প্রেমের বিয়ে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৩ নং লাইন:
পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের অনেক সমাজে প্রেম চললেও প্রেম জিনিসটা গোপন রাখতেই পছন্দ করে প্রেমিকযুগলরা, আবার অন্যদিকে প্রেম একটি নিষিদ্ধ এবং গোপন বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয় যা সকলের সামনে বলা যায়না তবে ইউরোপীয় সমাজে এই ধরণের সামাজিক বৈশিষ্ট্য বিংশ শতাব্দীর মাঝখান দিকেই বিলোপ ঘটেছিলো যা আজ অবধি চলমান।
==ইউরোপে==
[[File:Heloïse et d'Abélard.jpg|thumb|200px|right|" অ্যাবেলার্ডাস অ্যান্ড হ্যালোইজ সারপ্রাইসড বাই মাস্টার ফুলবার্ট " - জ্যাঁ ভিনগার্ড (১৮১৯)]]
ইতিহাসবিদ স্টিফানি কুন্টয এর মতে, ইউরোপে প্রেম করে বিয়ে করাটা চালু হয় ১৪ শতকে, আর ১৭ শতকের শুরুতে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।<ref name=Malleable>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=The Malleable Estate: Is marriage more joyful than ever?|ইউআরএল=http://www.slate.com/articles/news_and_politics/history_book_blitz/2005/05/the_malleable_estate.single.html|সংগ্রহের-তারিখ=31 January 2015|কর্ম=[[Slate (magazine)|Slate]]|তারিখ=17 May 2005}}</ref>
১৭৬১ সালে ফরাসী দার্শনিক [[জ্যা জ্যাক রুশো]] " [[:en:Julie,_or_the_New_Heloise|জুলি অর দ্যা নিউ হ্যালোইজ]] " নামের একটি বই লেখেন। এই বইটি ১২ শতকের এক দার্শনিক [[:en:Peter_Abelard|পিটার এবেলার্ড]] এর জীবন থেকে অনুপ্রানিত যিনি তার এক ছাত্রী [[হ্যালোইজ ডি'আর্জেন্টিউইল]] এর প্রেমে পড়েছিলেন। তাদের একটি সন্তান হয়েছিলো এবং তারা গোপনে বিয়ে করেছিলেন। হ্যালোইজের অভিভাবকেরা এইটা জানতে পারলে পিটারের অণ্ডকোষ কেটে ফেলা হয়। রুশোর সময় পিটার আর হ্যালোইজের প্রেমপত্র প্রকাশ হবার পর এই কাহিনীটি বেশ পরিচিতি লাভ করে। রুশোর বই ঠিক এরকমই একজন ছাত্রী জুলি আর তার শিক্ষক সেন্ট প্রক্স এর কাহিনী নিয়ে। বইটা চিঠির আকারে লেখা। জুলির পিতা তাদের প্রেমের বিরোধিতা করেন এবং জুলিকে অন্য একটা ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেন যাকে তিনি উপযুক্ত মনে করেছিলেন।
কুন্টয এর মতে অ্যাংলো-স্যাক্সন দের মধ্যে বিয়ে জিনিসটা চালু হয়েছিলো সমাজে শান্তি এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য। ১১ শতকে বিয়ে সংঘটিত হত মূলত আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য। এক্ষেত্রে যাদের বিয়ে তাদের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেওয়া হতনা। বিশেষত মেয়েদের তাদের পিতার ইচ্ছানুযায়ীই বিয়ে করতে হত। ১১৪০ সালে গ্র্যাটিয়ান 'ডেকরেটাম গ্র্যাটয়ানি' রচনা করেন। এখানে তিনি যাদের মধ্যে বিয়ে হবে তাদের সম্মতি থাকা বাধ্যতামূলক করেন। এই বইটি খ্রিস্টান চার্চ এর বিয়ে করার মূলনীতি হয়ে ওঠে।<ref name=TenKey>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Ten key moments in the history of marriage|ইউআরএল=http://www.bbc.com/news/magazine-17351133|সংগ্রহের-তারিখ=31 January 2015|কর্ম=[[BBC News]]|তারিখ=14 March 2012}}</ref>
১৮৪০ সালে [[রাণী ভিক্টোরিয়া]] এবং প্রিন্স এ্যালবার্ট এর প্রেম করে বিয়ে করা
==ভারতে==
ভারতে লাভ ম্যারেজ বলতে বোঝায় সেই বিয়ে
ভারতের প্রধান শহরগুলোতে প্রেম করে বিয়ে করাটা সত্তরের দশকে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
২০১২ সালে ভারতের টিভি চ্যানেল এনডিটিভি'তে ইপসস একটি প্রতিবেদন বের করে প্রেম করে বিয়ে করা নিয়ে, ওখানে শতকরা ৫৪ জন মানুষ অভিভাবক দ্বারা বিয়ে করানোটাকে ভালো মনে করে।<ref name=StillArranged>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=NDTV mid-term poll: Does India still want arranged marriages?|ইউআরএল=http://www.ndtv.com/india-news/ndtv-mid-term-poll-does-india-still-want-arranged-marriages-498043|সংগ্রহের-তারিখ=14 February 2015|কর্ম=[[NDTV]]|তারিখ=5 September 2015}}</ref> ২০১০ সালে ন্যাশনাল কমিশন ফর ওমেন এর তদন্ত অনুযায়ী ভারতে প্রেম করে বিয়ে করার কারণে অনেক [[অনার কিলিং]] এর ঘটনা ঘটে, ঐ বছর ৩২৬ টা অনার কিলিং এর খবর পাওয়া গিয়েছিলো, এই সব অনার কিলিং এর অন্যতম কারণ ছিলো অন্য ধর্মের ছেলে বা মেয়েকে ভালোবাসা।<ref name=3Gotra>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Inter-caste ties behind most honour crimes. Just 3% cases due to same gotra marriages, says new survey|ইউআরএল=http://www.tribuneindia.com/2010/20100706/main1.htm|সংগ্রহের-তারিখ=14 February 2015|কর্ম=[[The Tribune (India)]]|তারিখ=5 July 2010}}</ref>
|