সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Mohsinkakon (আলোচনা | অবদান)
Mohsinkakon (আলোচনা | অবদান)
২২ নং লাইন:
==ইতিহাস==
সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ১৯৪৬ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে ১৬০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে '''জামালপুর কলেজ''' নামে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালের মার্চ মাসে তৎকালীন জামালপুর মহকুমা মাদারগঞ্জের ''আলহাজ আশেক মাহমুদ তালুকদার'' এর নামে ''জামালপুর কলেজ''কে আশেক মাহমুদ কলেজ নামকরণ করা হয়। প্রথমদিকে কলেজটি [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালযয়ের]] অধীন পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৯৯২ সালে থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালযয়ের অধিভূক্ত। ১৯৭৯ সালে কলেজটিকে জাতীয়করণ করা হয়। ১৯৯২ সালে বাংলা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রথম অনার্স কোর্স চালু করা হয়। বর্তমানে {{কখন}} কলেজটিতে ১৪টি বিষয়ে অনার্স ও ৪টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। আয়তনের দিক থেকে রংপুর [[কারমাইকেল কলেজ|কারমাইকেল কলেজের]] পরেই সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অবস্থান।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://m.banglanews24.com/education/news/bd/415510.details|শিরোনাম=জামালপুর আশেক মাহমুদ কলেজে ৭ বিষয়ে মাস্টার্স চালু :: BanglaNews24.com mobile|প্রথমাংশ=|শেষাংশ=BanglaNews24.com|প্রকাশক=}}</ref>
 
১৯৪৬ সালে জামালপুর কলেজ নামে বর্তমান সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ঐতিহাসিক এ পথ চলার পেছনের ইতিহাস আরো পুরোনো। ১৮৪৫ সালে জামালপুরে মহকুমা স্থাপনের পর ক্রমবর্ধমান শিক্ষার্থীর কথা চিন্তা করে জামালপুরের তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক আর সি দত্ত ও কিছু বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তি জামালপুর শহর অঞ্চলে একটি কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ উপলক্ষে ১৯৪০ সালে করোনেশন রিডিং ক্লাবে এক সভায় কার্যকরি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে চাঁদা আদায় করে একটি প্রাথমিক তহবিল গঠন করা হয়। এছাড়া অপর এক সভায় প্রত্যেক ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টকে ২০০ টাকা করে চাঁদা ধরা হয়। শুধু তাই নয়, এতদঅঞ্চলে সাধারণ জনগণও কলেজ স্থাপনে এগিয়ে আসেন এবং সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করেন। ফলে কলেজ স্থাপনের প্রাথমিক তহবিল নিশ্চিত হয়। ১৯৪১ সালের ১০ই জুন প্রভিশনাল ওয়ার্কি কমিটির সভায় সরকারি ইটখোলা  (কৈ-এর বিল) নামক স্থানে কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং কলেজ স্থাপনের জন্য ইটখোলা কলেজকে দান করার জন্য সরকারের নিকট দরখাস্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু ১৯৪৩ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কারণে কলেজ স্থাপনের কাজ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়। ১৯৪৪ সালের ৮ই ডিসেম্বর কলেজের সাংগঠনিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং উক্ত সভায় কলেজ এফিলিয়েশন প্রাপ্তির জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। ২৯/০৬/১৯৪৫ তারিখে ৩৮১৩/- টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমাদানের পর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে সরকারি ইটখোলা (৩১) একত্রিশ একর জমি জামালপুর কলেজ দীর্ঘমেয়াদি ইজারা পায়। তৎকালে জামালপুরে যে পাবলিক মেলা অনুষ্ঠিত হতো সেখান থেকেও কলেজের জন্য ২০,০০০/- টাকা চাঁদা সংগ্রহ করা হয় এবং জেলা কমিটির দানের টাকা নিয়ে কলেজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের যাত্রা শুরু হয়। কলেজ প্রতিষ্ঠার পর মাদারগঞ্জের কৃতী সন্তান আলহাজ্ব আশেক মাহমুদ তালুকদার ৪০,০০০ টাকা অনুদান প্রদান করলে ১৯৪৭ সালে জামালপুর কলেজ নাম পরিবর্তন করে নামকরণ করা হয় আশেক মাহমুদ কলেজ। ১৯৭৯ সালে সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রত্যেক মহকুমা শহরে একটি করে কলেজ জাতীয়করণ করলে এটিও তার আওতায় ঐ বছর জাতীয়করণ করা হয়। দানবীর আলহাজ্ব আশেক মাহমুদ তালুকদার ছাড়াও স্থানীয় জনগণ ও জামালপুরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ কলেজ উন্নয়নে সাহায্য-সহযোগিতা করেন। ফলে বিভিন্ন জনের সাহায্য-সহযোগিতায় কলেজের জন্য ৪৪.২০ একর জায়গা পাওয়া যায়।
 
