রমনা কালী মন্দির: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
2টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 0টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩ নং লাইন:
'''রমনা কালী মন্দির''' ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত হিন্দু মন্দিরসমূহের মধ্যে অন্যতম ছিল। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। এটি প্রায় এক হাজার বছরেরও পুরাতন বলে বিশ্বাস করা হয় কিন্তু ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি আবার নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল ।[[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] রাজধানী [[ঢাকা|ঢাকার]] রমনা পার্কের (যার বর্তমান নাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বহির্ভাগে অবস্থিত।বর্তমানে বাংলার সংস্কৃতিতে এ মন্দিরের উল্লেখ্য ভূমিকা আছে।
[[File:Bhadra Kali - Ramna Kali Mandir and Anandamayi Ashram - 9-10 Kazi Nazrul Islam Avenue - Dhaka 2015-05-31 2130.JPG|thumb|ভদ্র কালী প্রতিমা, রমনা কালী মন্দির।]]
==ইতিহাস==
জনশ্রুতি, প্রায় ৫০০ বছর আগে বদরীনাথের যোশীমঠ থেকে গোপালগিরি নামে এক উচ্চমার্গের সন্ন্যাসী প্রথমে ঢাকায় এসে সাধন-ভজনের জন্য উপযুক্ত একটি আখড়া গড়ে তোলেন। সেখানেই আরও ২০০ বছর পরে মূল রমনা কালীমন্দিরটি নির্মাণ করেন আর এক বড় সাধু হরিচরণ গিরি। তবে পরবর্তী সময়ে এই মন্দিরের প্রধান সংস্কারকার্য ভাওয়ালের ভক্তিমতী ও দানশীলা রানি বিলাসমণি দেবীর আমলেই হয়।
১৯৭১ সালের ২৬ ও ২৭ মার্চ। এই দুটো দিন রমনা কালীমন্দিরের পবিত্র ভূমি ঘিরে পাকিস্তানি সেনারা যে বিভীষিকার রাজত্ব তৈরি করেছিল তার করুণ কাহিনি ইতিহাসের পাতায় চিরদিন লেখা থাকবে। এক তীর্থভূমি রাতারাতি পরিণত হয়েছিল বধ্যভূমিতে। রমনা কালীমন্দিরের অধ্যক্ষ স্বামী পরমানন্দ গিরি সহ সেখানে উপস্থিত প্রায় ১০০ জন নারী ও পুরুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল পাক সেনারা। শিশুরাও রেহাই পায়নি। এই হত্যাকাণ্ডের সময় রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রম দাউ দাউ করে জ্বলেছিল। রমনা কালীমন্দিরের চূড়া ছিল ১২০ ফুট, যা বহুদূর থেকে দেখা যেত। সেটিও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় ওই বর্বর সেনারা। ২০০৬ সালে রমনা কালীমন্দির আবার নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়। পুজোর্চ্চনাও শুরু হয়।
== মূর্তি==
তন্ত্রশাস্ত্রে মা কালীর নানাপ্রকারের মূর্তিভেদ বর্ণনা করা হয়েছে। তার মধ্যে রমনাকালী অন্যতম।পাথরের বেদির ওপর শ্রীশ্রীভদ্রকালীর সুউচ্চ প্রতিমা। চতুর্ভুজা মাতৃমূর্তি। মহাদেবের শয়ান মূর্তির ওপর দণ্ডায়মান। দু’পাশে ডাকিনী-যোগিনী। ভদ্রকালিকা দেবীর কণ্ঠে মুণ্ডমালা। লালজবার মালা। দেবী মা লাল বস্ত্র পরিহিতা। ভদ্রকালিকার একপাশে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও মা সারদামণির ছবি।
== স্থাপনা সূমহ ==
রমনা কালী মন্দির এ বর্তমানে কালী মূর্তি ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি মন্দির রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো, [[দুর্গা]] মন্দির, [[লোকনাথ]] মন্দির, [[রাধা]] [[গোবিন্দ]] মন্দির, মা [[আনন্দময়ীর]] মন্দির।
 
== অনুষ্ঠানমালা ==
রমনা কালী মন্দির এর মূল পূজা হলো [[কালী]] পূজা।পূজা।।কালীপুজোয় সুন্দর করে সাজানো হয় গোটা মন্দিরকে। নানা অলংকারে সেজে ওঠেন শ্রীশ্রীভদ্রকালী মাতা।এখানে দুর্গাপুজোও খুব বড় করে হয়। তাছাড়া এখানে দুর্গা পুজা, সরস্বতী পুজা, বাৎসরিক অনুষ্ঠান সহ নানা ধরনের ধর্মীয় উৎসব এখানে হয়ে থাকে।থাকে ।বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু ভক্ত আসেন মন্দিরে। ভারত থেকেও ভক্তরা আসেন। সে এক দেখার মতো ব্যাপার। উৎসবমুখর হয়ে ওঠে এই মন্দির।
 
==আরও দেখুন==