বিষয়শ্রেণী:সাহিত্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Soumyapatra13 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
অরণ্য তপু (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:সংস্কৃতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:লিখন]]
 
[[কবি মনোজ দাশগুপ্ত]]
জন্মঃ ৫ আগস্ট, ১৯৪৯। শিববাটী, বগুড়া।
পুরো নাম মনোজভূষণ দাশগুপ্ত। ডাকনাম নাড়ু। লেখকনাম মনোজ দাশগুপ্ত। পিতাঃ কনকভূষণ দাশগুপ্ত। মাতাঃ মনোরমা দাশগুপ্ত। দুইভাই ও দুইবোন। ভাইবোনদের নাম (বড় থেকে ছোট): কণা দাশগুপ্ত, মলয় দাশগুপ্ত, মীরা দাশগুপ্ত, মনোজ দাশগুপ্ত। আদি নিবাস বরিশাল। মনোজ দাশগুপ্তের জন্মের দেড় বছর বয়সে মা মারা যান। একবোন মীরা দাশগুপ্ত ভারতে থাকেন।
 
১. শিক্ষাজীবনঃ অমৃত পাঠশালা, বগুড়া করনেশন স্কুল ও কলেজ, বগুড়া সরকারী আযিযুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। বি.এ. ভর্তি হয়ে তৎকালীন সেনাশাসক জেনারেল আইয়ুব খান বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় পড়াশুনায় ইস্তফা।
 
২. সাহিত্যজীবনঃ ছাত্রাবস্থায় ছড়া লিখতেন। ভালো আবৃত্তি করতেন। নাটকে অভিনয় করেছেন, নাট্য নির্দেশনাও দিয়েছেন। তাঁর কাব্যযাত্রা শুরু হয় ১৯৬৭ থেকে, কবিবন্ধু মুহম্মদ শহীদুল্লাহ'র 'পদধ্বনি' লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনার মাধ্যমে। ১৯৬৭ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অজস্র লিটন ম্যাগাজিনে তাঁর কবিতা প্রকাশ পায়। সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে গান ও গীতিনকশা লিখেছেন। গানগুলোর সুরারোপ করেছেন তাঁরই বন্ধু বগুড়া ইয়ুথ কয়্যারের পরিচালক তৌফিকুল আলম টিপু। বেশকিছু ছড়া লিখেছেন তিনি। গানে ও ছড়ায় সমাজবাদী মানুষের পরিচয় পাওয়া যায়।
 
৩. সংগঠনঃ ছোটবেলা থেকেই পাড়ার ক্লাবগুলোর সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক কর্মী ছিলেন। আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের সময় কারারুদ্ধ হয়েছিলেন। ষাটের দশকে বগুড়া লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনে তিনি ছিলেন অন্যতম। এছাড়াও তিনি ছিলেন বগুড়া লেখকগোষ্ঠীর সহ-সভাপতি, বগুড়া নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য, বগুড়া লেখক চক্রের উপদেষ্টা। দৃঢ় রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে মনোজ দাশগুপ্ত অচিরেই বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। তিনি ছিলেন উদীচী বগুড়া জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য। দৈনিক চাঁদনী বাজার পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। 'পদধ্বনি'র তিনটি সংখ্যা সম্পাদনা করেছেন তিনি।
 
৪. কর্মজীবনঃ বগুড়া লিথোগ্রাফিক প্রিন্টিং প্রেস, মুকুল প্রেস, গ্রীণ বুক হাউস, দৈনিক চাঁদনী বাজার, সুন্দরবন প্রকাশন- এসব প্রতিষ্ঠানে অত্যন্ত নিষ্ঠা এবং সততার সঙ্গে নিজ দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
৫. সংসার জীবনঃ মনোজ দাশগুপ্ত ১৯৮৫ সালের ১লা মার্চ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর স্ত্রীর নাম মলিনা দাশগুপ্ত (লক্ষ্মী)। তাঁর একমাত্র পুত্রসন্তানের নাম অরণ্য দাশগুপ্ত (তপু)।
 
৬. পুরষ্কারঃ বগুড়া জেলা প্রশাসক পদক (মরণোত্তর ২০০৮); কণ্ঠসাধন আবৃত্তি সংসদ বগুড়া সম্মাননা (মরণোত্তর ২০০৮); সাহিত্য-জিজ্ঞাসা বগুড়া সম্মাননা (মরণোত্তর ২০১৪) ও প্রভৃতি।
 
৭. মৃত্যুঃ ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭ শনিবার রাত ১২টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বগুড়া কাটনারপাড়াস্থ পলাশ ক্লিনিকে মৃত্যুবরণ করেন।
 
৮. রচনাপঞ্জিঃ কাব্যগ্রন্থ - 'সজল বৃক্ষের দিকে'(২০০০ সালে মৃত্যুর পর প্রকাশিত)। প্রকাশক: রেজাউল করিম চৌধুরী, অর্কেস্ট্রা প্রকাশ। গদ্য - 'অপরাজেয় প্যালেস্টাইন'। এছাড়াও রয়েছে ৭টি ছড়া, ৮টি গান, একটি স্মৃতিপত্র, একটি গীতিনকশা (রবীন্দ্র-নজরুল মৃত্যুবর্ষ উপলক্ষে রচিত) ও প্রভৃতি।