শুরুতে নিজস্ব স্থাপনা না থাকায় কলেজ অফিস ছিল বর্তমান শিল্পকলায় অবস্থিত তৎকালীন ইউনিয়ন বোর্ড অফিস। সেখান থেকেই শিক্ষকগণ কলেজে এসে শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালনা করতেন। বড় রকমের একটি অনুদান পাওয়ার প্রেক্ষিতে কয়েক মাসের মধ্যেই ইউনিয়ন বোর্ড অফিস থেকে কলেজ অফিস বর্তমান কলেজ ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয়। অফিস ও শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালনার জন্য বর্তমান অধ্যক্ষের বাসভবনের পূর্বপার্শ্বে এবং মূল রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে টিনসেড ও হাফ বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ কয়েক বছরে সেসব টিনসেড ক্রমেই অকেজো ও ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ে। ততদিনে  ১৯৬২ সালে মূল রাস্তার পূর্ব পার্শ্বে দ্বিতল একাডেমিক ভবন নির্মিত হয়। এ ছাড়া তৎকালীন নিবেদিত প্রাণ অধ্যক্ষ সুজায়াত আলী মিয়া ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় ১৯৬৫ সালে ঐ দ্বিতল ভবনের সঙ্গে পূর্ব-পশ্চিমে আরেকটি তিন তলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এরফলে দুটি ভবন একত্রে একটি ভবনের আদল লাভ করে। বর্তমানে এই ভবনটিই কলেজের মূলভবন বা কলাভবন নামে পরিচিত। দীর্ঘ কয়েক বছর কলেজে আর কোন একাডেমিক বা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ হয় নি। ১৯৯৩ সালে বর্তমান বিজ্ঞানভবন হিসেবে পরিচিত ভবনটি অনার্স ও মাস্টার্স শ্রেণির ক্লাসের জন্য ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের মাধ্যমে নির্মিত হয়। ১৯৯৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এ ভবন উদ্বোধন করেন। এরপর একই বছর বর্তমান ব্যবসায়শিক্ষা ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে কয়েকটি অনার্স বিভাগ সেখানে স্থানান্তর করা হয়। অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সের ক্লাসের জন্য নির্মিত ভবন বিজ্ঞান শাখার বিষয়গুলোর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং নতুন ভবনে হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ রাখা হয়। কলাশাখার বিষয়গুলো মূলভবন বা কলাভবনে দেওয়া হয়। ২০০৫-২০০৬ সালে তৎকালীন এমপি জনাব মির্জা আজমের প্রচেষ্টায় কলেজে একটি বৃহৎ মিলনায়তন নির্মিত হয়। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ সালে। বর্তমান সরকারের আমলে একটি চারতলা বিশিষ্ট ভবন ( প্রশাসনিক কাম পরীক্ষা ভবন) ২০১৫ সালে নির্মিত হয়। জামালপুর-৫ আসনের এমপি জনাব রেজাউল করিম হীরা এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী  আলহাজ্ব মির্জা আজম এমপি ১৭.১০.২০১৫ তারিখে ভবনটি উদ্বোধন করেন।
 
কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের আবাসন সঙ্কট ছিল প্রবল। ছাত্রসংখ্যা অনুযায়ী হোস্টেল নির্মাণ করা সম্ভব হয় নি। ছাত্রীদের জন্যও হোস্টেল নির্মাণ দীর্ঘদিন সম্ভব হয় নি। শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্যও আবাসনের ব্যবস্থা করা যায় নি। ফলে কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বেশ কিছু মেস গড়ে ওঠে। এসব মেস বা বাসাবাড়ি ভাড়া নিয়েই অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারী বসবাস করেন।
 
