বদ্বীপ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
WikiBayer (আলোচনা | অবদান)
103.66.9.145-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে WikiBayer-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল SWViewer [1.2]
১০ নং লাইন:
(৩) গিল্বার্ট বদ্বীপ
(৪) ভূমধ্য বদ্বীপ
==আকৃতি অনুসারে বদ্বীপের প্রকারভেদ==
Hsjsjsjejjeh
১। ধনুকাকৃতি বদ্বীপ
২। তীক্ষাগ্র বদ্বীপ
৩। পাখির পায়ের মতো বদ্বীপ
৪। খাড়ীয় বদ্বীপ
 
'''আকৃতি, অবস্থান এবং গঠনপ্রণালীভিত্তিক শ্রেণি :'''
 
আকৃতি, অবস্থান এবং গঠনপ্রণালীর ওপর ভিত্তি করে বদ্বীপকে নিম্নলিখিতভাবে শ্রেণিবিভাগ করা যায়; যথা-
 
'''১.  বৃত্তচাপীয় বদ্বীপ''' '''(Arcuate Delta)''' : এ জাতীয় বদ্বীপের আকৃতি ত্রিভুজাকৃতির, যা দেখতে বাংলা মাত্রাহীন ‘ব’ বা গ্রিক অক্ষর ডেল্টার (D) মতো। এ ধরনের দ্বীপগুলোর মাঝের অংশ সমুদ্রের দিকে বাড়ানো এবং প্রশস্ত এবং স্থলভাগের দিকে সংকীর্ণ হয়ে থাকে। এ বদ্বীপগুলো কিছুটা মোটা দানাযুক্ত শিলাচূর্ণ, বালুকা ও নুড়ি দ্বারা গঠিত হয়। অনেক শাখাপ্রশাখাবিশিষ্ট নদী দ্বারা গঠিত হয় বলে এ বদ্বীপের বাইরের অংশ উত্তল দেখায়। সিন্ধু, গঙ্গা-পদ্মা-মেঘনা, নীল, হোয়াংহো, পো, রাইন প্রভৃতি নদীর বদ্বীপ এ শ্রেণিভুক্ত।
 
'''২.  পাখির পা সদৃশ বদ্বীপ (Birds Foot Delta)''' : যেসব বদ্বীপ দেখতে পাখির আয়ের আঙ্গুলের মতো, তাকে পাখীর পা সদৃশ বদ্বীপ বলে। মোহনার কাছে ছোট ছোট শাখানদীর খাতসমূহের উভয় তীরে সূক্ষ পলি সঞ্চিত হয়ে বদ্বীপগুলোলম্বা হয়ে সামনের দিকে বাড়তে থাকে এবং ক্রমান্বয়ে পাখির আঙ্গুলের মতো আকৃতি প্রাপ্ত হয়। এ বদ্বীপগুলো অপেক্ষাকৃত সূক্ষ্ণ কণাবিশিষ্ট শিলা ও বালুকাচূর্ণ, পলি প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে গঠিত হয়। মিসিসিপি নদীর মোহানায় এরূপ বদ্বীপ দেখা যায়।
 
'''৩. হ্রদ বদ্বীপ''' '''(Lacustrine Delta)''' : হ্রদের স্থির পনিতে পতিত হওয়া নদী মোহনায় পলি সঞ্চিত হয়ে যে বদ্বীপ গঠিত হয়, তাকে হ্রদ বদ্বীপ বলে। কাস্পিয়ান সাগরে পতিত উরাল, ভল্গা নদীর মোহনায় গঠিত দ্বীপ এর উদাহরণ।
 
'''৪.  মোহনা বদ্বীপ (Estuarine Delta)''' : যেসব নদীর মোহনায় সমুদ্রস্রোত ও জোয়ারভাটার প্রকোপ বেশি, সেসব স্থানে সমুদ্রের বেশ গভীরে নদীবাহিত পলিগুলো ধীরগতিতে সঞ্চিত হয়ে যে বদ্বীপ গঠিত হয়, তাকে মোহনা বদ্বীপ বলে। সমুদ্রস্রোত ও জোয়ারভাটার কারণে সেখানে বদ্বীপ গঠনে অনেক বেশি সময় লাগে।
 
'''৫. সামুদ্রিক বদ্বীপ (Marine Delta) :''' মোহনায় নদীর স্রোত সমুদ্রের পানিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে নদীবাহিত পলি, বালি, কর্দম প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে বদ্বীপ গঠিত হয়, েতাকে সামুদ্রিক বদ্বীপ বলে। এরূপ বদ্বীপ গঠনের জন্য সমুদ্র শান্ত ও স্থলভাগ দ্বারা বেশিস্টত হতে হয়ে। যেমন- বঙ্গোপসাগর, ভূমধ্যসাগরে পতিত বিভিন্ন নদীর মোহনায় গঠিত বদ্বীপ।
 
'''৬. কাসপেট বদ্বীপ (Cuspate Delta)''' : নদীর মোহনায় অনুকূল অবস্থা বিরাজ করলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে নদীস্রোত সোজাসোজি সমুদ্রের মধ্যে অনেকদূর পর্যন্ত প্রবাহিত হয়। এরূপ ক্ষেত্রে সমুদ্রের তীরে স্রোতপ্রবাহের উভয়পাশে পলি সঞ্চিত হযে ত্রিকোণাকার বদ্বীপ সৃষ্টি করে। এরূপ বদ্বীপকে কাসপেট বদ্বীপ বলে। ইতালির টাইবার নদীর মোহনায় এরূপ বদ্বীপ দেখা যায়।
 
'''৭.  পাখা বদ্বীপ (Fan Delta)''' : কখনো কখনো স্রোতের সামনে পলি সঞ্চিত হয়ে পাখার আকৃতিতে বদ্বীপের সৃষ্টি হয় এবং স্থলভাগ সামনির দিকে সম্প্রসারিত হয়। এক্ষেত্রে প্রধান নদী দ্বিধাবিভক্ত হয়ে উক্ত বদ্বীপের উভয় পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়। প্রধান নদীর সাথে উপনদী যেখানে মিলিত হয় যেখানেও উপনদী দ্বারা বাহিত পলি সঞ্চিত হয়ে পাখার আকৃতিবিশিষ্ট বদ্বীপ সৃষ্টি হতে দেখা যায়। ইউরোপের রাইন নদীর মোহনায় এবং বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরের উপকূলে গঙ্গা-পদ্মা-মেঘনার প্রবাহ দ্বারা সৃষ্ট বদ্বীপ এর উদাহরণ।
 
'''তথ্যের উৎস''' :
 
* আলম. কে. আশরাফুল, ২০১৪। বৈশ্বিক পরিবেশের প্রাকৃতিক ভূগোল, পারফেক্ট পাবলিকেশন্স, ঢাকা, বাংলাদেশ।
 
== '''গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা বদ্বীপ''' ==