সিলেটের মরমী সঙ্গীত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ Ash wki সিলেটের মরমী সাহিত্য কে সিলেটের মরমী সঙ্গীত শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন: ভুল পরিভাষা |
সংশোধন, রচনাশৈলী |
||
১ নং লাইন:
{{বাংলাদেশের সঙ্গীত}}
'''সিলেটের মরমী সঙ্গীত''' বা '''মরমীবাদী গান''' বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন লোক ঐতিহ্যের অনবদ্য
সৈয়দ মোস্তফা কামালের মতে হূদয়ের গভীর এশক, [[মোহব্বত]] বা প্রেমের আধ্যাত্মিক বাণী ও সুর লহরীই মরমী সঙ্গীত। ইসলামের দৃষ্টিতে মরমীবাদকে [[সুফী]] [[সাধনা]] বলা হয়েছে। [[মাওলানা রুমীর]]
==মরমী সাহিত্যে গোড়াপত্তন==
সিলেট একটি প্রাচীন জনপদ । আর্যদের বহু পূর্বে এ অঞ্চলে অস্ট্রেলীয়, দ্রাবিড় মঙ্গোলীয়সহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী বসবাস করত। [[গারো]], [[খাসিয়া]], [[নাগা]], [[কুকি]] প্রভৃতি আধিবাসীদের প্রাচীন কাব্য, ভাষা, ধর্মীয় রীতি-নীতি, আচার-উপচারে প্রফুল্লীত সাহিত্যে খ্রিস্টিয় চতুর্থ শতকে মিশ্রণ ঘটে [[আর্য]] সংস্কৃতির। অতপর সাত শত হিজরী থেকে মুসলমানদের আগমনের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে [[মুসলিম]] সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে। ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে [[শাহ জালাল]] সহ ৩৬০ ষাট আউলিয়ার আগমনে সুফীবাদের প্রচলন শুরু হয়। এখানে আগত সুফী সাধকরা ইসালামিক আদর্শ ছড়িয়ে দিতে এখানকার আদিবাসীদের বিভিন্ন ভাষায় শিক্ষা দেন ইসলামিক পদ্ধতি বা রীতি রেওয়াজ। যার মধ্যে অন্যতম [[আরবী]] ফার্সী ও উর্দু । উল্লেখ্যিত ভাষা গুলোর সমন্নয়ে মরমী সাহিত্য নামে জন্ম নেয় এক নতুন সাহিত্যের । যাকে আজ কাল বলা হয় সিলেটের মরমী সাহিত্য। আরবী, ফার্সী ও উর্দু ভাষায় রচিত কাব্য, পুথি, [[গান]] ও পালা ইত্যাদি নিয়ে মরমী সাহিত্যের যাত্রা শুরু হয় বলে চৌধুরী গোলাম আকবর সহ গবেষকগণ বলে থাকেন। সিলেটের প্রাচীন সাহিত্যের মধ্যে রয়েছে মদনুল ফওয়ায়েদ নামের ইসলামী গ্রন্থ । লিখেছেন তরফ বিজেতা [[সৈয়দ নাসির উদ্দীন|নাসির উদ্দীনের]] প্র-পৌত্র দিল্লীর সুলতানী দরবার হতে মালেক-উল- উলামা উপাধি প্রাপ্ত শাহ সৈয়দ ইসরাইল, গ্রন্থের [[ভাষা]] [[ফার্সী]]।<ref name="<ref name="সিলেট বিভাগ" /><ref>তরফ বিজেতা [[সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দীন]] ও মুড়ারবন্দ দরগাহ শরিফ। সৈয়দ মোস্তফা কামাল। প্রকাশনায়-সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দীন স্মৃতি পরিষদ মুড়ারবন্দ দরগাহ শরিফ। প্রকাশ কাল জানুয়ারি ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ</ref> শ্রীহট্টের পৈলের সৈয়দ বংশের শাহ সৈয়দ রেহান উদ্দীন ফার্সী ভাষায় কবিতা লিখে [[দিল্লী]] হতে 'বুলবুলে বাংলা' উপাধিতে খ্যাত হন। তিনি [[উর্দু]] ভাষায় 'মসনবীয়ে বাকাউলী' '[[খাবনামা]]' গ্রন্থদ্বয় রচনা করেন<ref>শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূর্বাংশ, দ্বিতীয় ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড, পঞ্চম অধ্যায়, তরফের কথা গ্রন্থকার - [[অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি]]; প্রকাশক: মোস্তফা সেলিম; উৎস প্রকাশন, ২০০৪।</ref> আরবী ফার্সী প্রচার ও প্রসারের জন্য এ অঞ্চলে প্রবাদ ছিলঃ<Center>ফার্সী জানে না যে কুমার<br />তারে মুহ করমু না ভাতার'।<br /></center>
|