুর্গা মন্দির]]
২৫১ নং লাইন:
[[রায় কৃষ্ণদাস]], তাঁর পুত্র [[আনন্দ কৃষ্ণ]], সংগীতজ্ঞ ওঙ্কারনাথ ঠাকুর, [[রবি শংকর]], [[বিসমিল্লাহ খান]], [[গিরিজা দেবী]], [[সিদ্ধেশ্বরী দেবী]], [[লালমণি মিশ্র]] ও তাঁর পুত্র [[গোপাল শঙ্কর মিশ্র]], [[এন. রাজাম]], আনোখেলাল মিশ্র, [[সমতা প্রসাদ]], কান্থে মহারাজ, [[সিতারা দেবী]], গোপী কৃষ্ণ, [[কিশন মহারাজ]], [[রাজন ও সাজন মিশ্র]], [[ছন্নুলাল মিশ্র]] প্রমুখ এই শহরে বাস করতেন। ধ্রুপদি ও লোকসংস্কৃতি রক্ষার জন্য এখানে অনেক সংগীত উৎসব আয়োজিত হয়। সঙ্কটমোচন মন্দিরে সারা রাত খোলা আকাশের নিচে সংগীতানুষ্ঠান হয়। হোরি, [[কাজরি]], [[চৈতি]] মেলা ও বুদওয়া মঙ্গল এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ।
 
বারাণসী একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকেন্দ্র। এখানকার রেশম ও সোনা-রুপোর কাজ করা ব্রোকেড, কার্পেট বুননশিল্প (ভাদোইতে কার্পেট বয়নের কেন্দ্র আছে), কাঠের খেলনা, কাচের চুড়ি, হাতির দাঁতের কাজ, সুগন্ধি দ্রব্য, শিল্পগুণসম্মত পিতল ও তামার বাসনপত্র বিখ্যাত।<ref name=topic>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.britannica.com/EBchecked/topic/623248/Varanasi|শিরোনাম=Varanasi=1 November 2012|প্রকাশক=Encyclopedia Brittanica}}</ref><ref name=bhu>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.bhu.ac.in/varanasi.htm|শিরোনাম=Benares, the Eternal City|সংগ্রহের-তারিখ=2 November 2012|প্রকাশক=Banaras Hindu University|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120620142336/http://www.bhu.ac.in/varanasi.htm|আর্কাইভের-তারিখ=২০ জুন ২০১২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> ব্রিটিশ যুগের পরিত্যক্ত ক্যান্টনমেন্ট কবরখানাটি এখন শিল্পদ্রব্যের বাজার।{{sfn|Tiwari|2010|p=9}}
== ধর্ম ==
[[চিত্র:Benares 1.JPG|thumb|200px|right| বারাণসীর কেদার ঘাটে হিন্দুরা ধর্মানুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।]]
২৭৮ নং লাইন:
ফেব্রুয়ারি মাসে [[শিবরাত্রি]] উপলক্ষে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্দির থেকে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির পর্যন্ত শোভাযাত্রা আয়োজিত হয়।<ref name=Varun/>
 
ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস নাগাদ তুলসী ঘাটে ধ্রুপদ মেলা হয়। এটি [[ধ্রুপদ]] সংগীতের একটি উৎসব।<ref name="festival1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Uttar Pradesh Tourism|শিরোনাম=Fair and Festivals of Varanasi|ইউআরএল=http://www.up-tourism.com/destination/varanasi/fair_festival.htm|প্রকাশক=Uttar Pradesh Tourism|সংগ্রহের-তারিখ=22 October 2012|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120629052417/http://www.up-tourism.com/destination/varanasi/fair_festival.htm|আর্কাইভের-তারিখ=২৯ জুন ২০১২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>
 