দূরদূরান্ত থেকে ছাত্রছাত্রীদের আসার সমস্যার কথা বিবেচনা করে ১৯৪৭ সালে ছাত্রদের জন্য একটি হোস্টেল নির্মাণ করা হয়। প্রথম নির্মিত এই হোস্টেলটি ইন্টার হোস্টেল নামে পরিচিতি লাভ করে। ইন্টার হোস্টেল নামে পরিচিত হলেও ছাত্রাবাসটির নাম পানাউল্লাহ আহমদ মুসলিম ছাত্রাবাস। তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক পানাউল্লাহর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ হোস্টেল নির্মিত হয় বলে এটির নামকরণ করা হয়েছিল পানাউল্লাহ আহমদ মুসলিম ছাত্রাবাস। ১৯৭৭ সালে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ফলে পুরো হোস্টেল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরবর্তীকালে নানাভাবে অর্থ সংগ্রহ করে ও সরকারি সহায়তায় আবার হোস্টেলটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৫ সালে এ হোস্টেলের ভিতরের দক্ষিণ পার্শ্বে ৫টি কক্ষ বিশিষ্ট ৭০ ফুট দীর্ঘ একটি টিনসেড আধা পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এতে করে পুরোনো টিনসেডের পরিত্যক্ত অংশ আবারও ছাত্রদের বসবাসের উপযোগী হয়। কলেজে ১৯৫১ সালে ডিগ্রি কোর্স প্রবর্তনের পর আরেকটি হোস্টেল নির্মিত হয়। সেটি পরিচিতি লাভ করে ডিগ্রি হোস্টেল নামে। অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান ও সুজায়াত আলী মিয়ার প্রচেষ্টায় এ হোস্টেল নির্মিত হয়। ডিগ্রি হোস্টেল ছিল খেলাধুলা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। এ হোস্টেলের নির্মাণের সময় শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে বড় পুকুর সংস্কার করে গোসলের জন্য একটি ঘাট বাঁধাই করা হয়। পুকুরপাড়ে স্থাপন করা হয় বসার জন্য ছোট ছোট ছাতা ও বেঞ্চ । বড় পুকুর থেকে মাটি তুলে সেটির পাড়ের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজও এ সময়েই করা হয়। ১৯৯৩ সালে কলেজে অনার্স কোর্স প্রবর্তন হলে কলেজের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে বড় পুকুর সামনে রেখে অনার্সের ছাত্রদের জন্য একটি আলাদা হোস্টেল নির্মাণ করা হয়। ১৯৯৪ সালে নির্মিত এ হোস্টেলটি অদ্যাবধি অনার্স হোস্টেল নামেই পরিচিত।
 
কলেজ প্রতিষ্ঠার দ্বিতীয় ব্যাচে কিছু ছাত্রী ভর্তি হলে বর্তমান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রিনিবাসে কলেজের ছাত্রীদের রাখার অনুরোধ করা হয়। দীর্ঘ সময়ে কোন ছাত্রী হোস্টেল নির্মাণ না হওয়ায় স্বাধীনতার পূর্বকাল পর্যন্ত সেখানে থেকেই কলেজের আবাসিক ছাত্রীরা কলেজ করত। একই হোস্টেলে সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজের আবাসিক ছাত্রীরাও অবস্থান করত। ২০০৬ সাল পর্যন্ত কলেজে ছাত্রীদের থাকার জন্য কোন আলাদা ছাত্রিনিবাস নির্মিত হয় নি। দীর্ঘ ষাট বছর পর ছাত্রীদের আবাসিক সমস্যার কিছুটা সমাধান হয় ২০০৭ সালে চারতলা বিশিষ্ট একটি ছাত্রিনিবাস নির্মাণের ফলে। অধ্যক্ষ প্রফেসর মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী ও মাননীয় পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মির্জা আজমের প্রচেষ্টায় ছাত্রীদের আবাসন সমস্যা লাঘবের জন্য ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে চারতলা বিশষ্টি নতুন একটি ছাত্রিনিবাস নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
 
