বাঁকুড়া জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৩২ নং লাইন:
 
== অর্থনীতি ==
বাঁকুড়া জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষিভিত্তিক। জেলায় শতকরা ৮২ জন কৃষিজীবি। আবার জেলার মোট শ্রমশক্তির ৩১% কৃষক ও ৩৫% কৃষিমজুর। এই জেলার প্রধান উৎপন্ন ফসলগুলি হল [[ধান]], [[গম]], ডাল, তৈলবীজ, [[পাট]], মেস্তা, [[আলু]], শুকনো লঙ্কা ও আদা। জেলার ৫০% জমিতেই কৃষিকাজ হয়। এছাড়া রেশমকীটের খাদ্য তুঁতগাছের চাষও হয়। তবে প্রতিকূল জলবায়ু ও ভূপ্রকৃতি এবং জলের অপর্যাপ্ত সরবরাহের জন্য চাষাবাদ অনেক ক্ষেত্রেই বিঘ্নিত হয়। তাই আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তির সাহায্যে জেলার মোট কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে।
 
বাঁকুড়ায় বৃহদায়তন শিল্প গড়ে না উঠলেও ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পে এই অঞ্চল ঐতিহ্যবাহী। এই শিল্পগুলির মধ্যে রেশম, সুতি ও তসরের বয়ন প্রধান। লাল ‘ধূপছায়া’ শাড়ি, রেশম ও সুতি মিশ্রিত ‘খুটনি’ কাপড়, ‘ফুলম’ শাড়ি ও বিশেষত বিষ্ণুপুরের ‘বালুচরি’ শাড়ি জগদ্বিখ্যাত। বাঁকুড়া সদর মহকুমার [[শুশুনিয়া পাহাড়|শুশুনিয়ায়]] পাথর কেটে দেবদেবীর মূর্তি ও থালাবাসন তৈরির শিল্প বাঁকুড়া ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয়। এছাড়া পিতলের ডোকরা শিল্প আজ দেশ-বিদেশে লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। বাঁকুড়ার সাংস্কৃতিক আইকন হল ঘোড়া। হাতি, ঘোড়া ও মনসার ঝাঁপি তৈরির জন্য [[খাতড়া মহকুমারমহকুমা]]র তালডাংরা ব্লকের [[পাঁচমুড়া]] বিখ্যাত। চামড়ার জুতো
তৈরিতেও জেলার ঐতিহ্য রয়েছে।
 
বাঁকুড়া একটি খনিজ সমৃদ্ধ জেলা। শালতোড়া, [[মেজিয়া]], [[বড়জোড়া]] ও গঙ্গাজলঘাটি অঞ্চলের কয়লা, থানাপাহাড়, চেরাডংরি অঞ্চলের টাংস্টেন, রানিবাঁধ থানার ঝিলিমিলি অঞ্চলের অভ্র ও রায়পুর[[রাইপুর]] অঞ্চলের চিনামাটি এই জেলার উল্লেখযোগ্য খনিজ।
 
== পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ==