শ্বেত বিবর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
ওয়ার্ম হোল
১২ নং লাইন:
এদের কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমনঃ সিঙ্গুলারিটি, যেখানে একটি বিন্দুতে প্রচুর ভর একত্রিত হয়, ঘটনা দিগন্ত এবং অদৃশ্য “না ফেরার বিন্দু (point of no return)” যা ১৯১৬ সালে জার্মান পদার্থবিজ্ঞান [[কার্ল সোয়ার্জচাইল্ড]] সর্বপ্রথম গাণিতিকভাবে ব্যাখ্যা করেন।
ব্লাক হোলের ক্ষেত্রে ঘটনা দিগন্ত (Event Horizon) দিয়ে কেবল কোনো কিছু প্রবেশ করে কিন্তু হোয়াইট হোলের ক্ষেত্রে ঘটনা দিগন্ত দিয়ে সবকিছু বের হয়ে যায়।
আইন্সটাইনের সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বানুসারে, ব্লাক হোলের ঘূর্ণন সিঙ্গুলারিটিকে বলয়ের মতো চর্চিত করে দেয়, এ মত অনুসারে ব্লাক হোলের বলয়ের মধ্য দিয়ে কোনো কিছু চূর্ণিত না হয়ে চলে যেতে পারে। সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের সমীকরণ অনুসারে কিছু যদি এরকম একটি ব্লাক হোলে পড়ে তাহলে সে স্থান-কালের একটি পথে প্রবেশ করবে যাকে আমরা [[ওয়ার্ম হোল]] বা কীট বিবর হিসেবে চিনি এবং একটি হোয়াইট হোল দিয়ে সে বেরিয়ে যাবে। হোয়াইট হোল ঐ বস্তুর অংশগুলোকে মহাবিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিক্ষেপ করবে এমনকি বিভিন্ন সময়েও নিক্ষেপ করতে পারে (যার কারণে কিছু অংশ পাওয়া যেতে পারে এবং কিছু আবার হাওয়া হয়ে যেতে পারে :D ) ।
তবে এই সম্পর্কে গাণিতিক প্রমাণ থাকলেও এটি বাস্তবিক নয় বলে ধারণা করেন কলরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী [[এন্ড্রু হ্যামিল্টন]]। প্রকৃতপক্ষে, হ্যামিল্টন সহ পূর্বের কিছু গবেষণা বলে, কোনো কিছু ঘুর্ণনশীল ব্ল্যাক হোলে পতিত হলে মূলত,ওয়ার্মহোলের সাথে যুক্ত হয়,যা হোয়াইট হোলের সাথে যুক্ত হওয়ার পথ সৃষ্টি প্রতিরোধ করে।
কিন্তু বলা হয়ে থাকে, হোয়াইট হোলের শেষপ্রান্তে আলো আছে। ব্লাক হোলের সিঙ্গুলারিটিতে সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব ভেঙে পড়ে যার সাহায্যে হ্যামিল্টন ভবিষ্যদবাণী করেছিলেন। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞানী [[স্টিফেন সু]] বলেন, “শক্তির ঘনত্ব এবং বক্রতা সেখানে এত বেশি যে, চিরায়ত গ্র্যাভিটি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়না সেখানে কী ঘটছে।” তিনি আরো বলেন, “ হতে পারে গ্র্যাভিটির আরো কোনো নতুন মডেলই পারে এই অস্থায়ী অপারগতা দূর করতে এবং হোয়াইট হোলের ব্যাখ্যা প্রদান করতে।”