শিক্ষকদের আবাসন সমস্যা সমাধানে ১৯৭৩ (?) সালের দিকে বর্তমান ছাত্রিনিবাসের সামনে টিনসেড আবাসিক কলোনি গড়ে তোলা হয়। বর্তমানে তা অনেকটাই পরিত্যক্ত ও বসবাসের অযোগ্য বলে কোন শিক্ষক সেখানে থাকেন না। ১৯৯৫ সালে কলেজ মসজিদ সংলগ্ন স্থানে শিক্ষকদের জন্য ছোট একটি দ্বিতল ডরমেটরি নির্মিত হয়। ১৯৯৬ সালে (?) কলেজের পশ্চিম পাশে অধ্যক্ষের বসবাসের জন্য একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘদিন ঐভবন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও কোন অধ্যক্ষ সে ভবনে বাস করেন নি। ০৮/১২/২০১৪ তারিখে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর প্রফেসর মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী ভবনটিতে প্রথম বসবাস শুরু করেন। তিনি ঐ ভবনে উঠার পর ভবনটি সংস্কারের ব্যবস্থা করেন এবং গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থা করেন। রসায়ন বিভাগের গবেষণা কাজের জন্যও গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থা করেন। একই সময়ে মসজিদের ইমাম সাহেবের বসবাসের জন্য ভবনেও গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থা করেন।
 
কলেজ প্রতিষ্ঠার পর পরই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যোগদান করেন বেশ কিছু জ্ঞানী ও গুণী শিক্ষক। তাঁদের প্রচেষ্টায় কলেজের সুনাম যেমন বিস্তার লাভ করে তেমনি কলেজের শিক্ষাকার্যক্রমও বিস্তার লাভ করতে থাকে। প্রতিষ্ঠাকালে মানবিক ও পরে ব্যবসায় শাখা চালু থাকলেও ১৯৬৪ সালে প্রথম বিজ্ঞান শাখা খোলার অনুমোদন পাওয়া যায়। বিজ্ঞান শাখা খোলার ক্ষেত্রে যাঁর অগ্রণী ভূমিকা ছিল তিনি হলেন তৎকালীন পদার্থ বিদ্যার প্রভাষক মুসলেম উদ্দীন। উল্লেখ্য যে, তিনি পরবর্তীকালে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন এবং ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করে পরিচিত হন ড. মুসলেম উদ্দীন নামে। ১৯৫১ সালে ডিগ্রি (পাস) কোর্স চালুর অনুমোদন পাওয়া যায়। ডিগ্রি (পাস) কোর্সে উচ্চতর বাংলা বিষয়ের অনুমোদন ছিল। ১৯৯২ সালে প্রথম বাংলা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স কোর্স প্রবর্তন করা হয়।  ২০০১ সালে হিসাববিজ্ঞান ,অর্থনীতি ও গণিত বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করা হয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইংরেজি, দর্শন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, রসায়ন, উদ্ভিদবিদ্যা ও প্রাণিবিদ্যা  বিষয়ে অনার্স কোর্স চালুর অনুমোদন পাওয়া যায় ২০০৫ সালে। ২০০৭ সালে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হলে কলেজে পাঠ্য মোট চৌদ্দটি বিষয়েই অনার্স কোর্স চালু হয়।
 
১৯৯৫ সালে বাংলা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে, ১৯৯৮ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু হয়। তারপর দীর্ঘ ১৭ বছরে আর কোন বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালুর উদ্যোগ জোরালোভাবে কেউ গ্রহণ করেন নি। এ কলেজে অনার্স কোর্স সম্পন্ন করার পর মাস্টার্স কোর্স করার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল বা ঢাকায় যেতে হতো। ২০১৪ সালে অধ্যক্ষ প্রফেসর মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী যোগদানের পর মাননীয় পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতায় ২০১৫ সালে অর্থাৎ এক বছরের মধ্যে ০৭টি বিষয়ে (ইংরেজি, অর্থনীতি, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, গণিত ও রসায়ন) মাস্টার্স কোর্স চালু করা সম্ভব হয়। কৃতী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সে প্রথম স্থান অধিকারী বিভিন্ন বিষয়ের প্রায় চারশত শিক্ষার্থীকে ১৭/০১/২০১৫ তারিখে কলেজ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রেস্ট সম্মাননা দেওয়া হয়।
 
