বরদা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
রণি বসু (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
রণি বসু (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২ নং লাইন:
'''বরদা''' [[বাংলা সাহিত্য]]ের কাল্পনিক চরিত্রগুলির মধ্যে অন্যতম। এই চরিত্রটি তৈরি করেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক [[শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়]]। ''প্রেতপুরী'' (১৯১৫) [[গল্প]]ে ভূতান্বেষী বরদা-র প্রথম আবির্ভাব। বরদা সিরিজের কাহিনীগুলি প্রধানত ভৌতিক বা অলৌকিক রসের।
 
==চরিত্রচিত্রণ<ref>http://www.abasar.net/sharadindu_sumit.html</ref>==
[[শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়]]ের প্রথম [[ছোটোগল্প]]ই বরদাকে নিয়ে - ''প্রেতপুরী''। জানা যায়, বরদা একজন প্রবাসী বাঙালী যুবক, বিবাহিত, পৈতৃক সম্পত্তির কৃপায় অবস্থা মোটামুটি সচ্ছল, চেহারা ''"নৈনিতাল আলুর কথা স্মরণ করাইয়া দেয়।"'' সে তার সম্পত্তি দেখাশোনা করে, ভূত নিয়ে নাড়াচাড়া করে আর অবসর সময়ে ক্লাবে গিয়ে আড্ডা দেয়। প্রেততত্ত্ব নিয়ে তার অনেক পড়াশোনা আছে, প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে বলেও দাবী করে, ঝামেলা হয় তখনই, যখন সে ক্লাবে তার অত্যন্ত অনিচ্ছুক শ্রোতাদের জোর করে সেই অভিজ্ঞতার কথা শোনাতে চায় - ''"বরদার আষাঢ়ে গল্পের আসর"''। তার প্রধান গুণ হল যে সে নাছোড়বান্দা, সে জোর করে তার ভূতের [[গল্প]]টা শুনিয়ে ছাড়ে, আর তার প্রধান হাতিয়ার হলো জমিয়ে [[গল্প]] বলার অসাধারণ ক্ষমতা, ''ব্যোমকেশ ও বরদা'' গল্প থেকে তার ধরণটার আন্দাজ পাওয়া যায়। তার [[গল্প]] একবার শুনতে শুরু করলে আর ছাড়া যায না। আবার শরদিন্দুর গল্প বলার অসাধারণ কৌশল হলো, বরদার গল্পের আশেপাশে এমন দুয়েকটা সন্দেহের বীজ ছড়িয়ে দেওয়া যাতে [[গল্প]] শেষ হবার পরে বরদা সত্যি বলছে কিনা তা নিয়ে পাঠকদের মনে একটু সংশয় থেকেই যায়। বরদা নিজেই বলেছে যে সেও একসময়ে নাস্তিক ছিলো, কিন্তু এক মারাত্মক অভিজ্ঞতার পর তার বিশ্বাসের ভিত্তি একেবারে পাল্টে যায়। তার বক্তব্য অনুযায়ী, সে নিজে ভূত দেখেছে, [[প্ল্যানচেট]] করেছে, ভূতের লেখা ডায়েরী পড়েছে, পিণ্ড দিয়েছে এবং অন্তত দুবার তার অবিশ্বাসী বন্ধুবান্ধবদেরও ভূত দেখিয়েছে বা দেখতে সাহায্য করেছে। [[ব্যোমকেশ বক্সী]]র সঙ্গে একটি [[গল্প]]ে শরদিন্দু তাকে টেনে এনে শেষ অবধি হারিয়ে দিয়েছেন।
 
'https://bn.wikipedia.org/wiki/বরদা' থেকে আনীত