সঙ্কটমোচন হনুমান মন্দিরে মার্চ-এপ্রিল মাস নাগাদ [[হনুমান জয়ন্তী]] পালিত হয়। এই সময় বিশেষ পূজা, আরতি ও শোভাযাত্রা আয়োজিত হয়।<ref name=sm>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2009-04-08/varanasi/28040380_1_music-concert-birju-maharaj-mishra-brothers |শিরোনাম=Sankat Mochan Sangeet Samaroh from April 13|তারিখ=Apr 8, 2009|কর্ম=The Times of India}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2009-04-14/varanasi/28001802_1_music-festival-first-night-pandit-jasraj |শিরোনাম=Jasraj, Birju Maharaj enthral on first night|তারিখ=Apr 14, 2009|কর্ম=The Times of India}}</ref> ১৯২৩ সালে এই উৎসব শুরু হয়। মন্দিরে আয়োজিত এইপাঁচ দিনের সংগীত উৎসবের নাম "সঙ্কটমোচন সংগীত সমারোহ"। সারা দেশেরর বিশিষ্ট শিল্পীরা এই উৎসবে অংশ নেন।<ref name=Varun/><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.hindu.com/fr/2006/04/07/stories/2006040701270300.htm|শিরোনাম=Glimpses of eternity|কর্ম=The Hindu | অবস্থান=Chennai, India|তারিখ=7 April 2006}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2010-04-04/varanasi/28132549_1_music-concert-music-festival-musicians|শিরোনাম=Sankat Mochan music concert begins|তারিখ=Apr 4, 2010|কর্ম=The Times of India}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2012-04-12/varanasi/31330678_1_padma-awardees-music-festival-flute|শিরোনাম=Sankat Mochan Sangeet Samaroh begins|সংগ্রহের-তারিখ=2 November 2012|প্রকাশক= Times of India|তারিখ= 12 April 2012}}</ref>
২৮৪ নং লাইন:
রামনগরে ''রামচরিতমানস'' গ্রন্থের বর্ণনা অনুসারে [[রামলীলা]] নামে লোকনাট্যের আয়োজন করা হয়।{{sfn|Mitra|2002|p=216}} এই নাটক প্রযোজনা করেন কাশীর রাজা। ৩১ দিন ধরে সন্ধ্যায় এই নাটক হয়।{{sfn|Mitra|2002|p=216}} শেষ দিন [[রাম]] কর্তৃক [[রাবণ]]বধের অংশটি অভিনীত হয়।{{sfn|Mitra|2002|p=216}} কাশীর রাজা উদিতনারায়ণ সিংহ ১৯৩০ সাল নাগাদ রামলীলা অনুষ্ঠান প্রবর্তন করেছিলেন।{{sfn|Mitra|2002|p=216}}<ref name="festival"/>
 
অক্টোবর-নভেম্বর মাস নাগাদ [[বিজয়াদশমী|বিজয়াদশমীর]] পর ''ভরত মিলাপ'' নামে একটি উৎসব আয়োজিত হয়। ১৪ বছরের বনবাসের পর রামের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও ভ্রাতা [[ভরত (রামায়ণ)|ভরতের]] সঙ্গে মিলিত হওয়ার স্মৃতিতে এই উৎসব আয়োজিত হয়।<ref name=Varun/> কাশীর রাজা রাজবেশ পরে এই উৎসবে অংশ নেন। অনেক ভক্ত এই উৎসবে অংশ নেন।<ref name=festival>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://varanasi.nic.in/culture/fair.html|শিরোনাম=Fairs and festivals|সংগ্রহের-তারিখ=2 November 2012|প্রকাশক=National Informatics Center|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20121113184204/http://varanasi.nic.in/culture/fair.html|আর্কাইভের-তারিখ=১৩ নভেম্বর ২০১২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>
 
[[চিত্র:Nag Nathaiya festival in Varanasi.jpg|thumb|left|250px| বারাণসীর [[নাগ নাথাইয়া]] উৎসবে [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণের]] [[কালীয়দমন লীলা|কালীয়দমন লীলার]] অভিনয়।]]
৩০২ নং লাইন:
 