২০১৫ সালে একাডেমিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়। একেবারেই নিম্নমানের জিপিএ নিয়ে ভর্তি হয়ে কলেজের ফলাফলে বিরূপ প্রভাব ফেলায় ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম জিপিএ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার উপযোগী শিক্ষার্থী গড়ে তুলতে ২০১৫ সালেই  একসাথে নয়টি মাল্টিমিডিয়িা ক্লাস উদ্বোধন করা হয়। ক্রমান্বয়ে সকল বিভাগেই মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চালু করে প্রত্যেকটি বিভাগকে ডিজিটাল বিভাগ হিসেবে গড়ে তোলা হয়। লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে বকুলতলায় পূবালী ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দেওয়ার হয়রানি থেকে রক্ষার জন্য কলেজেই ব্যাংকের বুথ স্থাপন করা হয় এবং একই সাথে ই-ক্যাশের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং-এর সাহায্যেও টিউশন ফি জমার ব্যবস্থা করা হয়। ২০১৫ সালে আরেকটি উন্নয়নের মাইলফলক স্থাপিত হয়েছে। এবছরই অধ্যক্ষ প্রফেসর মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকীর প্রচেষ্টায় বিএনসিসিতে প্রথম নারী ক্যাডেট এবং বিদ্যমান একটি পুরুষ প্লাটুনের পাশাপাশি ২০১৮ সালর মার্চ মাসে আরো একটি পুরুষ প্লাটুনের অনুমোদন পাওয়া যায়। অতিরিক্ত  সহকার্যক্রম হিসেবে আইসিটি ক্লাব, বিতর্ক ক্লাব, ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, আবৃত্তি সংসদ, সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন গড়ে তোলা হয়।
 
কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে উদ্যোগী ব্যক্তিদের কারণে কলেজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান ও সুজায়াত আলী মিয়ার প্রচেষ্টায় বড় পুকুর সংস্কার করে সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়। এছাড়া কলাভবনের পাশে মূল রাস্তাসংলগ্ন জায়গায় বাস্কেট বল খেলার মাঠ স্থাপন করা হয়। এখনো বাস্কেট বল খেলার সে মাঠের কিছুটা স্মৃতিচিহ্ন টিকে রয়েছে। সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: আনোয়ার হোসেন কলেজের সৌন্দর্যবর্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর সময়েই কলেজের ভিতরে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য গোলঘর নির্মিত হয়, অপরিচ্ছন্ন জলাশয়ের পাড় বেঁধে পরিচ্ছন্ন রূপ দেওয়া হয়। প্রফেসর মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী যোগদানের পর আবারও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ দৃশ্যমান হয়। তিনি কলাভবনের ভগ্নরূপকে সংস্কারের মাধ্যমে প্রাণ ফিরিয়ে আনেন। কলেজের সামনে পুরাতন জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত ভবনের ভগ্নস্তুপ অপসারণ করে সৌন্দর্যবর্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বিশেষ করে ০৫/০২/২০১৬ তারিখে কলাভবনের সামনে দানবীর আলহাজ্ব আশেক মাহমুদ তালুকদারের ম্যুরাল নির্মাণ করে অসাধারণ এক নান্দনিক শিল্পমণ্ডিত কৃতিত্ব স্থাপন করেন।
 
