পলিমারকরণ বিক্রিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
২ টি নতুন অনুচ্ছেদ যুক্ত করেছি |
|||
৩ নং লাইন:
== ভূমিকা ==
বিক্রিয়ক এর কার্যকরী মূলক এবং স্টেরিক প্রভাবের উপর নির্ভর করে পলিমারকরণ বিক্রিয়া বিভিন্ন বিক্রিয়া কৌশল এর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।<ref name=":1">{{বই উদ্ধৃতি|
যেহেতু অ্যালকিন সমূহ সাধারণ পলিমারকরণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়, তারা ফ্রী-রেডিক্যাল মেকানিজম অনুসারে অনেক প্রয়োজনীয় যৌগ যেমন পলিইথিলিন এবং পলিভাইনাল ক্লোরাইড (পিভিসি) তৈরি করে, যা বাণিজ্যিক পণ্য যেমন পাইপিং, ইনসুলেসন, প্যাকেজিং ইত্যাদি উৎপাদন প্রক্রিয়া তে প্রয়োজনীয়তার কারনে প্রতি বছর অধিক পরিমাণে প্রস্তুত করা হয়।<ref name=":1" /> সাধারণত, যে সব পলিমারে একই মনোমার ইউনিট পরপর যুক্ত হয়ে দীর্ঘ শিকল অথবা কাঠামো গঠন করে তাদের <nowiki>''</nowiki>হোমোপলিমার<nowiki>''</nowiki> বলা হয় যেমন পিভিসি, অপরদিকে যখন একাধিক মনোমার যুক্ত হয়ে পলিমার গঠন করে তখন তাদের <nowiki>''</nowiki>কো-পলিমার<nowiki>''</nowiki> বলা হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|
অন্যান্য মনোমার ইউনিট, যেমন ফরমালডিহাইড হাইড্রেটস অথবা সরল অ্যালডিহাইড, অল্প তাপমাত্রায় পলিমারাইজ হয়ে ট্রাইমার গঠন করে যা ৩টি মনোমার ইউনিট দ্বারা গঠিত, যা অধিকতর বিক্রিয়ার মাধ্যমে টেট্রামার অথবা চার মনোমার ইউনিট যৌগ গঠন করে। অধিকতর যৌগ সমূহ কে অলিগোমার বলা হয়ে থাকে।<ref name=":1" /> সাধারণত ফরমালডিহাইড খুবই সক্রিয় ইলেক্ট্রোফাইল যা হেমিঅ্যাসিটাল ইন্টারমিডিইয়েটের নিউক্লিওফিলিক সংযোজন সমর্থন করে, যেটা সাধারণত স্বল্প-স্থায়ী এবং অস্থিতিশীল 'মধ্য-পর্যায়' যৌগ যা উপস্থিত অন্যান্য যৌগের সাথে বিক্রিয়া করে স্থায়ী পলিমারিক যৌগ গঠন করে।
== প্রকারভেদ ==
পলিমারকরণ বিক্রিয়া সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে।
=== যুত বা সংযোজন পলিমারকরণ বিক্রিয়া ===
একই বিক্রিয়কের অসংখ্য অণু যখন যুক্ত হয়ে [[পলিমার]] তৈরী করে তখন তাকে যুত বা [[সংযোজন বিক্রিয়া]] (Addition polymerization) বলে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
[[চিত্র:Ethylene polymerization.png|none|thumb|316x316px|ইথিলিন থেকে পলিথিলিন তৈরীর যুত পলিমারকরন বিক্রিয়া
=== ঘনীভবন পলিমারকরণ বিক্রিয়া ===
২১ নং লাইন:
== ফটোপলিমারকরণ ==
অধিকাংশ ফটোপলিমারকরণ বিক্রিয়া সাধারণত সংযোজন বিক্রিয়া বা চেইন-গ্রোথ পলিমারকরণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয় যেখানে দৃশ্যমান বা অতিবেগুনী আলো শোষণের মাধ্যমে বিক্রিয়ার সূচনা হয়। বিক্রিয়ক মনোমার সরাসরি আলো শোষণ করতে পারে, অথবা কোন ফটোসেনসিটাইজার প্রথমে আলো শোষণ করে এবং পরে সে শক্তি মনোমারে স্থানান্তর করে। একই মনোমারের তাপীয় পলিমারকরণের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সূচনা স্তর ভিন্ন হয়, বিস্তারণ স্তর, সমাপ্তি এবং চেইন স্থানান্তর স্তর অপরিবর্তিত থাকে।<ref name=":2">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|
ফটোগ্রাফিক অথবা প্রিন্টিং প্রক্রিয়ায় ফটোপলিমারকরণ ব্যাবহার করা যায় কারণ শুধুমাত্র আলোক সংস্পর্শে আসা অঞ্চলেই পলিমারকরণ হয়। বিক্রিয়া শেষে অবশিষ্ট মনোমার সমূহকে আলোক সংস্পর্শে না আসা অঞ্চল থেকে অপসারণ করা হলে পলিমারিক ছবি পাওয়া যায়।<ref name=":2" /> থ্রিডি প্রিন্টিং প্রক্রিয়ায় ফটোপলিমারকরণ ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।
== তথ্যসূত্র ==
|