== খেলাধূলা ==
[[বাস্কেটবল]], [[ক্রিকেট]] ও [[ফিল্ড হকি]] বারাণসীর জনপ্রিয় খেলা।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.hindu.com/2005/11/09/stories/2005110912892000.htm|শিরোনাম=Varanasi team scores big win |প্রকাশক=''[[The Hindu]]''|তারিখ=9 November 2005|সংগ্রহের-তারিখ=30 October 2012}}</ref> সিগরার ড. সম্পূর্ণানন্দ স্টেডিয়াম হল শহরের প্রধান ক্রীড়াঙ্গন। এখানে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা আয়োজিত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://stats.thecricketer.com/Grounds/1268.html|শিরোনাম=Dr Sampurnanda Stadium, Varanasi|প্রকাশক=The Cricketer|সংগ্রহের-তারিখ=30 October 2012|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140116143238/http://stats.thecricketer.com/Grounds/1268.html|আর্কাইভের-তারিখ=১৬ জানুয়ারি ২০১৪০১৪|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> স্থানীয় ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজিত হয় কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে।{{sfn|Ray|2003|p=3}} কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল এডুকেশন ফ্যাকাল্টি অফ আর্ট থেকে স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট, স্পোর্টস ফিজিওথেরাপি, ক্রীড়া মনস্তত্ত্ব ও ক্রীড়া সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা করার সুযোগ আছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bhu.ac.in/physicaledu/index.html|শিরোনাম=Department of Physical Education|প্রকাশক=Banaras Hindu University|সংগ্রহের-তারিখ=30 October 2012|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120607180710/http://www.bhu.ac.in/physicaledu/index.html|আর্কাইভের-তারিখ=৭ জুন ২০১২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> বারাণসীতে জিমনাস্টিক বেশ জনপ্রিয়। এখানে অনেকেই সকালে গঙ্গায় স্নান করে হনুমান দর্শন ও আখড়ায় ব্যায়াম অনুশীলন করেন।{{sfn|Tiwari|2010|p=47}} বারাণসী ডিস্ট্রিক্ট চেজ স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন (ভিডিসিএসএ) বারাণসীতে অবস্থিত। এটি স্থানীয় উত্তরপ্রদেশ চেজ স্পোর্টস অ্যাসোশিয়েশন (ইউপিসিএসএ) কর্তৃক অনুমোদিত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://vdcsa.webs.com/|শিরোনাম=Varanasi District Chess Sports Association|প্রকাশক=Varanasi District Chess Sports Association|সংগ্রহের-তারিখ=30 October 2012|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130403141958/http://vdcsa.webs.com/|আর্কাইভের-তারিখ=৩ এপ্রিল ২০১৩০১৩|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>
== পরিবহণ ==
[[চিত্র:Varanasi Railway Station.JPG|thumbnail|বারাণসী জংশন, শহরের বৃহত্তম রেল স্টেশন]]
বারাণসী রেল, সড়ক ও আকাশপথে ভারতের অন্যান্য অংশের সঙ্গে যুক্ত। প্রাচীন শহর, তীর্থ ও পর্যটনকেন্দ্র হওয়ায় বারাণসীর পরিবহন পরিকাঠামো বেশ ভাল।
 
[[লালবাহাদুর শাস্ত্রী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর]] বারাণসী নগরকেন্দ্র থেকে {{রূপান্তর|26|km|abbr=on}} দূরে বাবতপুরে অবস্থিত। ২০১০ সালে এই বিমানবন্দরের একটি নতুন টার্মিনালের উদ্বোধন করা হয়। ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর এই বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর্যায়ে উন্নীত হয়।<ref name=fe/><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://news.outlookindia.com/items.aspx?artid=777269|শিরোনাম=Cabinet Grants International Status to Five Airports|প্রকাশক=Outlook India|তারিখ=4 October 2012|সংগ্রহের-তারিখ=30 October 2012|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130509140104/http://news.outlookindia.com/items.aspx?artid=777269|আর্কাইভের-তারিখ=৯ মে ২০১৩০১৩|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> [[এয়ার ইন্ডিয়া]], [[বুদ্ধ এয়ার]] ও [[স্পাইসজেট]] বারাণসীর সঙ্গে [[দিল্লি]], [[গয়া]], [[কাঠমাণ্ডু]], [[খাজুরাহো]], [[লখনউ]], [[মুম্বই]] ও [[কলকাতা|কলকাতার]] বিমান-যোগাযোগ রক্ষা করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.flightstats.com/go/FlightStatus/flightStatusByAirport.do?airportCode=VNS&airportQueryType=0 |শিরোনাম=Varanasi Airport|প্রকাশক=Flight Stats|সংগ্রহের-তারিখ=30 October 2012}}</ref> প্রতি বছর ৩৩০,০০০ যাত্রী এই বিমানবন্দর থেকে যাতায়াত করে।<ref name=fe>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.financialexpress.com/news/varanasi-airport-to-get-remotecontrol-opening/653541/1|শিরোনাম=Varanasi airport to get remote-control opening|প্রকাশক=''[[The Financial Express (India)|The Financial Express]]''|তারিখ=30 July 2010|সংগ্রহের-তারিখ=30 October 2012}}</ref>
 
