কার্ল মার্ক্স: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
St.teresa (আলোচনা | অবদান)
ভাষিক সম্পাদনা
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
ব্যাক্তি → ব্যক্তি
১৪ নং লাইন:
notable_ideas = [[মার্কসবাদ]]-এর যৌথ প্রবক্তা (এঙ্গেলসের সাথে), [[বিচ্ছিন্নতা]] ও শ্রমিকের ব্যাখ্যা, ''[[কমিউনিস্ট ইস্তেহার]]'', ''[[ডাস কাপিটাল]]'', [[ঐতিহাসিক বস্তুবাদ]] |}}
 
'''কার্ল হাইনরিশ মার্ক্স''' ({{lang-de|Karl Heinrich Marx }} {{IPA-de|kaːɐ̯l ˈhaɪnʀɪç ˈmaːɐ̯ks}}) (৫ই মে, ১৮১৮ – ১৪ই মার্চ, ১৮৮৩) একজন [[জার্মানি|জার্মান]] দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজ বিজ্ঞানী, রাজনৈতিক তাত্ত্বিক, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী।<ref>Karl Marx: [http://www.marxists.org/archive/marx/works/1875/gotha/index.htm ''Critique of the Gotha Program''] (Marx/Engels Selected Works, Volume Three, pp. 13–30;)</ref><ref>In [http://www.marxists.org/archive/marx/works/1852/letters/52_03_05.htm Letter from Karl Marx to Joseph Weydemeyer] (MECW Volume 39, p. 58; )</ref> সমগ্র মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের একজন মার্ক্স।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/2/hi/461545.stm|শিরোনাম=BBC News {{!}} World {{!}} Marx the millennium's 'greatest thinker'|ওয়েবসাইট=news.bbc.co.uk|সংগ্রহের-তারিখ=2018-12-18}}</ref> মার্ক্সের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রচনাগুলোর মাঝে রয়েছে তিন খণ্ডে রচিত ''[[ডাস কাপিটাল|পুঁজি]]'' এবং [[ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস|ফ্রিডরিখ এঙ্গেলসের]] সাথে যৌথভাবে রচিত ''[[কমিউনিস্ট ইস্তেহার|কমিউনিস্ট ইশতেহার]]'' (১৮৪৮)।
 
সমাজ, অর্থনীতি, ও রাজনীতিসংক্রান্ত মার্ক্সের তত্ত্বসমূহ [[মার্ক্সবাদ]] নামে পরিচিত। মার্ক্সের মতে, শ্রেণী সংগ্রামের ভিতর দিয়ে মানব সমাজগুলো বিবর্তিত হচ্ছে।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.marxists.org/archive/marx/works/1848/communist-manifesto/index.htm|শিরোনাম=Manifesto of the Communist Party|ওয়েবসাইট=www.marxists.org|সংগ্রহের-তারিখ=2018-12-18}}</ref> [[পুঁজিবাদ|পুঁজিবাদী]] ব্যবস্থায় এই সংগ্রামের প্রকাশ ঘটে শাসক শ্রেণী (যারা একইসাথে রাষ্ট্র, ও কলকারখানা নিয়ন্ত্রণ করে) এবং শ্রমজীবী শ্রেণী (যাদের জীবিকার একমাত্র উপায় পুঁজিপতির কারখানায় নুন্যতম মজুরির বিনিময়ে শ্রম বেঁচা), তাদের মাঝে।<ref name=":0" /> মার্ক্স বলেন যে, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়ে শ্রমিক শ্রেণি যে পরিমাণ নতুন মূল্যের সৃষ্টি করে তার ভগ্নাংশই মাত্র তারা মজুরি বাবদ পান, উদ্বৃত্ত সিংহভাগ অংশ পুঁজির মালিকগণ আত্মসাৎ করে ফেলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bonikbarta.net/bangla/fbs-magazine/1724/|শিরোনাম=কার্ল মার্কসের আবিষ্কার|লেখক-সংযোগ=সলিমুল্লাহ খান|শেষাংশ=খান|প্রথমাংশ=সলিমুল্লাহ|তারিখ=|ওয়েবসাইট=বণিক বার্তা|সংগ্রহের-তারিখ=2018-12-18}}</ref>
 
