আহ্‌মদীয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Vondo sele (আলোচনা | অবদান)
বা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Lofty abyss (আলোচনা | অবদান)
Reverted 6 edits by Vondo sele (talk) to last revision by Ahmad Kanik. (TW)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
১ নং লাইন:
{{incomplete|নিবন্ধটি}}
{{Infobox Religious group|
| group = আহমদীয়া <br />احمدیہ ''আহমদীয়া''
| image =
| caption =
| population = ১০ মিলিয়ন<ref>[http://www.adherents.com/adh_branches.html#Islam Major Branches of Religions]. Adherrents.com.</ref>
| region1={{flagcountry|India}}
| region2={{flagcountry|Pakistan}}
| region3 ={{flagcountry|Bangladesh}}
| region4=[[পশ্চিম আফ্রিকা]]
| region5=[[পূর্ব আফ্রিকা]]
| region6={{flagcountry|Germany}}
| region7={{flagcountry|UK}}
| region8={{flagcountry|Canada}}
| religions = [[আহ‌মদীয়া মুসলিম জামাত]], [[লাহোর আহমদিয়া আন্দোলন]]
| scrips = [[কুরআন]], [[হাদিস]]
| langs= [[উর্দু]], [[আরবি]]
}}
 
'''আহমদীয়া;''' পূর্ণরূপে '''আহমদীয়া মুসলিম জামাত''' ({{lang-ur|{{Nastaliq|احمدیہ مسلم جماعت}}‬‎}}; {{lang-ar|الجماعة الإسلامية الأحمدية}}) একটি তর্কসাপেক্ষে মুসলিম ধর্মীয় পুনর্জাগরণ অথবা মসিহবাদী আন্দোলন যার উদ্ভব হয়েছিল ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] [[কাদিয়ান|কাদিয়ান]] এলাকার [[মির্যা গোলাম আহমদ|মির্যা গোলাম আহমদের]] জীবন ও শিক্ষার ভিত্তিতে। এটি কাদিয়ানী আন্দোলন নামেও পরিচিত। মির্যা গোলাম আহমদ (১৮৩৫-১৯০৮) দাবী করেছিলেন যে [[ঈশ্বর]] বা [[আল্লাহ]] তাকে আখেরী জমানায় প্রতিশ্রুত ও মুসলমানদের প্রতীক্ষিত ইমাম মাহদী ও প্রত্যাবর্তনকারী মসীহ ([[যিশু|যীশু]] বা [[ঈসা]]) উভয় হিসেবেই প্রেরণ করেছেন [[ইসলাম|ইসলামের]] শেষ বিজয় শান্তিপূর্ণভাবে সংঘটিত করতে এবং অন্যান্য ধর্মীয় মতবাদের প্রতীক্ষিত [[পরকালবিদ্যা|পরকালতাত্বিক]] ব্যাক্তিত্বদের মূর্ত করতে। নবী [[মুহাম্মাদ|মোহাম্মদের]] (সাঃ) বিকল্প নাম 'আহমদ' থেকে এই আন্দোলন ও সদস্যগণ ('আহমদী মুসলিম' বা সংক্ষেপে 'আহমদী') নিজেদের নামকরণ করলেও সাধারণভাবে মুসলিম বিশ্বে তাদের প্রতিষ্ঠাতার জন্মগ্রহণকারী অঞ্চলের নাম কাদিয়ান এর নামে কাদিয়ানী হিসেবেই আখ্যায়িত করা হয়।
 