বারাণসী জংশন বা বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশন ষরের বৃহত্তম রেল স্টেশন। প্রতিদিন এই স্টেশনে ৩.৬ লক্ষ যাত্রী ও ২৪০টি ট্রেন যাতায়াত করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2011-05-11/varanasi/29531482_1_summer-special-trains-railway-station-passenger-trains|শিরোনাম=With mercury soaring, Kashi is still `hot` destination|প্রকাশক=''[[The Times of India]]''|তারিখ=11 May 2011|সংগ্রহের-তারিখ=30 October 2012}}</ref>
৩২৭ নং লাইন:
* {{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=Bindloss|প্রথমাংশ১=Joe|শেষাংশ২=Brown|প্রথমাংশ২=Lindsay|শেষাংশ৩=Elliott|প্রথমাংশ৩=Mark|শিরোনাম=Northeast India|ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=QmR5p1tb5mcC&pg=PA278|বছর=2007|প্রকাশক=Lonely Planet|আইএসবিএন=978-1-74179-095-5|সূত্র=harv}}
* {{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=Bruyn|প্রথমাংশ১=Pippa de|শেষাংশ২=Bain|প্রথমাংশ২=Keith|শেষাংশ৩=Allardice|প্রথমাংশ৩=David|শেষাংশ৪=Joshi|প্রথমাংশ৪=Shonar |শিরোনাম=Frommer's India|ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=oMG1-ApVtVAC&pg=PA467|বছর=2010|প্রকাশক=John Wiley & Sons|আইএসবিএন=978-0-470-60264-5|সূত্র=harv}}
* {{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=City Development Plan for Varanasi|ইউআরএল=http://gangapedia.iitk.ac.in/sites/default/files/CDP_Varanasi.pdf|বছর=2006|প্রকাশক=[[Jawaharlal Nehru National Urban Renewal Mission]]|সূত্র={{harvid|JNNURM|2006}}|সংগ্রহের-তারিখ=২৫ নভেম্বর ২০১৩০১৩|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140223090737/http://gangapedia.iitk.ac.in/sites/default/files/CDP_Varanasi.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪০১৪|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}
* {{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Callewaert|প্রথমাংশ=Winand M. |শিরোনাম=Banaras: vision of a living ancient tradition|ইউআরএল=http://books.google.co.in/books?id=RyTeRVRLiOYC&pg=PA90&dq=Sankat+Mochan+Temple,+Varanasi&cd=8#v=onepage&q=Sankat%20Mochan%20Temple%2C%20Varanasi&f=false|বছর=2000|প্রকাশক=Hemkunt Press|আইএসবিএন=81-7010-302-9|পাতা=90}}
* {{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Cunningham | প্রথমাংশ=Alexander |coauthors = Surendranath Majumdar Sastri |লেখক-সংযোগ=Alexander Cunningham |শিরোনাম=Ancient Geography of India |প্রকাশক=Munshiram Manoharlal |পাতাসমূহ=131–140 |প্রকৃত-বছর=1924 |বছর=2002 |আইএসবিএন=81-215-1064-3|সূত্র=harv}}