কৃষ্ণগহ্বর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
{{সূত্র উন্নতি|date=নভেম্বর ২০১৬}}
{{wikify}}
 
[[File:Black hole - Messier 87 (cropped).jpg|thumb|275px|[[Type-cD galaxy|অতিবৃহৎ]] [[উপবৃত্তাকার ছায়াপথ]] [[মেসিয়ে ৮৭]] এর কেন্দ্রে অবস্থিত [[অতিভারী কৃষ্ণ বিবর]]টির ভর সূর্যের ৭০০ কোটি গুণ।<ref>{{cite journal |author=Oldham, L. J. |author2=Auger, M. W. |title= Galaxy structure from multiple tracers - II. M87 from parsec to megaparsec scales |date=March 2016|journal=Monthly Notices of the Royal Astronomical Society |volume=457 |issue=1 |pages= 421–439|doi=10.1093/mnras/stv2982|arxiv=1601.01323 |bibcode=2016MNRAS.457..421O }}
</ref> ১০ এপ্রিল ২০১৯ সালে [[ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ]] দ্বারা প্রকাশিত প্রথম ছবিতে যা দেখা যাচ্ছে।<ref name="NYT-20190410">{{cite news |last=Overbye |first=Dennis |authorlink=Dennis Overbye |title=Black Hole Picture Revealed for the First Time - Astronomers at last have captured an image of the darkest entities in the cosmos - Comments |url=http://www.nytimes.com/2019/04/10/science/black-hole-picture.html?comments#permid=31473598 |date=10 April 2019 |work=[[The New York Times]] |accessdate=10 April 2019 }}</ref><ref name="APJL-20190410">{{cite journal |author=[[Event Horizon Telescope|The Event Horizon Telescope Collaboration]] |title=First M87 Event Horizon Telescope Results. I. The Shadow of the Supermassive Black Hole |url=https://iopscience.iop.org/article/10.3847/2041-8213/ab0ec7 |date=10 April 2019 |journal=[[The Astrophysical Journal Letters]] |volume=87 |number=1 |accessdate=10 April 2019 }}</ref> ছবিতে কৃষ্ণ বিবরটির অর্ধচন্দ্রাকার নিঃসরণ বলয় এবং কেন্দ্রীয় ছায়া দেখা যাচ্ছে, যা এর [[ঘটনা দিগন্ত]]ের যথাক্রমে ফোটন বলয় এবং বন্দী ফোটন বিশিষ্ট অঞ্চলের মহাকর্ষীয়ভাবে বিবর্ধিত দৃশ্য। কৃষ্ণ বিবরের ঘূর্ণনের ফলে এই অর্ধচন্দ্রের মত আকার সৃষ্টি হয়; এবং এই কেন্দ্রীয় ছায়ার ব্যাস ঘটনা দিগন্তের ২.৬ গুণ।<ref name="APJL-20190410" />]]
 
{{সাধারণ আপেক্ষিকতা পার্শ্বদণ্ড |phenomena}}
[[চিত্র:Black hole lensing web.gif|right|frame|alt=Schwarzschild black hole|মহাকর্ষীয় লেন্স প্রভাবের অনুকরণ ([[:File:BlackHole Lensing.gif|বৃহত্তর চলচ্চিত্র]])]]
'''কৃষ্ণগহ্বর''' বা '''ব্ল্যাককৃষ্ণ হোলবিবর''' (ইংরেজি: Black Hole; বাংলা বিকল্প নাম: '''কৃষ্ণব্ল্যাক বিবরহোল''' নামেও পরিচিত) মহাবিশ্বের অস্তিত্ব ও প্রকৃতি বিষয়ক একটি বহুল প্রচলিত ধারণা।<ref>{{harvnb|Wald|1984|pp=299–300}}</ref> এই ধারণা অনুযায়ী কৃষ্ণগহ্বর মহাবিশ্বের এমন একটি বস্তু যা এত ঘন সন্নিবিষ্ট বা অতি ক্ষুদ্র আয়তনে এর ভর এত বেশি যে এর [[মহাকর্ষ|মহাকর্ষীয়]] শক্তি কোন কিছুকেই তার ভিতর থেকে বের হতে দেয় না, এমনকি [[তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ|তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণকেও]] (যেমন: আলো) নয়। প্রকৃতপক্ষে এই স্থানে সাধারণ মহাকর্ষীয় বলের মান এত বেশি হয়ে যায় যে এটি মহাবিশ্বের অন্য সকল বলকে অতিক্রম করে। ফলে এ থেকে কোন কিছুই পালাতে পারে না। অষ্টাদশ শতাব্দীতে প্রথম তৎকালীন মহাকর্ষের ধারণার ভিত্তিতে কৃষ্ণ বিবরের অস্তিত্বের বিষয়টি উত্থাপিত হয়।<ref name="wald 1997">{{cite arXiv |last=Wald |first=R. M. |author-link=Robert Wald |title=Gravitational Collapse and Cosmic Censorship |date=1997 |eprint=gr-qc/9710068 |class=gr-qc}}</ref><ref name="NYT-20150607">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Overbye |প্রথমাংশ=Dennis |লেখক-সংযোগ=Dennis Overbye |শিরোনাম=Black Hole Hunters |ইউআরএল=http://www.nytimes.com/2015/06/09/science/black-hole-event-horizon-telescope.html |তারিখ=8 June 2015 |কর্ম=[[NASA]] |সংগ্রহের-তারিখ=8 June 2015 }}</ref>
 
[[সাধারণ আপেক্ষিকতা]]র তত্ত্ব অনুসারে, কৃষ্ণগহ্বর মহাকাশের এমন একটি বিশেষ স্থান যেখান থেকে কোন কিছু, এমনকি আলো পর্যন্ত বের হয়ে আসতে পারে না। এটা তৈরি হয় খুবই বেশি পরিমাণ ঘনত্ব বিশিষ্ট ভর থেকে। কোন অল্প স্থানে খুব বেশি পরিমাণ ভর একত্র হলে সেটা আর স্বাভাবিক অবস্থায় থাকতে পারে না। আমরা মহাবিশ্বকে একটি সমতল পৃষ্ঠে কল্পনা করি। মহাবিশ্বকে চিন্তা করুন একটি বিশাল কাপড়ের টুকরো হিসেবে এবং তারপর যদি আপনি কাপড়ের উপর কোন কোন স্থানে কিছু ভারী বস্তু রাখেন তাহলে কি দেখবেন? যেইসব স্থানে ভারি বস্তু রয়েছে সেইসব স্থানের কাপড় একটু নিচু হয়ে গিয়েছে। এই একই বাপারটি ঘটে মহাবিশ্বের ক্ষেত্রে। যেসব স্থানে ভর অচিন্তনিয় পরিমাণ বেশি সেইসব স্থানে গর্ত হয়ে আছে। এই অসামাণ্য ভর এক স্থানে কুন্ডলিত হয়ে স্থান-কাল বক্রতার সৃষ্টি করে। প্রতিটি গালাক্সির স্থানে স্থানে কম-বেশি কৃষ্ণগহ্বরের অস্তিতের কথা জানা যায়। সাধারণত বেশীরভাগ গ্যালাক্সিই তার মধ্যস্থ কৃষ্ণ বিবরকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণয়মান।