আহমদীরা বিশ্বাস করে যে মির্যা গোলাম আহমদ ইসলামকে তার আসল প্রথমযুগীয় অবস্থায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং তাদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী কেতাবে উল্লেখিত যীশু বা ঈসার গুণবিশিষ্ট ইমাম মাহদী হয়ে এসেছেন ইসলামকে পুনরুজ্জীবিত করতে ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে এর নৈতিক ব্যবস্থা চলমান করতে। তারা আরও বিশ্বাস করে যে মির্যা গোলাম আহমদ ইসলামের শেষ নবী মোহাম্মদের প্রদর্শিত পথে পাঠানো একজন “উম্মতী নবী”। তাদের মতে [[নবুয়াত]] খাতামান্নাবিঈন এর অর্থ নবুয়াত এর সমাপ্তি নয় বরং খাতামান্নাবিঈন মানে "নবীগনের মোহর" বা নবীগনের সত্যায়নকারী। তাদের মতে [[নবী]] মোহাম্মদ (সাঃ) এর প্রকৃত অনুসরনে নতুন [[নবী]] আসতে পারবেন তবে তিনি হবেন ‘উম্মতী নবী’ ও তিনি কোনো নতুন [[শরীয়ত]] আনবেন না।<ref>[https://www.alislam.org/library/book/truth-about-ahmadiyyat/finality-of-prophethood/ Finality of Prophethood]</ref> সুন্নীদের মতে, এই ‘উম্মতী নবীর’ ধারণা [[কুরআন]] ও [[হাদীস]] দ্বারা সমর্থিত নয় এবং তারা তাদেরকে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত মানে না।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=কাদিয়ানী সম্প্রদায় পর্যালোচনা|ইউআরএল=https://www.alkawsar.com/bn/article/825/|প্রকাশক=মাসিক আলকাউসার|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৩}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=কাদিয়ানী সম্প্রদায় পর্যালোচনা ২|ইউআরএল=https://www.alkawsar.com/bn/article/850/|প্রকাশক=মাসিক আলকাউসার|তারিখ=মার্চ ২০১৩}}</ref> আহমদীয়াদের মতে যেহেতু তারা কালিমা তৈয়বা ‘লা ইলাহা ইলাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ মনে প্রাণে বিশ্বাস করে বলে তাদের ‘অমুসলিম’ ঘোষণা করার অধিকার কারো নেই।<ref>[https://www.alislam.org/library/articles/ahmadis-true-muslims/ Ahmadis are True Muslims]</ref>
আহমদীয়া মুসলিম জামাতের কার্যক্রম ক্রমবর্ধমান। পৃথিবীর ২০০ দেশে আহমদীয়াদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই সংগঠনের সদরদপ্তর [[লন্ডন]]ে অবস্থিত। গোলাম আহমদের মৃত্যুর পর তার অনুসারীরা খিলাফত প্রবর্তন করে এবং তাদের নির্বাচিত ৫ম খলিফা মির্যা মাসরুর আহমেদ লণ্ডন থেকে এই সংগঠনের কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন।<ref>[https://www.alislam.org/library/ahmadiyya-muslim-community/ Official Website of Ahmadiyya Muslim Community]</ref> আহমদী বিশ্বাস ও কর্মকাণ্ডকে ‘আহ্‌মদীয়াত’ হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়।<ref name="বাংলাদেশে আহ্‌মদীয়াত">[http://www.ahmadiyyabangla.org/Ahmadiyyat-in-Bangladesh.htm বাংলাদেশে আহ্‌মদীয়াত]</ref>
 
== ইতিহাস ও নামকরণ ==
১৮৮৯ সালে [[পঞ্জাব]] অঞ্চলে আহমদীয়া আন্দোলনের প্রতিষ্ঠা হলেও 'আহমদীয়া' নামটি রাখা হয় আরও এক দশক পর। ১৯০০ সালের ৪ নভেম্বরের একটি ইস্তেহারে গোলাম আহমদের ভাষ্যে নামটি নিজের নামকে নয় বরং নবী মোহাম্মদের বিকল্প নাম 'আহমদ'-কে ইঙ্গিত করছে। 'আহমদ' নামটি নবীজির [[মক্কা|মক্কী]] জীবনকালে তাঁর খোতবার সৌন্দর্য, শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ এবং উদ্যম ও ধৈর্য বহন করে এবং 'মোহাম্মদ' ও 'আহমদ'-এর মধ্যে দ্বিতীয়টি বেশি মনোযোগ দখল করে। উপরন্তু তিনি বলেন [[বাইবেল|বাইবেলের]] [[পুরাতন নিয়ম|পুরাতন নিয়মে]] ''[[মোশি|মোশির]]'' (নবী [[মুসা|মুসার]]) ''মত নবী'' বলে [[বাইবেলে মুহাম্মাদ|নবী মোহাম্মদের আগমনের উল্লেখ]] আছে এবং কোরআনে নবী ঈসা সেই নবীর ব্যাপারে ইঙ্গিত করেন 'আহমদ' নামটি দ্বারা। তাই 'মোহাম্মদ' নামটিকে নবী মুসার জুলুমের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামী কর্মকাণ্ড এবং 'আহমদ'-কে নবী ঈসার শান্তিপূর্ণ ধর্মোপদেশ কার্যের সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন এবং মুসলিম বিশ্বে অন্যান্য আন্দোলন থেকে আলাদা করতে তিনি 'আহমদীয়া' নামটি বেছে নেনঃ
 
