হামিদা বানু বেগম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন |
|||
৩৭ নং লাইন:
}}
হামিদা বানু {{sfn|Mukhia|2004|p = 125}} (১৫২৭ – ২৯ আগস্ট ১৬০৪, {{Lang-fa|حمیدہ بانو بیگم|translit=Ḥamīda Banū Begum}}) দ্বিতীয় [[মুঘল সাম্রাজ্য|মুঘল সম্রাট]] [[হুমায়ুন|হুমায়ূন]] এর পত্নী এবং মুঘল সম্রাট [[আকবর]] এর মাতা। <ref name=da>[http://www.thedailystar.net/2004/06/27/d406271502101.htm The Humayun Nama: Gulbadan Begum's forgotten chronicle] Yasmeen Murshed, [[The Daily Star (Bangladesh)|The Daily Star]], 27 June 2004.</ref> তিনি ‘মরিয়ম মাকানি’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। তিনি পার্সি ও হিন্দুস্তানি কারিগর দ্বারা হুমায়ূনের সমাধিসৌধ নির্মাণ করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|
==পরিবার==
[[File:Akbar's mother travels by boat to Agra.jpg|thumb|আকবরের মা নৌকায় আগ্রা যাচ্ছেন]]
হামিদা বানু ১৫২৪ সালে পারসিয়ান [[শিয়া ইসলাম|শিয়া]] পরিবারে শেখ আলী আকবর জামির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। আলী আকবর প্রথম মুঘল সম্রাট বাবরের কনিষ্ঠ পুত্র হিন্দল মির্জার বন্ধু ও শিক্ষক ছিলেন। হামিদার মা মাহনা আফরাজ বেগম আলী আকবরকে সিন্ধুর পাট শহরে বিয়ে করেন। বংশগতভাবে হামিদা ধর্মপ্রাণা মুসলিম ছিলেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|
==হুমায়ুনের সঙ্গে সাক্ষাৎ==
[[আলওয়ার]] শহরে বাবরের স্ত্রী ও হুমায়ুনের সৎমা দিলদার বেগমের আয়োজিত এক ভোজসভায় হুমায়ুনের সঙ্গে ১৭ বছরের বালিকা হামিদার প্রথম দেখা হয়।
[[শের শাহ সুরি]]র আক্রমণে নিষ্ক্রান্ত হওয়া [[হুমায়ুন]] তখন নির্বাসিত ছিলেন।<ref>Mukherjee, p.119</ref>
যখন [[হুমায়ুন]] ও হামিদার বিয়ের প্রস্তাব উত্থাপিত হয় তখন হামিদা ও হিন্দল উভয়েই এতে আপত্তি করেন। ধারণা করা হয় হামিদা হিন্দলকে ভালবাসতেন<ref name=Eraly2000>{{বই উদ্ধৃতি|
প্রথমে হামিদা বাদশাহর সাথে দেখা করতে অস্বীকার করেন। ৪০ দিন চেষ্টার পর দিলদার বেগমের প্ররোচনায় অবশেষে তিনি হুমায়ুনকে বিয়ে করতে রাজি হন। হামিদা তাঁর বই হুমায়ুননামাতে লিখেছেন “আমি এমন একজনকে বিয়ে করব যার কণ্ঠদেশ পর্যন্ত আমার হাত পৌঁছতে পারে, এমন কাউকে নয় যাকে আমি স্পর্শ করতে পারি না”।<ref name="Mukherjee, p.120">Mukherjee, p.120</ref>
==মুঘল সম্রাজ্ঞী==
৫২ নং লাইন:
==মৃত্যু==
হামিদা ১৬০৪ সালের ২৯ আগস্ট মৃত্যবরণ করেন। তাকে দিল্লীতে সম্রাট [[হুমায়ুনের সমাধিসৌধ]]<nowiki/>তে কবর দেওয়া হয়। তিনি আকবরের মৃত্যুর ঠিক এক বৎসর পূর্বে এবং স্বামী হুমায়ুনের মৃত্যুর প্রায় অর্ধশত বছর পরে মারা যান। ইংরেজ পর্যটক থমাস করিয়ট এর ভাষ্যমতে আকবর হামিদাকে যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন করতেন। একবার [[লাহোর]] থেকে [[আগ্রা]] যাওয়ার পথে [[আকবর]] নিজে তার পালকি টেনে নদী পার করেছিলেন। যুবরাজ [[জাহাঙ্গীর]] যখন পিতা আকবরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন, হামিদা তখন বুদ্ধিমত্তার সাথে বিষয়টি সামাল দেন। জাহাঙ্গীর আকবরের প্রিয় মন্ত্রী [[আবুল ফজল ইবনে মুবারক]]<nowiki/>কে মেরে ফেলার পরেও পিতাপুত্রে পুনর্মিলন সাধিত হয়। আকবর সমগ্র জীবনে কেবল দুইবার চুলদাড়ি ফেলে দিয়েছেন- এক পালক মাতা জিজি আনগার মৃত্যুতে আর দুই গর্ভধারিণী হামিদার মৃত্যুতে।<ref>[http://www.anusha.com/pafg111.htm Genealogy of Hamida Begum]</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি |
==তথ্যসূত্র==
|