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে এ কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বাংলার অধ্যাপক জহুরুল হক ভাষা আন্দোলনের মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের সময়ও কলেজের শিক্ষার্থীরা নীরব থাকে নি। অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সুজায়াত আলী মিয়া, ইতিহাসের অধ্যাপক শশাংক শেখর ভট্টাচার্য, দর্শনের  নাছির উদ্দিন সরকার, অধ্যাপক নূরুল হক, কলেজের অধ্যক্ষ এ. এইচ. এম আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ এ আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। অন্দোলনের ফলে কলেজ প্রশাসনের সাথে মহকুমা প্রশাসনের বিরোধও দেখা দিয়েছিল এবং প্রশাসনের হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ৩রা নভেম্বর ১৯৫১ সালে ছাত্র-ছাত্রীরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ ও নব্বইয়ের আন্দোলনেও শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ১৯৬৩ সালে অধ্যাপক সুজায়াত আলী ও ভাষাপ্রেমিক অন্যান্যদের প্রচেষ্টায় কলেজের বড় পুকুরের উত্তরপাড়ে নির্মাণ করেছিলেন জামালপুরের প্রথম শহীদ মিনার। ১৯৭৩ সালে  দয়াময়ীতে শহীদ মিনার স্থাপন করার পূর্ব সময় পর্যন্ত এটিই ছিল জামালপুরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। মহান মুক্তিযুদ্ধে কলেজের অনেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করায় ১৯৭১ সালে কলেজের ডিগ্রি হোস্টেলে পাক বাহিনী ও হানাদার বদর বাহিনী টর্চার সেল গড়ে তুলেছিল। বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধা বা সাধারণ মানুষদের ধরে নিয়ে এসে এখানে নির্যাতন করা করত। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক দেওয়ান হাবিবুল্লাহ ও ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আব্দুল হান্নান খান। দেওয়ান হাবিবুল্লাহ ও আব্দুল হান্নান খান দুজনেই পরবর্তীকালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে আন্তর্জাতিক আদালতের তদন্ত বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন আব্দুল হান্নান খান। যুদ্ধকালীন বাংলার প্রভাষক ইমামুর রশিদকে জামালপুর জেলখানায় বন্দী করে রাখা হয় এবং স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের ষড়যন্ত্রে তাঁকে চাকুরিচ্যূত করা হয়। চার মাস বন্দী থাকার পর তাঁর মুক্তি ঘটে এবং চাকুরি ফিরে পান। কিন্তু তিনিসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে থাকে নি। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হলে বিতর্কিত রসায়নের প্রভাষক গোলাম রব্বানী, দর্শনের মোজাম্মেল হক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আব্দুল গণি চাকুরি ফিরে পান। এ প্রসঙ্গে বাংলার অধ্যাপক ইমামুর রশিদ বলেছেন, “এ এক নজিরবিহীন ঘটনা। এ অসম্ভব কাজটি কিভাবে সম্পাদিত হলো তা আমার কাছে এখনো এক রহস্য।” একটি উল্লেখ করার মতো বিষয় যে, কলেজ প্রতিষ্ঠাকাল থেকে যে ক’জন অধ্যক্ষ এ পর্যন্ত দায়িত্বপালন করেছেন তাঁদের মধ্যে একমাত্র মো: সফিকুল ইসলাম আকন্দ ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। কলেজ ক্যাম্পাস ছিল ছাত্র রাজনীতির চারণ ভূমি। বিভিন্ন দলের ছাত্রসংগঠনগুলো মিছিলে আর বক্তৃতায় কলেজের আমতলা মুখরিত করে রাখত। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ছাত্রসংসদগুলোর ভূমিকাও ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
 