"যে নামটি এই আন্দোলনের সবচেয়ে উপযোগী এবং আমার ও আমার জামাতের জন্যে আমি পছন্দ করি তা হল 'আহমদীয়া বর্গের মুসলমানগণ'। তবে এটি 'আহমদী মাজহাবের মুসলমানগণ' হিসেবে উল্লেখ হলেও তা গ্রহণযোগ্য।" (মাজমু'আ ইশ্তেহারাত, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৬৪)
 
২৩ মার্চ ১৮৮৯ তারিখে পঞ্জাবের [[লুধিয়ানা|লুধিয়ানায়]] তার বাড়িতে মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী তার সহচারী অনুসারীদের কাছ থেকে (মুসলমানদের নেতা মাহদী হিসেবে) ইমামত বা [[খিলাফত|খেলাফতের]] বায়াত (আনুগত্যের শপথ) গ্রহণ করেন। এর পূর্ব তিনি সুত্র অনুযায়ী তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ওহী বা আপ্তবাক্য পেতে শুরু করেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে তিনি নিজেকে মোজাদ্দেদ (মুসলিম বিশ্বে প্রতি একশত বছর পর আগত ইসলামের পুনরুদ্ধারকারী), রূপক অর্থে মসীহের পুনরাগমন এবং মুসলমানদের প্রতীক্ষিত মাহদী হিসেবে দাবি করেন এবং ব্রিটিশ ভারতের যুক্তপ্রদেশ (বর্তমানে উত্তরাখণ্ড ও উত্তর প্রদেশ), পঞ্জাব ও [[সিন্ধু প্রদেশ|সিন্ধু প্রদেশে]] উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অনুসারী লাভ করেন। তিনি ও তার অনুসারীরা দাবি করে যে নবী মোহাম্মদসহ বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ তার আগমনের ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছে।
 
ঊনবিংশ শতকে ভারতবর্ষে ব্যাপক [[খ্রিস্টান|খ্রিষ্টান]] ও [[আর্য সমাজ|আর্য সমাজবাদী]] ধর্মপ্রচারের জবাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত একটি আন্দোলন হিসেবেই গড়ে ওঠে আহমদীয়া। কিন্তু পরবর্তীতে এটি ইংরেজ সরকারের পক্ষে অনেক গ্রন্থ রচনা করে এবং [[জিহাদ|জিহাদকে]] নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
 
১৯১৩ সনের দিকেই আহমদীয়া জামাত বিদেশে তাদের প্রচার কর্ম শুরু করে (যেমন লন্ডনে ফজল মসজিদ নির্মাণ)। অনেক ঐতিহাসিকদের মতে আহমদীয়া আমেরিকায় 'সিভিল রাইটস মুভমেন্ট' বা নাগরিক অধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত। এটি ১৯৫০ পর্যন্ত "আফ্রিকান-আমেরিকান ইসলামে তর্কসাপেক্ষে সবচেয়ে প্রভাবশালী সম্প্রদায়" হিসেবে বিবেচিত এবং বিশেষ করে আফ্রিকা মহাদেশে বিপুল একটি ধর্মমত।
 
