আবদুর রহমান আস-সুদাইস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
মাহাথির বিন আলী-এর করা 3418016 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে: দুটি সম্পাদনা বাতিল : ভক্তের দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা, নিরপেক্ষভাবে লিখুন। (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
৩১ নং লাইন:
|আর্কাইভের-তারিখ = ২০০৭-০৭-১১
|অকার্যকর-ইউআরএল = না
}}</ref> হলেন মক্কায় অবস্থিত সৌদি আরবের প্রধান মসজিদ [[মসজিদ আল-হারাম|মসজিদ আল-হারামের]] প্রধান [[ইমাম]] এবং ২০০৫ সালে নির্বাচিত
বছরের সেরা ইসলামিক ব্যক্তিত্ব (the "Islamic Personality Of the Year")। আল-সুদাইস সন্ত্রাসবাদ প্রতিহত করার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উদ্যোগের ব্যবস্থা করেছেন, ইসলাম বিরোধীদের কাছে "বোমা হামলা এবং সন্ত্রাসবাদ" বিষয়ে ভুল ধারণা খন্ডন করেছেন এবং শান্তিপূর্ণ আন্তঃধর্ম সংলাপের আয়োজন করেছেন।<ref name="ArabNewsASTerrorFight">{{সংবাদ উদ্ধৃতি
|শিরোনাম = Fight terrorism jointly: Al-Sudais
৫৮ নং লাইন:
|আর্কাইভের-তারিখ = ১৪ জুলাই ২০১৪
|অকার্যকর-ইউআরএল = হ্যাঁ
}}</ref>
}}</ref> ধর্মীয় ক্ষেত্রে তিনি সালাফি মতাদর্শের অনুসারী।অনেক তাকে শাফেয়ী বা হাম্ব্লী মাযহাবের বলে থাকে।কিন্তু, এই ক্থা সত্য নয়।২০০৯ ালে াকিস্তান জমঈয়তে [[আহলে হাদীস]] সম্মেলনে গিয়ে তিনি বলেন, <nowiki>''</nowiki> প্রত্যেক মুসলিমকে [[আহলে হাদীস]] হওয়া উচিত।<nowiki>''</nowiki>
 
শায়খ আবদুর রহমান ইবন আবদুল আজিজ আস-সুদাইস‏ মক্কায় অবস্থিত সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মসজিদ আল-হারামের ইমাম।তিনি সৌদি সরকারের অনুমোদিত জামেয়াতুল মা’রেফা আল-আলামিয়্যাহ (নলেজ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর)। যার শিক্ষকতায় আছেন সৌদি গ্রান্ড মুফতি, ধর্মমন্ত্রীসহ অনেক উচ্চপদস্থ উলামায়ে কেরাম।তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৯টি। আরো ৬ টি গ্রন্থ ও গবেষণাপত্র প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস ১৯৯৫ সালে মক্কার উম্মুল ক্বুরা বিশ্ববিদ্যালয়-এর শরিয়াহ ফ্যাকাল্টি থেকে পিএইচডি (ডক্টরেট) ডিগ্রী অর্জন করেন।তিনি খুবই বিনয়ী। সব সময় সাধারণ মানুষদের কাছে থাকতে ও সাথে থাকতে ভালোবাসেন। কা’বা শরীফ ও মসজিদে নববীর প্রধান ইমাম হয়েও তিনি ক্লিনারদের সাথে বসে ইফতার করতে ও খাবার খেতে পছন্দ করেন।তিনি সব সময় হাস্যোজ্জ্বল থাকেন। খুব বিনয়ী ও মিষ্টিস্বরে কথা বলেন। তিনি হাল্কা কৌতুক করতে পছন্দ করেন। তবে, নামাযে দাড়ালেই কেঁদে ফেলেন। তার তেলাওয়াতের সময় মনে হয়, যেন লওহে মাহফুজ থেকে কুরআন নাজিল হচ্ছে।তিনি কা’বা শরীফের ইমাম হওয়ার আগে অনেক ছোটবড় মসজিদের ইমামতিও করেছেন।হৃদয়গ্রাহী কুরআন তেলাওয়াতের কারণে সারাবিশ্বে নামডাক শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইসের।‏ছোট বেলার একটা ঘটনা বলতে গিয়ে খুব আবেগী হয়ে যান ক্বরি সুদাইস। ছোট বেলায় কি একটা দুষ্টুমি করেছিলেন। ফলে তার মা তার ওপর রেগে গিয়ে বলেন- ‘তুই বের হয়ে যা, গিয়ে হারামাইনের ‘ইমাম’ হ।’
 
তাঁর সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য -
 
১. ইমামদের সেবা কখনও অর্থ দিয়ে পরিশোধ করা না গেলেও তাঁদের কিছু হলেও অর্থ দিতে হয় মসজিদ কর্তৃপক্ষকে।
 
অনেকের ধারণা, যেহেতু ইমাম আবদুর রহমান আস সুদাইস বিশ্বের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ মসজিদের ইমাম, সেহেতু তাঁর বেতনও অনেক হওয়া উচিত। তবে তা সঠিক নয়।
 
সৌদি সরকার তাঁকে প্রতি মাসে একটি খালি চেক প্রদান করে, যেখানে তিনি তাঁর মন মত সংখ্যা বসাতে পারেন। এ হিসেবে বলা যায় তিনি নিজেই তাঁর বেতন নির্ধারণ করে থাকেন।
 
২. তাঁর পুরো নাম আবদুর রহমান ইবন আবদুল আজিজ আস-সুদাইস‏।
 
৩. তিনি ১৯৬০ সালে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন।
 
৪. তিনি মাত্র ১২ বছর বয়সেই সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্ত করেন।
 
৫. তিনি রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
 
৬. মাত্র ২৪ বছর বয়সে তাঁকে গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তিনি এ বয়সেই ১৯৮৪ সালের জুলাই মাসে সৌদিতে খুতবা দেন।
 
৭. ২০১২ সালে তাঁকে সৌদির দুই গ্র্যান্ড মসজিদে ‘হেড অফ প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে নির্বাচন করা হয় এবং তাঁকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়।
 
৮. সুদাইস তাঁর মধুর কণ্ঠ এবং অসাধারণ কুরআন পাঠের জন্য বেশ বিখ্যাত।
 
৯. তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে থেকে ‘বিস্ফোরণ, আত্মঘাতী বোমা হামলা এবং সন্ত্রাসবাদ’ সম্পর্কে বেশকিছু ভুল ভাঙান।
 
১১. তিনি ইমামতি করার পাশাপাশি পুরো মুসলিম উম্মাহর সমস্যার দিকে বিশেষ নজর রাখেন। এজন্য তাঁকে ২০০৫ সালে ‘সেরা ইসলামিক ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।
 
১২. ২০০৪ সালে লন্ডনে ১০ হাজার মানুষের সামনে তিনি একটি আন্তঃধর্মীয় খুতবা দেন। এসময়ে যুক্তরাজ্যের জাতিগত সমতা বিষয়ক মন্ত্রী এবং প্রধান রাব্বিও উপস্থিত ছিলেন।
 
প্রিন্স চার্লসও এই খুতবাতে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন।
 
== আরও দেখুন==