কলেজের সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য বহন করছে বিভিন্ন সময়ে  কলেজ থেকে প্রকাশিত বার্ষিকীগুলো। বার্ষিকীগুলোতে নবীন লিখিয়েদের লেখা ছাড়াও অনেক বিজ্ঞ অধ্যাপকদের লেখা প্রকাশিত হয়। দেশবিভাগ থেকে শুরু করে, ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ,  নব্বইয়ের গণজাগরণসহ প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার দ্বারা প্রভাবিত লেখা বার্ষিকীগুলোতে নানাভাবে ফুটে উঠেছে। ১৯৬৭ সালের পূর্ব পর্যন্ত  কলেজ থেকে মোট এগারো বার বার্ষিকী প্রকাশিত হয়। ১৯৪৬ সালে কলেজ প্রতিষ্ঠার বছর থেকে সময়ের হিসেবে বলা যায়  গড়ে প্রতি দুই বছরে একটি করে বার্ষিকী প্রকাশিত হয়েছে। পরবর্তীকালে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত প্রায় প্রতি বছরই বার্ষিকী প্রকাশিত হয়েছে। কলেজের পানাউল্লাহ আহম্মেদ মুসলিম ছাত্রাবাস থেকেও বার্ষিকী প্রকাশিত হতো। এসব বার্ষিকীর লেখাগুলো ছিল বেশ মানসম্পন্ন। জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত কবি, গীতিকার, লেখকসহ অনেকের লেখাই এসব বার্ষিকীতে প্রকাশিত হয়েছে। খোন্দকার আশরাফ হোসেন, নজরুল ইসলাম বাবু, ইশতিয়াক পাশা, মাহবুবুল হক শাহীন , হাবিবুর রহমান হবি, অধ্যাপক ইমামুর রশীদ, অধ্যাপক মজিবুর রহমান, অধ্যাপক খালেদা রায়হান, অধ্যাপক এ, কে, এম, জাওয়াদুল হকসহ এ সময়ের কবি আলী জহির, এড. মুহম্মদ বাকী বিল্লাহ্‌ প্রমুখের লেখা বিভিন্ন সময়ের বার্ষিকীতে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তমনা অনেক শিক্ষার্থীর লেখাও বার্ষিকীগুলোকে ঋদ্ধ করেছে।  ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত বার্ষিকীতে খন্দকার আশরাফ হোসেনের প্রকাশিত কবিতা ‘আরেকটি জগত রাত্রির অন্ধকারে’ একটি অনন্য সাধারণ কবিতা।  গীতিকার নজরুল ইসলাম বাবুর ‘ঘুম’ ও ‘৩০,০০,০০০ এর ভীরে’ নামের দুটি চমৎকার গল্প ১৯৭০ ও ১৯৭২ সালের বার্ষিকীতে প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া পরবর্তী সংখ্যায় ‘আশ্চর্য ট্রেন’ নামে  তাঁর একটি কবিতাও ছিল। বার্ষিকীগুলোর প্রচ্ছদও ছিল সুন্দর। বেশ কিছু সংখ্যায়  বীরেন সোমের মতো উল্লেখযোগ্য চিত্রশিল্পীর  আঁকা প্রচ্ছদ রয়েছে । ১৯৯১ ও ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত বার্ষিকীর নাম ছিল ‘প্রত্যয়’ ও ‘শষ্প’। এ ছাড়া কলেজ বার্ষিকীগুলোর কোন নাম ছিল না; কলেজ বার্ষিকী নামেই প্রকাশিত হতো।  পুরোনো সংখ্যাগুলোতে কলেজ, কলেজের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম, জামালপুর শহরের ছাপাখানা, স্টুডিও ইত্যাদির স্মৃতি জড়িয়ে আছে।
 
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মো: আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে কলেজের ৭০বৎসর পূর্তি উৎসবে এসেছিলেন। সে উপলক্ষে কলেজের সৌন্দর্যবর্ধনে দৃশ্যমান কাজ হয়েছে। বিশেষ করে জলাশয় ভরাট করে মাঠ তৈরি, শহীদ মিনার সংলগ্ন কুলা পুকুরের সৌন্দর্যবর্ধন, কলেজের সম্মুখ থেকে ভগ্নস্তুপ ও অপরিকল্পিত ব্যবহার-অযোগ্য স্থাপনা অপসারণ এবং কলেজের সকল ভবন সংস্কারের কাজ কলেজকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে। কলেজের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী ও জামালপুরের সুযোগ্য প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মির্জা আজম এমপিসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ এ সময়ে যে অবদান রাখছেন নি:সন্দেহে তা প্রশংসনীয়। খুব শীঘ্রই কলেজের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে জমি রক্ষা, ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসন সঙ্কট দূর করতে আরো হোস্টেল নির্মাণ, শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণসহ একাডেমিক, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও খেলাধুলার উন্নয়নে চলমান উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে বর্তমান সময় আগামী দিনের ইতিহাসে কলেজের শ্রেষ্ঠতম সময় বলে লিপিবদ্ধ থাকবে।
 
 
তথ্যসূত্র: কলেজ প্রতিষ্ঠার ৭০বৎসর পূর্তি উৎসব উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ-এর আগমনে ২০১৬ সালের  ২২ শে ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত স্যুরভেনির।
 
==অনুষদ সুমহ==