=== বর্তমান অবস্থা ===
প্রচলিত কোরআন ও হাদিসের বর্ণনার সাথে আহমদীদের মতবাদের ভিন্নতা থাকায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মূলধারার মুসলমানগণ প্রথম থেকেই আহমদীয়ার বিরোধিতা করে আসছে। ১৯৭৪ সালে [[পাকিস্তান]] সরকার আহমদীদের [[কাফির|কাফের]] ঘোষণা করে। পাকিস্তানের মত [[বাংলাদেশের]] বিভিন্ন ইসলামী দলগুলোর পক্ষ থেকে আহমদীদের অমুসলিম ঘোষণা করার জন্য আন্দোলন হতে থাকে। বিভিন্ন সময়ে আহমদী মুসলমানরা বিভিন্ন সহিংসতার শিকার হয়ে থাকেন বলে দাবি করা হয়।
 
== বিশ্বাস ==
আহমদীরা বিশ্বাস করে যে [[আল্লাহ্]]‌ মসীহকে সশরীরে (জীবন্ত অবস্থায়) [[স্বর্গ|আসমানে]] ([[সপ্ত স্বর্গ|সপ্ত স্বর্গের]] একটি) তুলে নিয়ে যান নি। তিনি এই [[পৃথিবী|পৃথিবীতেই]] (মাজার [[কাশ্মীর|কাশ্মীরের]] [[শ্রীনগর, জম্মু ও কাশ্মীর|শ্রীনগরে]] একটি এলাকায়) স্বাভাবিকভাবে মৃত্যবরণ করেছেন এবং মৃত্যুর পর বেহেশতে চলে গেছেন। যীশুর পুনরাগমন হবে এবং তা হবে মোহাম্মদের উম্মতদের মধ্য থেকে। তাদের যুক্তি হল যদি ইসলামকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে বেহেশত থেকে যীশুকেই পাঠাতে হয় তাহলে [[মুসলমান|মুসলমানরা]] কি ভূমিকা পালন করবে? যীশুর দায়িত্ব পালন করার জন্য তাই মুসলমানদের মধ্য থেকে উঠে আসবেন কেউ যিনি ইসলামের পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন। আর ইনি হলেন মির্যা গোলাম আহমদ।
 
মির্যা গোলাম আহমদ নিজে আহমদীদের বিশ্বাসের ব্যাপারে বলেছেন, {{উক্তি|“আমরা ঈমান রাখি, খোদা তা‘লা ব্যতীত কোন মা‘বুদ নাই এবং সৈয়্যদানা হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম আল্লাহ্‌র রসূল এবং খাতামুল আম্বিয়া। আমরা ঈমান রাখি, কুরআন শরীফে আল্লাহ্ তা‘আলা যা বলেছেন এবং আমাদের নবী (সা.)-এর পক্ষ থেকে যা বর্ণিত হয়েছে উল্লিখিত বর্ণনানুসারে তা সবই সত্য। আমরা এ-ও ঈমান রাখি, যে ব্যক্তি এই ইসলামী শরীয়ত থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত হয় অথবা যে বিষয়গুলি অবশ্যকরণীয় বলে নির্ধারিত তা পরিত্যাগ করে এবং অবৈধ বস্তুকে বৈধকরণের ভিত্তি স্থাপন করে, সে ব্যক্তি বে-ঈমান এবং ইসলাম বিরোধী। আমি আমার জামা‘তকে উপদেশ দিচ্ছি, তারা যেন বিশুদ্ধ অন্তরে পবিত্র কলেমা '''‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্’'''-এর উপর ঈমান রাখে এবং এই ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করে। কুরআন শরীফ হতে যাদের সত্যতা প্রমাণিত, এমন সকল নবী (আলাইহিমুস সালাম) এবং কিতাবের প্রতি ঈমান আনবে। নামায, রোযা, হজ্জ ও যাকাত এবং এতদ্ব্যতীত খোদা তা‘লা এবং তাঁর রসূল (সা.) কর্তৃক নির্ধারিত কর্তব্যসমূকে প্রকৃতপক্ষে অবশ্য-করণীয় মনে করে যাবতীয় নিষিদ্ধ বিষয়সমূহকে নিষিদ্ধ মনে করে সঠিকভাবে ইসলাম ধর্ম পালন করবে। মোট কথা, যে সমস্ত বিষয়ে আকিদা ও আমল হিসেবে পূর্ববর্তী বুজুর্গানের ‘ইজমা’ অর্থাৎ সর্ববাদী-সম্মত মত ছিল এবং যে সমস্ত বিষয়কে আহলে সুন্নত জামা’তের সর্বাদি-সম্মত মতে ইসলাম নাম দেয়া হয়েছে, তা সর্বতোভাবে মান্য করা অবশ্য কর্তব্য। যে ব্যক্তি উপরোক্ত ধর্মমতের বিরুদ্ধে কোন দোষ আমাদের প্রতি আরোপ করে, সে তাকওয়া বা খোদা-ভীতি এবং সততা বিসর্জন দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ রটনা করে। কিয়ামতের দিন তার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ থাকবে, কবে সে আমাদের বুক চিরে দেখেছিল, আমাদের এই অঙ্গীকার সত্বেও অন্তরে আমরা এসবের বিরুদ্ধে ছিলাম”?<ref>[(আইয়ামুস্‌সুলেহ্ পুস্তক, পৃষ্ঠা: ৮৬-৮৭)]</ref>}}
 
