সপ্তস্বর্গ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ash wki (আলোচনা | অবদান)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩ নং লাইন:
 
==মেসোপটেমীয় ধর্মমত==
[[মেসোপটেমিয়া|মেসোপটেমিয়ায়]] সপ্ত স্বর্গের যে ধারণার বিকাশ ঘটেছিল তা নৈসর্গিক ও আধিবিদ্যক দুইই ছিল।<ref>{{citeবই bookউদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=বার্নার্ড |firstপ্রথমাংশ=জোডি এ |dateতারিখ=২০১২ |titleশিরোনাম=হিব্রুদের অতীন্দ্রবাদ: 'এপিস্টল টু দ্য হিব্রুস'-এ ইহুদীধর্মের রহস্যোন্মোচক অতীন্দ্রবাদের একটি গবেষণা (The Mysticism of Hebrews: Exploring the Role of Jewish Apocalyptic Mysticism in the Epistle to the Hebrews) |urlইউআরএল=https://books.google.co.in/books?id=F9R4UYjeYGoC&pg=PA62 |pageপাতা=৬২ |publisherপ্রকাশক=Mohr Siebeck |isbnআইএসবিএন=3-16-151881-0 |accessসংগ্রহের-dateতারিখ=৩ জুন ২০১৫ }}</ref> [[সুমেরীয় সভ্যতা|সুমেরীয়]] ভাষায় স্বর্গ (আসমান বা আকাশ) ও পৃথিবীকে (জমিন) বলা হত "আন" এবং "কি"।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.history-world.org/sumerianwords2.htm |titleশিরোনাম=সুমেরীয় শব্দাবলী ও তার ইংরেজি অনুবাদ (Sumerian Words And Their English Translation) |websiteওয়েবসাইট=হিস্ট্রি ওয়ার্ল্ড|accessসংগ্রহের-dateতারিখ=২ জুন ২০১৫}}</ref> খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের শেষের দিকে সুমেরীয় [[জাদুমন্ত্রে]] সপ্তস্বর্গের উল্লেখ আছে, যেমন একটিতে এরকম লেখা "আন-ইমিনবি কি-ইমিনবি" ("স্বর্গ সাতটি, পৃথিবী সাতটি")।<ref>{{citeবই bookউদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=হরোউইটজ |firstপ্রথমাংশ=ওয়েইন |titleশিরোনাম=মেসোপটেমীর মহাজাগতিক ভূগোল (Mesopotamian Cosmic Geography) |urlইউআরএল=https://books.google.co.in/books?id=P8fl8BXpR0MC&pg=PA208| pageপাতা=২০৮ |publisherপ্রকাশক=Eisenbrauns |dateতারিখ=১৯৯৮ |isbnআইএসবিএন=0-931464-99-4 |accessসংগ্রহের-dateতারিখ=৩ জুন ২০১৫ }}</ref> মেসোপটেমীয় ধর্মে সাধারণত স্বর্গ মানুষের জন্য কোন স্থান নয়। যেমন
[[গিলগামেশের মহাকাব্য|গিলগামেশের মহাকাব্যে]] বীর [[গিলগামেশ]] তার বন্ধু এনকিদুকে বলছেন, "স্বর্গে কে যেতে পারে বন্ধু? শুধু দেবতারাই শামাশের (সূর্যদেবের) সঙ্গে চিরকাল থাকবে।"
 
==ইসলাম==
ইসলাম ধর্মের প্রধান গ্রন্থ [[কুরআন|কোরআনে]] উল্লেখ আছে সাতটি 'সামাওয়াত' ({{lang-ar|سماوات}}; ''সামা' ''-এর বহুবচন) সম্পর্কে। "সামা" ({{lang-ar|سماء}} যা আক্ষরিকভাবে "আকাশ" বা "নভোমণ্ডল" বুঝায়)-র প্রচলিত অনুবাদ ভারতবর্ষের ভাষাবলীতে "আসমান"। উদাহরণস্বরূপ সূরা "হা-মীম সেজদাহ্"-র (বা সূরা "ফুস্‌সিলাত") ১২ নম্বর আয়াত ({{cite quran|41|12|style=ns}}), সূরা "আত-তালাক"-এর ১২ নম্বর আয়াত ({{cite quran|65|12|style=ns}}) ও সূরা "নূহ"-এর ১৫ নম্বর আয়াতে ({{cite quran|71|15|style=ns}}) এর উল্লেখ রয়েছে। এই আসমান বা স্বর্গ ইসলামে ন্যায়পরায়ণদের [[পরকাল|পরলৌকিক]] চিরস্থায়ী আবাস 'জান্নাত' (যা আক্ষরিকভাবে "বাগান" বা "কানন" বুঝায়) থেকে ভিন্ন, যাকে বাংলায় সাধারণত "[[বেহেশত]]" বলা হয়ে থাকে।({{Cite quran|13|35|tn=y}}, {{Cite quran|18|31|tn=y}}, {{Cite quran|38|49|end=54|tn=y}}) একটি ব্যাখ্যা অনুযায়ী সব গ্রহ-নক্ষত্র-ছায়াপথ প্রথম আসমানের অন্তর্ভুক্ত এবং অন্যান্য আসমানসমূহ এর অতীত বিদ্যমান।<ref name="Al-Islam">"[https://www.al-islam.org/philosophy-islamic-laws-nasir-makarim-shirazi-jafar-subhani/question-34-what-meant-seven-heavens ‘সাত আসমান’ দ্বারা কি বুঝানো হচ্ছে?"], Al-Islam.org''</ref>
 
[[হাদিস]] গ্রন্থ অনুযায়ী ইসলামের নবী তার উর্ধ্বগমনের (মিরাজের) রাতে বিভিন্ন আসমানে বিভিন্ন নবীর সাক্ষাৎ পেয়েছেন। দুনিয়ার আসমানে আদাম এবং অন্যান্য আসমানে ইদরীস, মূসা , ঈসার সাক্ষাৎ পান। ইব্রাহীমকে তিনি ষষ্ঠ আসমানে পেয়েছেন।<ref>{{ihadis|lm|102}}</ref>
৩২ নং লাইন:
# মা'ওন (מעון)
# মাখোন/মাকোন (מכון)
# আরাবথ (ערבות) - সপ্তম স্বর্গ যেখানে 'ওফানিম' ([[যিহিষ্কেল|যিহিষ্কেলের]] পুস্তকে বর্ণিত ঈশ্বরের স্বর্গীয় রথের চক্ররূপী রক্ষী), [[সরাফ|সরাফগণ]] ('সেরাফিম' - উচ্চপদের স্বর্গদূত বা ফেরেশতা অথবা এক জাতের আগ্নেয় স্বর্গীয় সত্তা), 'হায়োথ' বা 'খায়োৎ' (আরশ বহনকারী ফেরেশতা বা ঈশ্বরের আসনবাহক স্বর্গদূত) এবং [[ঈশ্ব‌রের সিংহাসন|প্রভূর সিংহাসন]] অবস্থিত
 
ইহুদিদের '[[মেরকাবাহ]]' (স্বর্গীয় রথ) ও 'হেখালৎ' ("প্রাসাদসমূহ") সাহিত্যে সপ্তস্বর্গ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। [[হনোক|হনোকের]] ৩য় পুস্তকে এর বর্ণনা পাওয়া যায়।<ref>গেরশম শখোলেম ''ইহুদী জ্ঞানবাদ, মেরাকাবাহ অতীন্দ্রবাদ, এবং তালমুদীয় সংস্কৃতি (Jewish Gnosticism, Merkabah Mysticism, and the Talmudic Tradition)'', ১৯৬৫।</ref>