[[দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ]] অনুসরণ করে মার্ক্স দাবি করেন যে পূর্বতন সমাজব্যবস্থাগুলোর মতো পুঁজিবাদও তার অন্তঃস্থ বিভেদ ও শ্রেণী সংগ্রামের দরুন ভেঙে পড়বে এবং সমাজতন্ত্রের জন্ম হবে। মার্ক্স মনে করেন, অস্থিতিশীল ও সংকটপ্রবণ পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় ক্রমাগত শ্রেণী সংগ্রামের ভিতর দিয়ে মজলুম শ্রমজীবী শ্রেণীর মাঝে শ্রেণীচেতনার জন্ম হবে; যার ফলে তাদের মাঝে ঐক্য গড়ে উঠবে এবং এই ঐক্যবদ্ধ শ্রমজীবী শ্রেণী জালেম শাসক শ্রেণীকে ক্ষমতাচ্যুত করে শ্রেণীহীন কওমী সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলবে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.marxists.org/archive/marx/works/1875/gotha/index.htm|শিরোনাম=Critique of the Gotha Programme|ওয়েবসাইট=www.marxists.org|সংগ্রহের-তারিখ=2018-12-18}}</ref> মার্ক্স মনে করেন, বিদ্যমান পুঁজিবাদী জালেমী ব্যবস্থার অবসান করতে এবং নিজেদের মুক্তির খাতিরে মজলুম শ্রমজীবী শ্রেণীগুলোর ঐক্যবদ্ধ হয়ে সশস্ত্র বিপ্লবের বিকল্প নেই।<ref name=":0" />
 
== জীবনী ==
৮১ নং লাইন:
 
== চিন্তা ও দর্শন ==
সমাজ, অর্থনীতি, ও রাজনীতিসংক্রান্ত মার্ক্সের তত্ত্বসমূহ [[মার্ক্সবাদ]] নামে পরিচিত। মার্ক্সের ইতিহাস দর্শন [[ঐতিহাসিক বস্তুবাদ]] বলে পরিচিত।
 
মার্ক্সের মতে, মানুষের প্রকৃতিগত স্বভাবের মতো নমনীয় আর কিছু নেই। ‘থিসিস অন ফয়েরবাখ’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভে তিনি লিখেছেন, ‘সামাজিক সম্পর্কগুলোর যূথবদ্ধতাই মনুষ্যচরিত্রের সার।’ তিনি বলেন, ধরা যাক, সমাজের অর্থনৈতিক কাঠামো বদলে ফেলার মাধ্যমে আপনি সামাজিক সম্পর্কগুলো পাল্টে দিলেন এবং পুঁজিবাদী ও শ্রমিকদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক বিলুপ্ত করে দিলেন; তাহলে দেখা যাবে পুঁজিবাদী সমাজে বেড়ে ওঠা মানুষের চেয়ে এই নতুন সমাজের মানুষ একেবারে আলাদা ধরনের হয়ে উঠেছে।<ref name=":1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.project-syndicate.org/commentary/karl-marx-200th-birthday-by-peter-singer-2018-05|শিরোনাম=Is Marx Still Relevant? {{!}} by Peter Singer|শেষাংশ=Singer|প্রথমাংশ=Peter|তারিখ=2018-05-01|ওয়েবসাইট=Project Syndicate|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2018-12-18}}</ref> হেগেলের মতে, মানব চেতনার মুক্তিই ইতিহাসের অভীষ্ট লক্ষ্য। হেগেল মনে করেন, যখন আমরা সবাই উপলব্ধি করতে পারব যে আমরা বিশ্বজনীন মানবসত্তার একেকটি অংশ, তখনই সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে। মার্ক্স হেগেলের ‘আদর্শিক’ ব্যাখ্যাটিকে এমন একটি ‘বস্তুগত’ আদর্শে রূপান্তরিত করেছেন, যে আদর্শে আমাদের জাগতিক বস্তুগত অভাব মেটানোর সন্তুষ্টিই ইতিহাসের চালিকাশক্তি হিসেবে গণ্য করা হয় এবং যে আদর্শে একমাত্র শ্রেণিসংগ্রামকেই মুক্তি অর্জনের পথ মনে করা হয়।<ref name=":1" /> শ্রমিক শ্রেণিই হবে বিশ্বজনীন মুক্তির হাতিয়ার; কারণ এই আদর্শ ব্যক্তিগত সম্পদের ধারণাকে অস্বীকার করে এবং যৌথ মালিকানাভিত্তিক উৎপাদনের পথ দেখিয়ে দেয়। মার্ক্স মনে করতেন, যখন কর্মীরা যৌথ মালিকানাভিত্তিক উৎপাদনে আত্মনিয়োগ করবে, তখন মার্ক্সের ভাষায় ‘সহযোগিতামূলক সম্পদের ঝরনাধারা’ ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পদ যে গতিতে ছড়ায়, তার চেয়ে অনেক বেশি পর্যাপ্ত আকারে সমাজে প্রবাহিত হবে।<ref name=":1" />