== সমালোচনা ==
দাবি করা হয়, মির্যা গোলাম আহমদ একসময় নিজেকে অন্য নবীদের মতই নবী দাবি করেছিলেন যা [[সূরা আহযাব|সূরা আহযাবের]] ৪০ নং আয়াতের পরীপন্থী।
 
সূরা আন নিসার ১৫৭-১৫৮ আয়াত অনুসারে, ইসলামের নবী ঈসাকে হত্যা করা হয় নি বরং আল্লাহ তাকে তাঁর কাছে তুলে নিয়েছেন। হাদিস অনুসারে নবী ঈসা আসমান থেকে সরাসরি দামেস্কের পূর্ব দিকে মসজিদের সাদা মিনারের পাশে অবতরণ করবেন। তিনি এসে আল-মাহদীর (যিনি ইসলামের শেষনবীর মেয়ে ফাতিমার বংশের হবেন) নেতৃত্বে সালাত আদায় করবেন। তিনি দাজ্জালকে হত্যা করবেন, ক্রুশ ভেঙ্গে ফেলবেন, শুকর নিধন করবেন, [[জিযিয়া]] রহিত করবেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=কিয়ামতের আলামত |পাতাসমূহ= |লেখক=মুহাম্মাদ ইকবাল কিলানী |অনুবাদক=আবদুল্লাহিল হাদী মু. ইউসুফ |তারিখ= |প্রকাশক=মাকতাবা বাইতুসসালাম রিয়াদ }}</ref> ইমাম মাহদী ও মসীহ দুইজন আলাদা ব্যক্তি হবেন। এই বিষয়গুলো মির্যা গোলাম আহমদের দাবির বিপরীত হওয়ায় সুন্নীরা আহমদীয়াদের সমালোচনা করেন।
 
== বাংলাদেশে আহমদীয়াত ==
বাংলাদেশের [[ব্রাহ্মণবাড়িয়া|ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে]] ক্ষুদ্র পরিসরে আহমদীয়া জামাতের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে সারা দেশে ১০৩টি শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৪২৫টি স্থানে আহমদীদের বসবাস বা কার্যক্রম রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সুন্দরবন, আহমদনগর-শালসিঁড়ি, রাজশাহী, কুমিল্লা এবং জামালপুর-ময়মনসিংহ অঞ্চলে আহ্‌মদীদের সংখ্যা উল্ল্যেখযোগ্য। জামাতের সাংগঠিক কার্যক্রম স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা পরিচালিত হয়। জামাতের ৬৫জন মোবাল্লেগ রয়েছে যারা জামাতের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। এই জামা’ত ১৯২০ সন থেকে বাংলাদেশের প্রাচীনতম পাক্ষিক পত্রিকা ‘আহ্‌মদী’ নিয়মিতভাবে বের করে আসছে। অঙ্গসংগঠনসমূহের নিজস্ব ম্যাগাজিন/বুলেটিন রয়েছে। <ref name="বাংলাদেশে আহ্‌মদীয়াত"/>
 
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা|3}}